দুদিন পর স্বস্তির নিশ্বাস কুলতলির বাসিন্দাদের, বন দফতরের কর্মীদের ফাঁদে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার


শেষমেশ স্বস্তির নিশ্বাস নিল কুলতলির বাসিন্দারা। গত ৪৮ ঘন্টায় দক্ষিণ চব্বিশ পরগণারা কুলতলির বৈকুন্ঠপুর, মৈপীঠ প্রভৃতি অঞ্চলের বাসিন্দারা বাঘের ভয়ে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল।  সোমবার সন্ধেবেলা কুলতলির বৈকুণ্ঠপুর গ্রামের বাসিন্দারা একটি বাঘ দেখতে পান, তারপরেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে, গ্রামের ভিতর বাঘ দেখা যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা৷ 

কিছুক্ষণের জন্য দেখা গেলেও পরমুহূর্তেই উধাও হয়ে যায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। সেই বাঘটি একটি গরুকেও মেরে ফেলে৷ বুধবার বন দফতরের আধিকারিক এসে ধরে ফেলেন সেই বাঘকে, তারপর স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন গ্রামবাসীরা।জানা গেছে সুন্দরবনের আজমলবাড়ির জঙ্গল ও  হেরোভাঙা নদী অতিক্রম করে বৈকুণ্ঠপুর গ্রামে চলে আসে বাঘটি। পূর্ণবয়স্ক সেই বাঘকে দেখে গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে, কখনো বাঘটির দেখা মেলে আবার কখনও সে উধাও, এই চলছিল দুদিন ধরে।

এলাকার মানুষ বাইরে বেরোতে পারছিল না, থাকতে হচ্ছিল ঘরবন্দি৷ অবশেষে বাঘটিকে ধরে নেওয়ায় আতঙ্ক থেকে রেহাই পেয়েছে গ্রামবাসীরা।গ্রামবাসীরা বন দফতরে খবর দিলে দফতরের টিম আসে ঘটনাস্থলে। এরপর বাঘটিকে ধরার জন্য খাঁচা তৈরী হয়, মঙ্গলবার সকালে  সাঁতার কাটতে দেখা যায় বাঘটিকে,সেখানে বন দফতরের পেট্রলিং টিম  বাঘটিকে ধরতে গেলে আজমলমাড়ির জঙ্গলে ঢুকে যায় বাঘটি। বাঘটিকে কাবু করতে পাততে হয় তিনটি খাঁচা ।


বেশি বয়সের বাঘেরা শিকার ধরতে অসমর্থ হয়ে পড়লে লোকালয়ে চলে আসে, গরু, ছাগল খেয়ে নেয়। এই ক্ষেত্রেও সম্ভবত এমনই হয়েছে বলে অনুমান বন দফতরের আধিকারিকদের। শারীরিক পরীক্ষার পর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে এই বাঘটিকে।

Recent Posts