করোনার কারণে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে, অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে, কিন্তু এমন পরিস্থিতেও মা অবশ্যই আসবেন, বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজো হবে, প্রতিবারের মতো ধূমধাম করে না হলেও হবে, তবে মেনে চলতে হবে সতর্কতা।
সোমবার গ্লোবাল পরামর্শদাতা কমিটির বৈঠক ছিল, তারপর মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন। এদিন বৈঠকে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরী, সুকুমার মুখোপাধ্যায়, জেভি আর প্রসাদর রাও, রাজীব সিনহা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী পরামর্শ দেন প্যান্ডেল খোলামেলা রাখার। তিনি জানান কমিটির সদস্যদের মতে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতিতে পুজো কিন্তু অনেক বড় চ্যালেঞ্জ, তবে সমস্ত সতর্কতা মানার পাশাপাশি পুজো প্যান্ডেল বদ্ধ না রেখে হাওয়া বাতাস ঢোকার জন্য প্যান্ডেল খোলামেলা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন কমিটির সদস্যরা, প্যান্ডেল খোলা রাখলে বেরিয়ে যাবে জীবাণু, নিঃশ্বাস প্রশ্বাসেও সুবিধা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান বিশেষজ্ঞরা বলেছেন প্যান্ডেল পুরো ঢেকে ভিতরে ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা থাকলেই যথেষ্ট নয়,প্যান্ডেল হবে খোলামেলা , তবে সম্পূর্ণ উন্মুক্ত নয়, দুর্গা প্রতিমা রাখার জায়গা ঢাকাই থাকবে। কিন্তু অঞ্জলি দেওয়ার স্থান বা দাঁড়িয়ে প্রতিমা দর্শনের জায়গাটা খোলা রাখতে হবে।
প্রতিবছরের ন্যয় এবছরেও পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিবার এমন সময় বৈঠক হয়ে গেলেও এবার তা হবে সম্ভবত ২৫ সেপ্টেম্বর ।তবে পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে পুজো কমিটিগুলিতে প্যান্ডেল খোলামেলাই রাখার নির্দেশ যে দ্রুত দিয়ে দেওয়া হবে তা আন্দাজ করা যাচ্ছে।
প্রতিবারের মতোই এবারও পুজো হবে তবে স্বাস্থ্যবিধি ও সতর্কতা মেনে চলতে হবে। আর বাঙালির জাতীয় উৎসব দুর্গাপুজো, পুজো হয় ক্লাব, আবাসন, জেলা, শহর, ব্লক সমস্ত জায়গায়, প্রায় লক্ষাধিকের উপর পুজো প্যান্ডেলে বহু মানুষের সমাগম হবে তাই নিজেদের জন্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে মানুষকে, বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।