কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এবছর দুর্গাপুজো হতে চলেছে। চিকিৎসকদের উদ্যোগে পুজোর অনুমতি মিলেছে বয়েজ হোস্টেলে, পুজোর অনুমতি মেলেনি মূল হাসপাতাল চত্বরে। মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক-নার্স-কর্মীদের এই উদ্যোগ কে অনেকে প্রশংসা করছে তো অনেকে সমালোচনা।করোনা আবহে করোনা হাসপাতালে দুর্গা পুজো করা হচ্ছে জেনে এই নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়ে গেছে। অনেকেই এই উদ্যোগকে ভালো চোখে নেয়নি।
যেখানে করোনা রোগীদের চিকিৎসা হয় সেখানে পুজো কে অনেকেই ভালো চোখে নিচ্ছেন না। কারণ এবার আর সব বছরের মতো পরিস্থিতি স্বাভাবিক নেই, আগে তো মানুষের প্রাণ, তার পর উৎসব এমনটা অনেকের ভাবনা।আবার উদ্যোক্তাদের মধ্যে এক চিকিৎসক এই উদ্যোগকে সাধুবাদ দিয়ে বলেছেন দীর্ঘ সাত মাস ধরে প্রায় সমস্ত চিকিৎসক ছুটি না নিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের দেখছেন, পরিবার-পরিজনের কাছে না গিয়ে একটানা ডিউটি করছেন। এই অবস্থায় হাসপাতালে যদি পুজো হয় তাহলে উৎসবের মরশুমে মায়ের দর্শনে একঘেয়েমি কেটে আরও ভালো করে কাজ করতে পারবেন তারা।
পুজো উদ্যোক্তা এক জুনিয়র চিকিৎসক জানিয়েছেন কৃষ্ণনগরে মূর্তির বায়না দেওয়া হয়েছে, প্যান্ডেল তৈরী হচ্ছে। দ্বিতীয়ার দিন প্রতিমা চলে আসবে। পুজোর জন্য চাঁদা নেওয়া হচ্ছে, পুজোর চারদিন চিকিৎসক, নার্স, স্টাফ সকলের জন্য ভোগের আয়োজন করা হবে। মায়ের দর্শনে, পুজোর গন্ধে একঘেয়েমি কাটবে বলে জানান তিনি।
গত ১৫ দিন ধরেই কলেজ চত্বরে পুজো করার অনুমতি চাওয়া হলেও তাতে কর্তৃপক্ষ রাজি হননি। কারণ হাসপাতাল চত্বরে মানুষ চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে আসে সেখানে পুজোর অনুমতি দেওয়া যায় না তাই বয়েজ হোস্টেল-এর ভিতর পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।কর্তৃপক্ষের অনুমতির পাওয়ার পর পুলিসের অনুমতিও নিয়ে ফেলেছে পুজো উদ্যোক্তারা।