সোমবার রাজ্য সরকারের তরফে ১১ দফা পুজো নির্দেশিকা জারি করার পর বৃহস্পতিবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে বৈঠক করেন পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে। সেখানে তিনি সমস্ত নির্দেশিকা মেনে চলার কথা বলে পুজো কমিটিগুলিকে।
নবান্নের তরফে প্রকাশিত এই নির্দেশিকায় কী কী বিষয় বলা হয়েছে জেনে নিন –
প্যান্ডেল রাখতে হবে খোলামেলা, প্যান্ডেল বড় করতে হবে, প্যান্ডেলের ভেতরে দর্শনার্থীরা শারীরিক দূরত্ব বিধি যাতে বজায় রাখতে পারে সে দিকে নজর দিতে হবে। প্যান্ডেলে প্রবেশ পথ এবং বেরোনোর রাস্তা করতে হবে আলাদা। প্যান্ডেলের সিলিং ঢাকা থাকলে চারপাশ খোলা রাখতে হবে আর চারপাশ যদি ঢাকা থাকে তাহলে সিলিং রাখতে হবে খোলামেলা।
প্যান্ডেলে রাখতে হবে স্যানিটাইজার এবং মাস্ক।
কিছু সময় অন্তর প্যান্ডেল এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা স্যানিটাইজ করতে হবে।
অধিক সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে তাদের ফেস শিল্ড, মাস্ক, স্যানিটাইজার দিতে হবে। কেউ মাস্ক আনতে ভুলে গেলে তাঁদের মাস্ক দিতে হবে।
দমকল, পুরসভা বা পঞ্চায়েতের তরফে ফি নেওয়া হবে না
অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার জন্য সংস্থা কোনো টাকা নিতে পারবে না। সিইএসসি ও রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের তরফে বিদ্যুৎ বিল এর উপর ছাড় দিতে হবে ৫০ শতাংশ।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সমস্ত বন্ধ থাকবে এ বছর
অঞ্জলি দেওয়া , প্রসাদ বিতরণ বা সিঁদুর খেলার জন্য পরিকল্পনা করে খোলামেলা জায়গায় রাখতে হবে। অঞ্জলি দেওয়ার ফুল আনতে হবে বাড়ি থেকে।
শারদ সম্মান
শারদ সম্মান দেওয়ার জন্য পুরস্কার-কমিটির বিচারকদের সর্বোচ্চ দুটি গাড়ি প্যান্ডেলে আসতে পারবে। সকাল ১০ থেকে ৩ টের মধ্যে বিষযটি এই কাজ শেষ করতে হবে।
ভিড় করা যাবে না
পুজো উদ্বোধন হোক কিংবা বিসর্জন কোনটাতেই ভিড় করা যাবে না। ভার্চুয়াল মাধ্যমেই যতটা সম্ভব কাজ করে নিতে হবে। পুজো উদ্বোধন করা যেতে পারে তৃতীয়া থেকেই। বিসর্জন হবে বিভিন্ন দিনে এলাকা ভিত্তিক,এবং বির্সজনের আগে স্যানিটাইজ করতে হবে ঘাটগুলিকে। পুজোর কার্নিভালও বন্ধ থাকবে এবছর।