শুকনো ফলের গণেশ মূর্তি বানিয়ে কোভিড হাসপাতালে রাখলেন এক ডাক্তার


আজ গণেশ চতুর্থী, করোনা মহামারীর কারণে এবছর গণেশ চতুর্থীর আর তেমন ধুমধাম করে পালন করা সম্ভব হয়নি, অনেক স্থানেই বন্ধ পুজো, কোথাও আবার নিয়মরক্ষার তাগিদে পুজোর আচার মেনে পালন করা হচ্ছে গণেশ চতুর্থী। গণপতি উৎসবের মূল আকর্ষণ ‘বিসর্জন’ ও এবার তেমন জাকজমক পূর্ণ হবে না। এবছর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তৈরী হয়েছে ‘ইকো-ফ্রেন্ডলি’ গণেশ ঠাকুরের মূর্তি।
তার মধ্যে অন্যতম গুজরাতের সুরাট।

শুকনো ফলের গণেশ মূর্তি
Pin it
শুকনো ফলের গণেশ মূর্তি

সুরাটের এক ডাক্তার অদিতি মিত্তল এক অভিনব মূর্তি বানিয়েছেন যা তৈরী ড্রাই ফ্রুটস দিয়ে। আখরোট, চিনাবাদাম, কাজু বাদাম, পাইন বাদাম এবং আমন্ড দিয়ে বানানো হয়ে ২০ ইঞ্চির এই গণেশ মূর্তি । গণপতির মুখ এবং শুঁড় তৈরীতে ব্যবহার করা হয়েছে আখরোট, আর চোখ হয়েছে কাজু বাদাম দিয়ে।

ইকো ফ্রেন্ডলি এই গণপতি মূর্তিটি রাখা হয়েছে সুরাটের একটি কোভিড-১৯ হাসপাতালে। গণেশ মূর্তি তৈরীতে যে সব শুকনো ফল লেগেছে অর্থাৎ আখরোট, চিনাবাদাম, কাজু বাদাম, পাইন বাদাম এবং আমন্ড এগুলো পুজোর পরে বন্টন করা হবে হাসপাতালের রোগীদের মধ্যে।

ইকো ফ্রেন্ডলি এই গণপতি
Pin it
ইকো ফ্রেন্ডলি এই গণপতি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় সেই জন্য একাধিক বিধি নিষেধ মেনে চলতে বলা হচ্ছে, দূরত্ববিধি বজায় রাখা, অযথা বাইরে না যাওয়া, গণপতি উৎসবেও এবার ভিড় করা চলবে না, এই জন্য যেখানে যেখানে পুজো হচ্ছে সেখানে অনেক নিয়মকানুন মেনে করতে হচ্ছে পুজো। প্রতিবারের ন্যায় ধূমধাম করে এবার আর পুজো হচ্ছে না। বিসর্জনের ক্ষেত্রেও থাকবে অনেক নিয়ম। সেই কারণেই অনেকে গণেশ ঠাকুরের ইকো ফ্রেন্ডলি মূর্তি বানিয়েছেন এবছর।

দেখে নিন অদিতির টুইট

শুকনো ফলে ছাড়াও আরও নতুন অনেক ভাবনা উঠে এসেছে গণেশ মূর্তি তৈরীতে। বীজ দিয়েও বানানো হয়েছে গণপতির মূর্তি যা পুজোর পর বপণ করা হবে এবং অনেক গাছ লাগানো হবে। পুনরায় ব্যবহার যোগ্য জিনিসপত্র কাজে লাগিয়ে এবছর অনেক নতুন এবং ইউনিক আইডিয়া উঠে এসেছে মূর্তি তৈরীতে।


Recent Posts