কোভিড ১৯ এর তান্ডবে যে ভাবে ছড়িয়ে যায় সংক্রমণ তাতে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক দেশ। বিমান পরিষেবাতেও এর প্রভাব পড়েছে অনেকটাই, ভারতে
২৩ মার্চ মাস থেকেই বন্ধ ছিল দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা।
দীর্ঘ দু’মাস পর ২৫ মে থেকে অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা শুরু হলেও তার সংখ্যা আগের তুলনায় ছিল অনেক কম। বিমান পরিষেবা শুরু হলেও যাত্রীর সংখ্যা কমে আসে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ।
বিপুল পরিমান ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় কয়েকটি বিমানসংস্থা বন্ধ করে দেয় পরিষেবা, আবার অনেক বিমানসংস্থায় কর্মী ছাঁটাই করা হয়, বেতনও কম দেওয়া হয়। পরিষেবা পুনরায় শুরু হলেও লাভের দেখা নেই, লোকসানকেই সঙ্গে নিয়ে চলছে একাধিক বিমান সংস্থা।
পরিষেবা বাড়াতে কেন্দ্রর তরফে চেষ্টা করা হচ্ছে, কথা বলা হচ্ছে একাধিকদেশের সঙ্গে।
তবে অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা শুরু হলেও ভারতে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা এখনও বন্ধ ।
ভারত জুলাই মাস থেকে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, কাতার ও মলদ্বীপ এই সাতটি দেশের সঙ্গে বিমান চলাচল শুরু করেছে।
মঙ্গলবার ভারতের অসামরিক বিমানমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী টুইটে জানিয়েছেন ১৩ টি দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক পরিষেবা শুরু করার জন্য কথা হচ্ছে।
এই ১৩ টি দেশ হল, অস্ট্রেলিয়া, জাপান,ইতালি নিউজিল্যান্ড, বাহরিন, ইজরায়েল, কেনিয়া, নাইজিরিয়া, ফিলিপিন্স, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইল্যান্ড।
We continue to further strengthen the reach & scope of VBM. Air Travel arrangements are already in place with USA, UK, France, Germany, UAE, Qatar & Maldives.
— Hardeep Singh Puri (@HardeepSPuri) August 18, 2020
We are now taking these efforts forward & are negotiating with 13 more countries to establish such arrangements.
দ্বিপাক্ষিক পরিষেবা শুরু হওয়ার জন্য দু’দেশকে একটি এয়ার বাবল চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে, পরিষেবা বাড়ানোর জন্য তাদের এয়ার বাবল চুক্তি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অসামরিক বিমানমন্ত্রী, এছাড়াও ভারতের পড়শি দেশ বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, নেপাল, ভূটানের সঙ্গেও কথা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিদেশে বসবাসকারী প্রতিটি ভারতীয় যেন সাহায্য পায় এটাই প্রধান লক্ষ্য হওয়ায় তাদের কাছে পৌঁছনোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান অসামরিক বিমানমন্ত্রী।