উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের ঘটনায় গোটা দেশ গর্জে উঠেছে, দোষী দের শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল হচ্ছে সর্বত্র,কিন্তু কি গোপন করতে চাইছে যোগী সরকার প্রশ্ন সকলের।গণধর্ষণের পর ১৪ দিন হাসপাতালে লড়াই করার পরে মারা যায় দলিত তরুণী, রাতের অন্ধকারে দাহ করে দেওয়া হয় তরুণীর মৃতদেহ, পরিবারের সম্মতি ছাড়াই জোর করে কেন দাহ করা হয় সেই নিয়েও ওঠে একাধিক প্রশ্ন।
বৃহস্পতিবার পুলিশকে এড়িয়ে ক্ষেতের মধ্যে দিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে এক নাবালক এসে জানায় গ্রামের ভিতরে যেহেতু সংবাদমাধ্যমকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছেনা, দেখানো হচ্ছে না কি অবস্থা নির্যাতিতার পরিবারের, ওই নাবালক নির্যাতিতার আত্মীয় হয়, সে জানায় তাদের সকলের ফোন কেড়ে নিয়েছে পুলিশ, পরিবারের হয়ে সমস্তটা জানানোর জন্য সে লুকিয়ে এসেছে। তাদের বাইরে বেরোতেও দেওয়া হচ্ছে না। হুমকি দিয়ে চুপ করিয়ে রাখা হচ্ছে। সমস্তটা বলার আগেই পুরো পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে চলে আসলে সাথে সাথে পালিয়ে যায় ওই নাবালক। সেখানি জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
হাথরাসে সংবাদমাধ্যমকেও ঢুকতে দেওয়া হয় নি, বেশ কয়েকটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে সংবাদমাধ্যম একেবারে নির্যাতিতার বাড়ির কাছাকাছি চলে আসলেও আটকে দেয় পুলিশ প্রশাসন, জানায় উপরমহলের আদেশ, কেন মিডিয়াকে সেখানে যেতে দেওয়া হচ্ছে না, তার উত্তরে জানানো হয় তদন্ত করছে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম তাদের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে নির্যাতিতার পরিবারের সাথে দেখা করতে দেওয়া যাবে না।
উত্তরপ্রদেশর এই ঘটনায় কংগ্রেসের তরফে টুইটে জানানো হয়েছে যোগীজি গ্রামের মধ্যে সংবাদমাধ্যমকে ঢুকতে দিচ্ছেন না যাতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোটা দেশের সামনে উঠে না আসে। যোগীজির জঙ্গল রাজের ছবি সংবাদমাধ্যম গোটা দেশকে দেখিয়ে দিতে পারত সেই জন্য বারবার সংবাদমাধ্যমকে আটকানো হয়।বৃওস্পতিবার আরও একটি ভিডিওতে দেখা গেছে জেলাশাসক পিকে লক্সকর নির্যাতিতার পরিবারকে ভয় দেখিয়ে বয়ান বদলের জন্য চাপ দিচ্ছেন।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন ওই পরিবারের ছয় সদস্যের সাথে প্রায় দেড় ঘণ্টা কথা বলেছেন তিনি, তাদের সাথে কোনও গন্ডগোল হয়নি।হাথরাস কাণ্ডের তদন্ত করছে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক সিনিয়র অফিসার জানিয়েছিলেন ফরেন্সিক রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি। অন্যায়ের এমন চরম নির্দশন এবং তাতে পুলিশের সাহায্য না করে বরং চুপ করিয়ে রাখার ঘটনা দেখে গোটা দেশ বিক্ষোভ জানায়। চাপের পরে পুলিশ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করে উচ্চবর্ণের চার যুবককে। যোগী আদিত্যনাথ সরকার নির্যাতিতার পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেন। তবে দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চায় দেশবাসী।