ট্রেনের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি বাড়ছে যাত্রীর সংখ্যাও, অনেক স্টেশনেই হকারদের করোনাবিধি না মানায় বাড়ছে উদ্বেগ


দীর্ঘ সাড়ে সাত মাস পর সম্প্রতি চালু হয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। দ্বিতীয় দিনের এত বেশি ভিড় দেখা যায় যে করোনা আবহে যাত্রীদের সুরক্ষার ও সুবিধার কথা ভেবে অফিসটাইমে বাড়ানো হয় লোকাল ট্রেনের সংখ্যা।  রেলের পাশাপাশি যাত্রীদেরও বাড়ছ ভিড় এবং স্টেশন চত্বরে দেখা যাচ্ছে বহু হকারদের।  


পেটের টানে, সংসার চালাতে তাদের রোজহারের পথ একটাই, তবে ট্রেন পরিষেবা শুরু হলেও ট্রেনে বা স্টেশনে হকারদের স্টল খোলায় সম্মতি না দেওয়ায়  দলদল , সোনারপুর, বর্ধমান সহ একাধিক স্টেশনে হকাররা আন্দোলন শুরু করেছে। অনেক স্টেশনের মুখে হকাররা বসতে দেখা যাচ্ছে,  হাওড়া, শিয়ালদহ স্টেশনের গেটের মুখে, সাবওয়ের ভিতরেও অনেক হকারকেই দেখা যাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মুখে মাস্ক ছাড়াই দেখা যাচ্ছে তাদের। তাদের মাস্ক ছাড়া দেখে ক্ষুব্ধ নিত্যযাত্রীদের সাথে বচসাও বাঁধে গতকাল।

অনেকেই অভিযোগ জানিয়েছেন দুরত্ববিধি না মেনে যেখানে সেখানে ডালা নিয়ে বসে যাচ্ছেন হকাররা। অনেকের মুখে মাস্ক নেই তো অনেকের গলায় ঝুলছে মাস্ক।  করোনা আবহে সর্তকতা অবলম্বন না করলে খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা।হাওড়া আইএন্টিটিএউসি এর সভাপতি অরূপেশ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন “অসংগঠিত হকারদের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ বিধি কম থাকায় সমস্যা হচ্ছে। যাত্রীদের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকা উচিত। অতিমারী ঠেকানোর সব পথ নিতে হবে।”


রবিবার ট্রেনের সংখ্যা বেড়েছে হাওড়া এবং শিয়ালদহ স্টেশনে। হাওড়াতে ট্রেনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬৯ এবং শিয়ালদহে ট্রেনের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৫৩১। ট্রেনের সংখ্যা বাড়ায় বৃদ্ধি পাবে যাত্রী সংখ্যাও। এহেন পরিস্থিতিতে যদি হকাররা করোনাবিধি না মেনে  ঘুরে বেড়ায় তাহলে তা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অনেক যাত্রী জানিয়েছেন ট্রেনেও উঠে পড়ছে হকাররা। তাদের মুখে মাস্ক না থাকায় তা করোনা আবহে ভিড় ট্রেনে ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। তাদের করোনা বিধি মানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

Recent Posts