করোনা আবহে ‘গরবা’ র ছোট বড় সমস্ত অনুষ্ঠান এবছর বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে গুজরাট সরকার


করোনার ভয়াবহতা কমছে কমছে করেও কমছে না, লাগাতার বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা, যদিও করোনাকে হারিয়ে সুস্থতার সংখ্যাও বাড়ছে। তবুও সতর্কতা মেনে চলা জরুরী, নইলে করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। করোনা মধ্যেই কেরলে ‘ওনাম’ এর আয়োজন এর পর থেকে লাগাতার বেড়ে গেছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। উৎসব আয়োজনের ফলে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুগগতিতে বৃদ্ধি পেতে পারে, এবং সেই ঝুঁকি নিতে নারাজ  গুজরাট সরকার।তাই এবছর পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে নবরাত্রির বিখ্যাত ‘‌গরবা’‌ হবে না বলেই জানিয়েছে গুজরাট সরকার।


শুক্রবার নির্দেশিকা জারি করে একথা জানিয়েছে বিজয় রূপানি সরকার শুক্রবার একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে যেখানে জানানো হয়েছে আগামী  ১৬ অক্টোবর থেকে এই নির্দেশিকা কার্যকর হবে। 
এবছর করোনার কারণে ছোট হোক বা বড় কোনওরকম গরবার অনুষ্ঠানই  করা যাবে না। করোনা আবহে বিশাল সমাবেশ যাতে না হয় সেই কারণে শোভাযাত্রা , রাবণ দহন এবং রামলীলা র অনুমতি দেওয়া হয়নি ।নবরাত্রি উদযাপনের কারণে  সর্বজনীন স্থানে প্রতিমা স্থাপন হলেও প্রতিমাকে স্পর্শ বা প্রসাদ বিতরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, দশেরা, ভাইফোঁটা বাড়িতে পালনের কথা বলা হয়েছে।কনটেইনমেন্ট জোনে নবরাত্রির কোনওরকম অনুষ্ঠান হবে না। 


সাংস্কৃতিক, সামাজিক, শিক্ষামূলক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান শর্তসাপেক্ষে আয়োজন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।তবে করোনার সমস্ত নিয়মাবলি মানতে হবে। প্রতিটি অনুষ্ঠানে ২০০ র কম মানুষ থাকতে পারবে। অনুষ্ঠানের সময়সীমা সর্বোচ্চ এক ঘন্টা হবে।শারীরিক দূরত্ববিধি মানতে হবে।মাস্ক ছাড়া অনুষ্ঠানে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। থার্মাল স্ক্যানার ও স্যানিটাইজার ডিসপেন্সার অবশ্যই রাখতে হবে।

 অনুষ্ঠানের মাঝে কেউ যাতে পানমশলা বা গুটখা না খায় সেদিকে নজর দিতে হবে। অনুষ্ঠানে প্রবেশকারীর বয়স ১০-৬৫ র মধ্যে হতে হবে। মঞ্চ, মাইক এবং চেয়ারগুলো একাধিক বার স্যানিটাইজড করতে হবে। গুজরাট সরকার জানিয়েছেউৎসবের মরশুমে কোনওভাবেই যাতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে বৃহৎ মহামারীর আকার না নেয় তাই সতর্কতা অবলম্বন করতে মানতে হবে সমস্ত নির্দেশিকা।

Recent Posts