গত ৯ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে মুম্বইয়ের বাইকুল্লা জেলে আছেন রিয়া চক্রবর্তী, গতকাল জানানো হয় মাদক মামলায় ৬ অক্টোবর পর্যন্ত অভিনেত্রী এবং তার ভাইকে থাকতে হবে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে, তারপরেই রিয়া চক্রবর্তী এবং তার ভাই শৌভিক চক্রবর্তী পুনরায় জামিনের আবেদন করেন।
আগে একাধিক বার জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার পরে পুনরায় জামিনের আবেদন করেছেন রিয়া চক্রবর্তী, যার শুনানি আজ থাকলেও মুম্বইয়ের ভারী বৃষ্টির ফলে শুনানি কাল হবে। অভিনেত্রী জামিনের আবেদনে দাবি করেছেন, আন্তর্জাতিক স্তরের তদন্তের পরেও সিবিআই, এনসিবি বা ইডি র তরফে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত সকলকে ব্যবহার করে নিজের মাদকের নেশা বজায় রাখতেন। রিয়ার দাবি, সুশান্ত সিং রাজপুত মাদক নেওয়ার জন্য নিজের কর্মচারীদের ব্যবহার করতেন, তাদের থেকে মাদক আনতেন, অভিনেতা সুশান্ত নিজে কোনো লেনদেন না করে রিয়া, শৌভিক ও আরও অনেককে এই কাজে ব্যবহার করেছিলেন, যাতে ঘটনাটি জানাজানি হলে সুশান্তের নাম নয় যাদের দিয়ে তিনি লেনদেন করছেন তাদের নাম উঠে আসে।
রিয়ার প্রশ্ন সুশান্ত জীবিত থাকলে মাদক নেওয়ার অপরাধে খুব বেশি হলে অভিনেতাকে এক বছরের সাজা দেওয়া হত হয়তো, মাদক নেওয়ার অপরাধে বেশি হলে এক বছরের সাজা আর যে মাঝে মাঝে সেই মাদক এনে দিয়েছে তাঁকে সর্বোচ্চ ২০ বছরের সাজা কেন দেওয়া হবে? মৃত্যুর তিন দিন আগেও নাকি সুশান্ত গাঁজার জয়েন্ট বেডরুমে রেখেছিলেন যা অভিনেতার মৃত্যুর পর খালি পাওয়া যায়, সিবিআইকে একথা জানিয়েছে সুশান্তের বাড়ির রাঁধুনে নীরজ।
৪৭ পাতার এই জামিনের রিয়া দাবি করেছেন তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ তাই তার বিরুদ্ধে কোনো প্রমান পাওয়া যায়নি। সুশান্ত মাদক নিতেন তাদের ব্যবহার করে, এমনকি সুশান্তের মানসিক অবসাদের চূড়ান্ত পর্যায়ে এগিয়ে গেছিল সেই সময় পাশে না থেকে সুশান্ত সিং রাজপুতের বোনেরা তাঁকে একা রেখে চলে যায় বলে অভিযোগ জানায় রিয়া।
রিয়া আরও দাবি করেন, সম্পর্কের শুরুতে নয়, ঠিক কেদারনাথ ছবির শুটিং এর পর পরই নেশার অভ্যাস শুরু হয় সুশান্তের। যা দিন দিন বেড়েই চলে। রিয়ার জামিনের আবেদনে কী আবার বম্বে হাইকোর্টে খারিজ হয়ে যাবে না হবে না তা জানা যাবে কালই। অপরদিকে মাদক মামলায় একের পর এক বলিউড তারকাদের নাম উঠে আসলেও সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর একশো দিন পরেও কিন্তু অনেক প্রশ্নের উত্তরই অজানা।