কাবুলে গুরুদ্বার হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েহে কমপক্ষে ২২ জনের।সোমবার বইমেলা চলাকালীন জঙ্গিরা কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়, এই ঘটনায় আহত হয়েছে প্রায় পঞ্চাশ জন। সোমবার থেকে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বইমেলা শুরু হওয়ার কারনে ইরান থেকে অনেক প্রকাশক, অতিথি আসেন, কাবুল পুলিশের অনুমান আহত ও নিহতদের মধ্যে এইসব অতিথি ছাড়াও থাকতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।
![](https://bongquotes.com/wp-content/uploads/2020/11/download-6.jpg)
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে হঠাৎ নির্বিকারে গুলি চললে ঘটনাস্থলেই অনেকে জখম হন, মৃত্যু হয় অনেকেই, আতঙ্ক ছড়ায় মুহুর্তের মধ্যে৷ গুলির আওয়াজে ছুটোছুটি শুরু হয়ে যায়। নিরাপত্তারক্ষীরা এসে ঘিরে ফেলে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। কাবুলের এক স্থানীয় সংবাদসংস্থা অনুযায়ী জঙ্গিদের আগে থেকেই প্ল্যান ছিল আফগান -ইরানিয়ান বইমেলায় হামলা করার। ত জঙ্গি এসে যেই মুহুর্তে হামলা চালায় তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস চলছিল, হঠাৎ গুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে যায় সকলে। চিৎকার, কান্না,গুলি,ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরী হয়।
জঙ্গি হানার দায় তালবান গোষ্ঠী বা অন্য কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি৷কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন নির্মম ঘটনার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলার চরম অপরাধের জন্য তীব্র কন্ঠে প্রতিবাদ জানিয়ে এই হামলায় নিন্দা করার ভাষা নেই বলে জানান আফগান সরকারের আধিকারিক পদে থাকা আবদুল্লাহ, আবদুল্লাহ। উল্লেখ্য গত বছর কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিস্ফোরণে প্রাণ হারান আটজন৷এর আগে ২০১৬ সালে কাবুলের আমেরিকান ইউনিভার্সিটিতে জঙ্গি হামলা হয়, সেই সময় মৃত্যু হয়েছিল ১৩ জনের৷