জেনে নিন ‘বাবাকাধাবার’ র কান্তা প্রসাদ ও বাদামি দেবীর অনুপ্রেরণামূলক ভালোবাসার কাহিনি


সোশ্যাল মিডিয়া বদলে দিয়েছে অনেকের জীবন, সেরকমই এক কাহিনি বাবা কা ধাবার। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নাম এখন বেশ চর্চিত। মালব্য নগরে হনুমান মন্দিরের উল্টো দিকে ছোট্ট দোকান  কান্তা প্রসাদের, যার নাম বাবা কা ধাবা,  তিনি এবং তার স্ত্রী এই ধাবার জন্য প্রচুর পরিশ্রম করেন। কিন্তু কোভিডের সময় একেবারেই বিক্রি কম হত। কিছুদিন আগেই একটি ভিডিও শেয়ার হয় যেখানে কান্তা প্রসাদ এবং তার স্ত্রী সাহায্য চান এবং তার পর  হ্যাশট্যাগ ‘বাবাকাধাবা’ তে ভরে যায় সোশ্যাল মিডিয়া। অভিনেত্রী থেকে ক্রিকেটর অনেকেই এই ভিডিও শেয়ার করে তাকে সাহায্যের কথা বলে, অনেকেই এগিয়ে আসে তাদের সাহায্য করার জন্য।

 ভিডিও ভাইরাল হতেই তার দোকানে মানুষের ভিড় দেখা যায়।’বাবা কা ধাবার’ জনপ্রিয় বাবাকে এখন অনেকেই চেনেনে, এবার প্রকাশ্যে এসেছে বাবা’র  ভালোবাসার গল্প। বাবা অর্থাৎ কান্তা প্রসাদের জন্ম ইউপিতে, তার সাথে বাদামি দেবীর যখন বিয়ে হয় তখন তাঁর বয়স মাত্র পাঁচ এবং বাদামি দেবীর বয়স মাত্র ৩ , তার এইটুকুই মনে আছে যে  যখন তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান হয় তখন তাঁর স্ত্রীকে পুতুল মত দেখতে লাগছিল।  তারা ভেবেছিল তারা কোনও পার্টিতে অংশ নিচ্ছে তাই তাদের নতুন পোশাক পরতে হয়েছে। 


তারপর যখন বছরে একবার তাদের দেখা হত তখন মনে হত যেন পুরানো বন্ধুর সাথে দেখা হয়েছে। তবে স্বামী স্ত্রীর দায়িত্ব বোঝার আগেই ২১ বছর বয়সে তাঁর স্ত্রী চলে আসল তার সাথে থাকতে।  
সেই থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে তারা একে অপরের ভরসা হয়ে আছেন।    তবে তাদের বাচ্চাদেরও তাদের মতো হোক চায়নি তারা তাই যখন তাদের প্রথম সন্তান হয় তারা ইউপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং দিল্লিতে চলে আসে। তিনি জানান প্রতিটি পদক্ষেপে বাদামি দেবী তাকে  সমর্থন করেছিলেন। 


১৯৬১ তে তারা দিল্লিতে চলে আসে। সেইসময় তিনি ফল  বিক্রি শুরু করেন এবং তাকে স্টল সাজাতে সাহায্য করতেন তার স্ত্রী।তবে তার চেয়ে বাদামি দেবী অনেক ভালো জিনিস বিক্রয় করতে পারেন।  
তারপর যখন তাদের পরিবার আরও বড় হল তখন তিনি  শাক-সবজি বিক্রি শুরু করেন, জীবনের ভাল-মন্দ সবেতেই পাশে পেয়েছেন স্ত্রীকে। 


এরপর তাদের বাচ্চারা বড় হওয়ার সাথে সাথে যাতে  উপার্জন বাড়ে সেই জন্য  একটি চায়ের স্টল খোলেন তারা , যখন চায়ের স্টল খোলেন তখন তার স্ত্রী কে তিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন ‘যদি না চলে?’ তিনি হেসে বলেছিলেন, ‘কোনো ব্যাপার না, অন্য কিছু করব! অবশেষে ১৯৯০ সালে তারা বাবার কা ধাবা শুরু করেন । তাদের ভালোবাসার কাহিনি সত্যি হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মতো।

Viral Telegram Channel 🔥

Recent Posts