দুর্গাপুজোর সময় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও বর্তমানে সুস্থতার হার অনেকটাই বেড়েছে এবং করোনায় নতুন করে সংক্রমণের সংখ্যা কমেছে৷ হাইকোর্টের নির্দেশে দুর্গাপুজোয় মন্ডপের বাইরে থেকে প্রতিমা দর্শন করতে হযেছে। এবছর ভার্চুয়ালি পুজো দেখেছেন অধিকাংশ মানুষ, তাই উৎসবের পর করোনা বৃদ্ধির যে ভয়াবহ আশঙ্কা হচ্ছিল তাতে রাশ টানা সম্ভব হয়েছে।
সামনেই কালীপুজো, হাইকোর্টে ইতিমধ্যেই বাজি পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা চলছে। রাজ্য সরকারের তরফেও বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় দুর্গাপুজোর মতোই কালী পুজোতেও বন্ধ থাকবে শোভাযাত্রা। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবিধানিক বৈঠক হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্য পুলিশের ডিজি, পুলিশ কমিশনার, মুখ্য সচিব,স্বরাষ্ট্র সচিব এব নবান্নের শীর্ষ কর্তারা।
বৈঠকের পর রাজ্য সরকারের তরফে আবেদন করা হয় এবছর কোনো ধরনের বাজি না পোড়ানোর। পাশাপাশি কালীপুজোতেও মাস্ক ব্যবহার আবশ্যিক বলে জানানো হয়েছে। মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান আদালতের তরফে নিষিদ্ধ বাজি ছাড়াও এমনি কোন বাজি এবছর ব্যবহার না করার আবেদন করা হয়,কারণ বাজির ধোঁয়া পরিবেশের জন্য যেমন খারাপ তেমনি কোভিড আক্রান্ত রোগীদের শরীরেও এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।
করোনার কঠিন পরিস্থিতিতে আরও বেশি সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে সকলকে।যদি এবছর বাজি পোড়ানো হয় তাহলে তা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরী করতে পারে। তাই আদালতের তরফে বাজি পোড়ানো বিক্রিতেও নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য মামলা দায়ের করা হয়েছে।রাজ্যজুড়ে বাজি বিক্রি বন্ধ করতে পুলিশ প্রশাসনের কড়া নজর থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।