নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন


বাংলার মাটিতে জন্ম নিয়ে যে মানুষটি বুঝেছিলেন দেশের দুঃখ দুর্দশা , যিনি তাঁর জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করে তুলেছিলেন ভারতবর্ষ তথা গোটা বিশ্বকে, তিনি আমাদের দেশের গর্ব, চিরপ্রণম্য নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়ে বাঙালিদের মন জয় করেছিলেন অমর্ত্য সেন। 

গণদারিদ্র্য ,উন্নয়ন তত্ত্ব, জনকল্যাণ অর্থনীতির অন্তর্নিহিত কার্যকারণ বিষয়ক গবেষণা ও উদারনৈতিক রাজনীতিতে এক অসামান্য অবদান রেখে  পৃথিবী জুড়ে তিনি শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন এবং  স্বীকৃতিস্বরূপ  ১৯৯৮ সালে তিনি অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে ব্যাংক অফ সুইডেন পুরস্কার (যা অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার হিসেবে পরিচিত) লাভ করেছিলেন ।

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন

রবীন্দ্রনাথে ঠাকুরের নোবেল জয়ের ৮৫ বছর পর অমর্ত্য সেন হলেন আরেক বাঙালী যিনি বিশ্বজয়ের ইতিহাসে আপন স্বাক্ষর রেখে গেছেন ।

শৈশব

৩ রা নভেম্বর , ১৯৩৩ সালে শান্তিনিকেতনে মাতামহ ক্ষিতিমোহন সেনের ‘পর্ণকুটীরে’ জন্মগ্রহণ করেন অমর্ত্য সেন  যাঁর  আদি নিবাস ছিল বর্তমান বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মানিকগঞ্জে।  ‘অমর্ত্য’, যার অর্থ অমর বা অবিনশ্বর নামটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেওয়া । একটি সম্ভ্রান্ত বৈদ্যব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ।

অমর্ত্য সেনের জীবনী রচনা

তাঁর মাতামহ আচার্য ক্ষিতিমোহন সেন ছিলেন প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্যের এক বিখ্যাত পন্ডিত , সংস্কৃত ভাষার অধ্যাপক , বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় উপাচার্যও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহযোগী। অমর্ত্য সেনের বাবা, আশুতোষ সেন ছিলেন  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক যিনি  

পরবর্তীকালে ওয়েস্ট বেঙ্গল পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দিল্লিতে কর্মরত ছিলেন এবং মা  অমিতা সেন ছিলেন আশ্রম কন্যা। অমর্ত্য সেনের বাবা এবং মা   দুজনই ঢাকার মানিকগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। পিতামহ সারদাপ্রসাদ সেন  জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদে নিযুক্ত ছিলেন।

পরে নিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেরা উক্তিগুলি

শিক্ষাজীবন:

বিশ্বভারতীতে অধ্যয়ন

 ১৯৪৫ সালে  অমর্ত্য সেন পরিবারসহ স্থায়ীভাবে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসার পর শান্তিনিকতনের বিশ্বভারতীতে অধ্যয়ন শুরু করেন । অবশ্য ১৯৪১ সালে  তাঁর শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি হয়ে থাকে ঢাকার সেন্ট গ্রেগরিস স্কুলে। ১৯৫৩ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে বি.এ ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন  তিনি। সেই বছরই তিনি ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিনিটি কলেজে উদ্বোধন করতে যান  ।

ক্যামব্রিজ মজলিসের প্রেসিডেন্ট

১৯৫৬ সালে তিনি প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়   বি.এ র সম্মানিক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন এবং সেই বছরই তাঁকে  ক্যামব্রিজ মজলিসের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচন করা হয়ে থাকে।  ট্রিনিট্রি কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থাতেই ব্রিটিশ রয়্যাল সোসাইটির ফেলো প্রশান্ত চন্দ্র মহলনাবিশের সাথে দেখা করেন যিনি পরবর্তীকালে কলকাতায় প্রত্যাবর্তন করে  তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রি ত্রিগুনা সেনের কাছে অমর্ত্য সেনের জন্য সুপারিশ করে থাকেন।

নৃত্যগুরু উদয় শঙ্করের জীবনকাহিনী – Uday Shankar Biography in Bengali

টিনিট্রি কলেজে  পি.এইচ.ডি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক

ক্যামব্রিজের টিনিট্রি কলেজে  অমর্ত্য সেন  পি.এইচ.ডি ডিগ্রির জন্য ভর্তি হন।  কলকাতায় ফিরলে  ত্রিগুনা সেন অমর্ত্য সেনকে সদ্য প্রতিষ্ঠিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং অর্থনীতি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করেন। অমর্ত্য সেনই ছিলেন ভারতের ইতিহাসে ২৩ বছরের সর্বকনিষ্ঠ অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক থাকাকালীন তিনি বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং তাত্ত্বিক এ.কে. দাশগুপ্তকে তার সুপারভাইজার  রূপে পেয়েছিলেন। 

সাম্মানিক ফেলোশিপ

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করার দু বছর পর  ১৯৫৯ সালে তিনি ট্রিনিট্রি কলেজে ফিরে যান তাঁর   পি.এইচ.ডি ডিগ্রি সমাপ্ত করার উদ্দেশ্যে।অমর্ত্য সেন  সেখান  থেকে  সাম্মানিক ফেলোশিপ অর্জন করেন যা তাঁঁকে পরবর্তী চার বছর তার ইচ্ছানুযায়ী কাজ করার সুযোগ এনে দেয়। তিনি দর্শনশাস্ত্রে অধ্যয়ন করার সিদ্ধান্ত নেন যা পরবর্তীকালে তাঁকে তাঁর গবেষণার কাজে অনেক সাহায্য করেছিল এবং প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াকালীন  তিনি নিয়মিত দর্শন চর্চা এবং এর উপর বিতর্কে  ও অংশগ্রহণ করে থাকতেন।

সহনশীল এবং  এক গনতান্ত্রিক  পরিমণ্ডলে তিনি  ট্রিনিট্রি কলেজে অধ্যয়ন করেছিলেন। বি.এর পাঠ সমাপ্ত করার পর  পি.এইচ.ডি গবেষণার জন্য অমর্ত্য সেনকে সম্পূর্ন আলাদা ধরনের  একটি বিষয়ের চয়ন করতে হয়েছিল। তিনি  নব্য-কেইনসিয়ান ধারণায় বিশ্বাসী, জন রবিনসনের অধীনে অর্থনিতীর বিকল্প কৌশলের উপর তাঁর  গবেষণাপত্র দাখিল করেছিলেন।

দয়ার প্রতিভু ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবনী – Ishwar Chandra Vidyasagar Biography in Bengali

কর্মজীবন ও শিক্ষকতা

 মাত্র ২৩ বছর বয়সে অমর্ত্য সেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এর অর্থনীতি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা এবং পূর্ণ অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন।

এছাড়াও  তিনি ভারত এবং ইংল্যান্ডের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিষয়ে শিক্ষকতা করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে- দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৬৩-১৯৭১); লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস (১৯৭১-১৯৭৭) এবং  অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৭৭-১৯৮৮)।

পরবর্তীকালে  তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে (১৯৮৮-১৯৯৮) অর্থনীতি এবং দর্শন বিভাগে অধ্যাপক হিসেবেও কাজ করেছিলেন । ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত অমর্ত্য  সেন ট্রিনিটি কলেজে ‘মাস্টার’পদে নিযুক্ত ছিলেন। পরে তিনি হার্ভার্ডে ল্যামন্ট প্রফেসর হিসেবে প্রত্যাবর্তন করেন। এছাড়াও তিনি  বিভিন্ন সময়ে এম.আই.টি, স্ট্যানফোর্ড, বার্কলি এবং কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরো বিশেষ কিছু   বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং অধ্যাপক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

তিনি বর্তমানে টমাস ডাব্লিউ ল্যামন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক  অধ্যাপক ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে দায়িত্বভার সামলাচ্ছেন । এছাড়া ও তিনি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হেলথ ইমপ্যাক্ট ফান্ডের অ্যাডভাইজরি বোর্ড অব ইনসেন্টিভ ফর গ্লোবাল হেল্থ্ এর একজন প্রধান সদস্য  । অমর্ত্য সেন  ই এমন একজন  ভারতীয় শিক্ষাবিদ যিনি সর্বপ্রথম একটি অক্সব্রিজ কলেজের প্রধান হন। এছাড়াও তিনি প্রস্তাবিত নালন্দা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবেও কাজ করছিলেন।

আলোর দিশারি ভগিনী নিবেদিতা ~ Sister Nivedita Biography in Bengali

ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন

অমর্ত্য সেনের প্রথম স্ত্রী  ছিলেন নবানীতা দেব সেন যাঁর  দুটি সন্তান বর্তমান ;অন্তরা সেন এবং নন্দনা সেন। তবে ১৯৭১সালে  বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে  ১৯৭৩ সালে অমর্ত্য সেন পুনরায় বিবাহ করেন এভা কলোর্নি কে এবং তাদের দুটি সন্তান হয়ে থাকে।১৯৮৫ সালে অমর্ত্য সেনের দ্বিতীয় স্ত্রী  ক্যান্সারে মারা গেলে ১৯৯১ সালে তিনি এমা জর্জিনা কে তৃতীয়বারের জন্য বিবাহ করেন।

amartya sen wife

গ্রন্থাবলি

অমর্ত্য সেন মূলত যেসব গ্রন্থগুলির রচনা করেছিলেন তা  জনকল্যাণমূলক অর্থনীতি, সামাজিক পছন্দ তত্ত্ব, অর্থনৈতিক তত্ত্ব, উন্নয়ন অর্থনীতি ও রাজনৈতিক দর্শন দ্বারা বিশেষভাবে প্রভাবিত ছিল ।সেইসব গ্রন্থগুলির মধ্যে  উল্লেখযোগ্য হলো- কালেক্টিভ চয়েস অ্যান্ড সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার (Collective choice and Social Welfare- 1970), ‘পোভার্টি অ্যান্ড ফেমিনস’ (Poverty and Famines- 1981), ডেভেলপমেন্ট অ্যাজ ফ্রিডম (Development as Freedom- 1999), রেশনালিটি অ্যান্ড ফ্রিডম (Rationality and Freedom- 2002), দ্য আর্গুমেন্টেটিভ ইন্ডিয়ান (The Argumentative Indian- 2005), এইডস সূত্র (AIDS Sutra- 2008), দ্য আইডিয়া অব জাস্টিস (The Idea of Justice- 2009), ‘১০ কোটির অধিক নারীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না’ ( More Than 100 Million Women Are Missing),অসমতার পুনঃপরীক্ষণ, পরিচয়ের পূর্বে কারণ ( Reason Before Identity), পরিচয় এবং সহিংসতা ( Identity and Violence.The Illusion of Destiny) ।

পুরস্কার ও সম্মাননা

  অমর্ত্য সেন ১০২টি সম্মানসূচক ডিগ্রি লাভ করেন এবং ১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে  তিনি নোবেল স্মারক পুরস্কার অর্জন করেছেন এবং ১৯৯৯ সালে ,’ভারতরত্ন’ সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন।   এছাড়াও এই প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ  তাঁর  অবদানের জন্য বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময় বিশেষভাবে সম্মানিত হয়েছেন এবং  অসংখ্য  পুরস্কারপ্রাপ্ত করেছেন । এদের মধ্যে অন্যতম হল:

১৯৫৫ সালে  প্রাপ্ত অ্যাডাম স্মিথ পুরস্কার;

১৯৭৬ সালের মহলানবিশ পুরস্কার; ১৯৪৬-এ ফ্রান্স ই সিডম্যান ডিস্টিংগুইশড এওয়ার্ড ইন পলিটিক্যাল ইকনমি; ১৯৯০ শালে সেনেটের গিওভ্যান্নি এগ্নেল্লি ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন এথিক্স; ১৯৯০ সালে ,’এলান শ ফাইনস্টাইন ওয়ার্ল্ড হাঙ্গার এওয়ার্ড’; ১৯৯৩ সালের জাঁ মেয়ের গ্লোবাল সিটিজেনশিপ এওয়ার্ড, ১৯৯৪ তে এশিয়াটিক সোসাইটি ইন্দিরা গান্ধী গোল্ড মেডেল এওয়ার্ড; ১৯৯৭ তে এডিনবরা মেডেল এবং  নবম ক্যাটালনিয়া ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ; ১৯৯৮ সালে রয়েল সুইস অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স এর নোবেল পুরস্কার। 

বিশ্বভারতীর আম্রকুঞ্জে আয়োজিত নোবেল বিজয়ীর সংবর্ধনা সভায় কল্যানমুখী অর্থনীতিতে বিশ্বসেরা শান্তিনিকেতনের প্রাক্তনী অমর্ত্য সেন  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছে তাঁর অপূরনীয় ঋণস্বীকার করেছিলেন  এবং তাঁর সেই স্বীকারোক্তিতে ছিল  উচ্ছ্বাস আর আবেগে আপ্লুত হৃদয়।

দেশের উন্নয়নে অমর্ত্য সেন

ভারতীয় অর্থনীতি উন্নতির জন্য অমর্ত্য সেন মনে করে করে থাকেন যে ভূমি সংস্কার, সাক্ষরতা, ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা করে সাধারণ মানুষের স্বয়ম্ভরতা গুরুত্ব না পেলে বিশ্বমানের প্রতিযোগিতায় ভারতীয় অর্থনীতি পিছিয়ে পড়বে । । তাই অমর্ত্য সেনের মতে কেন্দ্রীয় সরকারকে এ বিষয়ে আরও মনোযোগী হতে হবে এবং  এই উদ্দেশ্যে  অর্থনৈতিক উন্নতির স্বার্থে যথার্থ পদক্ষেপ নিতে হবে ।

উপসংহার

 একজন বাঙালী হিসাবে অমর্ত্য সেনের নােবেল জয়  এবং গোটা বিশ্বে তাঁর এই  স্বীকৃতি ও সম্মান  আমাদের যেমন গর্বিত করেছে, তেমনি তার ধ্যান ধারণার  মৌলিকতা আমাদের চলার পথের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে ।তিনি কেবল দেশের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ, লেখক এবং দার্শনিক ই নন তিনি সমাজের অনগ্রসর ও দরিদ্র মানুষের জন্য ন্যায়বিচার, সম্মান ও সাম্যের পথ উন্মুক্ত করতে ও উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।

তিনি দেশের অনাহার এড়ানোর জন্য বেশ কিছু উপায় উল্লেখ করেছিলেন, যা জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী সূচক গঠনে সহায়তা করেছিল এবং  তাঁকে  টাইম ম্যাগাজিনের বিশ্বের প্রভাবশালী ৫০ জন ব্যক্তির একজন হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে।

FAQ 

অমর্ত্য সেন কোথায় ও কবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ?

৩ রা নভেম্বর , ১৯৩৩ সালে শান্তিনিকেতনে মাতামহ ক্ষিতিমোহন সেনের ‘পর্ণকুটীরে’ জন্মগ্রহণ করেন অমর্ত্য সেন।

অমর্ত্য সেন কোথায় এবং কত বছর বয়সে পূর্ণ অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন?

অমর্ত্য সেন মাত্র তেইশ বছর বয়সে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণ অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন।

অমর্ত্য সেন কতগুলি সাম্মানিক ডিগ্রি লাভ করেছিলেন?

অমর্ত্য সেন ১০২টি সম্মানসূচক ডিগ্রি লাভ করেন ।

অমর্ত্য সেন কত সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ?

~ অর্থনীতি তে ১৯৯৯ সালে অমর্ত্য সেন নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।

'অমর্ত্য' নামটি কার নামাঙ্কিত করা ?

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের    

অমর্ত্য সেনের প্রথম স্ত্রীর নাম কি?

প্রখ্যাত সাহিত্যিক নবনীতা দেবসেন।

Recent Posts