বাংলাদেশের প্রকৃতির মতো বঙ্গ ললনা দেরও জুড়ি মেলা ভার । রুপ ,গুণ , কর্মদক্ষতা, সহনশীলতা সবেতেই তারা অদ্বিতীয়া। তাই হয়তো বলা হয়ে থাকে,’ বঙ্গ ললনা তোমার নেইকো তুলনা’। কথায় আছে, ‘যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে’। আর বাঙালি রমণীদের জন্য এই প্রবাদটি প্রকৃত অর্থেই যুক্তিযুক্ত। ঘরে -বাইরে সব জায়গায় একাহাতেই তারা সুষ্ঠুভাবে সামলাতে পারে কারও সাহায্য না নিয়েই। আজ এই বঙ্গললনাদের উদ্দেশ্যেই নিচে উল্লেখ করা হল কিছু মানানসই উক্তি।
শাড়ী নিয়ে উক্তি, বাণী ও শায়েরি

বাঙালি নারী কে নিয়ে দারুন উক্তি – Quotes on Bengali Woman / Girl
- আমি যে বঙ্গনারী; আমি সব পারি ।
- রূপে, গুণে, কথায় ও কাজে অদ্বিতীয়া তুমি
সে বঙ্গনারী, তোমার উপমা যে শুধুই তুমি । - তোমার কপোল জোড়া রাধাচূড়ার ছটা
গোলাপ রঙে রাঙা অধর দুটি
ললাট পরে রাঙা সিঁথির সিঁদুর
মুক্ত কবরী স্কন্ধে পড়ে লুটি। - রূপ লাবণ্যে স্মিত হাস্যে ভরা
স্নিগ্ধ চাহনি মুখখানি হতে ঝরে
তাই মুগ্ধ কবির দৃষ্টি করে সৃষ্টি
রূপের উপমা শব্দবন্ধে গড়ে । - আমার দেখা শ্রেষ্ঠ বঙ্গনারী; আমার গর্ভধারিণী মা।
- শাড়িতেই অপরূপা বঙ্গ নারী ।
দেখেই মন বলে, ‘আহা মরি মরি! - বঙ্গনারীর অঙ্গশোভা আটপৌরে শাড়ি
লাল টিপ আর ঝুমকোলতায় মানায় তাকে ভারী। - শ্বেত চন্দন ভুরু যুগল মাঝে
নয়নতারা অঞ্জন সাজে চায়,
গ্রীবায় জড়িয়ে কনক ভূষন দুটি
ঝুমকোলতা কানের লতিকা বায়।
বিনা সাজেই সুন্দরী তুমি নারী,
মোহিত করেছে তোমার রূপের ছটায়। - আমি এক বঙ্গনারী ,
ছোট থেকে অবজ্ঞার শিকার,
পুরুষতান্ত্রিক সমাজ হলেও
এ মাটি ,এ দেশ শুধুই আমার। - কেন ভাবাও মোরে, মরীচিকার ছলে !
তব রূপ লাগি
মরি ঘুরি এ গগনতলে । - কোনদিন দেখেছ কি বনের প্রান্তে দাবানলের ভয়াল সুন্দর আলো,
চাঁদের ভরা জোছনা’তে!
যেন মদন-শরের তীব্র গতি ধায় প্রকৃতির বুকে ?
অপরূপা বঙ্গনারী তোমায় কুর্নিশ !
নারী দিবসের শুভেচ্ছা ও উক্তি সমূহ ( Women’s day quotes and greetings in Bengali Language )
বঙ্গ-ললনাদের উপমা, হোয়াটস্যাপ স্টেটাস ~ Bongo Nari Whatsapp Status & Captions in Bengali
- সেদিন চাঁদের আলো চেয়েছিল জানতে
ওর চেয়ে সুন্দর আরো আছে কি!
আমি তোমার কথাই বলেছি । - ওগো অপরূপা, হেরি তব রূপ ক্ষণে ক্ষণে
কি ভাব তুমি আপন মনে ?
কি ছিলে, কি আছ বা কি হইবে , রাখি হাত ভবিষ্যতের অতলান্ত গহ্বরে !
রূপ লাগি রূপ রহে অরূপের মাঝে।
তুমি কি তাহারে খুঁজিছ দিনে কিম্বা সাঁঝে ? - মুখমণ্ডল খানি
আবিরে আবিরে
রচিত ।
স্বপ্নের বর্ণে শোভন
লোভন জানি মনের
মাঝারে সঞ্চিত ।
মোর ভালোবাসা নিবেদন করিও গ্রহণ
সে বঙ্গনারী , রেখো না আমায় বঞ্চিত। - বঙ্গ নারীরা ব্যক্তিগত চাহিদার কাছে কখনো পরাজিত হয় না।
- কাজল ছাড়া বঙ্গনারী ;দুধ ছাড়া চায়ের মতো ।
- বঙ্গ নারীরা আজ শিক্ষিত , স্বনির্ভর ও সচেতন
নিজের অধিকার করে নিতে পারে আদায়
আর সমাজে যারা আছে মানুষরূপী পশু
নারী আজ করেছে শপথ, করবে তাদের চির বিদায়। - বঙ্গ ললনা…
কখনো ঘরোয়া; কখনো বা আগুন বহ্নি
কখনো সে শান্তশিষ্ট , সুকন্যা ও তন্বি
কখনও সে ত্রিশূল ধরে করতে দমন দুষ্টের,
তবে…দিনের শেষে আজও কাঁদে নিয়ে চোখের জল কষ্টের। - বঙ্গ নারীদের চলন ,বলন ,কথার ধরণ
করেছে হাজারো প্রেমিকের হৃদয় হরণ । - বঙ্গনারী আমি ,
সব কাজ করি হাসিমুখে
বুকে পাথর চেপে রেখে
বুঝতে দিই না কাউকে আমি
সন্তানের সুখ যে অনেক বেশি দামী।
ওরা যেন থাকে হাসিমুখে সদা
তাই দিনভর এত ব্যস্ততা
থাকি আমি সদাই স্মিত।
যাতে ভাবে অন্যলোকে,
আমি আছি অনেক সুখে। - তেজস্বিনী বঙ্গনারী দেবী দুর্গার প্রতিভু
দুষ্টের দমন আর সন্তানেরে করে লালন
মায়া, মমতা ,সাহসও তেজ একই সাথে তার আছে,
পুরুষ সমাজও মাথা নত করে তাই বঙ্গ নারীর কাছে। - মেয়েরা রাগ করে না ,তাদের হয় অভিমান।
আর যারা বোঝে সেই ভাষা ,
তারাই দিতে পারে নারীদের সঠিক সম্মান। - নীলাম্বরি শাড়ি পরে বঙ্গবধূ চলে,
জল আনতে যমুনাতে নিয়ে কলস কাঁখে,
তাই না দেখে আনন্দে তে ‘বউ কথা কও ‘ডাকে।
লাজুক হাসি ঝিলিক মারে,
ডাগর চোখের ফাঁকে,
কৃষ্ণচূড়ায় গাঁথা বেনী
সেই তালেতেই দোলে ।
হাতের কাঁকন কলস ছুঁয়ে
বাজে মধুর রোলে ।
বিবাহবার্ষিকী নিয়ে সুন্দর শুভেচ্ছাবার্তা ( Bengali Greetings for Marriage Anniversary )
বঙ্গ নারীকে নিয়ে শায়েরি, গান ও কবিতার কিছু অংশ বিশেষ ~ Shayeri and Lines to dedicate to Bengali Girlfriends
- পল্লী মায়ের হৃদয় জুড়ে
হে বঙ্গ নারী,
তুমি উর্বর এই ফসলের বুকে
সবুজের হাতছানি!
তুমি স্রষ্টার হাতের কারুকাজ
তুমি অপরূপ সৃষ্টি,
তোমার হাসিতেই ঝরে পড়ে
হাজার বছরের বৃষ্টি। - তোমার কাজল কালো চোখের মায়ায়
হৃদয় কেমন করে!
তোমার মুখের হাসির আভা
চাঁদ হয়ে ওঠে,
তোমার চোখের পলক যেন
ভাসে রঙিন স্রোতে। - তোমার হাতের ওই নীল চুড়িতে
কিবা জাদু আছে,
বট গাছটার ছায়ায় দাড়িয়ে
প্রকৃতি রাঙ্গালে কিসে?
তোমার রূপের কাছেই যেন
হারমেনে যায় পরী,
তাইতো আজও স্বপ্নে খুজি
হৃদয় নয়ন ভরি। - তোমার হাসিতে বধু
জানি না কি আছে জাদু
বশ করে রেখেছ আমায়
পথ খুজি পথ যে হারায়
পথ খুজি পথ যে হারায়। - মধুর মধুর চাহনি রে তোর,
কন্যা আমার হৃদপিন্ড…
তিরিং বিড়িং করে রে। - বুকভরা মধু বঙ্গের বধূ
জল লয়ে যায় ঘরে–
মা বলিতে প্রাণ করে আনচান,
চোখে আসে জল ভরে। - ওগো কাজল নয়না হরিণী
তুমি দাওনা ও দুটি আঁখি
ওগো গোলাপ পাঁপড়ি মেলোনা
তার অধরে তোমাকে রাখি। - চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের ’পর
হাল ভেঙে যে-নাবিক হারায়েছে দিশা
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর,
তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে, ‘এতদিন কোথায় ছিলেন?’
পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন। - তোর ঝুমকো কানের দুল
আর খোঁপায় গাঁদাফুল
ঐ কাজল কালো চোখ
কার স্বপ্নেতে মশগুল
তোর মনটা পাবে যে
আরে ধন্য হবে সে
তুই হাসলে পরেই হাসবে যে আকাশ! - এই গরুর গাড়ী চেপে একদিন
যেতে যেতে সোনার এ গাঁয়ে
দেখেছিলাম সোনার মেয়ে
দাঁড়িয়ে ছিল সোনার বেলায়
সোনার বাংলায়। - ওরে বাংলাদেশের মেয়েরে তুই
হেইলা দুইলা যাস
একবার যেই ঘুইরা তাকাস
লাগে ঝাকাস
পদ্মা নদীর ইলিশ খাইয়া
রূপখানা কি ঝকঝকে বানাস। - দোলে বেণী মনিহারা যেন ফণী
পায়ে তার নূপুর যে ঐ দোলে ধ্বনি।
শ্রাবন ধারার মতো রূপলাবনী
অঙ্গ থেকে পড়ে ঝরি
পাগল আমি ও রূপ দেখে
মনে যে লয় অঙ্গ থেকে।
ও রূপ চুরি করি। - হাওয়ায় হাওয়ায় দুলে, ওই কাশ ফুল
উড়ে যায় আঁচল যে উড়ে এলো চুল
হো…
আলতা পায়ে আলতো ছোঁয়ায়
পথ চলো প্রিয়া যে আমার
অনেক দেখেছি তবু তোমার ও মুখখানি
স্বাধ হয় দেখিগো আবার
তোমার মতন এত অপরূপ সুন্দর
কাওকেতো দেখিনিগো আর
প্রিয়তমা মনে রেখো
অণুপমা.. মনে রেখো। - তোর ঠুমক ঠুমক চাল
আর চিকন চিকন গাল
আহা রাগের এমন তেজ
যেন লাল মরিচের ঝাল
ওরে বঙ্গ ললনা
তোর হয় না তুলনা
তোর মন রাঙাতে করবো যা তুই চাস। - এক যে আছে কন্যা
তার শ্যামলা শ্যামলা বরণ
দেখতে সে নয় মন্দ
আহা পুতুল পুতুল গড়ন
মেয়ে শান্ত নয়কো মোটে
কিছু বলতে গেলেই ফোঁস করে সে ওঠে
হায় বলব কি আর
উল্টো যে তার অনুরাগের ধরণ। - চোখ নয় দুটি ভ্রমর কাজল কালো
যেন ঐ পদ্ম মুখে মানায় ভালো।
ও মুখের কাছে কি তাই হার মেনে যায়
পূর্ণিমারী কোজাগরী। - দোলে বেণী মনিহারা যেন ফণী
পায়ে তার নূপুর যে ঐ দোলে ধ্বনি।
শ্রাবন ধারার মতো রূপলাবনী
অঙ্গ থেকে পড়ে ঝরি
পাগল আমি ও রূপ দেখে
মনে যে লয় অঙ্গ থেকে ও রূপ চুরি করি।
ভাইবোনের সম্পর্ক নিয়ে সুন্দর সব উক্তি ও বাংলা স্টেটাস ছবি
বঙ্গদেশের নারীরা সব উপমার ঊর্ধ্বে । রূপের ছটায় মোহিত করার ক্ষমতা যেমন রাখে তেমনই গুণের সম্ভারে সমৃদ্ধ বঙ্গনারী সকলকে অবাক করে দেয়। কর্মসূত্রে তারা বিদেশে ও পাড়ি দেয় আবার সন্তানের অসুস্থতায় সারা রাত ধরে জেগে পাখার বাতাস ও করতে পারে।তাই একই অঙ্গে এত রূপ বঙ্গ নারীদের মধ্যেই কেবল দেখা যায়। প্রকৃত অর্থে এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষদের সাথে সাথে তারাও সমান অধিকার ও সম্মানের দাবিদার।