সবার প্রিয় – সুচিত্রা সেন | Biography of Suchitra Sen in Bengali


পঞ্চাশের দশক থেকে প্রায় ২৫ বছর অগণিত  বাঙালির হৃদয়ে ঝড় তুলে  যিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন পর্দার অন্তরালে; বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন আপামর বাঙালির কাছে ছিলেন এক ‘নস্টালজিয়া’ স্বরূপ।  মূলত বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি  এক বিশাল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। উত্তম কুমারের বিপরীতে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় সুচিত্রা সেনকে খ্যাতির শিখরে উত্তীর্ণ করেছিল।

Biography of Suchitra Sen in Bengali

জন্ম :

১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল ভারতের বাংলা প্রেসিডেন্সির (অধুনা বাংলাদেশের  অন্তর্গত) পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার হেমসাগর লেনে জন্মগ্রহণ করেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন।  বাংলাদেশের  সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার অন্তর্গত ,সেন ভাঙ্গাবাড়ী গ্রাম ছিল এই স্বনামধন্য অভিনেত্রীর  পৈত্রিক নিবাস।

সুচিত্রা সেন
সুচিত্রা সেন

সুচিত্রা সেনের বাবা   করুণাময় দাশগুপ্ত ছিলেন স্থানীয় এক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও মা ইন্দিরা দেবী ছিলেন সাধারণ এক গৃহবধূ। তিনি ছিলেন কবি রজনীকান্ত সেনের নাতনী। মা বাবার তৃতীয় কন্যা সুচিত্রা সেন ছিলেন পরিবারের পঞ্চম সন্তান ।তাঁর ডাকনাম ছিল ‘রমা’ তবে বাবা ডাকতেন ‘কৃষ্ণা’ বলে। পাবনা শহরেই তিনি অধ্যয়ন করেছিলেন।

পাবনা শহরের মহাখালী পাঠশালার পাঠ শেষ করে, পাবনা গার্লস স্কুলে তিনি ভর্তি হন। এই স্কুলে  দশম শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়ন করেছিলেন তিনি । পাক-ভারত বিভাজনের সময় সুচিত্রা সেনের পুরো পরিবার কলকাতায় চলে অাসেন।  

ব্যক্তিগতও বিবাহিত জীবন 

ভারত বিভাজনের সময়  ঢাকার বিশিষ্ট শিল্পপতি আদিনাথ সেনের পরিবার কলকাতায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে আদিনাথ সেনের পুত্র দিবানাথ সেনের সঙ্গে রমা’র বিয়ে হয় এবং স্বামীর পদবী অনুসারে তিনি ‘রমা’ থেকে ‘রমা সেন হন’। বিলেত ফেরত দিবানাথ সেনকে সংসারী করার উদ্দেশ্যে পিতা আদিনাথ সেন রমার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করেছিলেন পুত্রকে।

১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন তাঁদের একমাত্র কন্যা মুনমুন সেন যিনি ও পরবর্তীকালে একজন নামকরা অভিনেত্রী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছিলেন।  কালানুক্রমে  মুনমুন সেনের মেয়ে অর্থাৎ  সুচিত্রা সেনের  দুই নাতনী; রিয়া সেন ও রাইমা সেন ও চলচ্চিত্র জগতের সাথে বিশেষভাবে যুক্ত আছেন। দিবানাথের মামা বিমল রায় ছিলেন সেকালের  একজন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা।

বিমল রায় রমাকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তাঁর শ্বশুরকুলের অন্যান্য সবার কাছে প্রস্তাব রাখেন। সুচিত্রা সেনের  শ্বশুর এবং স্বামী সেই প্রস্তাবে সম্মতি জানানোর পর তিনি চলচ্চিত্র অঙ্গনে পদার্পণ করেন। ১৯৫২ সালে ‘শেষ কোথায় ছবি’র মাধ্যমে তাঁর চলচ্চিত্র জীবনের যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু  দুর্ভাগ্যক্রমে শেষ পর্যন্ত এই চলচ্চিত্রটি মুক্তিপ্রাপ্ত হয়নি । এই ছবিতে তাঁর নাম পরিবর্তন করে  ‘সুচিত্রা’ রাখা হয়। স্বামীর পদবী অনুযায়ী তাঁর পুরো নাম হয় ‘সুচিত্রা সেন’।

চলচ্চিত্রজীবন

সুচিত্রা সেনের মুক্তিপ্রাপ্ত  প্রথম ছবি

১৯৫৩ সালে সুচিত্রা সেনের মুক্তিপ্রাপ্ত  প্রথম ছবি টি ছিল ‘সাড়ে চুয়াত্তুর’ যার  নায়ক ছিলেন উত্তম কুমার। বলিউডে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘দেবদাস’ অবলম্বনে বেশ কয়েকটি ছবি চিত্রায়িত হয়েছে । সেইসব ছবিগুলিতে ,’পাবর্তী’ বা ‘পারু’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনেকে,তবে হিন্দি ছবিতে প্রথম এ চরিত্রে দেখা গেছিল সুচিত্রা সেনকে।

সুচিত্রা সেনের মুক্তিপ্রাপ্ত  প্রথম ছবি

বলিউডে সুচিত্রা সেনের প্রথম ছবি

১৯৫৫ সালে বলিউডে নির্মিত  ‘দেবদাস’ই ছিলো সুচিত্রা সেনের প্রথম ছবি ।তিনি ছবিতে দিলীপ কুমারের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন।  এই ছবির জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার প্রাপ্ত করেন। সুচিত্রা সেনের অভিনীত  ‘আন্ধি’ছবিটি গুজরাটে মুক্তি পাবার পর তা  ২০ সপ্তাহের জন্য সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়  , কারণ এই ছবিটি তে  তাঁর  চরিত্রে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ছায়া থাকার কারণে জনমহলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

১৯৭৭ সালে জনতা পার্টি ক্ষমতায় এলে  গুজরাটের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ‘আঁধি’ ছবিটি প্রচারিত করা হয়ে থাকে।  কথিত আছে,  ব্যস্ত নায়িকা সুচিত্রা সেন সময় অভাবে সত্যজিৎ রায়ের ‘দেবী চৌধুরানী’ ছবিতে কাজ করতে অক্ষমতা ব্যক্ত করেন যে কারণে অস্কারজয়ী পরিচালক সত্যজিৎ রায় ছবিটি আর তৈরি করেননি।

স্বামী দিবানাথ সেনের মৃত্যু

‘উত্তর ফাল্গুনী’ ছবিতে যৌনকর্মী পান্নাবাই ও তার কন্যা আইনজীবী সুপর্ণার দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে তাঁর অভিনয় দক্ষতার  জ্বলন্ত প্রমাণ রেখেছিলেন তিনি।  ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ শে নভেম্বর তাঁর স্বামী দিবানাথ সেনের মৃত্যু হলে পরিস্থিতি প্রতিকূল হতে আরম্ভ  করে।সংসারে টানাপড়েন শুরুর পরও অভিনয় চালিয়ে গিয়েছিলেন সুচিত্রা সেন , তবে ধীরে ধীরে তিনি পর্দার  আড়ালে চলে যেতে থাকেন।

শেষ ছবি

১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তি পায় তাঁর শেষ ছবি ‘প্রণয় পাশা’ যেখানে নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এরপর তিনি চলচ্চিত্র থেকে অবসরগ্রহণ করেন এবং চলচ্চিত্র থেকে সরে দাঁড়ানোর পর স্বেচ্ছায় অন্তরালে চলে যান সুচিত্রা সেন।

অন্তরালে সুচিত্রা

সুচিত্রা সেন  চলচ্চিত্র জগৎ থেকে অবসর নেওয়ার পর  বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন  রামকৃষ্ণ মিশনে । নির্জন ও নিভৃত জীবনযাপনে অভ্যস্ত করে নিয়েছিলেন নিজেকে। তিনি প্রথম আড়াল ছেড়ে বাইরে আসেন মহানায়ক উত্তমকুমারের মৃত্যুর পর। শোকস্তব্ধ নায়িকা  মাঝরাত পর্যন্ত বসে ছিলেন মহানায়কের  মরদেহের পাশে।

গুরু ভরত মহারাজের মৃত্যুর পর সুচিত্রা শেষবারের মতন জনসম্মুখে আসেন ১৯৮৯ সালে। ২০০৫ সালে সুচিত্রা সেন কে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়  কিন্তু লোকান্তরে থাকা এই অভিনেত্রী   ভারতের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার নিতে বাড়ির বাইরে বের হয়ে দিল্লি যেতে অস্বীকার করে থাকেন।

অভিনয় জীবনের বিস্তৃত  সময়কালে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা এই অভিনেত্রী নিজের পারিবার ও অন্তরালের জীবন নিয়ে কঠোর গোপনীয়তা মেনে চলতেন।  শুধু তিনিই নন, তাঁর কন্যা  মুনমুন সেন এ দুই নাতনি রিয়া ও রাইমা সেনও এই বিষয়ে কখনো মুখ খোলেননি।একান্ত ব্যক্তিগত চিকিৎসক, হাসপাতালের নার্স, পত্রিকার সাংবাদিক  অভিনেত্রীর ইচ্ছার সম্মান রক্ষার্থে  কেউ কখনও সুচিত্রা সেনের  অন্তরালে থাকা নিয়ে কখনো কোনো প্রশ্ন করেনি।

পরবর্তীকালে সরকারের পরিচয়পত্র তৈরির সময় ছবি তোলার জন্য কেন্দ্রে আসেন সুচিত্রা সেন এবং সেখানেও তিনি অতীব গোপনীয়তা বজায় রেখেছিলেন। মৃত্যুর পূর্ববর্তী সময়ে পর্যন্ত বেলভিউ হাসপাতালে তার কক্ষটিও ছিল কঠোর গোপনীয়তার ঘেরাটোপের অন্তরালে।

উত্তম সুচিত্রা জুটি

বাংলা চলচ্চিত্রের জগতে উত্তম-সুচিত্রা জুটিকে বাংলা চলচ্চিত্র জগতে এখনো  শ্রেষ্ঠ জুটি হিসেবে মানা হয়। একসময় কলকাতার চলচ্চিত্র পাড়ায় ভাবা হয়ে থাকত যে  উত্তম-সুচিত্রা জুটি ছাড়া  ছবি ‘হিট’ হবে না। উত্তম সুচিত্রা জুটির প্রাণবন্ত অভিনয় দেখে  সাধারণ মানুষ ভাবতে শুরু করে দিয়েছিল যে চলচ্চিত্রের মতো বাস্তবেও হয়তো তাঁদের  মধ্যে গভীর ভালোবাসার সম্পর্ক আছে।  ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে উত্তম কুমার  সুচিত্রা সেনকে তাঁর প্রযোজিত ‘হারানো সুর’ ছবিতে নায়িকা হওয়ার প্রস্তাব দিলে সুচিত্রা উত্তরে জানিয়েছিলেন  ,

‘তোমার জন্য সব ছবির ডেট ক্যান্সেল করব।”     

সুচিত্রা সেন মহানায়ক উত্তম কুমারের সাথে প্রায় ৩০টি ছবিতে অভিনয় করেছেন এবং সবক’টি ছবি চুড়ান্ত সাফল্যলাভ করে। তাঁদের অভিনীত কিছু অবিস্মরণীয়  ছবি হল – হারানো সুর, অগ্নী পরীক্ষা, প্রিয় বান্ধবী, শাপমোচন, ইন্দ্রাণী, সপ্তপদী ইত্যাদি এই জুটি প্রায় কুড়ি বছর ধরে সেরার শিরোপা ধরে রেখেছিল। উত্তম কুমারের সঙ্গে সুচিত্রা অভিনীত চলচ্চিত্রের তালিকাটি নিম্নলিখিত  :

  • সাড়ে চুয়াত্তর (১৯৫৩),
  • সদানন্দের মেলা (১৯৫৪),
  • ওরা থাকে ওধারে (১৯৫৪)
  • অগ্নিপরীক্ষা (১৯৫৪),
  • গৃহপ্রবেশ (১৯৫৪),
  • মরণের পরে (১৯৫৪)
  • অন্নপূর্ণার মন্দির (১৯৫৪),
  • শাপমোচন (১৯৫৫),
  • সবার উপরে (১৯৫৫),
  • সাঁঝের প্রদীপ (১৯৫৫),
  • সাগরিকা (১৯৫৬),
  • শিল্পী (১৯৫৬),
  • একটি রাত (১৯৫৬),
  • ত্রিজামা (১৯৫৬),
  • পথে হল দেরি (১৯৫৭),
  • হারানো সুর (১৯৫৭),
  • চন্দ্রনাথ (১৯৫৭),
  • জীবন তৃষ্ণা (১৯৫৭),
  • ইন্দ্রাণী (১৯৫৮),
  • রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত (১৯৫৮),
  • সূর্য্য তোরণ (১৯৫৮),
  • চাওয়া-পাওয়া (১৯৫৯), ),
  • সপ্তপদী (১৯৬১),
  • বিপাশা (১৯৬২,
  • গৃহদাহ (১৯৬৭),
  • কমললতা (১৯৬৯),
  • নবরাগ (১৯৭১),
  • আলো আমার আলো (১৯৭২),
  • হার মানা হার (১৯৭২) ও
  • প্রিয় বান্ধবী (১৯৭৫ ) ।

বাংলা চলচ্চিত্রের জগতে উত্তম সুচিত্রা জুটি এক অমর জুটি হিসেবে প্রসিদ্ধ । 

উত্তমকুমার ও সুচিত্রা সেনের জনপ্রিয় প্রেমের কাহিনী

পুরস্কার ও সম্মাননা :

সুচিত্রা সেনই ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম বিখ্যাত সেই অভিনেত্রী, যিনি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে পুরস্কার লাভ করেছিলেন।তাঁর প্রাপ্ত পুরস্কারগুলি হল :

  • ১৯৬৩ সালে  মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ,’সাত পাকে বাঁধা’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার ।
  • ১৯৬৬ সালে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর  ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান ,’মমতা’ ছবিতে অভিনয় করার জন্য।
  • ১৯৭২ সালে তিনি পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন চলচ্চিত্র শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য।
  • ১৯৭৬ সালে ,’ আঁধি’ চলচ্চিত্রের  জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর ফিল্মফেয়ার পুরস্কার টি লাভ করেন।
  • ২০১২ সালে চলচ্চিত্রে   সারা জীবনের অবদানের জন্য ,’বঙ্গবিভূষণ’ খেতাবে সুচিত্রা সেনকে  সম্মানিত করা হয়।  

মৃত্যু:

২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি ভারতীয় সময় সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে  কলকাতার  নামী বেসরকারি হাসপাতাল বেল ভিউ নার্সিংহোমে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সুচিত্রা সেনের মৃত্যু হয়। ফুসফুসে সংক্রমণের জন্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তার কিছু সপ্তাহ আগে। । ভারতের তৎকালীন  রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও ভারতীয় জনতা পার্টির প্রধানমন্ত্রী-পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী সুচিত্রা সেনের মৃত্যুতে শোকবার্তা পাঠিয়েছিলেন।

উপসংহার  :

অন্তরাল বাসিনী মহানায়িকা সুচিত্রা সেন চির অন্তরালের পথে চলে গেলেন বাঙালিকে কাঁদিয়ে দিয়ে মৃত্যুকে সঙ্গী করে । তাঁর অসামান্য  সৌন্দর্য ,বাচনভঙ্গি ও  অভিনয় দক্ষতা দিয়ে মাতিয়ে রেখেছিলেন তিনি গোটা চলচ্চিত্র জগতকে। কিংবদন্তি অভিনেত্রী  সুচিত্রা সেন তাই আজও বেঁচে আছেন মানুষের মনের গভীরে এবং তা থাকবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মেও।

FAQ 

সুচিত্রা সেন কবে কোথায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন ?

১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল ভারতের বাংলা প্রেসিডেন্সির (অধুনা বাংলাদেশের  অন্তর্গত) পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার হেমসাগর লেনে জন্মগ্রহণ করেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। 

সুচিত্রা সেন কোন প্রখ্যাত ব্যক্তিত্বের নাতনি ছিলেন?

রজনীকান্ত সেন ।

সুচিত্রা সেনের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির নাম কি?

সাড়ে চুয়াত্তর  

সুচিত্রা সেনের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত হিন্দি ছবির নাম কি ?

দেবদাস

আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সুচিত্রা সেন কোন ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন?

সাত পাকে বাঁধা  

সুচিত্রা সেনের সর্বশেষ ছবি কোনটি?

প্রণয় পাশা  

সুচিত্রা সেনের কবে মৃত্যু হয়?

২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি সুচিত্রা সেনের মৃত্যু হয়।

Recent Posts