শনিবার আমেরিকার ৬৪ তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ৭৭ বছর বয়সী জো বাইডেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন তিন দশক ধরে। লড়াইটা কঠিন হলেও সাফল্য পেলেন তিনি। জোসেফ রবিনেট বাইডেন আত্মবিশ্বাসী ছিলেন একদিন তিনি সফল হবেন। তাই দীর্ঘ প্রতিকূলতার পরেও নিজের স্বপ্ন থেকে পিছুপা হননি।
মাত্র ৩০ বছর বয়সে কনিষ্ঠ পঞ্চম সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ২০০৭ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্যর্থ হন। ২০০৯ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত তিনি ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। ২০১৬ সালে মনোনয়ন পাওয়ার আগেই সরে যান। ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াইয়ে রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ।
প্রেসিডেন্ট ভোটে জয়ের পর শনিবার আমেরিকানদের উদ্দেশে ধন্যবাদ জানান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আবার জানান নীল (ডেমোক্র্যাট) বা লালের (রিপাবলিক) মধ্যে বিভেদ না দেখে তিনি সকলেরই প্রেসিডেন্ট। তিনি জানান প্রেসিডেন্ট পদ লাভ করায় তিনি সম্মানিত এবং গর্বিত বোধ করছেন যে আমেরিকার জনগণ তাকে প্রেসিডেন্ট এবং কমলা হ্যারিসকে ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করেছেন।এখন সময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার।
জো বাইডেনের জন্ম ১৯৪২ সালে পেনসিলভেনিয়ার স্ক্র্যান্টনে। যদিও শৈশবের পরিবারের সাথে তিনি চলে আসেন ডেলাওয়্যারে।
১৯৬৬ সালে বাইডেন নিলিয়া হান্টারকে বিয়ে করেন তিনি৷ একসময় তার জীবনে নেমে আসে বিপর্যয়। গাড়ি দুর্ঘটনায় তার স্ত্রী নিলিয়া এবং কন্যা নওমী মারা যায়, দুই ছেলে হান্টার ও বিউ এই ঘটনায় আহত হয়।ওই ঘটনার পাঁচ বছর পর ১৯৭৭ সালে দ্বিতীয় বার জিল ট্রেসি জ্যাকবকে বিবাহ করেন। দ্বিতীয় পক্ষে তার মেয়ে আছে যার নাম অ্যাশলে ব্লেজার।
১৯৮৮ সালে প্রেসিডেন্ট হওয়ার লড়াইয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর মস্তিষ্কের এক অসুখ হয়েছিল বাইডেনের। চিকিত্সকেরা জানিয়েছিলেন হোয়াইট হাউসের লড়ার স্বপ্ন যেন তিনি ছেড়ে দেন, নইলে এই স্বপ্ন তাঁর স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে। এরপর ২০১৫ সালে তার বড় ছেলে বিউ বাইডেনের মৃত্যু হয়। তার পর সাময়িক কিছুদিন রাজনীতি থেকে বিরতি নিয়ে পুনরায় ২০২০ সালে নিজের স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে জয়ী হন।