বর্তমানে করোনার কারণে শিক্ষাব্যবস্থা অনলাইন কেন্দ্রিক হলেও অনেকের পক্ষেই অনলাইনে ক্লাস করা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের কথা মাথায় রেখে এক বিকল্প পদ্ধতি খুঁজে তার বাস্তবায়ন শুরু করেছে উত্তর-পূর্বের আদিবাসী-উপজাতি অধ্যুষিত রাজ্যটি।
ত্রিপুরা সরকার এই কঠিন সময়ে রবীন্দ্র ভাবনাকে আবার ফিরিয়ে এনে উন্মুক্ত প্রকৃতির মধ্যে পঠনপাঠনের পক্রিয়া শুরু করেছেন
সেই ভাবনা কার্যকরীও হচ্ছে। ত্রিপুরার প্রায় ২৯ শতাংশ ছেলেমেয়ের বাড়িতে নেই স্মার্ট ফোন। টিভি নেই ৪৪ শতাংশের বাড়িতে । যার ফলে অনলাইন শিক্ষা সেখানে সকলের পক্ষে সম্ভব নয়।
যাদের পক্ষে অনলাইন শিক্ষার সুবিধা নেই তাদের জন্য ত্রিপুরা সরকার শুরু করছে ‘পাড়ায় পঠনপাঠন’ কর্মসূচি। যেখানে তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের স্কুলের কাছেই খোলা আকাশের নীচে কোনো জায়গায় বসে ক্লাস করানো হচ্ছে।
সমস্ত বিধি নিষেধ মেনে চলছে ক্লাস। পাঁচজনের ছাত্রছাত্রী নিয়ে হচ্ছে ক্লাস।
ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ জানিয়েছেন সমস্ত বিধি মেনে পঠনপাঠন চলছে খোলা আকাশের নীচে, ছাত্র ছাত্রী থেকে শিক্ষক শিক্ষিকা সকলেই মাস্ক পড়ে উপস্থিত থাকছে৷ এই কর্মকান্ডে অংশ নিয়েছেন ২৭ হাজার ৫০০র অধিক সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা। ইতিমধ্যে এই পঠনপাঠন পক্রিয়ায় অংশ নিয়েছে প্রায় এক লক্ষ ছেলে মেয়ে।
Visited the ongoing Neighborhood Classes.
— Ratan Lal Nath (@RatanLalNath1) August 22, 2020
The students are first taught about precautions to be taken to combat COVID19.
Happy to hear the positive feedbacks from Students, Guardians and Teacher's on neighborhood Classes.@EduMinOfIndia@DrRPNishank pic.twitter.com/JyWFZowuQw
মন্ত্রিসভার সদস্যবিপ্লব দেব এ বিষয়ে জানিয়েছেন, ক্লাস করার জন্য ছাত্রছাত্রী বা অভিভাবকদের করা হবে না।
ডিজিটাল শিক্ষার মাধ্যমে স্কুলছুট হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে সেই ভাবনাতেই শুরু হয়েছে এই উদ্যোগ।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে খুঁজতে হবে উপায়। ত্রিপুরা রাজ্যে সকল শিক্ষার্থীর কথা ভেবে সেই উপায় সুন্দর ভাবে খুঁজে তার বাস্তবায়নও শুরু হয়ে গেছে।