আজকাল বিপিএ ফ্রী বোতল বা পাত্র ইত্যাদি বিভিন্ন জিনিস আপনারা শুনে থাকবেন আর আপনার মনে খুব স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসতে পারে যে বিপিএ কথাটির অর্থ কি আর কেন সমস্ত পাত্রে বা বোতলে এখন বিপিএ ফ্রি কথাটি লেখা আসছে
বিপিএ হলো একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল সাবস্টেন্স বা রাসায়নিক পদার্থ আপনার শরীরে খাদ্য এবং পানীয় জলের মাধ্যমে প্রবেশ করতে পারে. কিছু ডাক্তার বা এক্সপার্টদের কথা অনুযায়ী এই বিপিএ নামক পদার্থটি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক কিন্তু কেউ কেউ প্রশ্ন করতে পারেন যে এটা কি সত্যি ক্ষতিকারক কিনা.
আজ আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো যে আসলে কি এবং এটি শরীরের ক্ষতি করে কিনা আর তা যদি হয় তাহলে আপনার কি করা উচিত.
বিপিএ কি ?
বিপিএ যা পুরো নামে একটি রাসায়নিক পদার্থ যেটি বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য বিষয়ক বস্তু এবং খাদ্যপণ্য ও খাদ্যের পাত্র বানাতে ব্যবহার হয়. এই পদার্থটি প্রথম আবিষ্কৃত হয় 1890 সালে কিন্তু রসায়নবিদরা পঞ্চাশের দশকে বুঝতে পারেন এটি অন্যান্য পদার্থের সঙ্গে মিশ্রিত করলে আরো ভালো, শক্তিশালী এবং স্থিতিস্থাপক প্লাস্টিক তৈরি করা যাবে এবং সাথে সাথেই প্লাস্টিকের যেকোনো পাত্র বা বোতল রাখার জায়গাতে ব্যবহার শুরু হয় এবং আস্তে আস্তে আজকালকার দিনে দেখা গেছে যে বিপিএ প্লাস্টিক বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহৃত হচ্ছে, যেমন খাদ্যের পাত্র থেকে শুরু করে শিশুদের বোতল এবং অন্যান্য বিভিন্ন জায়গায়. কোন কোন বস্তুর মধ্যে থাকে সাধারনত বিভিন্ন ধরনের পণ্য বস্তুর মধ্যে থাকলে
বিপিএ কিসের মধ্যে থাকে
আমরা এখানে কিছু কিছু বস্তুর নাম উল্লেখ করছি যার মধ্যে বিপিএ থাকে প্লাস্টিকের বাক্স, খাবারের প্যাকেট, প্রসাধন দ্রব্যাদি, মহিলাদের স্বাস্থ্যকর পণ্য এছাড়াও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক জিনিস পত্র খেলাধুলার সামগ্রী ইত্যাদি .
এখানে জেনে রাখা দরকার অনেক কোম্পানিই বিপিএ (BPA) এর নাম এ বিপিএস (BPS) অথবা বিপিএফ (BPF) ব্যবহার করে যেগুলো সাস্থের পক্ষে ঠিক না.
আপনার পাত্রে বা বোতলে বিপিএ রয়েছে কিনা সেটি খুব সহজে জানতে হলে বোতলটির নিচের দিকে দেখুন নিচের দিকে রিসাইকেল আইকনটি থাকবে তারমধ্যে যদি নাম্বার ৩ অথবা ৭ থাকে তার মানে আপনার পাত্রে বিপিএ অবশ্যই রয়েছে এই রিসাইকেল কোড গুলো সম্পর্কে আরও জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন.
বিপিএ কি ক্ষতিকারক ?
ডক্টর জর্জ বেকার বলেছেন যে “বিপিএ শরীরে প্রবেশ করলে স্তন্যপায়ী জীব, বিশেষ করে মানুষ কে শিশু এবং কৈশোর অবস্থায় বিভিন্ন ভাবে ক্ষতি করতে পারে.” বিপিএ তে ইস্ট্রোজেন হরমোনের সক্রিয়তা বাড়ানোর মতো কেমিক্যাল রয়েছে যেটি “মানুষেকে বিভিন্ন বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, প্রজনন অঙ্গ এ প্রভাব ফেলে, শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে এ ছাড়াও শিশুদের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ায়”, বলেছেন টেক্সাস ইউনিভার্সিটির স্নায়ু বিশেষজ্ঞ.
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে বিপিএ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে তার পাত্র মাধ্যমে প্রবেশ করে এবং তা থেকে মানুষের দেহের ভিতরে যায় আর এই বিপিএ যত বেশি মানুষের দেহে প্রবেশ করে তার বিভিন্ন ধরনের সাইডএফেক্ট দেখা যায়. যেমন মস্তিষ্কের বিভিন্ন ধরনের প্রভাব, ভ্রূণ ও বাচ্চাদের প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড , এছাড়াও এটি ছোটদের আচরণকে প্রভাবিত করতে পারে. আরো কিছু কিছু গবেষণা এটিও বলে যে বিয়ে সঙ্গে ক্রমবৃদ্ধি মান রক্তচাপের কিছু সম্পর্ক রয়েছে.
সুতরাং এটি বলাই বাহুল্য যে বিপিএ ক্ষতিকারক, পাশ্চাত্যে এফডিএ (FDA), ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, বিপিএর ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছে যদিও বহুল ব্যবহৃত খাদ্যের পাত্র এটি ব্যবহার হয় না ওখানে, তবুও আমাদের এখানে অর্থাৎ ভারতবর্ষে ও বাংলাদেশে এখনো বিপিএ থাকা পাত্র পাওয়া যায় অর্থাৎ এখনো আমাদের দেশে বিপিএ জনিত কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি হতে পারে সেইজন্যে আমরা এখানে কিছু টিপস এবং সহজ উপায় বলতে চলেছি যেগুলি ফলো করলে আপনি খুব সহজে বিয়েকে এড়াতে পারবেন
কিভাবে এড়িয়ে চলবেন
- যে সমস্ত প্লাস্টিকের পাত্র বা বোতলে আপনারা রিসাইকেল নাম্বার দেখবেন ৩ এবং ৭ আছে সেই গুলিতে অবশ্যই থাকে বিপিএ, যে সমস্ত প্লাস্টিক রিসাইকেল নাম্বার ১, ২, ৪, ৫ থাকে সেগুলি সবচেয়ে সেগুলো নিরাপদ.
- এখানে একটি কথা বলে রাখা দরকার যে রিসাইকেল নাম্বার ১ এবং ২ এর পাত্রে গরম জল বা উষ্ণ তরল ব্যবহার না করাই ভালো
- আরেকটি ব্যাপার হল যদি আপনি প্রেগনেন্ট হয় তাহলে প্লাস্টিকের পাত্র থেকে জল বা কোন খাদ্য না খাওয়াই ভালো জল খাবার জন্য কাচের বোতল ব্যবহার করুন আর যদি কাচের বোতল না ব্যবহার করা যায় ভেঙে যাবে বা বাড়িতে বাচ্চারা থাকলে অনেক সময় কাচের মত ব্যবহার করা হয় না সেই ক্ষেত্রে আপনারা প্লাস্টিকের বোতল কিন্তু সেটি যেন হয় বিপিএ ফ্রি.
- প্লাস্টিকের কন্টেনার মাইক্রোওয়েভ এর মধ্যে ঢুকিয়ে গরম করবেন না এতে করে মাইক্রোওয়েভের আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি ওই পাত্র গুলির মধ্যে থেকে বিষাক্ত কেমিক্যাল বের করে আনে.
- বাচ্চাদের প্লাস্টিকের খেলনা গুলির মধ্যেও কিছু কিছু খেলনাতে কিছু পরিমাণে বিপিএ থাকে আর বাচ্চাদের একটা টেন্ডেন্সি থাকে যে তারা খেলনা গুলিকে নিজেদের মুখে পুরে দেয়, কামড়ানোর চেষ্টা করে. এই জন্য বাচ্চাদের খেলনা কেনার সময় সতর্ক থাকুন এবং বিপিএ ফ্রি প্লাস্টিক দ্বারা নির্মিত খেলনা কিনুন.
বিপিএ ফ্রি বোতল ও পাত্র
আমরা দেখলাম কিভাবে বিপিএ নামক রাসায়নিক পদার্থটি মানুষের দেহে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে বাচ্চাদের জন্য এটি খুবই খারাপ. দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত বোতল, পাত্র এবং টিফিন বক্স গুলোর মাধ্যমে এটি সবচেয়ে বেশি পরিমানে বাচ্চাদের তথা আপনার দেহে পৌঁছে যায়.
সেই জন্য আমরা কিছু প্রোডাক্ট দিয়ে দিচ্ছি যেগুলি বিপিএ ফ্রি এবং নিরাপদ. এখানে সেগুলি আমরা এখানে দিচ্ছি এখান থেকে আপনারা কিনতে পারেন. এই প্রোডাক্ট গুলি আমরা ব্যবহার করি সেই জন্য আমরা সাজেস্ট করছি আর এই প্রোডাক্ট গুলি description এ আপনি প্রথমেই দেখতে পারবেন যে বিপিএ ফ্রি.
আরো অনেকগুলি বিপি ফ্রি বোতল দেখার জন্য বা কেনার জন্য এইখানে ক্লিক করুন
বিপিএ ফ্রি টিফিন বক্স বা রান্নাঘরে ব্যবহার করার জন্য পাত্র ইত্যাদি কেনার জন্য এইখানে ক্লিক করুন
বাচ্চাদের বিপিএ ফ্রী খেলনা কেনার জন্য এখানে ক্লিক করুন
Recommended Read,
Bengali Guide to Prevent Hairfall
Bengali Guide for Losing Weight