ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী কিশোরী, ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে আমহার্স্ট স্ট্রিটের পুলিশ আবাসনে। সম্ভবত অত্যাধিক মানুষিক চাপের থেকে এমন পরিণতি বেছে নিয়েছে বছর ১৩ র কিশোরী অদ্রিজা মন্ডল । কলকাতার ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল অদ্রিজা। লালবাজারের কম্পিউটার সেলে কর্মরত মৃত কিশোরীর বাবা চেয়েছিলেন মেয়ে বড় হয়ে আইপিএস অফিসার হবে।
বাবার ইচ্ছে পূরণ করবে ভেবেছিল অদ্রিজাও, তাই চেষ্টা করে ভালো করে পড়াশোনা করে ভালো ফল করার, কিন্তু তার রেজাল্ট ভালো হয়নি।
মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরী ঝাঁপ দিলে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানা চত্বরের পুলিশ আবাসনের বাসিন্দারা তীব্র আওয়াজে বেরিয়ে দেখেন ১০ তলা আবাসনের নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় পরে আছে অদ্রিজা মণ্ডল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই কিশোরীকে নিয়ে যাওয়া হয় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে কিন্তু চিকিৎসকরা জানায় মারা গেছে কিশোরী।
অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে নেমে কিশোরীর সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে তদন্তকারীরা। যেখানে ১৩ বছরের অদ্রিজা মন্ডলসাদা কাগজে কালো কালিতে একটি চিরকুটে লেখে সকলকে হাই বলে সকলে যখন এই চিঠি পাবে তখন সে মৃত। সবাইকে ভালোবাসা জানিয়ে সে স্পষ্ট বলে তার মৃত্যুর কারণ অবসাদ। অনেক চেষ্টার পরেও ভালো রেজাল্ট করতে না পারায় সে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে, তার দুঃখ সে আইপিএস হতে পারবে না। মৃত্যুর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে সকলকে বিদায় জানিয়েছে ওই কিশোরী।
প্রাথমিক তদন্তে পর এই চিঠি থেকেও অনুমান করা হয়েছে অত্যধিক পড়ার চাপ, আইপিএস হওয়ার চাপ, আশানুরূপ ফল না হওয়া, এসব কিছুই তাকে ঠেলে দেয় এমন পরিণতির দিকে। তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ করছে কিশোরীর পরিবারকে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে তবেই বোঝা যাবে কারণ।