ওড়িশায় লাগাতার বৃষ্টিতে পরিস্থিতি আরও খারাপ আকার ধারণ করছে। এখনো পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন।
জলের স্রোতে ডুবে গেছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি, ওড়িশায় প্রায় ১০,৩৮২টি বাড়ি ভেঙ্গে গেছে বন্যায়। ১৪,৩২,৭০১ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সম্বলপুর জেলার প্রায় স্থানে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
জলে ডুবে থাকা সম্বলপুর জেলায় নিম্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ২ হাজার বাসিন্দা, তাদের পাঠানো হয়েছে ত্রাণ শিবিরে।
সম্বলপুর জেলার প্রায় স্থানে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ওড়িশা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে কমপক্ষে ২০টি জেলায় ঢুকে গেছে বন্যার জল , ৩২৫৬ টি গ্রাম জলমগ্ন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভদ্রক জেলা।
বন্যার ফলে ডুবে গিয়েছে আঙ্গুল, বালাসোর, বড়গড়, ভদ্রক, বৌধ, কটক, ঢেঙ্কানাল, জগতসিংহপুর, জাজপুর, ঝড়সুগুদা, কেন্দাপাড়া, কেওনঝড়, খর্ধা, ময়ূরভঞ্জ, নারায়নগড়, নুয়াপদা, পুরী, সম্বলপুর, সুবর্ণপুর এবং সুন্দরগড়।
মহানদীতে ক্রমশ বাড়ছে জলের মাত্রা কারণ খুলে দেওয়া হয়েছে হিরাকুঁঁদ বাঁধের ৪৬টি গেট, প্রবল মাত্রায় বৃষ্টি হয়েই চলেছে।
বন্যার কারণে বাড়ি ঘর হারিয়েছে প্রচুর মানুষ,
বহু চাষের জমি জলে ডুবে গেছে, বন্যা দুর্গতদের জন্য খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস এবং ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মেডিক্যাল টিম এর বন্দোবস্ত করা হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবার জন্য। বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দলের এবং এনডিআরএফ যৌথ ভাবে উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে।ওডিআরএফ এবং দমকলের টিমও সাহায্য করছে উদ্ধারকাজে।