দেবী দুর্গার বা দেবী পার্বতীর ১০৮ অবতারের অন্যতম এবং দেবী সঙ্কটনাশিনীর একটি অনন্য রূপ হলেন মা বিপত্তারিণী। এই বিশেষ পুজো হিন্দুরা মূলত বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য করে থাকেন। সকলে মনে করেন যে ভক্তি সহকারে এই পুজো করলে সব রকম বিপদ থেকে মা বিপত্তারিণী রক্ষা করেন।
বিপত্তারিণী দেবী মূলত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা রাজ্য এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে পূজিত এক হিন্দু দেবী। । প্রত্যেক বছরই আষাঢ় মাসের রথযাত্রা থেকে শুরু করে উল্টোরথের মধ্যে যে শনিবার ও মঙ্গলবার পড়ে, সেই দিনগুলিতেই হিন্দু মহিলারা বিপত্তারিণীর ব্রত উদযাপন করে থাকেন।

বিপত্তারিণী পূজার নিয়ম, Vipattarini Vrata rules in Bangla
বিপত্তারিণী ব্রত পালন করা এক অতীব মঙ্গলসূচক কাজ। প্রায় সব হিন্দু ঘরের মহিলারাই এই ব্রত পালন করে থাকেন। বিপত্তারিণী ব্রতের মাহাত্ম্য সম্পর্কে প্রত্যেকটি হিন্দু ঘরই অবগত। এই ব্রত অন্যান্য ব্রতের থেকে একটু পৃথক এবং স্বতন্ত্র । বিপত্তারিণী ব্রতের এমন কিছু বিশেষ নিয়ম থাকে যা অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করার বিধান দেওয়া আছে । যেহেতু মহিলারাই প্রধানত এই ব্রত উদযাপন করে থাকেন তাই এই ব্রত থেকে তারা যাতে বঞ্চিত না হন সেই কারণে এই ব্রত দু’দিন পালন করা হয়; মঙ্গলবার এবং শনিবার । এই ব্রতের বিশেষ নিয়মগুলি নিষ্ঠা সহকারে পালন করতে পারলে সংসারের সকলের মঙ্গল হয়।
বিপত্তারিণী পুজোর আগের দিন নিরামিষ ভোজন করার বিধি আছে এবং পুজো শেষে ১৩টা লুচি ও ১৩ রকমের ফলে আহার সারতে হয় প্রসাদ হিসেবে।বিপত্তারিণী পুজোর দিন মহিলাদের অবশ্যই আলতা, সিঁদুর পরা বাঞ্ছনীয়।

বিপত্তারিণী পুজোর উপকরণ, Bipattarini pujar upokoron
বিপত্তারিণী পুজোর উপকরণগুলি হলো :
বিপত্তারিণী ব্রত পালন করতে হলে ঘট, আম্র পল্লব, শীষ সহ ডাব, একটি নৈবেদ্য, ১৩ রকম ফুল, ১৩ রকম ফল, ১৩ গাছি গিঁট দেওয়া লাল সুতো (সঙ্গে ১ত টি দূর্বা বাঁধা), ১৩টি দূর্বা, ১৩টি পান ও ১৩টি সুপুরি প্রয়োজন পড়ে।

॥মঙ্গলবার বিপত্তারিণীর ব্রত॥
মঙ্গলবার এই ব্রত উদযাপন করলে লাল সুতোয় ১৩টি গিট বাঁধতে হয় এবং সেই সুতোয় ১৩টি দুর্বা বেঁধে দিতে হয়।
এই দিন ব্রতচারিনীর সাথে সাথে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের ও অবশ্যই নিরামিষ আহার গ্রহণ করতে হয়।
ব্রত সম্পন্ন হওয়ার পর খাদ্য গ্রহণ করার যে নিয়ম সেখানে ও ১৩টা করে খাওয়ার বিধি আছে ।
আনন্দ নিয়ে উক্তি, Quotes and some beautiful lines about happiness in Bengali language
বিপত্তারিণী পূজার ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ নিষেধাজ্ঞা, Some special prohibitions in respect of the worship of goddess Bipattarini
আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে মূলত হিন্দুধর্মাবলম্বী মহিলারা বিপদের হাত থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য এই বিশেষ ব্রত পালন করে থাকেন। শুধুমাত্র বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্যই নয় ;অর্থ সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে, ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি লাভ করতে বিপত্তারিণীর ব্রত ঘরে ঘরে পালন করা হয়। । নিয়ম এবং নিষ্ঠার সাথে এই ব্রত পালন করলে যেমন সুফল লাভ করা যায় ঠিক তেমনই যদি নিয়ম বহির্ভূতভাবে অথবা না জেনে যদি এই পুজো কেউ করেন তবে তাঁর হতে পারে চরম বিপদ। শাস্ত্র মতে, বিপত্তারিণী পুজোয় কোন উপাচারগুলো একেবারেই করা উচিত নয় তা নিম্নে সবিস্তারে বর্ণিত হলো :

* বিপত্তারিণী পুজোর আগের দিন এবং বিশেষ করে পুজোর দিনে কখনই আমিষ খাওয়া যায় না। আগের দিন নিরামিষ খাওয়ার সাথে সাথে পুজো সম্পন্ন হলে ১৩ টা লুচি ও ১৩ রকমের ফল ,প্রসাদ হিসাবে গ্রহণ করতে হয়। এ ক্ষেত্রে বিশেষ উল্লেখ্য যে চালের জিনিস খাওয়া এই ব্রত পালনের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণরূপে নিষেধ ; যেমন ভাত, চিড়ে, মুড়ি প্রভৃতি।
* বিপত্তারিণী পুজোর দিন পরিবারের কোনও সদস্যের মদ্যপান করা উচিত নয়।
* পুজোর চলাকালীন সময়ে কারও সাথে বাক্যালাপ করা চলে না । অনুমান করা হয় যে এর ফলে দেবী রাগান্বিত হন এবং সংসারে অর্থ সম্পর্কিত সমস্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে আর তারই সাথে ব্যবসায় ক্ষতি, বাড়িতে বিভিন্ন রকমের অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।
* পুজোর সময় কখনই কাউকে অপমান করা উচিত নয়; এমনকি এদিন কোনও মহিলার সম্পর্কে কটূক্তি বা কুরুচিকর বাক্য চয়ন করা চলে না কারণ এতে মা লক্ষ্মী ক্রুদ্ধ হয়ে থাকেন।
*এদিন পরিবারের নিকট সদস্য ভিন্ন অন্য কোনো ব্যক্তিকে টাকা প্রদান করা উচিত নয় এবং নিজেরও কারো কাছ থেকে ধার গ্রহণ করা উচিত নয় ; কারণ মনে করা হয় এই সময় প্রদত্ত অর্থ ফেরত আসে না। এছাড়া এটি ও অনুমান করা হয় যে দেবী রুষ্ট হন এবং সম্পর্কও নষ্ট হয়ে যায়।
* কোনও অপরিষ্কার , অন্ধকার বা অপরিচ্ছন্ন স্থানে বিপত্তারিণী পুজো করা একেবারেই উচিত নয় ;না হলে ঘরের সুখ ও শান্তি বিনষ্ট হয়।
* বিপত্তারিণী পুজোর দিন কোনো ব্যক্তিকে চিনি দেওয়া উচিত নয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, চিনির শুক্র এবং চন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। অন্যদিকে শুক্র বস্তুগত সুখের কর্তা বজন করে । তাই এদিন চিনি প্রদান করলে শুক্র দুর্বল হয় এবং সংসারে অশান্তির পাশাপাশি আর্থিক সংকট দেখা দিতে পারে।
*বিপত্তারিণী পুজোর আচার আচরণে কিছু ভুল হলে আর্থিক সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং ফলস্বরূপ ব্যবসায় ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে ।
নিজেকে নিয়ে উক্তি, Quotes about myself in Bengali language
বিপত্তারিণী পুজো সম্পর্কে কিংবদন্তি, Legend about Bipattarini Puja
বিপত্তারিণীর কিংবদন্তিতে জবা ফুল একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে। যিনি সব বিপদ থেকে রক্ষা করেন , যিনি বিপদ সমূহ নাশ করেন তিনিই যে বিপদতারিনী। যিনি দুর্গা তিনিই হলেন বিপদতারিনী। পুরাণে তিনি কৌশিকীদেবী নামে খ্যাতা; আবার তিনিই জয়দুর্গা হিসেবে প্রসিদ্ধা। পরমেশ্বর ভগবান শিবের অর্ধাঙ্গিনী দেবী পার্বতীর কৃষ্ণ কোশ থেকে দেবীর উৎপত্তি হয়েছিলো আর তাই তাঁক ‘কৌশিকী’ নামেও অভিহিত করা হয় । পুরাণের বর্ণনা মতে শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামক দুই অসুরের হাতে দেবতারা পরাজিত হন এবং হিমালয়ে গিয়ে মহামায়ার স্তব করেন ।
সেই মাহেন্দ্রক্ষণে পরমেশ্বরী ভগবতী পার্বতী সেই স্থান দিয়ে যাচ্ছিলেন আর তখন দেবী দেবতাদের স্তব শ্রবণ করা মাত্র তাঁদের কাছ থেকে জানতে চান যে তাঁরা কার স্তব করছেন । সেই সময় ভগবতী পার্বতীর শরীর থেকে তাঁরই সাদৃশ্য আর এক জন দেবী নির্গত হন এবং সেই নব আবির্ভূতা দেবী জানান যে দেবতারা তাহার ই স্তব করছেন। সেই নব আবির্ভূতা দেবী ই যুদ্ধে শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামক অসুরের বধ করেন ও মোহাচ্ছন্ন শুম্ভাসুরকে অদ্বৈত জ্ঞান দান করে বলেছিলেন- “ঐকেবাহং জগত্যত্র দ্বিতীয়া কা মমাপরা। পশ্যৈতা দুষ্ট ময্যেব বিশন্তো মদবিভূতয়ঃ।।” (“এই জগতে এক আমিই আছি। আমি ছাড়া আমার সাহায্যকারিনী আর কে আছে? ওরে দুষ্ট ভাল করে দেখ , ব্রহ্মাণী প্রভৃতি শক্তি আমারই অভিন্না বিভুতি বা শক্তি। এই দেখ তারা আমার সঙ্গে মিশে যাচ্ছে।”)

অপর আরেকটি পৌরাণিক গাথা অনুযায়ী একবার ভগবান মহাদেব রহস্যচ্ছলে দেবী পার্বতীকে ‘কালী’ বলে উপহাস করেছিলেন যার কারণে দেবী ক্রুদ্ধ হয়ে তপস্যার মাধ্য দিয়ে নিজের “কৃষ্ণবর্ণা” রূপ ত্যাগ করেন এবং সেই কৃষ্ণবর্ণা স্বরূপ দেবীই হলেন পার্বতীর অঙ্গ থেকে জন্ম নেওয়া জয়দুর্গা বা কৌশিকীদেবী ।
এই জয়দুর্গা বা কৌশিকীদেবী হলেন প্রকৃতপক্ষে বিপদতারিনীদুর্গা যিনি কিনা পঞ্চদেবতার একজন।
বিপত্তরিণীকে সঙ্কটতারিণী বলেও পুজো করা হয়। তবে, এই পুজোর ও একটি কাহিনি রয়েছে।
কথিত আছে যে বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজবংশের এক রানির এক নিম্নবর্ণের সখী ছিলেন যিনি জাতে মুচি। এই মহিলা নিয়মিত গোমাংস খেতেন; তাই রানিও একদিন কৌতূহলী হয়ে গোমাংস খাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। প্রথমে তিনি রাজি হননি এবং পরবর্তীতে তিনি রানির আদেশ রক্ষার্থ গোমাংস আনেন। অন্তঃপুরে গোমাংস প্রবেশ করেছে— এই খবর শোনামাত্র রাজার ক্রুদ্ধ হয়ে রানিকে শাস্তি দিতে উদ্যত হন। রানি গোমাংস তাঁর বস্ত্রের আড়ালে লুকিয়ে রেখে দেবী দুর্গাকে স্মরণ করতে থাকেন। রানির উপর তল্লাশি করে রাজা দেখতে পান তাঁর বস্ত্রের আড়ালে গোমাংস নয়, রয়েছে একটি লাল জবা।
সেই থেকেই বিপত্তরিণীর পুজো প্রচলিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দেবী দুর্গা হিন্দুধর্মের দেবী। দেবাদিদেব মহাদেবের অর্ধাঙ্গিনী আদি শক্তি। অন্যান্য দেবী তাঁরই অবতার বা ভিন্ন রূপ।দেবীর নানান রূপে বিরাজমান। উত্তর ভারতে দেবীর অষ্টাদশ রূপের ধ্যান ও পূজা হয়, কোথাও বা দশভুজা রূপে তিনি পূজিতা আবার কোথাও চতুর্ভুজা স্বর্ণবর্ণা আবার কোনো কোনো স্থানে কৃষ্ণ বর্ণা রূপে পূজিতা হন মা বিপত্তারিণী দেবী । প্রধানত জ্যৈষ্ঠ ও আষাঢ় মাসে মঙ্গল ও শনিবারে মায়ের পূজা হয় এবং পূর্বের বর্ণনা অনুযায়ী ১৩ প্রকার ফল, পুস্প, মিষ্টি, পান, সুপারী, লবঙ্গ, এলাচ প্রভৃতি অর্পণ করা হয় দেবীর পূজার্চনা হিসেবে । তবে, বাংলাদেশে দেবীর পূজার নিয়ম বিধি সম্পূর্ণ পৃথক ।
ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের অমৃত বাণী | Ramkrishna Paramhans Quotes in Bengali With PDF Download
বিপত্তারিণী পূজাবিধি, Bipattarini Puja puja ritual
আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া থেকে দশমী পর্যন্ত এই পুজো করা হয়ে থাকে। সাধারণত গ্রামাঞ্চলে বিপত্তারিণী পূজা চারদিন ধরে চলে এবং সেখানে প্রথম দিনে দেবীর “আরাধনা” করা হয়; মেয়েরা দণ্ডী কাটে। ব্রাহ্মণ পুরোহিতেরা আম্রপল্লব-সহ ঘট স্থাপন করে ।নাম গোত্র সহযোগে পুজা দেয় বাঙালি মেয়েরা। পুজোর পরে শোনা হয় বিপত্তারিণীর ব্রতকথা যা এই পুজোর অন্যতম অঙ্গ। খুব ধুমধাম করে চলে সেই পূজা উদযাপন ; দুই রাত্রি ধরে রাতে বাংলা লোকগান, ভজন ও কীর্তন অনুষ্ঠিত হয় এবং চতুর্থ দিনে দেবীর নিরঞ্জন হয়।
বিপত্তারিণী পূজা উপলক্ষ্যে মহিলারা সাধারণত উপবাস করে থাকে। প্রথা অনুযায়ী তারা হাতে “তাগা” পরিধান করে যা কিনা এক গুচ্ছ পবিত্র লাল সুতো ও দূর্বাঘাস দিয়ে তৈরি করা হয় ।লাল সুতোর ধাগা পুরুষদের ডান এবং মহিলাদের বাম হাতে ধারণ করা এই পুজোর নিয়ম। এই ব্রত কমপক্ষে ৩ বছর পালন করার কথা উল্লেখ করা আছে ।

মা বিপত্তারিণী মন্দির, Maa Bipodtarini temples
বিপত্তারিণী মন্দির খুব একটা দেখা না গেলেও কিছু কিছু স্থানে এই মন্দির দেখতে পাওয়া যায় যেখানে দেবী খুব ই জাগ্রত বলে মানা হয়; যেমন কলকাতার গড়িয়া অঞ্চলে প্রাচীন বিপত্তারিণী মন্দির খুবই সুপ্রসিদ্ধ ।
এছাড়াও রাজপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার দেবীর মন্দিরটিও এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য ।

বিপত্তারিণী দেবীর ধ্যান মন্ত্র, Dhyan Mantra of devi Bipattarini Puja
ওঁ কালাভ্রাভাং কটাক্ষৈররিকুলভয়দাং মৌলীবন্ধেন্দুরেখাম্ । শঙ্খং চক্রং কৃপাণং ত্রিশিখমপি করৈরুদ্বহন্তীং ত্রিনেত্রাম্ । সিংহাস্কন্ধাধিরুঢ়াং ত্রিভুবন – মখিলং তেজসা পুরয়ন্তীম্ । ধ্যায়েদ্ দুর্গাং জয়াখ্যাং ত্রিদশপরিবৃতাং সেবিতাং সিদ্ধিকামৈঃ ।। এর অর্থ- কালাভ্র আভাং (এর অর্থ দুই প্রকার হয়, একটি স্বর্ণ বর্ণা অপরটি কালো মেঘের ন্যায়), কটাক্ষে শত্রুকূলত্রাসিণী, কপালে চন্দ্রকলা শোভিতা, চারি হস্তে শঙ্খ, চক্র, খড়্গ ও ত্রিশূল ধারিণী, ত্রিনয়না, সিংহোপরি সংস্থিতা, সমগ্র ত্রিভুবন স্বীয় তেজে পূর্ণকারিণী, দেবগণ-পরিবৃতা।
করুণাময়ী শ্রীশ্রী মা সারদার জন্ম বৃত্তান্ত ও জীবনী, Biography of Shri Shri Maa Saroda in Bangla
বিপত্তারিণীর মন্ত্র, Mantra of maa Bipodtarini
মাসি পূণ্যতমেবিপ্রমাধবে মাধবপ্রিয়ে। ন বম্যাং শুক্লপক্ষে চবাসরে মঙ্গল শুভে। সর্পঋক্ষে চ মধ্যাহ্নেজানকী জনকালয়ে। আবির্ভূতা স্বয়ং দেবীযোগেষু শোভনেষুচ। নমঃ সর্ব মঙ্গল্যেশিবে সর্বার্থসাধিকে শরণ্যে ত্রম্বক্যে গৌরী নারায়ণী নমস্তুতে।।
বিপত্তারিণী দেবীর ব্রতকথা সম্পর্কিত গ্রন্থ, Books related to goddess Bipadtarini
বিপত্তারিণী কথামৃতম’ বা ‘তারিণ্যুপনিষদ’ নামক এক তন্ত্রগ্রন্থের সন্ধান পাওয়া যায়, যার রচয়িতা জনৈক জনার্দন ঠাকুর। জনার্দন নিজেকে রামরাম ঠাকুরের বংশধর বলে বর্ণনা করেছেন এবং এই গ্রন্থে জনার্দনের লেখা থেকে অবগত হওয়া যায় যে তাঁর মা হরিপ্রিয়া এই দেবীর কৃপা লাভ করেছিলেন।
- ঝুলন যাত্রা উৎসবের সমস্ত তথ্য ও শুভেচ্ছাবার্তা, All information and greetings on Jhulan Yatra festival in Bengali
- বাসন্তী পূজা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য, Detailed information about Basanti Puja in Bengali
- জামাই ষষ্ঠী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য, Detailed information about Jamai Shasthi in Bengali
- বিপত্তারিণী পুজোর নিয়মও ইতিবৃত্ত, All details about Bipodtarini puja in Bengali
- খ্রিস্টান ধর্মের উৎসব – বড়দিনের উৎসব | পবিত্র ক্রিসমাস | Everything about Christmas in Bengali

বিপত্তারিণী পুজো করলে শুধু বিপদই নয় অর্থ সঙ্কট থেকেও মুক্তি পাওয়া যায় এবং ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধির বৃদ্ধি ঘটে। তাই ভক্তি ও নিষ্ঠা সহকারে দেবীর আরাধনা করলে সংসারে সুখ সমৃদ্ধির সঞ্চার ঘটবে ।
