ভারতের আদর্শ মহিয়সী রমণীর মধ্যে অন্যতম, যিনি ভালোবাসা দিয়ে জগতকে আপন করে নিয়েছিলেন তিনি হলেন শ্রীশ্রী মা সারদা দেবী। উনিশ শতকের বিশিষ্ট বাঙালি হিন্দু ধর্মগুরু রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের সাধনসঙ্গিনী ও পত্নী ছিলেন এই মহীয়সী নারী। তাঁরা উভয়েই অবিচ্ছিন্ন ব্রহ্মচর্য পালন করে অতিবাহিত করেছিলেন তাঁদের সম্পূর্ণ জীবদ্দশা। মা সারদা তাঁর সমগ্র জীবন স্বামী এবং তাঁর আধ্যাত্মিক সন্তানদের প্রতি সেবায় ও আত্মত্যাগে উৎসর্গ করেছিলেন।
শ্রীরামকৃষ্ণের শিক্ষকগণ সারদা মাকে মাতৃ আসনে বসিয়েছিলেন এবং গুরুর প্রয়াণে পরবর্তীকালে মায়ের কাছে ছুটে এসেছিলেন উপদেশ এবং উৎসাহ লাভ করার আশা নিয়ে। সারদা মা তাঁর জীবদ্দশায় এবং জীবন -পরবর্তীকালে ও তাঁর ভক্তদের কাছে মহাশক্তির আধার হিসেবে পূজিত হয়ে এসেছেন। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সংঘ জননী সারদা মাকে তাঁর ভক্তরা শ্রী শ্রীমা নামে অভিহিত করে থাকতেন।

জন্ম ও বংশ পরিচয়, Birth and parentage
হিন্দু পঞ্জিকার হিসাবে, অগ্রহায়ণ মাসের কৃষ্ণা সপ্তমী তিথিতে , (বাংলা ১২৬০ সনের ৮ পৌষ ) এবং ইংরেজি তারিখ হিসাবে ১৮৫৩ সালের ২২শে ডিসেম্বর, পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর মহকুমার জয়রামবাটীর এক গরীব ব্রাহ্মণ পরিবারে সারদা দেবী জন্মগ্রহণ করেন । পিতা রামচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ও মাতা শ্যামাসুন্দরী দেবী ছিলেন অতীব ধর্মপরায়ণ দম্পতি । জ্যেষ্ঠা কন্যা সারদা দেবী ছিলেন তাদের প্রথম সন্তান।জন্ম পরবর্তী নাম রাখা হয়েছিল “ক্ষেমঙ্করী” এবং পরে সেই নামটি পরিবর্তন করে রাখা হয় “সারদামণি”। কথিত আছে, সারদা দেবীর জন্ম -পূর্ববর্তী সময়ে রামচন্দ্র ও শ্যামাসুন্দরী উভয়েই দিব্যদর্শনে মহাশক্তি কে তাঁদের কন্যারূপে জন্ম নিতে দেখেছিলেন ।

সঙ্গীতজ্ঞ পঙ্কজ মল্লিক এর জীবনকাহিনী ~ Biography of Pankaj Mullick in Bengali
শৈশব, Childhood days
অত্যন্ত সরল ও সাদাসিধে জীবন যাপন করতেন ছোট্ট সারদামনি । বাল্যকালে তিনি ঘরের নিত্যনৈমিত্তিক কাজকর্ম করার সাথে সাথে ভাইদের দেখাশোনা ও করতেন। পোষা গোরুদের আহারের ব্যবস্থা করা থেকে শুরু করে , ক্ষেতের কাজ এবং প্রয়োজনে ধান কুড়ানোর কাজও করতে হয়েছে তাঁকে। প্রথাগত বিদ্যালয় শিক্ষালাভ করেননি সারদা দেবী আক্ষরিক অর্থে তবে ছেলেবেলায় মাঝে মধ্যে ভাইদের সাথে পাঠশালায় যাওয়ার সুবাদে কিছু অক্ষরজ্ঞান হয়েছিল তাঁর।
তবে পরবর্তী জীবনে কামারপুকুরে বসবাসকরাকালীন শ্রীরামকৃষ্ণের ভ্রাতুষ্পুত্রী লক্ষ্মী দেবীর কাছে মনোযোগ সহকারে অধ্যয়ন করেছিলেন বলে জানা যায়। বাল্যকালে তাঁর গ্রামে আয়োজিত যাত্রাপালার আসর থেকে বেশ কিছু পৌরাণিক আখ্যান ও শ্লোক আত্মস্থ করেছিলেন।কথিত আছে যে শৈশবে পুতুলখেলার সময় লক্ষ্মী ও কালীর মূর্তি গড়ে খেলাচ্ছলে পূজা করতেন সারদামণি। সেই সময় তাঁর বিবিধ দিব্য দর্শন ও অভিজ্ঞতা হয়ে থাকত। ছোটবেলা থেকেই মহামায়ার ধ্যানে রত থাকতেন তিনি।
বিবাহ, Marriage
মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই ২৩ বছরের যুবক, ধর্মপ্রাণ রামকৃষ্ণ পরমহংসে দেবের সাথে সারদামণি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন । কঠোর ব্রহ্মচর্য অনুশীলনরত শ্রীরামকৃষ্ণের মা ও দাদারা মনে করেছিলেন যে বিবাহ পরবর্তী জীবনে তাঁর সাংসারিক ক্ষেত্রে মন বসবে। তবে নাবালিকা সারদা দেবী বিবাহের পরবর্তী বেশ কিছুকাল পিতামাতার তত্ত্বাবধানেই ছিলেন। শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে প্রত্যাবর্তন করলে প্রায় ন বছর পর , চোদ্দো বছর বয়স্কা সারদা দেবী প্রথমবার তাঁর স্বামী দর্শন হেতু কামারপুকুরে আসেন। সেই সময়কালে সারদা দেবী তিন মাস শ্রীরামকৃষ্ণের সঙ্গে বাস করেন এবং তখন থেকেই ধ্যান ও অধ্যাত্মিক জীবনের প্রয়োজনীয় নির্দেশ তিনি লাভ করেন শ্রী রামকৃষ্ণের কাছ থেকে।
সারদা দেবীর যখন আঠারো বছর বয়স তখন তিনি অবগত হয়েছিলেন যে তার স্বামী পাগল হয়ে গেছেন ।তাঁর এ কথাও কর্ণগোচর হয়েছিল যে তাঁর স্বামী একজন মহান সন্তে রূপান্তরিত হয়ে গেছেন। এই ঘটনার পর সারদা দেবী দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণকে দেখতে আসার সিদ্ধান্ত নেন এবং পায়ে হেঁটে দক্ষিণেশ্বরে আসতে গিয়ে তিনি অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এবং কথিত আছে যে সেই সময়ে মা কালী রূপি ঘোর কৃষ্ণবর্ণা এক নারী দিব্যদর্শন দিয়ে তাঁকে সুস্থ করে তোলার আশ্বাস দেন।

সুপারস্টার দেব এর জীবনকাহিনী ~ Biography of Bengali Superstar Dev aka Deepak Adhikari
দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে থাকাকালীন, While living at Dakshineswar Kali Temple
১৮৭২ সালে দক্ষিণেশ্বরে আসার পর সারদা দেবী তার সকল সন্দেহের অবসান ঘটিয়ে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে , শ্রীরামকৃষ্ণ প্রকৃতই এক মহান আধ্যাত্মিক গুরু। ১৮৮৫ সাল অবধি সারদা দেবী দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে নহবতের একতলার একটি ছোটো ঘরে বাস করেছিলেন।
এই সময় শ্রীরামকৃষ্ণ ষোড়শী পূজার আয়োজন করেন এবং তাঁর পত্নী সারদাদেবীকে কালীর আসনে বসিয়ে পুষ্প ও উপাচার সহযোগ পূজা করেন কারণ শ্রী রামকৃষ্ণ মনে করতেন অন্য সব নারীর মতন তাঁর স্ত্রী সারদামণি ও দেবীর অবতার এবং এই কারণ বশত তাঁদের দাম্পত্য জীবনেও ছিল এক শুদ্ধ আধ্যাত্মিকতা । শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর স্ত্রীকে সম্মানের একটি উচ্চাসনে বসিয়েছিলেন। সারদা দেবীকেই মনে করা হয় তার প্রথম শিষ্য।শ্রীরামকৃষ্ণ সারদা দেবীকে আধ্যাত্মিক জীবনযাপনের প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী ও শিক্ষা দান করেন। তিনি তাকে মন্ত্রশিক্ষা সহ মানুষকে দীক্ষিত করে আধ্যাত্মিক পথে সঠিক ভাবে পরিচালিত করতে পারার শিক্ষাও প্রদান করেছিলেন। জীবনের অন্তিম লগ্নে যখন শ্রীরামকৃষ্ণ গলার ক্যানসারে আক্রান্ত তখন সারদা দেবীই স্বামীর সেবা এবং তাঁর শিষ্যদের জন্য রন্ধনকার্যে নিজেকে নিযুক্ত করেছিলেন ।
কথিত আছে, ১৮৮৬ সালে শ্রীরামকৃষ্ণের তিরোধানের পর বৈধব্যের বেশে সারদা দেবী ,স্বামীর দিব্যদর্শন লাভ করেছিলেন যেখানে শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁকে আশ্বাসের বাণী শুনিয়ে বলেছিলেন যে তিনি মারা যাননি, কেবল এক ঘর থেকে আর এক ঘরে স্থানান্তরিত হয়েছেন। পরবর্তীকালে শ্রীরামকৃষ্ণের মৃত্যুর পর শ্রীরামকৃষ্ণ কর্তৃক অঙ্কুরিত ধর্ম আন্দোলনে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন স্ত্রী সারদা দেবী।

তীর্থযাত্রা, Pilgrimage
শ্রীরামকৃষ্ণের মহাপ্রয়াণের দুই সপ্তাহ পর তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে নিয়ে সারদা দেবী উত্তর ভারতে তীর্থ পর্যটনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন।অযোধ্যা,কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির, ও কৃষ্ণের লীলাক্ষেত্র বৃন্দাবন দর্শন করেন তারা। কথিত আছে, এই বৃন্দাবনেই সারদা দেবী নির্বিকল্প সমাধি লাভ করেছিলেন এবং এই বৃন্দাবন থেকেই গুরুমাতা রূপে তাঁর আধ্যাত্মিক নবজীবনের সূত্রপাত ঘটে থাকে। সেই সময় শ্রীরামকৃষ্ণের শিষ্যদের তিনি মন্ত্রদীক্ষা দান করেছিলেন। এই সময় কাল থেকেই শ্রীশ্রীমা রূপে তার স্বত্ত্বার শুভ সূচনা ঘটে। তাঁর মধ্যে যে ঐশ্বরিক আধ্যাত্মিক স্বত্ত্বা টি ছিল তার কারণে যাঁরাই সান্নিধ্যে এসেছিলেন তাঁরাই মা সারদা মাতৃসুলভ গুণটি আবিষ্কৃত করতে পারতেন।

দয়ার প্রতিভু ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবনী – Ishwar Chandra Vidyasagar Biography in Bengali
কলকাতায় থাকাকালীন, In Kolkata
তীর্থযাত্রার শেষে সারদা দেবী একাকি কিছু মাস বহু দুঃখ কষ্টের মধ্যে কামারপুকুরে অতিবাহিত করেছিলেন। ১৮৮৮ সালে শ্রীরামকৃষ্ণ শীষ্যরা মা সারদাকে কলকাতায় নিয়ে এসে থাকার বন্দোবস্ত করে দেন এবং পরবর্তীকালে কলকাতার বাগবাজারে তাঁর জন্য স্থায়ী বাসভবন ও নির্মাণ করানো হয় যা ‘মায়ের বাটী’ নামে পরিচিত যেই স্থানে সারদা দেবী তাঁর জীবনের দীর্ঘতম সময় পার করেছিলেন। প্রতিদিন অগণিত ভক্ত এই বাড়িতে মায়ের দর্শন, উপদেশ ও দীক্ষালাভের উদ্দেশ্যে জমায়েত হতেন। তাঁর মাতৃসুলভ ব্যবহার সকলের মনে এক পরম শান্তি জোগাত।শিষ্য ও ভক্তদের তিনি মনে করতেন নিজের আধ্যাত্মিক সন্তান।

মা সারদা ও শ্রীরামকৃষ্ণ আন্দোলন, Maa saroda and Shri Ramkrishna Andolan
মা সারদা রামকৃষ্ণ সংঘে ও ভক্তসমাজে সর্বাধিক শ্রদ্ধার আসনে উপনীত হয়েছিলেন । শ্রীরামকৃষ্ণের নির্দেশ অনুসারে মা সারদা রামকৃষ্ণ আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। কথিত আছে যে কয়েকজন শিষ্য মায়ের দর্শন লাভের পর আধ্যাত্মিক অনুভূতি প্রাপ্ত হয়েছিলেন অবার কেউ কেউ তার সাক্ষাৎ দর্শনের আগেই দেবী রূপে তার দর্শন প্রাপ্তি করেছিলেন। আবার কেউ কেউ স্বপ্নে তাঁর থেকে দীক্ষা ও লাভ করেছেন বলে কথিত আছে যার মধ্যে অন্যতম ছিলেন মহান নাট্যব্যক্তিত্ব গিরিশ চন্দ্র ঘোষ।

শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনী ও সৃষ্টিসমূহ – Biography and Works of Sharadindu Bandyopadhyay
জীবনের অন্তিম লগ্ন, Last days
১৯১৯ খ্রীস্টাব্দে জানুয়ারি মাসে মা সারদা জয়রামবাটীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন যেখানে তিনি এক বছর কাটান। জয়রামবাটীতে অবস্থানরত শেষ তিন মাস মায়ের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে এবং ১৯২০ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। পরবর্তী পাঁচ মাস তিনি রোগযন্ত্রণায় অত্যন্ত কষ্টসহকারে জীবন অতিবাহিত করেন । ১৯২০ সালের ২০ জুলাই রাত দেড়টায় কলকাতার উদ্বোধন ভবনে মাতৃ প্রতীম এই মহীয়সী রমণীর মহাপ্রয়াণ ঘটে। বেলুড় মঠে গঙ্গার তীরে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।এই স্থানটিতেই বর্তমানে গড়ে উঠেছে ঐতিহ্যমণ্ডিত শ্রীমা সারদা দেবীর সমাধিমন্দির।
উপসংহার, Conclusion
শ্রীশ্রী মা ছিলেন সকলের মা ;এই বিশ্বজগতের মা। স্বামী বিবেকানন্দ সারদা দেবীকে ,জীবন্ত দুর্গা বলে অভিহিত করেছিলেন ।রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সন্ন্যাসীরা তাঁকে ‘সংঘ জননী’ বলে জানতেন। কুসংস্কার ও শিক্ষার অভাবে বিভ্রান্ত ভারতের সাধারণ মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও চেতনা ফিরিয়ে আনার কাজে যখন স্বামী বিবেকানন্দ আসমুদ্রহিমাচল পদব্রজে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন তখন সারদা দেবী ছিলেন তাঁর একমাত্র প্রেরণা । যেভাবে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ভক্তমণ্ডলী তাঁকে মাতৃজ্ঞানে পূজা করতেন ঠিক তেমনিভাবে সারদা দেবী ও মমতাময়ী বিশ্বজননীর মতন সকলের দেখাশোনা করতেন , সকলের মঙ্গল কামনা করতেন। তাঁর কাছে জাতপাতের কোনো ভেদাভেদ ছিল না। মায়ের যেমন কোনও বিকল্প হয় না তেমনি মাতৃসম শ্রী শ্রীমায়ের কোনো তুলনা নেই এই ধরিত্রীতে।
- করুণাময়ী রাণী রাসমণির জীবনী, Biography of Rani Rashmoni in bengali
- যুগাবতার পরমপুরুষ শ্রীরামকৃষ্ণের জীবনী, Biography of Shri Ramakrishna Paramahamsa in Bengali
- বিশিষ্ট ধর্ম সংস্কারক কেশবচন্দ্র সেনের জীবনী, Biography of Keshab Chandra Sen in Bengali
- বিশ্ববন্দিত কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত’র জীবনী, Biography of Michael Madhusudan Dutta in Bengali
- আলোকচিত্রশিল্পী শহিদুল আলমের জীবনী, Biography of Shahidul Alam in Bengali

Frequently asked questions:
সারদা দেবী কোন মহাপুরুষের ধর্ম পত্নী ছিলেন?
শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণের
মা সারদাকে তার ভক্তরা কী বলে অভিহিত করতেন ?
শ্রীশ্রীমা
কত বছর বয়সে সারদা দেবীর বিবাহ হয় ?
মাত্র পাঁচ বছর বয়সে।
কত সালে শ্রীরামকৃষ্ণের তিরোধান হয় ?
১৮৮৮ সালে
কত সালে এবং কোথায় সারদা দেবীর মহাপ্রয়াণ ঘটে?
১৯২০ সালের ২০ জুলাই রাত দেড়টায় কলকাতার উদ্বোধন ভবনে মাতৃ প্রতীম এই মহীয়সী রমণীর মহাপ্রয়াণ ঘটে।
