যে কোনও রচনার ক্ষেত্রে ভূমিকার যেমন গুরুত্ব থাকে ,তেমনই একটি বাড়ির জন্য তার অনুকূল নামকরণ একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ । একটি শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তার নাম রাখার মতো, আপনার প্রিয় বাড়িটির জন্য উপযুক্ত নাম অনুসন্ধান করাও সমান ভাবে প্রয়োজনীয়। কারণ সেই নামটি ই আজীবন আপনার বাড়ির ঠিকানার সাথে যুক্ত থাকবে এবং বাড়ির নামের ফলকেই ধরা দেবে গৃহকর্তা বা কর্ত্রীর রুচির পরিচয়।
বাসস্থানের নামকরণ এবং তার অর্থ ~ Bengali Home Name Ideas and their Meanings
একটি শুভলক্ষ্মণ যুক্ত বাড়ির নাম অবশ্যই প্রসন্নতা এবং ভাগ্য বয়ে আনে সুখী জীবনযাপনের জন্য যা বাড়ির বাসিন্দাদের জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়। তেমনই কিছু পছন্দসই বাড়ির নাম নিচে উল্লিখিত হল :
১.শান্তনীড়– নীড় অর্থাৎ বাসস্থান; আর যে বাসস্থানে শান্তি বিরাজ করে তাই হল ‘শান্তনীড়’ ।মঙ্গলদায়ক এই নামটি সুখে ও শান্তিতে গৃহস্তদের বসবাসের ইঙ্গিত বহন করে।
২.একান্ত আপন– “একান্ত আপন’ এই নামটি নিজস্বতা ও আন্তরিকতার ইঙ্গিত বহন করে। তাই যে গৃহে আন্তরিকতা ও ভালোবাসার ছোঁয়া থাকে সেই বাড়ি বড়ই নিজের হয়ে ওঠে ।
৩.স্বপ্নপুরী – আমাদের কল্পনার স্বপ্নপুরী সততই সুখের হয়; যেখানে থাকে শুধুই নির্মল আনন্দ। প্রত্যেক মানুষই চায় এমন একটা বাড়ি যেখানে শুধুই আনন্দ বিরাজ করবে ,পরিজনদের মধ্যে থাকবে না কোনো হিংসা, রাগারাগি ও দুঃখ । ‘স্বপ্নপুরী’ নামটি তারই ইঙ্গিত বাহক।
৪.আনন্দধাম – আনন্দ ধাম অর্থাৎ সুখের বাড়ি ।
যেই বাড়িতে শুধু আনন্দই বিরাজ করে সেই বাড়ির যথার্থ নাম, ‘আনন্দধাম’। সুখ ও সমৃদ্ধি হেতু বজায় রাখার উদ্দেশ্যে তাই অনেকে তাদের বাড়ির নাম ,’আনন্দধাম’ দিয়ে থাকেন।
৫. সুমঙ্গল – নামটির অর্থ সফল বা বিজয়ী । মঙ্গলদায়ী এই নামটি একটি বাড়ির পরিবেশকে আরও শুভ এবং সুখপ্রদ করে তোলে।
৬. অক্ষয় নিবাস/ অক্ষয় ধাম – ক্ষয় নেই যার, যা মৃত্যুহীন ও অবিনশ্বর তাকেই আমরা অক্ষয় বলে থাকি। প্রত্যেক মানুষই চায় এমন এক গৃহ যার কখনো ক্ষতি হবে না; বিভিন্ন ঝড়ঝাপটা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যেও সেটি অনমনীয় থাকবে। কল্যাণপ্রদ এই নামটি একটি বাড়ির পক্ষে খুবই শুভ।
৭. মায়াজাল/ মায়া কুঞ্জ – একটি বাড়ি তখনই গৃহ হয়ে ওঠে যখন সেখানে থাকে মায়ার বাঁধন ও ভালোবাসা। ‘মায়াজাল’ বা ‘মায়া কুঞ্জ’ নামটি তারই প্রতীক। মায়ার বন্ধন দিয়ে প্রত্যেকটি পরিজনদের একত্রে বেঁধে রাখার অঙ্গীকার স্বরূপ কাজ করবে এই নামটি ।
৮.আমার ভুবন – প্রত্যেকটি মানুষের সংসার এবং পরিবারই তাঁর নিজস্ব পৃথিবী। তাই যেই গৃহে তাঁর নিজের পরিজন এবং পরিবার থাকে সেটাই তার ভুবন,নিজের জগৎ ।
৯.আস্থা – আস্থা কথাটির আক্ষরিক অর্থ বিশ্বাস বা ভরসা । একটি বাড়ি ,বসবাসকারী সদস্য এবং পরিজনদের ভরসা ও বিশ্বাসের ভিত দিয়েই গড়ে ওঠে। সে ক্ষেত্রেই ‘আস্থা’ নামটি একেবারে উপযুক্ত।
১০.আশ্রয় -প্রত্যেক মানুষের নিজের বাড়ি হলো সর্বশ্রেষ্ঠ ও নিরাপদ আশ্রয় যেখানে কারোর মুখাপেক্ষী হতে হয় না। ‘আশ্রয়’ নামটি এ ক্ষেত্রে যথোপযুক্ত।
১১.গোকুল -ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও বলরামের লীলাক্ষেত্র হল গোকুল যেখানে শুধু আনন্দ বিরাজ করে। পবিত্র এই স্থানের নাম অনুযায়ী বাড়ির নাম রাখলে সেই বাড়িও পূণ্য লাভ করে বলে ধারণা করা হয়।
১২.পদ্মালয়া– হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে পদ্মফুল যে নারীর আলয়, এই অর্থে মা লক্ষ্মী। মা লক্ষ্মী যে বাড়িতে বসবাস করেন স্বাভাবিকভাবে সেই বাড়ি সুখ সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে। সেই অর্থে ‘পদ্মালয়া’ নামটি খুবই মঙ্গলজনক।
১৩.জলসা – জলসা একপ্রকার আনন্দ সম্মিলন। এক পরিবারে যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করা যায় সেই অর্থে এই নামটি একটি একান্নবর্তী পরিবারের গৃহের জন্য যথোপযুক্ত।
১৪.সংকল্প -সংকল্প অর্থাৎ প্রতিজ্ঞা ; আর সেই প্রতিজ্ঞা হল ভালো থাকার ও ভালো রাখার। বাড়ির নাম সংকল্প রাখলে আর বাড়ির প্রত্যেক সদস্য যদি সেই প্রতিজ্ঞা মেনে চলে তাহলে বাড়িটি একটি সুন্দর বাসভবনে পরিণত হবে।
১৫.সুশ্চম -‘সুশ্চম’ শব্দটির অর্থ হলো সুন্দরতম । প্রত্যেক গৃহকর্তা বা গৃহকর্ত্রীর কাছে তাদের বাড়ি সবার থেকে সুন্দর। সেই অর্থেই নামটি বেশ উপযুক্ত।
মন ছুঁয়ে যাওয়া বাংলা ঘরের নাম ~ Beautiful Meaningful House Names in Bengali
- ১৬.তিলোত্তমা -তিল তিল করে যা তৈরী করা হয়, তাই তিলোত্তমা। নিজের স্বপ্নের আবাস কে নিয়ে সকলে এটাই আশা করে যে শ্রেষ্ঠত্বের বিচারে সেটি হবে একটি সর্বোত্কৃষ্ট বাসস্থান। আর সেই ক্ষেত্রে বাড়ীর নাম রাখা যেতে পারে “তিলোত্তমা”।
- ১৭.শান্তিনিবাস- যে বাড়িতে শান্তি বিচরণ করে তাই শান্তিনিবাস। আর প্রত্যেক আবাসিক চায় এমন একটা বাসস্থান যেখানে অশান্তির রেশমাত্র থাকবে না আর সেই ক্ষেত্রে ‘শান্তিনিবাস’ নামটি বেশ মানানসই।
- ১৮.কল্পতরু – কল্পতরু কথাটির অর্থ হল ইন্দ্রলোকের সর্বকামনা পূরণকারী দেবতরু অর্থাত্ অত্যন্ত উদার ও বদান্য কোন ব্যক্তি যিনি সহজেই অন্যের ইচ্ছাপূরণ করে থাকেন। আমাদের অনেক অপূর্ণ ইচ্ছা আমরা বাড়ি থেকে পূরণ করতে সক্ষম হই অার সেই অর্থে এই মঙ্গলময় নামটি যথাযোগ্য ।
- ১৯.অভিনন্দন – অভিনন্দন অর্থাৎ অভ্যর্থনা যা আমরা প্রায়শই করে থাকি যখন বাড়িতে অতিথি সমাগম হয়।সেই অর্থে বাড়ির ফলকে এই নামটি থাকলে একটি সদর্থক দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ পায় ।
- ২০.অভীপ্সা- ‘অভীপ্সা ‘কথাটির অর্থ হল পাওয়ার ইচ্ছা বা একান্ত আকাঙ্খা। গৃহকর্তার হয়তো বহুদিনের ইচ্ছার ফসল এই বাসস্থানটি যেখানে তাঁর সকল আশা ও আকাঙ্ক্ষা পুঞ্জীভূত হয়ে আছে। এটি এক আবেগ মাখানো নাম।
- ২১.দীপশিখা- প্রদীপের শিখা যেরকম সকল অন্ধকার মুছে দিয়ে আলোকিত করে তোলে সেই স্থানটিকে ঠিক তেমনি একটি শান্তিপূর্ণ বাসস্থান ও সবার মনকে খুশির আলোয় আলোকিত করবে সেই আশায় ‘দীপশিখা’ নামটি একটি বাড়ির পক্ষে বেশ উপযুক্ত নাম।
- ২২.স্বস্তি – সারাদিনের কাজের পর যখন একটি মানুষ তার বাড়িতে ফেরে এবং বিশ্রাম নেয় তখন সে যে স্বস্তি পায় তার কোনো তুলনা হয় না । অতএব একটি মানুষের বাড়িই তাকে সর্বোত্তম স্বস্তি ও সুখ দিতে পারে ।সেই অর্থে এই নামটি খুব উপযোগী।
- ২৩.গুরুকৃপা – গুরুই হল প্রত্যেক মানুষের জীবনের পথপ্রদর্শক; আর তাঁর কৃপায় প্রাপ্ত বাসস্থান বা যে কোনো মূল্যবান জিনিস তাঁর নামানুসারে হলে সেটি অমূল্য হয়ে যায়।
- ২৪.উপাসনা -উপাসনার অর্থ হল পূজা । যে বাড়িতে শান্তি বিরাজ করে সেখানেই ভগবানের নিবাস। সেই অর্থে ‘উপাসনা ‘নামটি একটি বাসস্থানকে একটি অনন্য মাত্রা দিয়ে থাকে ।
- ২৫. ওঙ্কার- এটি হল হিন্দু দর্শনের সর্বোচ্চ ঈশ্বর ব্রহ্মের বাচক যা প্রতিটি সম্প্রদায় ও উপসম্প্রদায়ের নিকটেই পবিত্র বলে গণ্য হয়। বাসস্থানের ক্ষেত্রে এই নামটি একটি অত্যন্ত সদর্থক ও মঙ্গলময় বার্তার ইঙ্গিত বহন করে।
- ২৬.মধুবন – এর প্রকৃত অর্থ হল বৃন্দাবনের একটি বন বা প্রমোদ কানন; মথুরার অন্তর্গত বনবিশেষ। ভালোবাসা এবং আন্তরিকতায় পূর্ণ বাসস্থান একটি প্রমোদকাননের থেকে কম নয়। নামটি একটি আধ্যাত্মিক ও সদর্থক ইঙ্গিত বহন করে।
- ২৭.অমরদ্বীপ- যেই দ্বীপের আলো কখনো নেভে না তাই হল অমরদ্বীপ। ভালোবাসার আলো যেই বাড়িতে সর্বত্র বিরাজমান সেই বাড়ির নাম ‘অমরদ্বীপ’ হলে যথার্থ হবে ।
- ২৮.নীলকণ্ঠ – ভগবান শিবের অপর নাম নীলকণ্ঠ। যাঁরা শিব ঠাকুরের পরম ভক্ত তাঁদের পক্ষে নীলকণ্ঠ নামটি তাঁদের বাসস্থানের জন্য একটি সদর্থক ইঙ্গিত বহন করে।
- ২৯.বিনায়ক – সিদ্ধিদাতা গণেশের অপর নাম হল বিনায়ক ।যেকোনো পূজার সূত্রপাত গণেশ ঠাকুরকে বাদ দিয়ে করা যায় না। তাই বিনায়ক নামটি যেকোনো বাসস্থানের ক্ষেত্রে একটি অতীব শুভ নাম।
- ৩০.ছায়াবীথি – তপ্ত রৌদ্রে আমরা যেরকম ছায়ার অনুসন্ধান করি তেমনি এটি প্রকৃত বাসস্থান আমাদের আশ্রয় ও ভালোবাসার ছায়া প্রদান করে। ‘ছায়াবীথি’ নামটি তারই ইঙ্গিত বাহক যা শীতলতার পরশ দেয়।
- ৩১.সুখ সাগর- সুখের সাগর আমরা কখনো দেখিনি তবে অনুভব করতে পারি।একটি বাসস্থান যদি ভালোবাসা ও আন্তরিকতায় পূর্ণ থাকে তাহলে সেই সংসারটি এক সুখের সাগরের রূপ নেয়।
বাড়ির সাহিত্যিক নাম এর আইডিয়া ~ Bengali Home Name Ideas from Famous Literature
- ৩২.আমার গেহ – গেহ কথাটির অর্থ হল বাড়ি। বহু সাধ করে গৃহকর্তা যে বাড়িটি তৈরি করেছে সেটির নাম ,’আমার গেহ ‘ তো হতেই পারে।
- ৩৩.আমার কুটির- প্রত্যেক মানুষের স্বপ্ন বাস্তবে রং নেয় যখন সে তার নিজের মনের মতো একটি বাসস্থান নির্মাণ করতে পারে যেটি তার একান্ত নিজের । ‘আমার কুটির’ নামটি এক্ষেত্রে স্বার্থক।
- ৩৪.স্বপ্ননীড়- প্রত্যেক মানুষই স্বপ্ন দেখে যে তার নিজের একটি সুন্দর বাসস্থান হবে আর সেই স্বপ্ন যখন বাস্তবে রূপায়িত হয় তখন তার আনন্দের সীমা থাকে না । ‘স্বপ্ননীড়’ নামটি সেই ভালোলাগার বহিঃপ্রকাশ।
- ৩৫.মায়ের আশীর্বাদ – মার সম্মানার্থে বা ভালোবাসা প্রকাশ হেতু অনেকেই নিজের বাসস্থানের নাম মা কে উৎসর্গ করে রেখে থাকে। সেরকমই একটি নাম ,’মায়ের আশীর্বাদ।
- ৩৬.শুকতারা – শুকতারা কথাটির আক্ষরিক অর্থ হলো সন্ধ্যা বা প্রভাতী তারা, শুক্রগ্রহ। অন্ধকার আকাশে জাজ্বল্যমান এই তারাটি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। একটি বাসস্থানের সৌন্দর্য বর্ণনার ক্ষেত্রে এই নামটি যথোপযুক্ত যা সকলের থেকে স্বতন্ত্র।
- ৩৭.সোনার তরী – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের, ‘সোনার তরী’ কবিতা থেকে এ নামটি নেওয়া হয়েছে । এইরূপ নামের বাসস্থান একটি কাব্যিক ইঙ্গিত বহন করে ।
- ৩৮.বৈকুণ্ঠ ধাম – বিষ্ণুর ধাম ও অধিষ্ঠান ভূমি অর্থাৎ গোলক কে আমরা বৈকুণ্ঠ ধাম বলে থাকি। সেরকমই একটি সর্ব সুখময় বাসস্থানের নাম ‘বৈকুণ্ঠধাম ‘ রাখা যেতে পারে।
- ৩৯. নীপবন – কদম ফুল বা কদম গাছ বেষ্টিত স্থানকে আমরা নীপবন বলে থাকি যা অতীব মনোমুগ্ধকর।যে বাসস্থান সুভাষিত এবং মনোমুগ্ধকর পরিবেশে বেষ্টিত থাকে সেই বাসস্থানের নাম ‘নীপবন’ , একটি আদর্শ নাম হিসেবে রাখা যেতে পারে।
- ৪০.দেব নিবাস- ঈশ্বরের বাসস্থান বোঝাতে, ‘দেব নিবাস’ নামটি অনেকে তাদের বাসস্থানের নাম হিসেবে রাখেন ।নামটি অতীব মঙ্গলজনক এবং এটি শুভ সংকেত বহন করে।
- ৪১.ভালবাসা- এ ক্ষেত্রেও ভালোবাসা কথাটি দুটি অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে । একটি ভালোবাসার অর্থ হলো প্রীতি ও প্রেম আর অন্যদিকে আরেকটি ভালোবাসা অর্থ ভালো -বাসা অর্থাৎ একটি সুন্দর বাসস্থান।
- ৪২. স্তুতি -শ্রুতি অর্থাৎ ভগবানের উদ্দেশ্যে পূজা অর্চনা। বাসস্থানের ফলকে ‘স্তুতি’ নামটি একটি দৈবিক শক্তির ইঙ্গিত বাহক যা বাসস্থান টি কে একটি আধ্যাত্মিক রূপ প্রদান করে।
- ৪৩.প্রাপ্তি – একটি সুন্দর গৃহ প্রত্যেক গৃহকর্তার কাছে আশীর্বাদস্বরূপ প্রাপ্তি। সেই অর্থে নামটি যথার্থ ।
- ৪৪.আনন্দ নিকেতন – যেই বাসস্থানে কেবলমাত্র আনন্দ বিরাজ করে সেই অনুযায়ী সেই বাড়িটির নাম ‘আনন্দনিকেতন’ হলে যথার্থ ।
- ৪৫.আশা কুঞ্জ – একটি গৃহ বা বাসস্থান পরিপূর্ণতা পায় আশা ,ভরসা এবং বিশ্বাস দিয়ে। আশা কুঞ্জ নামটি সেই বিশেষ গুণগুলিই বার্তাবাহক।
- ৪৬. ইচ্ছেডানা – একটি গৃহে বসবাসকারী ব্যক্তি তাঁর নিজের ইচ্ছেমতো কর্ম করতে পারে কারও মুখাপেক্ষী না হয় ।সেই হিসেবে ‘ইচ্ছেডানা’ নামটি যথার্থ ।
- ৪৭. প্রেমকুঞ্জ- একটি বাসস্থান ভালোবাসা ও প্রেম দিয়ে সকলকে একসূত্রে বেঁধে রাখে। সেই বাসস্থানের নাম ‘প্রেমকুঞ্জ’ হওয়া একেবারে সঠিক ।
- ৪৮.দেবাঙ্গন – ‘অঙ্গন ‘কথাটির অর্থ হলো আঙিনা; আর যেই আঙিনায় ঈশ্বর বিরাজ করে সে তো স্বর্গ সমান । সেই উদ্দেশ্য নিয়ে বাসস্থানের নাম ‘দেবাঙ্গন’ রাখা যেতেই পারে।
- ৪৯.মঙ্গলদ্বীপ- মঙ্গল সাধনা হেতু যে দ্বীপ প্রজ্জ্বলিত হয়ে থাকে তাকেই আমরা মঙ্গলদ্বীপ বলি এবং গৃহের সার্বিক মঙ্গল কামনার্থে গৃহকর্তা বাসস্থানটির নাম ‘মঙ্গলদ্বীপ’ রাখলে তা সুখপ্রদ হবে।
- ৫০.কলতান- কলতান কথাটির অর্থ মধুর সুর বা ধ্বনি; আর এই মধুর ধ্বনি যাতে গোটা বাড়িতে ছেয়ে থাকে সেই উদ্দেশ্য ও চাহিদাতে অনেকে বাসস্থানের নাম ‘কলতান ‘ রেখে থাকেন।
- ৫১.পাঞ্চজন্য- পাঞ্চজন্য হলো হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর শঙ্খ যা কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনের রথে অধিষ্ঠান রত অবস্থায় বাজিয়েছিলেন । শঙ্খটির ধ্বনি অত্যন্ত মঙ্গলসূচক হিসেবে মান্য করা হয় । বাসস্থানের নামকরণ হিসেবে ‘পাঞ্চজন্য’ নামটি একটি অতি মঙ্গলময় সংকেতের ইঙ্গিত বহন করে।
একটি গৃহ তখনই বাসস্থান হয়ে ওঠে যখন সেখানে প্রেম প্রীতি ভালোবাসা বিশ্বাস বিরাজ করে । তাই সুন্দর নামের সাথে সাথে সুন্দর মানসিকতা নিয়ে একত্রে বসবাস করলে বাসস্থানটি প্রকৃতপক্ষে সর্বাঙ্গ সুন্দর হয়ে উঠবে ।