পরিপক্বতা বা ম্যাচিওরিটি কোনো ব্যক্তির আচার-আচরণ ও তার চিন্তা এবং চেতনাকে নির্দেশ করে। এটি সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে,ব্যক্তিটির কিছু গুণের সমষ্টির উপর। ম্যাচিউরিটি এমন একটা বিশেষ গুণ যা নিজে নিজে নিজে তৈরি হয় অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করার সাথেসাথে আর যার মধ্যে এই সূক্ষ্ম বোধটি জন্মায় না তাঁর যতই বয়স বাড়ুক না ম্যাচিউরিটি কখনোই তার মধ্যে আসে না । নিম্নে উল্লেখিত হলো ম্যাচিউরিটি নিয়ে কিছু মনোগ্রাহী উক্তি:

ম্যাচিওরিটি সম্পর্কে কিছু উক্তি | Bengali Quotes on Maturity
- অন্যকে পরিবর্তন করার চিন্তা বাদ দিয়ে নিজের প্রতি দৃষ্টি রেখে বাস্তব্ধর্মী সিদ্বান্ত গ্রহণ করার মাধ্যমে নিজের উন্নতি সাধন করা এবং পাশাপাশি সকলের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলাটাই হল প্রকৃত অর্থে ম্যাচুরিটি..
- নিজের স্বপ্নগুলো মেরে ফেলে পরিস্থিতিকে মুখ বুজে সহ্য করাই বোধ হয় ম্যাচুরিটি। কিছু মানুষের কাছে এটাই কঠিন বাস্তব।
- নেতিবাচক সবকিছুকে উপেক্ষা করে ‘ডোন্ট কেয়ার’ মুডে চলা,কে কি ভাবলো বা বলল ; সেগুলিকে গুরুত্ব না দিয়ে এগিয়ে চলাই হল পরিপক্কতা বা ম্যাচিউরিটি।
- জীবনে কে আসলো; কে গেলো তাতে অামল না দিয়ে কষ্ট না পাওয়াই হল প্রকৃত ম্যাচিউরিটি।
- দেহের নয়; মনের বয়স যখন বাড়ে তখনই আসে আসল ম্যাচিউরিটি, কষ্ট পেলে লুকিয়ে সিগারেটের ধোঁয়ায় কষ্টকে উড়ানো; সে তো দুঃখ বিলাসিতা; পরিপক্কতা নয় !!
- যেদিন সন্তানের চিন্তায় মায়ের ঘুম নষ্ট হবে না, বরং সেই সন্তানই চিন্তা করবে যে তার মা ঘুমিয়েছে কিনা; মা নিজের যত্ন নিচ্ছে কিনা; ম্যাচিউরিটি তখন থেকেই তৈরি হয়।
- খারাপ লাগলেও খুশি মনে তা মেনে নেওয়া; সামনের লোকটিকে বুঝতে না দেওয়া নিজের খারাপ লাগাটাকে…সেই সূক্ষ্ম চেতনা ই মানুষকে ম্যাচিওরড করে তোলে।
- ম্যাচিউরিটি বা পরিপক্বতা আসে অভিজ্ঞতা অর্জন করার সাথে সাথে; শুধুমাত্র বয়সের সাথে নয় ।
- ম্যাচিওরড তারাই হয় যারা নিজের বড়াই নিজে করে না।
- ক্ষমা করতে পারা হলো ম্যাচিউরড বা পরিপক্ব হওয়ার অন্যতম একটি শর্ত ।
- নিজের দুঃখের কথা রাষ্ট্র করে মানুষের কাছে সমবেদনা পাওয়ার মনোভাব একপ্রকার ছেলেমানুষি । যে দিন থেকে ব্যক্তি নিজের কষ্ট ,নিজের দুঃখকে নিজেই সামলাতে পারবে সেদিন থেকে সে ম্যাচুউরড !!
- ভালোবাসার মানুষকে সর্বদা আঁকড়ে ধরে থাকলেই ভালোবাসা বাড়ে না বরং তা সময়ের ফেরে একঘেয়ে হয়ে যায়! ম্যাচিওরিটি সেটাই যখন দুজন দুজনাকে প্রয়োজনীয় স্পেস দিতে পারে; ভালোবাসাকে আরও উপভোগ্য করে তোলে!!

- আমানত নিয়ে উক্তি, বাণী, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন, Best Quotes, Sayings, Status, Captions on Deposit in Bengali
- শখ বা শৌখিনতা নিয়ে উক্তি, বাণী, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন, Best Quotes and Captions on Hobby in Bengali
- পবিত্র কুরআনে বর্ণিত উপদেশ বাণী, Best words of advice mentioned in the Holy Quran in Bengali
- ‘তোমাকে’ নিয়ে লেখা সেরা উক্তি, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন, কবিতা, Best heartfelt quotes and sayings on You in Bengali
- মিলন নিয়ে উক্তি, বাণী, ক্যাপশন, Best quotes and meaningful captions on Union in Bengali
ম্যাচুরিটি নিয়ে হোয়াটস্যাপ স্টেটাস ~ Bangla Whatsapp Status about Matureness
- কেউ তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করছে; ক্ষতি করার চেষ্টা করছে .সে জন্য হঠাৎ করে রেগে না নিয়ে ; তার ওপর প্রতিশোধ স্পৃহা না জাগিয়ে হাসি মুখে এড়িয়ে যাওয়া এবং মাফ করার মনোভাব তোমার মধ্যে যে দিন তৈরি হবে সে দিন নিজেকে তুমি ম্যাচুউরড ~”জেনে রেখো”…
- ” না “বলতে শেখা, যেটা তোমার জন্য খারাপ, তোমার যা পছন্দ নয় তা
শুধু মানিয়ে না নিয়ে ,নিজেকে কষ্ট না দিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে নিজের বক্তব্যকে বলতে জানা টা ও ‘ম্যাচুউরিটি’।. - প্রত্যেকটি কাজের পর যে ব্যক্তি নিজেকে মূল্যায়ন করার ক্ষমতা রাখে ; এবং ভুল হলে তা শুধরে নিতে জানে সে -ই প্রকৃত পরিপক্ব ব্যক্তি ।
- প্রশংসা তো সবার ই প্রিয় ..ক’ জন পারে সমালোচনা শুনতে ? তিনি ই প্রকৃত ম্যাচিউরড ব্যক্তি যিনি নিজের সম্পর্কে সমালোচনার দ্বারা নিজেকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারেন ।
- দেহের বয়স বাড়ে প্রাকৃতিক নিয়মে; আর মনের বয়স সাড়ে অভিজ্ঞতার কারণে…অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ শিক্ষাপ্রাপ্ত করে যখন তার নিজের জীবনে প্রয়োগ করে সেটাই হলো আসল ম্যাচিউরিটি ।
- সংখ্যা, অর্থ, ক্ষমতার বিচারে হিসেব না করে আনুগত্যের দিক দিয়ে বন্ধুত্বের পরিমাপ যেদিন তুমি করতে পারে সেদিন তুমি প্রকৃত ই একজন ম্যাচিওরড ব্যক্তি হিসেবে সাব্যস্ত হবে।
- যখন তুমি বুঝবে, সব ভালোই তোমার জন্যে ভালো নয়।
যখনি তুমি, মানুষের ভিতর ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য খুজে পাওয়া শুরু করবে ,
অন্যকে বিচার করার আগে নিজেকে বিচার করবে,
কথা কম বলে, আদর্শ শ্রোতা হবে,
সব পরিস্থিতিতে নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে,
সেদিন থেকেই জেনো তুমি পরিপক্ব ও তোমার মধ্যে এসেছে যথার্থ ম্যাচিউরিটি। - যখনি বুঝবেন, আবেগী নয়, বাস্তববাদী হতে হয়।
বিশ্বাস করবেন ভাগ্যে নয়, পরিশ্রমই সফলতার আসল রহস্য।
যেদিন বুঝবেন , আপনি কারোর প্রিয়জন নাকি প্রয়োজন।
সেদিনই জানবেন আপনি ম্যাচিউরড একজন !!! - বুদ্ধিমান ও ম্যাচিওরড ব্যক্তি তারাই হয় যারা বোঝে সম্মান পেতে হলে, আগে সম্মান দিতে হয়।
- সে বুঝেছিল আঘাতে নয়,ক্ষমায় লুকিয়ে থাকে সর্বশ্রেষ্ঠ শাস্তি;
বিশ্বাস করেছিল ভাগ্যে নয়, পরিশ্রমই সফলতার আসল রহস্য।
সে জীবনে করেছিল অনেক ভুল আর সেই ভুল থেকেই সে শিখেছে আর করেছে সংশোধন …
এখন সে এক ম্যাচিওরড পার্সন; সবার
প্রিয়জন । - যখন ই নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করা বন্ধ করবেন, অন্যকে পরিবর্তন করার আগে নিজেকে পরিবর্তন করতে সচেষ্ট হবেন ,
নিজের ধর্মকে অহেতুক তর্ক করে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করা অপেক্ষা গঠনমূলক সমালোচক হবেন ; যখন ই শিক্ষিত ও জ্ঞানী মানুষের মধ্যে আসল পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
কিছু ভুল করলে, তা অকপটে স্বীকার করতে পারবেন;জানবেন আপনি ম্যাচিউরড হয়ে গেছেন। - যখন কোনো ব্যক্তি “আমি সবসময় সঠিক , এই ধারণা বা মত পোষণ না করে নিজের ভুলগুলিকে সমালোচনা করে সেটিকে একান্তভাবে প্রতিহত করতে সচেষ্ট হন অথবা কারো বাহ্যিক অবস্থা দেখে বিচার না করে তার সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়ার পরেই তাকে বিচার করে ,তখনই বুঝে নিতে হবে তিনি ,’ ম্যাচিউরড”।
- মনে জন্ম নেওয়া বিপরীত চিন্তাভাবনা গুলোকে হাসিমুখে মেনে নেওয়ার নামই হলো ম্যাচিউরিটি বা পরিপক্কতা।

Bengali Captions and Lines on Maturity | ম্যাচুরিটি নিয়ে বাংলা ক্যাপশন ও লাইন
- ব্যক্তি যখন কথা বলার চেয়ে শোনাটাকে বেশি প্রাধান্য দেন, তখন সে নিশ্চিতভাবে একজন পরিপক্ব ব্যক্তি।
- নিজের ক্রিয়াকলাপের জন্য দায়বদ্ধ থাকা, কারো ভুলত্রুটি নিয়ে সংবেদনশীল হওয়া এবং অন্যের প্রতি মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করা হল ম্যাচিওরিটি ।
- যে ব্যক্তি সুষমভাবে পরিবর্তন এবং পরিস্থিতির সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে জানে, সেই ব্যক্তি ই হলেও প্রকৃত অর্থে পরিপক্ব বা ম্যাচিউরড।
- পরিপক্বতা বা ম্যাচিওরিটি বয়সের সাথে আসে না, জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে আসে এবং সেই অভিজ্ঞতা কতটা সদর্থকভাবে কাজে লাগতে সে পেরেছে সেটাই তার ম্যাচিউরিটির সঠিক মূল্যায়ন।
- ম্যাচিউরিটি বা পরিপক্বতার বয়সের সাথে কোন সরাসরি সম্পর্ক নেই। কোন ব্যাক্তি একটি নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে থাকে , পরিপক্কতার সম্পর্ক রয়েছে তারই সাথে।
- একজন ব্যক্তিকে তখনই আমরা ম্যাচিউরড বলি যখন সেই ব্যাক্তি যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে ধরে রাখতে পারেন এবং গুটিয়ে না গিয়ে তা থেকে বের হয়ে আসতে সক্ষম এবং তৎপর হন ।
- ম্যাচিওরিটি হল নিজের শক্তিকে যাচাই না করে তাকে অনুভব করা ; ম্যাচিওরিটি হ’ল নিজের ক্রিয়াকলাপের জন্য দায়বদ্ধ থাকা, কারো ভুলত্রুটি নিয়ে সংবেদনশীল হওয়া এবং অন্যের প্রতি মনোযোগী হওয়ার প্রচেষ্টা করা।
- মানুষ মাত্রই ভুল হয় আর সেই ভুল অকপটে স্বীকার করতে পারে যে ব্যক্তি সে ই প্রকৃত ম্যাচিউরড ব্যক্তি ।
- যে পরিমাণ একজন ব্যক্তি ব্যায় করেন তার অধিক পরিমাণে যেদিন সে সাশ্রয় করতে পারবে, তাহলে বুঝতে হবে সে পরিপক্ক হয়েছে।
- বয়স বাড়ার সাথে সাথে নিজের অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন যিনি আনতে সক্ষম হন তিনিই প্রকৃত ম্যাচিউরড ব্যক্তি ।
- আমরা সেই মানুষকেই ম্যাচিউরড বলে বিবেচনা করি যারা প্রতিশ্রুতি দিয়ে কঠিন বিপদের সম্মুখীন হয়েও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ কখনো করতে পারেন না।
- যে ব্যক্তি কারো বাহ্যিক অবস্থা দেখে, তাকে পরখ বা তাকে বিচার করার প্রচেষ্টা না করে তার সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে তাকে বিচার করার চেষ্টা করেন, সে প্রকৃত অর্থেই পরিপক্ক এবং ব্যক্তিত্ববান।
- ম্যাচিউরিটি পরিমাপের আরেকটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চাবিকাঠি হল ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা; যার এ ক্ষমতা যত বেশি সে তত বেশি পরিপক্ক ,কারণ ধৈর্য ধারণ না করে কেউ কোন কাজই সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারে না যা কিনা জ্ঞানের থেকে ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
- যিনি নিজেকে সঠিক ভাবে বিচার করতে পারেন,
ছোট এবং বড় নির্বিশেষে সবার সাথে উপযুক্ত ব্যবহার করতে পারেন,
নিজের কথা এবং কাজ দ্বারা অন্য কেউ কষ্ট পাচ্ছে কি না তা বিবেচনা করে চলতে পারেন;
~~এরূপ বৈশিষ্ট্য যার মধ্যে আছে সেই তো প্রকৃত অর্থে ম্যাচিউরড !! - যে মুহুর্তে কেউ নিজেকে মানিয়ে নিতে শিখে যায়, নিজের আবেগ কে নিজের বসে আনতে পারে, নিজে কেঁদে অন্যকে হাসানোর ক্ষমতা রাখতে পারে তখনই সে সঠিক অর্থে ম্যাচিউরড।

আমাদের চারপাশে তাকালে এমন কিছু ঘটনা প্রায়শই চোখে পড়ে যেখানে দু টি মানুষের মধ্যে ম্যাচিউরিটির অভাবের কারণে সম্পর্ক ভেঙ্গে যাচ্ছে যা কখনোই কাম্য নয় । আশা করি উপরের লেখাগুলো আপনাদের ম্যাচিউরিটি এবং তার গুরুত্ব সম্পর্কে আপনাদের মধ্যে একটি সম্যক ধারণা তৈরি করতে সাহায্য করেছে। মানুষের মধ্যে শুভবুদ্ধি জাগ্রত হোক; প্রত্যেকটি সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী থাকুক।
