অফিস জোকস, বস ও কর্মচারী নিয়ে জোকস, Bengali Office Jokes


বাঙালির জীবনে কর্মক্ষেত্রে হাসি মজার একটা আলাদা এ জায়গা রয়েছে. বস ও কর্মচারীর কথোপকথন অনেক সময় কৌতুক এর বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়ায়. আজ আমরা এরম এ কিছু তুমুল হাসির বাংলা অফিস জোকস নিয়ে এসেছি যেগুলো আপনাকে খুব হাসাবে.

বস ও কর্মচারী নিয়ে জোকস

  • এক অফিসের কর্মচারীরা সবাই পৌঁছে যান একদম ঠিক সময়ে।
    বসকে বললেন তাঁর এক বন্ধু, ‘তোমার কর্মচারীদের কী এমন জাদু করেছ যে তাঁরা এত সময়ানুবর্তী হয়ে গেল?’
    বস হাসতে হাসতে বললেন, ‘জাদু না হে, আমার অফিসে একটা চেয়ার কম। সবাই সময়মতো পৌঁছাতে চেষ্টা করে, যেন দাঁড়িয়ে থাকতে না হয়!’
  • মহাসড়ক ধরে ছুটে যাচ্ছিল দুটি গাড়ি। একটির চালক অফিসের বস, অন্যটি চালাচ্ছিলেন অফিসের এক কর্মচারী। চলতে চলতে বস একসময় চেষ্টা করছিলেন, কর্মচারীর গাড়িটি ওভারটেক করে সামনে চলে যেতে। কর্মচারী গাড়ির জানালা দিয়ে মাথা বের করে চিৎকার করে বললেন, ‘গরু!’
    শুনে রেগে আগুন হলেন বস! তিনিও জানালা দিয়ে মাথা বের করে ‘কত বড় সাহস! তুমি আমাকে গরু বললে? তুমি একটি ছাগল, গাধা, বেয়াদব…’ বলতে বলতেই রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি গরুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পাশের ধানখেতে ছিটকে পড়লেন!
    এ গল্প থেকে আমরা যা বুঝলাম: বসরা কখনোই কর্মচারীদের কথা আমলে নেন না!
  • অফিসের বস কর্মচারীদের বললেন, ‘আজ আমার মনটা বেশ ভালো। বলো, তোমাদের কী দাবিদাওয়া। আজ সব শুনব।’
    এক কর্মচারী বললেন, ‘স্যার, আমরা ছুটি খুবই কম পাই। ছুটি একটু বাড়িয়ে দেওয়া যায় না?’
    বস: কী রকম ছুটি চাও, বলো?
    কর্মচারী: ছয় মাসের ছুটি, বছরে দুবার!
  • এক অফিসের বস অত্যন্ত বদরাগী। কর্মচারীরা সবাই তার ভয়ে তটস্থ থাকে এবং প্রতিদিন সময়মতো অফিসে হাজির হয়। একদিন এক কর্মচারী এক ঘণ্টা পর অফিসে প্রবেশ করলেন। তাঁর কপালে ব্যান্ডেজ বাঁধা, জামাকাপড়ে ধুলোবালি।
    বস: কী ব্যাপার? আজ এত দেরি কেন?
    কর্মচারী: স্যার, আমি সময়মতোই অফিসে এসেছিলাম। কিন্তু অফিসের সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় হঠাৎ পা পিছলে পড়ে গেলাম।
    বস: এখন নিশ্চয়ই বলবেন, আপনি এক ঘণ্টা ধরে সিঁড়ি থেকে গড়িয়ে পড়ছিলেন?
  • বস বলছেন কর্মচারীকে, ‘আপনি কি মৃত্যুর পরের জনমে বিশ্বাস করেন?’
    কর্মচারী: জি স্যার।
    বস: হুমম্, করারই কথা। গতকাল আপনি মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীর কথা বলে অফিস থেকে ছুটি নেওয়ার পর আপনার মা অফিসে এসেছিলেন, আপনার সঙ্গে দেখা করতে!
  • হাবলু ও সঞ্জুর মধ্যে কথা হচ্ছে—
    সঞ্জু: কী রে, তুই অফিসে না গিয়ে এভাবে বসে আছিস কেন?
    হাবলু: আর বলিস না। বড় কর্তা অফিসে আসতে বারণ করে দিয়েছেন। বস আমার ওপর খুব খেপা।
    সঞ্জু: কেন?
    হাবলু: অফিসে কাজ করার সময় একটা মশা মেরেছিলাম, এ কারণে হবে হয়তো।
    সঞ্জু: শুধু একটা মশা মারার কারণে এই শাস্তি! তোর বড় কর্তা তো লোক ভালো না।
    হাবলু: আরে বোকা, রেগেছেন কী সাধে! মশাটা যে উনার গালের ওপর বসে ছিল।
  • বস-কর্মকর্তার মধ্যে কথা হচ্ছে—
    কর্মকর্তা: স্যার, এবার আমার বেতনটা একটু বাড়িয়ে দিলে ভালো হতো।
    বস: কেন?
    কর্মকর্তা: গত সপ্তাহে বিয়ে করেছি। তাই আগের বেতনে দুজনের চলাটা বেশ কষ্ট হবে, স্যার।
    বস: শুনুন, অফিসের বাইরের কোনো দুর্ঘটনার জন্য অফিস কোনোভাবেই দায়ী নয়। আর তার জন্য জরিমানা দিতেও অফিস রাজি নয়।
  • বড় কর্তার সেক্রেটারির সঙ্গে বড় কর্তার স্ত্রীর কথা হচ্ছে—
    সেক্রেটারি: ম্যাডাম, কয়েক দিন ধরে আপনাকে বেশ উদাস দেখা যাচ্ছে। কোনো সমস্যা হয়েছে নাকি!
    বড় কর্তার স্ত্রী: আর বোলো না। শুনেছি তোমার বস অফিসের এক নতুন কর্মচারীর প্রেমে পড়েছে।
    সেক্রেটারি: বলেন কী! এটা কিছুতেই হতে পারে না। স্যার কিছুতেই আমাকে ধোঁকা দিতে পারেন না।
  • প্রথম বন্ধু: আমার দাদা দৌড়ে চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। তির ছুড়ে দিলে সেটার আগে লক্ষ্যে পৌঁছে যেতেন।
    দ্বিতীয় বন্ধু: আমার দাদা আরও বড় দৌড়বিদ। গুলির পাশাপাশি ছুটতে পারতেন তিনি।
    তৃতীয় বন্ধু: আর আমার দাদা সরকারি চাকরি করতেন। অফিস ছুটি হতো পাঁচটায়, তিনি তিনটার সময়ই বাসায় চলে আসতেন রোজ।
  • অফিসে সিদ্দিক সাহেবের প্রথম দিন।
    বস: আমাদের অফিসে একটি ব্যাপারে আমরা খুবই গুরুত্ব দিই, তা হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। তুমি নিশ্চয়ই আমার ঘরে ঢোকার আগে পাপোশে জুতা মুছে ঢুকেছ?
    সিদ্দিক: অবশ্যই স্যার।
    বস: আরেকটি ব্যাপারে আমরা আরও বেশি কঠোর। তা হলো সততা। দরজার বাইরে কোনো পাপোশ নেই, ইডিয়ট!
  • কর্মচারী: স্যার, কালকে ছুটি চাই।
    বস: কেন?
    কর্মচারী: স্যার, কাল আমার বিবাহবার্ষিকী।
    বস: সে তো রাতে। কিন্তু সারাদিন ছুটি দিয়ে কী করবে?
    কর্মচারী: শোক-দিবস পালন করব!
  • চিঠি পোস্ট করতে পোস্ট অফিসে গেছে নিতু।
    কর্মকর্তা: চিঠিটা যদি দ্রুত পৌঁছাতে চান, খরচ পড়বে ৪০ টাকা। আর যদি স্বাভাবিক নিয়মেই পাঠাতে চান, তাহলে খরচ পড়বে ৫ টাকা।
    নিতু: সমস্যা নেই, আমার তেমন কোনো তাড়া নেই। প্রাপক তার জীবদ্দশায় চিঠিটা পেলেই হলো।
    কর্মকর্তা: তাহলে আপনাকে ৪০ টাকাই দিতে হবে!

অফিস নিয়ে জোকস

  • শাহীন গেছে পোস্ট অফিসে।
    শাহীন: আমি এই চিঠিটা পোস্ট করতে চাই।
    কর্মকর্তা: হুম। প্রাপকের ঠিকানা কী লিখব?
    শাহীন: জাতীয় জাদুঘর।
    কর্মকর্তা: কিছু মনে করবেন না, আপনি জাদুঘরে চিঠি পাঠাচ্ছেন কেন?
    শাহীন: কারণ, আমি শুনেছি আপনারা চিঠি পৌঁছাতে অনেক দেরি করেন। যত দিনে চিঠিটা পৌঁছবে, তত দিনে চিঠির নিশ্চয়ই একটা প্রত্নতাত্ত্বিক মূল্য তৈরি হবে।
  • বড় কর্তার সেদিন মেজাজ খুবই খারাপ। অফিসে ঢুকেই দেখলেন পিয়নটা হাতে কিছু কাগজ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
    বড় কর্তা: এই, কাজের কাজ তো কিছু করিস না। হাতে কী?
    পিয়ন: স্যার চিঠি।
    বড় কর্তা: কোন ছাগলের চিঠি?
    পিয়ন: স্যার আপনার।
    বড় কর্তা: কোন গাধা লিখেছে?
    পিয়ন: স্যার আপনার বাবা!
  • অফিসের নতুন বড়কর্তা কাজের ব্যাপারে খুব কড়া। কাউকে একবিন্দু ছাড় দেন না। চাকরির প্রথম সপ্তাহেই একদিন খেপে গেলেন তিনি। রেগেমেগে রুম থেকে বেরিয়েই এক লোককে পাকড়াও করলেন। অফিসের সবার সামনে চিৎকার করে বললেন, ‘সপ্তাহে কত টাকা মাইনে পাও তুমি, শুনি?’
    লোকটা ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বলল, ‘৩০০০ টাকা’।
    বড়কর্তা তাঁর মুখের ওপর ৩০০০ টাকা ছুড়ে দিয়ে বললেন, ‘এই নাও তোমার এ সপ্তাহের মাইনে, আর বেরিয়ে যাও।’
    লোকটা বেরিয়ে যাওয়ার পর বললেন বড়কর্তা, ‘প্রয়োজন হলে এভাবেই অফিসের প্রত্যেককে বের করে দেব আমি। যাই হোক, ওই লোকটা আমাদের অফিসে কী কাজ করে?’
    কর্মচারীদের একজন বলল, ‘স্যার, ও আমাদের এখানে পিৎজা ডেলিভারি দেয়!’
  • বসের সঙ্গে ফোনে কথা হচ্ছে কর্মচারীর।
    কর্মচারী: স্যার, আজকে আমার শরীরটা খুব খারাপ। আজ অফিসে আসতে পারব না।
    বস: শরীর খারাপ থাকলে আমি কী করি জানো? আমার প্রেমিকার সঙ্গে রিকশায় ঘুরে বেড়াই, বেশ ভালো লাগে। তুমিও চেষ্টা করে দেখতে পারো।
    কিছুক্ষণ পর বসকে ফোন করলেন কর্মচারী। বললেন, ‘স্যার, আপনার বুদ্ধিটা বেশ কাজে লেগেছে। রিকশায় ঘুরে খুব ভালো লাগছে। আপনার প্রেমিকাও বেশ স্মার্ট, রিকশা ভাড়াটা সেই দেবে বলেছে
  • এক অফিসের বস কেবল বিবাহিত লোকদেরই নিয়োগ দেন। একদিন তাঁর বউ তাঁকে জিজ্ঞেস করল, ‘তুমি কেবল বিবাহিতদেরই নিয়োগ দাও কেন?’
    স্বামী বললেন, ‘কারণ তারা সহজে বাসায় যেতে চায় না, ধমক সহ্য করে আর মুখ বন্ধ রাখতে জানে।’
  • দুই বন্ধুর দেখা হলো বহুদিন পর।
    প্রথম বন্ধু: শুনলাম তুই একটা ব্যবসা চালু করেছিস, কী সৌভাগ্য তোর!
    দ্বিতীয় বন্ধু: আরে না, খুবই ছোট আকারের ব্যবসা।
    প্রথম বন্ধু: তবু, তুই একটা অফিসের বস। তা তোর অধীনে অফিসে কতজন কাজ করে?
    দ্বিতীয় বন্ধু: মোট লোকের অর্ধেক।
  • একদিন দুপুরে বসের মুড বেশ ভালো। সে কর্মচারীদের একের পর এক কৌতুক শোনাচ্ছিল। কর্মচারীরাও হাসছিল হো হো করে। শুধু হাসছিলেন না এক মহিলা।
    বস বললেন, ‘কী ব্যাপার, তুমি হাসছ না কেন?’
    মহিলা: আমি কাল চাকরি ছেড়ে দিচ্ছি। আমার অত হাসাহাসি না করলেও চলবে।
  • এক ভদ্রলোক ঘুমের কারনে কখনোই সময় মতো অফিসে যেতে পারেন না। অফিসের বস একদিন তাকে ডেকে বলে দিলেন যদি কাল থেকে সময় মতো অফিসে আসতে না পারো তো আর অফিসে আসার দরকার নই।
    ভদ্রলোক খুব চিন্তিত হয়ে পরলেন কেননা তিনি তার ঘুমকে নিয়ন্ত্রন করতে পারেন না। তিনি তার এক বন্ধুকে সমস্যার কথা বললেন। তার বন্ধু তাকে বলল যে, ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমাতে কেননা ঘুমের ঔষধের একটি মেয়াদ থাকে ৬ ঘণ্টা, ৭ ঘণ্টা ইত্যাদি।
    ভদ্রলোক ভাবলেন, বুদ্ধি খারাপ না। যেই ভাবা সেই কাজ, রাতে
    ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমালেন।
    ভদ্রলোকের সকালে ঘুম ভাঙল। তিনি দেখলেন একদম ঠিক টাইমে উঠেছেন। তিনি সঠিক টাইমে অফিসে পৌছে গেলেন। তিনি মনে মনে অনেক খুশি। তিনি ভাবলেন বসের সাথে দেখা করে তাকে দেখানো দরকার যে তিনি ঠিক টাইমে এসেছেন। তাই চলে গেলেন বসের রুমে। গিয়ে বললেন,
    বস, দেখেন আজ আমি একদম ঠিক টাইমে এসেছি?
    বস বললেন, আজ না হয় ঠিক টাইমে এসেছেন কিন্তু গতকাল ছিলেন কোথায়?
  • হোজ্জা একটা স্টল খুলে ওখানে নোটিশ টাঙিয়ে দিলেন।
    ‘যেকোনো বিষয়ে দুই প্রশ্নের জবাবের বিনিময়ে পাঁচ পাউন্ড।’
    একজন পথচারী হন্তদন্ত হয়ে তাঁর কাছে এসে টাকাটা হাতে দিয়ে বলল,
    ‘দুটো প্রশ্নের জন্য পাঁচ পাউন্ড, একটু বেশি নয় কি?’
    ‘হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন’, হোজ্জা বললেন, ‘এর পরের প্রশ্ন?’
  • ১ম বন্ধু : জানিস, আমার বাবা যদি একদিন অফিসে না যায় তাহলে কেউ অফিস করতেই পারবে না।
    ২য় বন্ধু : তাই নাকি? তোর বাবা বুঝি বড় অফিসার?
    ১ম বন্ধু :আমার বাবা অফিসের দারোয়ান।

চাকরির ইন্টারভিউ নিয়ে জোকস

  • চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গেছে এক তরুণ। শুরু হলো প্রশ্নোত্তর পর্ব—
    প্র.: কংক্রিটের মেঝেতে ডিম ফেলবেন, কিন্তু ফাটবে না—কীভাবে করবেন এটা?
    উ.: কংক্রিটের মেঝে আসলে খুব শক্ত, ফাটার কোনো আশঙ্কাই নেই!
    প্র.: একটা দেয়াল বানাতে আটজন মানুষের যদি ১০ ঘণ্টা লাগে, চারজন মানুষের কত সময় লাগবে?
    উ.: কোনো সময়ই লাগবে না, কারণ দেয়ালটা ততক্ষণে তৈরি হয়ে যাবে!
    প্র.: আপনার এক হাতে যদি তিনটি আপেল ও চারটি কমলা থাকে, আর আরেকটি হাতে থাকে চারটি আপেল ও তিনটি কমলা; তাহলে কী পেলেন আপনি?
    উ.: বিশাল বড় হাত।
    প্র.: এক হাতে একটা হাতিকে কীভাবে ওপরে তুলবেন?
    উ.: এক হাতের আটবে এমন হাতিকে জীবনেও খুঁজে পাবেন না!
    প্র.: একজন মানুষ কী করে আট দিন না ঘুমিয়ে থাকতে পারে?
    উ.: কোনো সমস্যা নেই, সে রাতে ঘুমাবে!
    প্র.: নীল সাগরে যদি একটা লাল পাথর ছুড়ে মারেন, কী হবে?
    উ.: যা হওয়ার তা-ই, পাথরটি ভিজে যাবে অথবা ডুবে যাবে টুপ করে।
    প্র.: কোন জিনিসটি দেখতে একটি অর্ধেক আপেলের মতো?
    উ.: আপেলের বাকি অর্ধেকটি।
    প্র.: ব্রেকফাস্টে কোন জিনিসটা কখনোই খেতে পারেন না আপনি?
    উ.: ডিনার।
    প্র.: বে অব বেঙ্গল কোন স্টেটে অবস্থিত?
    উ.: লিকুইড।
    পয়লা ধাক্কায় বেশ ভালোভাবেই উতরে গেল তরুণ। শুরু হলো দ্বিতীয় পর্ব। প্রশ্নকর্তা বললেন,‘আপনাকে আমি ১০টি পানির মতো সহজ প্রশ্ন করব অথবা কেবল একটা প্রশ্ন করব লোহার মতো কঠিন।
    উত্তর দেওয়ার আগে ভালো করে ভেবে দেখুন, কোন অপশন বেছে নেবেন আপনি।’ তরুণ কিছুক্ষণ ভাবনার চৌবাচ্চায় সাঁতার কাটল। তারপর বলল, ‘কঠিন প্রশ্নের উত্তরটাই দিতে চাই।’
    প্রশ্নকর্তা হেসে বললেন, ‘ভালো, শুভকামনা আপনার জন্য। আপনি আপনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
    এবার বলুন, কোনটা প্রথমে আসে—দিন না রাত?’
    তরুণের বুকে ঢাকের বাড়ি। কালঘাম ছুটে যাচ্ছে তার।
    এই প্রশ্নের উত্তরেই ঝুলে আছে তার চাকরিটা।
    এবার ভাবনার সাগরে ডুব দিল সে। উত্তরে বলল, ‘দিন প্রথমে আসে, স্যার!’
    ‘কীভাবে?’ প্রশ্নকর্তার প্রশ্ন।
    ‘দুঃখিত, স্যার, আপনি ওয়াদা করেছিলেন, দ্বিতীয় কোনো কঠিন প্রশ্ন করবেন না আমাকে!’
    চাকরি পাকা হয়ে গেল তরুণের।
  • অপু এবং নাছের দুই বন্ধু একই অফিসে চাকরি করে।
    অপু: দোস্ত, কত দিন ধরে ছুটি পাই না। কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছি। কিন্তু বস তো কিছুতেই ছুটি দেবেন না।
    নাছের: হুমম্। আমিও হাঁপিয়ে উঠেছি। কিন্তু আমি বসের কাছ থেকে ছুটি নিতে পারব, দেখবি?
    বলেই নাছের টেবিলের ওপর উঠে দাঁড়াল এবং ছাদ থেকে বেরিয়ে আসা একটা রড ধরে ঝুলতে শুরু করল। কিছুক্ষণ পর বস এলেন।
    বস: এ কী নাছের! তুমি ঝুলে আছ কেন?
    নাছের খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বলল, ‘স্যার আমি লাইট, তাই ঝুলে আছি।’
    বস ভ্রূ কুঁচকে তাকালেন। কিছুক্ষণ ভেবে বললেন, ‘অতিরিক্ত কাজের চাপে তোমার মস্তিষ্ক বিকৃতি দেখা দিচ্ছে। তুমি বরং এক সপ্তাহের ছুটি নাও।’
    নাছের অপুর দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে রুম থেকে বিদায় নিল।
    অপু চেয়ে চেয়ে দেখল। নাছের বেরিয়ে যেতেই সেও নাছেরের পিছু নিল।
    বস: সে কী! ছুটি তো ওকে দিয়েছি! তুমি কোথায় যাচ্ছ?
    অপু: কী আশ্চর্য! লাইট ছাড়া কাজ করব কী করে?!
  • সদ্য চাকরি খেয়েছে এক যুবক। বন্ধুর বাড়িতে এসে সে তার দুঃখের কথা জানাচ্ছিল।ফোরম্যান তোমাকে বরখাস্ত করল কেন?
    তুমি তো জান, ফোরম্যানরা কী হয়। নিজেরা
    কাজ না করে দু’ পকেটে হাত ঢুকিয়ে অন্যদের কাজকর্ম তদারকি করে।
    তা জানি। কিন্তু তিনি তোমাকে তাড়ালেন কেন?
    আর কেন, ঈর্ষায়। আসলে সব কর্মী আমাকেই ফোরম্যান ভেবে বসেছিল।
  • মাতলামির জন্য কোন চাকরিই এক দুই মাসের বেশি স্থায়ী হয় না গফুরের। একটার পর একটা চাকরি যেতে যেতে শেষমেশ সে চাকরি পেল একটা কটন মিলে। কিন্তু প্রথম দিন কাজ করতে গিয়েই একটা পার্টস ভেঙে ফেলল। ফোরম্যান এসে ধমক দিল।
  • ওই পার্টস ভাঙার দরুন প্রতিমাসে তোমার মাইনে থেকে দুইশ টাকা করে কেটে রাখা হবে। এভাবে পাঁচ বছরে পার্টস এর দাম শোধ হবে, বুঝেছ?
    হ্যাঁ , বুঝেছি। শুনে খুশি হলাম। বউকে বলতে পারব পাঁচ বছরের আগে চাকরি যাচ্ছে না।
  • বসঃ যেদিন
    থেকে আমি তোকে চাকরি থেকে
    বরখাস্ত করেছি,
    সেদিন থেকে প্রতিদিন তুই আমার
    বাড়ির
    সামনে পায়খানা করিস! কারন কি?
    তোকে পুলিশে দেয়া উচিত!
    বল্টুঃ স্যার, আমি শুধু আপনাকে এতটুকু
    মনে করিয়ে দিতে চাই
    যে, বরখাস্ত করেছেন
    বলে আমি না খেয়ে মরে যাইনি!!!
  • রেগেমেগে অফিস থেকে বাড়ি ফিরলেন শফিক।
    শফিকের স্ত্রী বললেন, ‘কী হলো? আজ এত চটে আছো কেন?’
    শফিক: আর বোলো না। প্রতিদিন অফিসে যে কর্মচারীর
    ওপর রাগ ঝাড়ি, সে আজ অফিসে আসেনি। মেজাজটাই খারাপ হয়ে আছে!
  • ইন্টারভিউ বোর্ডে এক যুবককে প্রশ্ন করা হলো, বল তো ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগী মারা গেল এর ইংরেজি কি হবে? : এটার ইংরেজি পারি না স্যার | আরবিটা পারি | : আরবিটা পার ? ঠিক আছে বল | : ইন্নালিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন
  • একদিন এক ক্লাক তার এক বন্ধুকে বলল , জানিস কাল থেকে আমার অফিস দু সপ্তাহ ছুটি । বন্ধুটি জানতে চাইল , কি ভাবে ? কাল থেকে আমি এক সপ্তাহ ছুটিতে যাচ্ছি । তার পরের সপ্তাহে আমার বস ছুটিতে যাচ্ছেন।
  • মহিলা টাইপিস্ট পুরো দেড় ঘন্টা লেট করে অফিসে এলো | দেরির কারন জানতে চাইলেন বড়কর্তা | টাইপিস্ট বললেন, আমি ঠিক সময়ে আসতে চেয়েছিলাম . কিন্ত একটা যুবক আমাকে ফলো করছিলো | : কিন্ত টাই বলে দেড় ঘন্টা লেট? : কি করবো বলুম যুবকটি যে বড্ড ধীরে ধীরে হাটঁছিল |

Recommended Read
২০০+ স্বামী স্ত্রী জোকস
৩০০+ ছাত্র শিক্ষক জোকস

আশা করি এই অফিস নিয়ে জোকস এর কলেক্শনটি আপনার ভালো লেগেছে. যদি তাই হয় তাহলে পোস্টটি আপনার ফেইসবুক, হোয়াটস্যাপ এবং বন্ধুদের মধ্যে প্লিজ শেয়ার করবেন.

Recent Posts