আমাদের আজকের এই পোস্টটিতে আমরা বাংলা সাহিত্যের কবি ও লেখকদের বিখ্যাত বানী ও উক্তি তুলে ধরব। বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষ সামাজিক মাধ্যমেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিজের মনোভাব তুলে ধরার চেষ্টা করে, তাই আপনাদের মধ্যে যারা এই বিষয় নিয়ে স্ট্যাটাস, ক্যাপশন, উক্তি, ছন্দ ইত্যাদি খোঁজ করে থাকেন তারা এই পোস্টে থাকা লেখাগুলো খুব সহজেই সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। আশা করছি এই লেখাগুলো পাঠকদের পছন্দ মতন হবে এবং বিভিন্ন সময়ে ব্যবহার করার যোগ্য হবে।

বাংলা সাহিত্যের কবি ও লেখকদের বিখ্যাত লাইন, Best bengali lines of writers and poets

- “প্রণমিয়া পাটনী কহিল জোর হাতে আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে”
- ‘অভাগা যদ্যপি চায় সাগর শুকায়ে যায়’
- ‘‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ, মাতৃজরায়ু থেকে নেমেই জেনেছি আমি”
- ‘সাত কোটি সন্তানের হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালী করে মানুষ করনি।’
- দুঃখের বরষায় চক্ষের জল যেই নামল, বক্ষের দরজায় বন্ধুর রথ সেই থামল।
- ‘তোমাদের পানে চাহিয়া বন্ধু আর আমি জাগিব না, কোলাহল করি সারা দিনমান কারো ধ্যান ভাঙিব না।’
- যে লোক পরের দুঃখকে কিছুই মনে করে না তাহার সুখের জন্য ভগবান ঘরের মধ্যে এত স্নেহের আয়োজন কেন রাখিবেন।
- ‘কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর; মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতে সুরাসুর।
- ‘যুদ্ধ মানে শত্রু শত্রু খেলা, যুদ্ধ মানেই আমার প্রতি তোমার অবহেলা’
- ‘আমার দেশের পথের ধুলা খাঁটি সোনার চাইতে খাঁটি’
- সুন্দর হে, দাও দাও সুন্দর জীবন, হউক দূর অকল্যাণ সফল অশোভন।’
- ‘বিপদে মোরে রক্ষা কর এ নহে মোর প্রার্থনা বিপদে আমি না যেন করি ভয়’
- ‘রক্ত ঝরাতে পারি না তো একা, তাই লিখে যাই এ রক্ত লেখা’
- ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ দেখিতে চাই না আর’

বাংলা সাহিত্যের কবি ও লেখকদের বিখ্যাত বানী ও উক্তি সংক্রান্ত আমাদের আজকের এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে আশা করি অনুপ্রেরণামূলক উক্তি সম্পর্কিত আমাদের পোস্টটি ও আপনাদের মনের মতন হবে।
বাংলা সাহিত্যের কবি ও লেখকদের বিখ্যাত কথা, Best quotes in Bengali

- ‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি’
- ‘‘প্রীতি ও প্রেমের পুণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরস্পরে, স্বর্গে আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরি কুঁড়ে ঘরে।”
- ‘‘জন্মেছি মাগো তোমার কোলেতে মরি যেন এই দেশে।”
- ‘‘সংসারেতে ঘটিলে ক্ষতি লভিলে শুধু বঞ্চনা নিজের মনে না যেন মানি ক্ষয়”-
- ‘‘মহাজ্ঞানী মহাজন, যে পথে ক’রে গমন হয়েছেন প্রাতঃস্মরনীয়।”
- ‘‘সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।”
- “মুক্ত করো ভয়/ আপনা মাঝে শক্তি ধরো নিজেরে করো জয়।
সংকোচের বিহ্বলতা নিজেরঅপমান/সংকোচের
কল্পনাতে হয়ো না ম্রিয়মাণ/
দুর্বলেরে রক্ষা করো দুর্জনেরে হানো/
নিজেরে দীন নিঃসহায় যেন কভু
না জানো।”

বাংলা সাহিত্যের কবি ও লেখকদের বিখ্যাত বানী ও উক্তি সংক্রান্ত আমাদের আজকের এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে আশা করি জ্যাক মার উক্তি ও বাণী সম্পর্কিত আমাদের পোস্টটি ও আপনাদের মনের মতন হবে।

- ‘‘সব পাখি ঘরে আসে সব নদী ফুরায়
এ জীবনের সব লেন দেন; থাকে শুধু
অন্ধকার” - ‘‘বহু দেশ দেখিয়াছি বহু নদ-নলে কিন্তু এ স্নেহের তৃঞ্চা মিটে কার জলে?”
- ‘শোনা গেল লাশ কাটা ঘরে নিয়ে গেছে তারে; কাল
রাতে ফাণ্ডুন রাতের চাঁদ মরিবার হলো তার সাধ” - ‘‘হে সূর্য! শীতের সূর্য! হিমশীতল সুদীর্ঘ রাতে তোমার প্রতীক্ষায় আমরা থাকি,”
- ‘তাল সোনাপুরের তালেব মাস্টার আমি, আজ থেকে আরম্ভ করে চল্লিশ বছর দিবসযামী’
- ‘হে মহা জীবন, আর এ কাব্য নয়,
এবার কঠিন, কঠোর গদ্য আনো’ - ”এই অসুন্দরের শ্রদ্ধা নিবেদনের শ্রাদ্ধ দিনে বন্ধু, তুমি যেন যেওনা”
- ‘‘কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখে নি”
- ‘‘আজি হতে শত বর্ষে পরে কে তুমি পড়িছ, বসি আমার কবিতাটিখানি কৌতূহল ভরে,”
- “বিপ্লব স্পন্দিত বুকে, মনে হয় আমিই লেনিন”
- ‘‘আজি হ’তে শত বর্ষে আগে, কে কবি, স্মরণ তুমি করেছিলে আমাদের শত অনুরাগে’
- ‘মহা নগরীতে এল বিবর্ণ দিন, তারপর আলকাতরার মত রাত্রী’
- ‘চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখন ব্যথিত বেদন বুঝিতে পারে?”
- ‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই, ছোটো এ তরী, আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।’
- ‘‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার সময় তার শ্রেষ্ঠ সময়, এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।”
- ‘জন্মেই কুঁকড়ে গেছি মাতৃজরায়ন থেকে নেমে, সোনালী পিচ্ছিল পেট আমাকে উগড়ে দিলো যেন’
- ‘মোদের গরব মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা।’
- আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই,
আজো আমি মাটিতে মৃত্যুর নগ্ননৃত্য দেখি,” - ‘‘আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা, আমি বাঁধি তার ঘর, আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই, যে মোরে করেছে পর।”
- ‘‘জনতার সংগ্রাম চলবেই, আমাদের সংগ্রাম চলবেই।” হতমানে অপমানে নয়, সুখ সম্মানে।
- ‘ওই দূর বনে সন্ধ্যা নামিছে ঘন আবীরের রাগে অমনি করিয়া লুটায়ে পড়িতে বড় সাধ আজ জাগে।”

বাংলা সাহিত্যের কবি ও লেখকদের বিখ্যাত বানী ও উক্তি সংক্রান্ত আমাদের আজকের এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে আশা করি সাফল্যের উক্তি সম্পর্কিত আমাদের পোস্টটি ও আপনাদের মনের মতন হবে।
বাংলা সাহিত্যের কবি ও লেখকদের বিখ্যাত বাণী, Bangla kobi o lekhokder bikhyato baani

- ‘‘হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন তা সবে, (অবোধ আমি) অবহেলা করি, পর ধন লোভে মত্ত করিনু ভ্রমন”
- “মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ’
- “এতই যদি দ্বিধা, তবে জন্মেছিলে কেন?”–
- ” অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব যেন ঘৃণা তারে তৃণ সম দহে”
- অপদার্থ মানুষকে অনুকরণ করে নিজের মনুষ্যত্বকে হীন কর না, শুধু অর্থ ও সম্পদের সামনে তোমার মাথা যেন নত না হয়।
- সাহিত্য জাতির দর্পন স্বরূপ।
- মেয়ের সম্মান মেয়েদের কাছেই সব
চেয়ে কম। তারা জানেও না যে,
এইজন্যে মেয়েদের
ভাগ্যে ঘরে ঘরে অপমানিত হওয়া এত
সহজ। তারা আপনার
আলো আপনি নিবিয়ে বসে আছে।
তারপরে কেবলই মরছে ভয়ে,…ভাবনায়,…
অযোগ্য লোকের হাতে…খাচ্ছে মার, আর
মনে করছে সেইটে নীরবে সহ্য করাতেই
স্ত্রীজন্মের সর্বোচ্চ চরিতার্থ। - বিদেশি ভাষা শিখিব মাতৃভাষায় শিক্ষিত হইবার পর, আগে নয়।
- ‘‘এ দুর্ভাগা দেশ হতে হে মঙ্গলময় / দূর করে দাও তুমি সর্ব তুচ্ছ ভয়-/ লোক ভয়, রাজভয়, মৃত্যু ভয় আর/দীনপ্রাণ দুর্বলের এ পাষাণভার।”
- রাজনীতিবিদদের কামড়াকামড়ির দায় রাজনীতির
নয়, বরং বুর্জোয়া কাঠামোর নড়বড়ে গঠনই রাষ্ট্রের
বারোটা বাজিয়ে দেয় - “মানুষ মরে গেলে পচে যায়,বেঁচে থাকলে বদলায়…”
- ‘অবাক পৃথিবী অবাক করলে তুমি, জন্মেই দেখি ক্ষুদ্ধ স্বদেশ ভূমি।’
- “বিপ্লব, অবিশ্যি, শান্ত ভাবেও হতে পারে- অনেকখানি সময় লাগিয়ে ছোট-মাঝারি কিস্তিতে; বহু শত বৎসর পরে যোগফলে মহাবিপ্লবের চেহারাটা অনুমান করা যাবে। বড় বিপ্লব দিয়েই শুরু হতে পারে- ততটা শান্ত ভাবে নয়- বেশি মানবীয় শক্তি খরচ করে নয়। যে সভ্যতা দর্শনের আঁধার-খননে আবছা হয়ে ছিল এতকাল, তাকে যুক্তির পথে চালিয়ে নিয়ে ক্রমেই আলোকিত করে তুলবার জন্যে- পৃথিবীর সকলেরই
- নিঃশ্রেয়সের জন্যে এই বিপ্লব। অনেকেই এই রকম কথা বলছে। কিন্তু বিপ্লব আসেনি এখনও।
- সত্যি যেদিন পাখিকে খাঁচা থেকে ছেড়ে দিতে পারি/ সেদিন বুঝতে পারি পাখিই আমাকে ছেড়ে দিলে।/যাকে আমি খাঁচায় বাঁধি সে আমাকে আমার ইচ্ছেতে বাঁধে, সেই ইচ্ছের বাঁধন যে শিকলের বাঁধনের চেয়েও শক্ত।
- ”তরবারি গ্রহণ করতে হয় উচ্চশিরে উদ্ধত হস্ত তুলে,
মালা গ্রহণ করতে হয় উচ্চশির অবনমিত করে, উদ্ধত হস্ত যুক্ত করে ললাট ঠেকিয়ে।” - ’বামন চিনি পৈতা প্রমাণ, বামনী চিনি কিসে রে।’
- যে খ্যাতির সম্বল অল্প তার সমারোহ যতই বেশি হয়, ততই তার দেউলে হওয়া দ্রুত ঘটে।
- বাহিরের স্বাধীনতা গিয়াছে বলিয়া অন্তরের স্বাধীনতাকেও আমরা যেন বিসর্জন না দিই।
- ’কী পাইনি তারই হিসাব মেলাতে মন মোর নহে রাজি’
- “প্রহরশেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস,
তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।” - বিশ্বপিতা স্ত্রী ও পুরুষের কেবল আকারগত কিঞ্চিত ভেদ সংস্থাপন করিয়াছেন মাত্র। মানসিক শক্তি বিষয়ে ন্যূনাধিক্য স্থাপন করেন নাই। অতএব বালকেরা যেরূপ শিখিতে পারে বালিকারা সেরূপ কেন না পারিবেক।
- সংসারে সাধু-অসাধুর মধ্যে প্রভেদ এই যে, সাধুরা কপট আর অসাধুরা অকপট।
- নারী দাসী বটে, কিন্তু সেই সঙ্গে নারী রানীও বটে।
- মনে যখন একটা প্রবল আনন্দ একটা বৃহৎ প্রেমের সঞ্চার হয় তখন মানুষ মনে করে, ‘আমি সব পারি’। তখন হঠাৎ আত্নবিসর্জনের ইচ্ছা বলবতী হইয়া ওঠে।
- সংসারের কোন কাজেই যে হতভাগ্যের বুদ্ধি খেলে না, সে নিশ্চয়ই ভাল বই লিখিবে।
- সামনে একটা পাথর পড়লে যে লোক ঘুরে না গিয়ে সেটা ডিঙ্গিয়ে পথ সংক্ষেপ করতে চায়-বিলম্ব তারই অদৃষ্টে আছে।
- সোহাগের সঙ্গে রাগ না মিশিলে ভালবাসার স্বাদ থাকেনা- তরকারীতে লঙ্কামরিচের মত।
- ”কত বড়ো আমি’ কহে নকল হীরাটি।
তাই তো সন্দেহ করি নহ ঠিক খাঁটি॥ ” –


- অসাধারণ ফেসবুক কমেন্ট ক্যাপশন, Awesome Facebook comment captions in Bengali
- বাইশে শ্রাবণ- স্মৃতিচারণা ও রবীন্দ্রনাথের উক্তি, Baishe Shravan,Tagore quotes in Bangla
- কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী, সংক্ষিপ্ত জীবনী, বাণী, কবিতা, Death anniversary of Kazi Nazrul Islam in Bangla
- বন্ধুকে নিয়ে স্ট্যাটাস ক্যাপশন, Friend status caption in Bengali
- শেষ বিকেলের সূর্য নিয়ে ক্যাপশন, Caption about the late afternoon sun in Bangla
শেষ কথা, Conclusion
আমরা চেষ্টা করেছি আজকের এই পোস্ট দ্বারা বাংলা সাহিত্যের কবি ও লেখকদের বিখ্যাত বানী ও উক্তি আপনাদের কাছে তুলে ধরার। আশা করি আজকের এই পোস্ট ভালো লেগেছে। এই পোস্টটি যদি আপনাদের মনোগ্রাহী হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনার আত্মীয় পরিজন ও বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে নিতে পারেন। এরূপ আরো পোস্ট পাওয়ার জন্য নজর রাখুন আমাদের এই ওয়েবসাইটে।