করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়ে গেছে মাস্ক, স্যানিটাইজার এর ব্যবহার । করোনা ভাইরাসের দাপটে গোটা বিশ্বের মানুষ আতঙ্কিত।তবুও এত কিছুর মধ্যে প্রকৃতি পরিবেশে পুজোর গন্ধ চলে এসেছে, চারিদিকে কাশফুল দেখে মা এর আগমনের আনন্দে আত্মহারা মানুষ, দুঃখ, যন্ত্রণাকে ভুলে মানুষের মন আনন্দে মেতে উঠছে। আর পুজো মানেই পুজোর শপিং, প্রতি বছর পুজোর সময় নিত্যনতুন ট্রেন্ড এ গা ভাসিয়ে পুজোর সাজে মেতে ওঠে মানুষ।
পুজো মানেই অষ্টমীর অঞ্জলি আর, অষ্টমী মানেই শাড়ি। এবছর করোনার স্পেশাল শাড়ি কিন্তু ভীষণ ট্রেন্ডিং।তবে করোনা সতর্কতায় এবছর অনেক বিধি নিষেধ আছে। যেমন সারা রাত জেগে মন্ডপে ঘোরা এবছর হবে না। তবে এবছর পুজোয় ম্যাচিং মাস্ক এর কদর কিন্তু প্রচুর, জামা বা শাড়ির সাথে ম্যাচিং ব্লাউজই শুধু নয় সাথে চাই ম্যাচিং মাস্ক।কোনোটা টু লেয়ার আবার কোনোটা থ্রি লেয়ার।
মাস্ক এবং স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখতে পুরুষদের জামায় পকেট থাকলেও মেয়েদের সব ড্রেসে থাকে না, কিন্তু এবছর পকেট দেওয়া শাড়িও ভীষণ ট্রেন্ডিং।করোনার কারণে বহু মানুষের রোজগার এবছর কমেছে, যার প্রভাব পড়ছে পুজো শপিং এও। তাই অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর পোশাকের দামও কিছুটা কমেছে।
তবে অন্যান্য বছরের এই সময় ভিড় এত বেশি হয় যে সব দোকানে ঢোকার জন্যই অপেক্ষা করতে হয় অনেকক্ষন। সেই জায়গায় এবছর গড়িয়াহাট বা নিউ মার্কেট এ কিন্তু তেমন ভিড় চোখে পড়ছে না, আরও কয়েক দিন পর হয়তো ক্রেতার সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশাবাদী বিক্রেতারা , তবে লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকা কিন্তু বিক্রি কম হওয়ার একটা বড় কারণ মনে করছেন বিক্রেতারা।