৫২ কেজি মাছ বিক্রি করে লাখপতি, অভাবের সংসারে খুশির আমেজ



মাছ ফিরিয়ে দিল ভাগ্য, মাছের কল্যাণে হতদরিদ্র পরিবার এখন লাখপতি। এত টাকা কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না সাগরের চকফুলডুবি গ্রামের পুষ্প কর।মুড়িগঙ্গার ধারে ভাঙাচোরা ঘরে কোনও রকমে দিন চালাতে হয়, বাড়ির কাছেই নদীর খাঁড়িতে জোয়ারে জাল ফেলে ভাঁটার সময় সেই জাল তুলে তাতে যা মাছ ওঠে সেই মাছ বাজারে বিক্রি করে যার কষ্টে দিন চলে যার আজ সে এক মাছের কারণে লাখপতি।

পুষ্পাদেবীর দুই ছেলেকে নিয়েই খাঁড়িতে মাছ ধরে জীবন ধারণ করেন তারা।খাঁড়িতে জোয়ারে জাল ভাঁটার সময় গোটাতে গিয়ে রবিবার বিকেলে দেখেন এক অবিশ্বাস্য ঘটনা,  পেল্লাই এক ভোলামাছ তার জালে আটকানোয় নিমেষে চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। সবাই মিলে জাল টেনে  তুলে নেয় বৃহৎ আকারের সেই মাছ। মাছ দেখতে ভিড় উপচে পড়ে। ৫২ কেজির সেই মাছের খবর চলে যায় কাকদ্বীপ বাজারে।


সোমবার ভোর হতেই মাছের আড়তদাররা কাকদ্বীপ বাজার সাগরের চকফুলডুবিতে চলে যান। মাছটির দাম ওঠে ৬ হাজার ২০০ টাকা প্রতি কেজি। মাছ বিক্রির পর স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ৩ লক্ষ ৩০ হাজার ২০০ টাকা তুলে দেন পুষ্পদেবীর হাতে।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিমত সম্ভবত জাহাজের ধাক্কায় মাছটি পারের দিকে চলে আসে, না হলে এত বড় সামুদ্রিক মাছ পারের কাছাকাছি খুব একটা আসে না।

দিন আনা দিন খাওয়া দরিদ্র পরিবারের পুষ্পদেবী কোনোদিন এত টাকার কল্পনাও করেননি , মিন ধরার জন্য জাল পেতে যে এতবড় মাছ উঠে আসবে স্বপ্নেও ভাবেন নি তিনি।তবে বৃদ্ধা বয়সে তার দিকে ভগবান মুখ তুলে চেয়েছেন।তাই এমনটা সম্ভব হয়েছে মনে করছেন তিনি। আকস্মিক ভাগ্যের চাকা ঘুরে যাওয়ায় ভীষণ আনন্দিত পুষ্পা দেবীর পরিবার।

Recent Posts