হিন্দু দেবী কামাখ্যার মন্দিরটি হল ৫১ সতীপীঠের অন্যতম, যা অবস্থিত অসম রাজ্যের গুয়াহাটি শহরের পশ্চিমাংশে নীলাচল পর্বতে। বছর ভর ভক্তের ভিড় লেগেই থাকে এই মন্দিরে, তবে করোনার কারণে এবছর ভিড় নেই বললেই চলে৷ তবে নিয়ম মেনে নিত্যপুজো চলছে। প্রতি বছর কালী পুজোয় কামাখ্যা মায়ের মন্দিরে ভিড় উপচে পড়ে। তবে এবছর করোনার জন্য বড় করে মায়ের পুজো দেওয়া না গেলেও সাজানো হবে মায়ের মন্দির।
এবছর মন্দিরে সোনার গম্বুজ তৈরী করা হয়েছে যার জন্য রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এর তরফে সোনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে। গম্বুজ বসানোর কাজ প্রায় শেষ, গম্বুজকে ঘিরে থাকা সোনার পাত লাগানোর কাজ এখনও চলছে, যা দীপাবলির সময় শেষ হওয়ার কথা। মা কামাখ্যার মন্দির সোনায় মুড়ছে মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এর জন্য। মন্দিরের গম্বুজে সোনায় মুড়তে ব্যবহার করা হচ্ছে প্রায় ২০ কেজি সোনা।
দীপাবলির আগেই যাতে কাজ সম্পূর্ণ করা যায় সেই জন্য মুম্বই থেকে যাওয়া শিল্পীরা।মন্দিরের মূল ভবনের গম্বুজে তামার ডিজাইনে ফ্রেম করে তারপর তা সোনা দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে।
সোনায় মোড়ার পর মন্দির দেখতে দর্শনার্থী থেকে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে বলেই মনে করছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। কোভিড ১৯ এর কারণে দীর্ঘদিন ধরে মন্দির বন্ধ থাকার পরে সবে খুলেছে মন্দির। RIL এর থেকে এই প্রস্তাব পাওয়ার পর সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই কাজ শুরু করা হয়।মন্দিরে সোনায় মুড়তে কত খরচ তা নিয়ে কিছু না জানালেও আনুমানিক ১০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এই মন্দির যেমন জাগ্রত, তেমন এই মন্দিরের আশেপাশের সৌন্দর্য্যও দেখার মতো। নীলাচল পাহাড়ের সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ পর্যটকদের আগমনের পাশাপাশি এই মন্দিরে মায়ের দর্শনে ভক্তদের ভিড় সবসময় থাকে এই মন্দিরে৷অম্বুবাচির সময়েও প্রচুর ভক্ত আসে এই মন্দিরে। এই সময় মন্দিরের ১০ ইঞ্চি ভেতরে গর্ভগৃহ বন্ধ থাকে কারণ এই সময় মা ঋতুমতী হন। অম্বুবাচির সময় মেলা বসে কামাখ্যা মন্দির সংলগ্ন স্থানে।