কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা হিন্দু ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব, যা সাধারণত আশ্বিন মাসের পূর্ণিমার রাতে পালন করা হয়। এটি মূলত ধন, সমৃদ্ধি, সুখ এবং কল্যাণের দেবী লক্ষ্মীর পূজা। এই পূজার মূল উদ্দেশ্য হলো ধন-সম্পদ, সমৃদ্ধি, এবং সৌভাগ্য লাভ করা। “কোজাগরী” শব্দের অর্থ “কে জেগে আছো?”। বলা হয়, এই পূর্ণিমার রাতে দেবী লক্ষ্মী পৃথিবীতে নেমে আসেন এবং যেসব ভক্তরা জেগে পূজা করেন, তাদের ঘরে ধন-সম্পদ ও সমৃদ্ধি দান করেন।
লক্ষ্মী পূজার পাঁচালি বাঙালি হিন্দু ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক অংশ। এটি অনেক পুরানো কাল থেকে চলে আসছে এবং পূজার পরিবেশকে আরও শুদ্ধ ও পবিত্র করে তোলে। ভক্তরা পরিবার ও সমাজের মধ্যে একত্রিত হয়ে পাঁচালি পাঠ করেন, যা ধর্মীয় ও সামাজিক ঐক্যের প্রতীক।
কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা শুধু ভৌত ধন-সম্পদের জন্য নয়, বরং আধ্যাত্মিক উন্নতির প্রতীকও। ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে, দেবী লক্ষ্মীর কৃপা শুধু ধন-সম্পদই নয়, বরং মানসিক শান্তি ও জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পূর্ণতা এনে দেয়।
নিচে পরিবেশন করা হলো কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী, কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী, তার ইংরেজি অনুবাদ এবং তার অর্থ।
কোজাগরি লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী, Kojagori Lakshmi Pujar Panchali
দোল পূর্ণিমার নিশি নির্মল আকাশ।
ধীরে ধীরে বহিতেছে মলয় বাতাস ।।
লক্ষ্মীদেবী বামে করি বসি নারায়ণ।
করিতেছে নানা কথা সুখে আলাপন ||
সেইকালে বীণা হস্তে নারদ মুনিবর।
লক্ষ্মী নারায়ণে নমি কহিল বিস্তর।
ঋষি বলে মাগাে তব কেমন বিচার।
সর্বদা চঞ্চলা হয়ে ফির দ্বারে দ্বার ৷
মর্ত্যবাসী সদা তাই ভুগিছে দুর্গতি।
ক্ষণেকের তরে তব নাহি কোথা স্থিতি।
প্রতিদিন অন্নভাবে সবে দুঃখ পায়।
প্রতি গৃহে অনশন জীর্ণ-শীর্ণকায় ॥
নারদের বাক্য শুনি লক্ষ্মী ঠাকুরাণী।।
সঘনে নিঃশ্বাস ত্যজি কহে মৃদুবাণী ।।
বৃহস্পতিবারে মিলি যত এয়ােগণে।
সন্ধ্যাবেলা পূজার কথা শুনি ভক্তিমনে।
বাড়িবে ঐশ্বর্যা তাহে তােমার কৃপায়।।
দুঃখ কষ্ট দূরে যাবে তােমার দয়ায় ||
শ্রীহরির বাক্য শুনি আনন্দিত মনে।
মর্তে চলিলেন লক্ষ্মী ব্রত প্রচারণে ॥
অবন্তী নগরে লক্ষ্মী হ’ল উপনীত।
দেখিয়া শুনিয়া হ’ল বড়ই স্তম্ভিত।
নগরের লক্ষপতি ধনেশ্বর রায়।
অগাধ ঐশ্বর্য তার কুবেরের প্রায়।
সােনার সংসার তার শূন্য হিংসা দ্বেষ।
প্রজাগণে পালিত সে পুত্র নির্বিশেষে ৷
এক অন্নে সাত পুত্র রাখি ধনেশ্বর।
যথাকালে সসম্মানে গেল লােকান্তর ||
পিতার মৃত্যুর পর সপ্ত সহােদর।
হইল পৃথক অন্ন সপ্ত সহােদর ।
ক্রমে ক্রমে লক্ষ্মীদেবী ছাড়িল সবারে।
সােনার সংসার সব গেল ছারখারে।
বৃদ্ধা ধনেশ্বর পত্নী না পারি তিষ্ঠিতে।
গহণ কাননে যায় জীবন ত্যজিতে।
হেনকালে ছদ্মবেশে দেবী নারায়ণী।
বন মাঝে উপনীত হলেন আপনি।
মধুর বচনে দেবী জিজ্ঞাসে বৃদ্ধারে।
কিজন্য এসেছ তুমি গহণ কান্তারে ।
কাঁদিতে কাদিতে বৃদ্ধা অতি দুঃখভরে।
তাহার ভাগ্যের কথা বলিল লক্ষ্মীরে।
সহিতে না পারি আর সংসার যাতনা।
ব্রতকথা শুনি তার ভক্তি উপজিল।
ত্যজিব জীবন আমি করেছি বাসনা ।
লক্ষ্মীদেবী বলে শুন আমার বচন।
মহাপাপ আত্মহত্যা নরকে গমন।
আমি বলি সাধবী তুমি কর লক্ষ্মীব্রত।
দুঃখ রবি অস্ত যাবে হবে পূবমত।
মনেতে লক্ষ্মীর মূর্তি করিয়া চিন্তন।
একমনে ব্রতকথা করিবে শ্রবণ ।
ঘরে গিয়ে এয়াে লয়ে কর লক্ষ্মীব্রত।
যেই গৃহে লক্ষ্মীব্রত গুরুবারে হয়।
বাঁধা থকে লক্ষ্মী তথা জানিও নিশ্চয় ।
বলিতে বলিতে দেবী নিজ মূর্তি ধরি।
দরশন দিল তারে লক্ষ্মী কৃপা করি ।
মূর্তি হেরি বৃদ্ধা তারে প্রণাম করিল।
আনন্দিত হয়ে বৃদ্ধা গৃহেতে ফিরিল ৷
গৃহেতে ফিরিয়া বৃদ্ধা করিল বর্ণন।
যেরূপে ঘটিল তার দেবী দরশন।
ব্রতের বিধান সব বধূদের বলে ।
শুনি বধুগণ ব্রত করে কৌতূহলে ॥
বধূগণ লয়ে বৃদ্ধা করে লক্ষ্মীব্রত।
হিংসা দ্বেষ-স্বার্থ ভাব হৈল তিরােহিত।
মা লক্ষ্মী করিল তথা পুনরাগমন।
অচিরে হইল গৃহ শান্তি নিকেতন।
দৈবযােগে একদিন বৃদ্ধার আলয়ে।
উপনীত এক নারী ব্রতের সময়ে ||
ব্রতকথা শুনি তার ভক্তি উপজিল ।
লক্ষ্মীব্রত করিবারে মানস করিল ৷
স্বামী তার চিররুগ্ন অক্ষম অর্জনে।
ভিক্ষা করি যাহা পায় খায় দুইজনে।
এই কথা চিন্তি নারী করিছে কামনা।
নিরােগ স্বামীরে কর চরণে বাসনা ॥
ঘরে গিয়ে এয়ো লয়ে করো লক্ষ্মীব্রত ।
ভক্তিসহ সাধবী নারী পুজে বিধিমত ৷৷
দেবীর কৃপায় তার দুঃখ হলাে দূর।
পতি হলাে সুস্থ দেহ ঐশ্বৰ্য্য প্রচুর ॥
কালক্রমে শুভদিনে জন্মিল তনয়।
সংসার হইল তার সুখের আলয় ।
দয়াময়ী লক্ষ্মীমাতা সদয় হইল।
রূপবান পুত্র এক তাহার জন্মিল ||
এইরূপে লক্ষ্মীব্রত করে ঘরে ঘরে।
প্রচারিত হলো ক্রমে অবন্তী নগরে।।
শুন শুন এয়ােগণ এক অপূর্ব ব্যাপার
ব্রতের মাহাত্ম হ’ল যে ভাবে প্রচার ।
অবন্তী নগরে এক গৃহস্থ ভবনে।
এয়ােগণ লক্ষ্মীব্রত করে একমনে ||
সহসা সেখানে এলাে বণিক তনয়।
উপনীত হলাে তথা ব্রতের সময় ।
ধনরত্ন আদি করি ভাই পঞ্চজন।
পরস্পর অনুগত রয় সবর্জন ।
ব্রত দেখি হেলা করি সাধুর তনয়।
বলে একি ব্রত, ইথে কিবা ফলােদায় ॥
সদাগর বাক্য শুনি বলে বামাগণ।
করি লক্ষ্মীব্রত যাতে কামনা পূরণ ॥
পুনরায় কৃপা দৃষ্টি দেন সদাগরে |
এই ব্রত যে করিবে ধনে জনে তার।
লক্ষ্মী বরে হবে তার সােনার সংসার
শুনি তাহা সদাগর বলে অহঙ্কারে
যে জন অভাবে থাকে সে পূজে উহারে ॥
সাধুর সংসার হলাে পূর্বের মতন।
ধনৈশ্বৰ্য ভােগ আদি যা কিছু সম্ভবে।
সবই তাে আমার আছে আর কিবা হবে৷৷
ভাগ্যে না থাকিলে লক্ষ্মী কিবা দিবে ধন।
হেন কথা কভু আমি না শুনি কখন।
অহঙ্কার বাক্য লক্ষ্মী সহিতে না পারে।
গর্বের কারণে লক্ষ্মী ছাড়িল তাহারে ||
অহঙ্কার বাক্য লক্ষ্মী সহিতে না পারে
গর্বের কারণে লক্ষ্মী ছাড়িল তাহারে ॥
ধনমদে মত্ত হয়ে লক্ষ্মী করি হেলা।
নানা রত্ন পূর্ণ তরী বাণিজ্যেতে গেলা।।
দৈবযােগে লক্ষ্মী কোপে সহ ধনজন।
সপ্ততরী জলমধ্যে হইল নিমগন ।
গৃহমধ্যে ধনৈশ্বর্য যা ছিল তাহার।
বজ্রাঘাতে দগ্ধ হয়ে হলাে ছারখার।
দূরে গেল ভ্রাতৃভাব হলাে ভিন্ন অন্ন।
সােনার সংসারে তার সকলে বিপন্ন।
ভিক্ষাজীবী হায়ে সবে ফিরে ঘরে ঘরে।
পেটের জ্বালায় ঘােরে দেশ দেশান্তরে।
এরূপ হইল কেন বুঝিতে পারিল।।
কেঁদে কেঁদে লক্ষ্মীস্তব করিতে লাগিল৷৷
সদয়া হইল লক্ষ্মী তাহার উপরে।
পুনরায় কৃপা দৃষ্টি দেন সদাগরে ।
মনে মনে মা লক্ষ্মীরে করিয়া প্রণাম
ব্রতের সংকল্প করি আসে নিজ ধাম॥
লক্ষ্মীব্রত করে সাধু লয়ে বধুগণ।।
সাধুর সংসার হলাে পূর্বের মতন |
এইভাবে লক্ষ্মীব্রত মর্ত্যেতে প্রচার।
সদা মনে রেখাে সবে লক্ষ্মীব্রত সার।
এই ব্রত যেই নারী করে একমনে।।
লক্ষ্মীর কৃপায় সেই বাড়ে ধনে জনে ।
করযােড় করি হাত ভক্তি যুক্ত মনে।
করহ প্রণাম এবে যে থাক যেখানে।
ব্রতকথা যেবা পড়ে যেবা রাখে ঘরে ।
লক্ষ্মীর কৃপায় তার মনােবাঞ্ছা পুরে ॥
লক্ষ্মীর ব্রতের কথা বড় মধুময়।
প্রণাম করিয়া যাও যে যার আলয় ।
লক্ষ্মী ব্রতকথা হেথা হৈল সমাপন।
মনের আনন্দে বল লক্ষ্মীনারায়ণ।
কোজাগরি লক্ষী পূজার পাঁচালী সংক্রান্ত আমাদের আজকের এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে আশা করি Lakme নামটি মা লক্ষী থেকে এসেছে সম্পর্কিত আমাদের পোস্টটি ও আপনাদের মনের মতন হবে।
ইংরেজি ভাষায় কোজাগরি লক্ষী পূজার পাঁচালী, Kojagori Laxmi Puja Panchali in English font
Dol Purnimar nishi nirmol akash.
Dhire dhire bahitache maloy batas.
Lakshmidebi bame kori bosi Narayan.
Koriteche nana kotha sukhe alapone.
Seikale binaa haste Narod munibor.
Lakshmi Narayane nomi kohil bistar.
Rishi bole, “Mago, tob kemon bichar?
Sorboda chonchola hoye phir dare dare.
Martabasi sada tai bhugiche durgoti.
Kshoneker tore tob nahi kotha sthiti.
Protidin annabhabe sobe dukkho pay.
Proti grihe onoson jirno-shirnokay.”
Naroder bakyo shuni Lakshmi Thakurani,
Soghono nishwas tyaji kohe mridubani.
“Brishpotibare mili joto eyogene,
Baribe aishworyo tahe tomar kripay.
Dukkho kosto dure jabe tomar doyay.”
Shriharir bakyo shuni anondito mone,
Morte cholilen Lakshmi broto procharone.
Abonti nagore Lakshmi holo uponit.
Dekhiya shuniya holo boro-i stombhit.
Nagorer lakshpoti Dhaneshwar Roy,
Agadh aishworyo tar Kuborer proy.
Sonar shongshar tar shunno hingsha dvesh,
Prajagone palito se putro nirbishesh-e.
Jothakale shomman-e gelo lokantor,
Kabuna kahar proti ami kori rosh.
Pitar mrittur por shopto sohodor,
Hoilo prithok anna shopto sohodor.
Nor-nari dukkho pay nijo kormo dosh.
Jao tumi rishir trilok bhromone,
Ihar bidhan ami koribo jotone.”
Atopor chinti Lakshmi Narayone koy,
“Ki rupe horibo dukkho koi doyamoy?”
Hori kohe, “Shun Soti, bochon amar.
Martyodhame Lakshmi broto korho prochar.”
“Brishpotibare mili joto eyogene,
Sondhyabela pujar kotha shuni bhoktimone.
Baribe aishworya tahe tomar kripay,
Dukkho kosto dure jabe tomar doyay.”
Shriharir bakyo shuni anondito mone,
Morte cholilen Lakshmi broto procharone.
Abonti nagore Lakshmi holo uponit.
Dekhiya shuniya holo boro-i stombhit.
Nagorer lakshpoti Dhaneshwar Roy,
Agadh aishwory tar Kuborer proy.
Sonar shongshar tar shunno hingsha dvesh,
Prajagone palito se putro nirbishesh-e.
Ek onne shaat putro rakhi Dhaneshwar.
Jothakale shomman-e gelo lokantor.
Pitar mrittur por shopto sohodor,
Hoilo prithok anna shopto sohodor.
Krome krome Lakshmidebi charilo sobare,
Sonar shongshar shob gelo charkhar-e.
Briddha Dhaneshwar potni na pari tishthite,
Gohon kanone jay jibon tyajite.
Henokale chadmabeshe Debi Narayoni,
Bon maje uponit holen apni.
Madhur bochone Debi jigyase briddhare,
“Kijonno esecho tumi gohon kantare?”
Kandite kandite briddha oti dukkhobhore,
Tahaar bhagger kotha bolilo Lakshmire.
Shohite na pari aar shongshar jatna,
Brotokotha shuni tar bhokti upojilo.
Tyajibo jibon ami korechi bashona.”
Lakshmidebi bole, “Shun amar bochon.
Mohapap atmahotya, noroke gomon.
Ami boli, sadhibi, tumi koro Lakshmibroto.
Dukkho rob ast jabe hobe pubmot.
Monete Lakshmir murti koriya chinton,
Ekmone brotokotha koribe shrobon.
Ghore giye eyo loye koro Lakshmibroto,
Jei grihe Lakshmibroto gurubare hoy,
Bandha thake Lakshmi totha janiyo nishchoi.”
Bolite bolite Debi nijo murti dhori,
Doroshon dilo tare Lakshmi kripa kori.
Murti heri briddha tare pronam korilo,
Anondito hoye briddha grihete firilo.
Grihete firiya briddha korilo borno,
Jerupe ghotilo tar Debi doroshon.
Brot-er bidhan shob bodhugon bole,
Shuni bodhugon broto kore koutuhole.
Bodhugon loye briddha kore Lakshmibroto,
Hingsha dvesh-swartho bhab hoilo tirohito.
Maa Lakshmi korilo totha punoragomon,
Ochire hoilo griho shanti niketon.
Doibojoge ekdin briddhar aloye,
Uponito ek nari broto-er somoye.
Brotokotha shuni tar bhokti upojilo,
Lakshmibroto koribare manosh korilo.
Swami tar chirorugna akkhom orjone,
Bhikkha kori yaha pay khai duijone.
Ei kotha chinti nari koriche kamona,
Nirog swamire kor chorone bashona.
Ghore giye eyo loye koro Lakshmibroto,
Bhoktisoh sadhibi nari puje bidhimot-e.
Debir kripaye tar dukkho hol durno,
Poti holo sustho deho, aishworyo prochur.
Kalokrome shubhodine jonmilo tonoy,
Shongshar hoilo tar sukher aloy.
Doyamoyi Lakshmimata sodoy hoilo,
Rupoban putro ek tahar jonmilo.
Eirupe Lakshmibroto kore ghore ghore,
Procharito holo krome Abonti nagore.
Shun shun eyogone ek opurbo byapar,
Brot-er mahatmo holo je bhabe prochar.
Abonti nagore ek grihostho bhobone,
Eyogone Lakshmibroto kore ekmone.
Shohasa sekhane elo bonik tonoy,
Uponito holo totha brot-er somoye.
Dhanorotno adi kori bhai panchajon,
Poroshpor onugoto roy soborjon.
Broto dekhi hela kori sadhur tonoy,
Bole, “Eki broto, ithe kibar pholodoy?”
Sadagor bakyo shuni bole bamagon,
“Kori Lakshmibroto jate kamona puron.”
Punoray kripa drishti den sadagore,
Ei broto je koribe dhone jone tar,
Lakshmi bare hobe tar sonar shongshar.
Shuni taha sadagor bole ahongkare,
“Je jon abhab-e thake, se puje uhare.”
Sadhur shongshar holo purber moton.
Dhanoishworyo bhog adi ja kichu shombhob-e,
Soboi to amar ache, aar kiba hobe?
Bhaggye na thakile Lakshmi kiba dibe dhon?
Heno kotha kavu ami na shuni kokhon.”
Ahongkar bakyo Lakshmi sohite na pare,
Gorber karone Lakshmi charilo tahare.
Dhonamode matto hoye Lakshmi kori hela,
Nana rottno purno tari banijjete gela.
Doibojoge Lakshmi kope soho dhonojon,
Shopto tari jolomoddhye hoilo nimgon.
Grihomoddhye dhanoishworyo ja chhilo tahar,
Bojroghate doghdo hoye holo charkhar.
Dure gelo bhratribhab, holo bhinno ann,
Sonar shongshare tar sokole biponno.
Bhikkhajibi haye sob phire ghore ghore,
Poter jwalaye ghore desh deshantore.
Erup holo keno bujhte parilo na,
Kede kede Lakshmistob korite lagilo.
Sodoya holo Lakshmi tahar upore,
Punoray kripa drishti den sadagore.
Mone mone Maa Lakshmire koriya pronam,
Brot-er shonkolpo kori ase nijo dham.
Lakshmibro
to kore sadhu loye bodhugon,
Sadhur shongshar holo purber moton.
Eibhabe Lakshmibroto martyete prochar.
Sada mone rekho sobe Lakshmibroto sar.
Ei broto jei nari kore ekmone,
Lakshmir kripay sei bare dhone jone.
Korojor kori haath bhoktijukto mone,
Korho pronam ebe je thak jekhane.
Brotokotha jeba pore jeba rakhe ghore,
Lakshmir kripaye tar monobansha pure.
Lakshmir brotokotha boro modhumoy,
Pronam koriya jao je jar aloy.
Lakshmi brotokotha hetha holo somapon,
Moner anonde bolo Lakshminarayon.
কোজাগরি লক্ষী পূজার পাঁচালী সংক্রান্ত আমাদের আজকের এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে আশা করি শ্রীশ্রী লক্ষ্মীপূজার শুভেচ্ছাবার্তা সম্পর্কিত আমাদের পোস্টটি ও আপনাদের মনের মতন হবে।
কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার পাঁচালী ইংরেজি অর্থ বিস্তারিত , A line-by-line meaning and English translation of Kojagori Lakshmi Puja Panchali
The night of Dol Purnima, the sky is clear.
The gentle breeze is blowing slowly.
Lakshmi Devi, sitting on the left of Narayan,is having a pleasant conversation.
At that time, sage Narad, with a veena in hand, Bows to Lakshmi and Narayan and speaks at length.
The sage says, ‘What is your judgment, O mother?'”
“You are always restless, going from door to door.”
“Because of this, the people on earth suffer from hardships.”
There is no permanence in your presence for even a moment. Every day, people suffer from lack of food.Every household experiences hunger and distress.”
Hearing Narad’s words, Lakshmi Devi,Sighs heavily and speaks in a gentle voice.
“On Thursday, when everyone gathers,Prosperity will increase with your grace.”
“Their sorrow and hardship will be removed by your mercy.’”
Hearing these words of Lord Vishnu, Lakshmi, with a joyous heart, goes to the earth to spread the Lakshmi Vrata.
Arriving in the city of Avanti,
She is very astonished by what she sees and hears.
The city’s wealthy merchant, Dhaneshwar Ray has immense wealth, almost like that of Kubera.
His golden household is free from jealousy and hatred.
He treats all his subjects like his own children.
In due time, with respect, he departed from this world.
Never did I harbor anger towards anyone, But after the father’s death, the seven brothers,separated and ate their food separately.
Gradually, Lakshmi Devi abandoned them all.
The golden household fell into ruin.
The old wife of Dhaneshwar Ray, unable to endure, goes into the deep forest to give up her life.
At that moment, disguised as a common woman, Goddess Lakshmi appears in the forest.
In a sweet voice, the goddess asks the old woman,”Why have you come to this dense forest?’”
Crying bitterly, the old woman, tells Lakshmi about her unfortunate fate.”
Unable to bear the sufferings of this world any longer, She desires to end her life.”
Lakshmi Devi says, ‘Listen to my words.Suicide is a great sin and leads to hell. Instead, I tell you to observe the Lakshmi Vrata.Your sorrows will disappear like the setting sun. Concentrate on the image of Lakshmi in your mind. Listen to the stories of the Vrata with full attention. Go home and observe the Lakshmi Vrata.In any household where Lakshmi Vrata is observed on Thursdays, Know that Lakshmi always resides there.”
Saying this, the goddess reveals her true form, and blesses the old woman with her vision.
Seeing the goddess, the old woman bows in reverence.
Filled with joy, the old woman returns home.
At home, she describes everything that happened,
How she had the divine vision of the goddess.
She explains the rituals of the Vrata to all the women.
Hearing this, the women, out of curiosity, begin observing the Vrata.
Together with the old woman, they perform the Lakshmi Vrata.
Jealousy, hatred, and selfishness disappear from their hearts.
Lakshmi returns to that place,
And soon, the household becomes a haven of peace.
By divine grace, one day, in the old woman’s home, A woman arrives during the time of the Vrata.
Hearing the Vrata stories, her devotion grows.
She decides to observe the Lakshmi Vrata herself.
Her husband is chronically ill and unable to earn a living.They survive on whatever little they get from b egging.Thinking about this, the woman wishes for her husband’s recovery.
She prays for her husband to be healthy again.She returns home and observes the Lakshmi Vrata with devotion. With the goddess’s grace, her sorrows are removed.
Her husband regains his health and their wealth increases.In due course, a son is born to them on an auspicious day. Their household becomes a place of happiness.
The compassionate Lakshmi blesses them and they have a beautiful son.
In this way, the Lakshmi Vrata spreads to every household.”
It becomes increasingly popular in the city of Avanti.
Listen, everyone, to this extraordinary event.The greatness of the Vrata spread far and wide.”In a house in the city of Avanti,
A merchant’s family observes the Lakshmi Vrata with devotion. Suddenly, the son of a wealthy merchant arrives. He comes during the time of the Vrata. His family is full of wealth and prosperity.
They are all united and live together. Seeing the Vrata, the merchant’s son mocks it. He says, ‘What is the result of this Vrata?'”
Hearing his words, the women say,” By observing the Lakshmi Vrata, our desires are fulfilled.'”
“Lakshmi grants her blessings to those who observe it.”
“The one who observes this Vrata will have wealth and a golden household.”
Hearing this, the merchant’s son arrogantly says,”
“Only those who lack wealth worship her.”
“My family already enjoys wealth and prosperity.”
“I have never heard of Lakshmi giving wealth to those without it.”
But the arrogance of the merchant’s son angers Lakshmi.
Because of his pride, Lakshmi leaves him.”
Drunk with wealth, the merchant’s son neglects Lakshmi.
He takes his ship full of riches for trade.
By divine fate, due to Lakshmi’s anger, All seven ships sink in the ocean.Whatever wealth was left at home, was destroyed by a lightning strike. His brothers separated and ate separately.
The golden household fell into ruin. Now, they wander from house to house, begging. Suffering from hunger, they roam from place to place.
Realizing this, the merchant’s son cries.
He begins to pray to Lakshmi with tears.
Lakshmi, moved by compassion, blesses him again.
With heartfelt devotion, he prays to the goddess.
He decides to observe the Lakshmi Vrata. The merchant’s family, along with the women, observe the Vrata. The household returns to its previous prosperity. In this way, the Lakshmi Vrata spreads across the earth. Always remember the essence of the Lakshmi Vrata.
The woman who observes this Vrata with full devotion will be blessed by Lakshmi with wealth and family. With folded hands, pray with a devoted heart.
Offer your prayers wherever you may be.
Those who read or keep the Vrata story at home, will have their desires fulfilled by Lakshmi’s grace.The story of the Lakshmi Vrata is truly sweet.
Bow and return to your homes with joy.
Thus, the Lakshmi Vrata story concludes in happiness, everyone says, ‘Glory to Lakshmi Narayan.'”
- ২০২৪ এ কলকাতার সেরা দুর্গাপূজা [ Ultimate Kolkata Durga Puja Guide ]
- ব্যাঙ্গালোরের সেরা ২৫ টি দুর্গাপূজা, Top 25 Durga Pujas in Bangalore :
- বাংলাদেশের সেরা দুর্গা পূজার তালিকা, Top Durga Puja in Bangladesh explained in Bengali
- দুর্গাপূজা নিয়ে ইনস্টাগ্রাম ক্যাপশন, ফেসবুক ক্যাপশন, উক্তি, Instagram captions for Durga Puja, Facebook status in Bengali
- দূর্গা পূজার ছবিতে ব্যবহার করার জন্য উপযুক্ত হ্যাশট্যাগ, Best hashtags for Durga Puja images:
পরিশেষে
লক্ষ্মী পাঁচালিতে নৈতিকতা, ধর্মীয় আচার এবং জীবনের সঠিক পথ সম্পর্কে বিভিন্ন আধ্যাত্মিক শিক্ষা দেওয়া হয়। ভক্তরা এই কাহিনীগুলি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে জীবনে সততা, পরিশ্রম, ও ধার্মিকতায় এগিয়ে যেতে পারেন।