রেস্তোরাঁর শেফকে দেখলে মনে হবে ঠিক যেন বিমান চালক, কালো টুপি মাথায় সাদা পোশাকে একেবারে পাইলট, কিন্তু তার পোশাকের উপর অ্যাপ্রন লাগিয়ে রান্নায় ব্যস্ত সে। বিমানের কন্ট্রোলার নয় হাতে শাক সবজি, রান্নার জিনিস, স্থানীয় মানুষরা অবাক তার এমন ড্রেস আপে। রেস্তরাঁয় পাইলটের বেশে শেফ ! তবে সত্যি টা শুনে সকলেই অবাক হয়ে যান। রাস্তার ধারে ছোট রেস্তরাঁর মালিক আসলে একজন বিমান চালক ছিলেন। দীর্ঘ ২০ বছর এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
করোনা আবহে আমরা এমন অনেক ঘটনাই দেখেছি যেখানে করোনার জেরে কাজ হারিয়ে অনেকেই জীবনে টিকে থাকার লড়াইয়ে পেশা পরিবর্তন করেছেন। এমনই একজন হলেন ‘ক্যাপ্টেন কর্নার’ এর মালিক আজরিন মহম্মদ জাওয়ায়ি।মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের বিমান চালক ছিলেন তিনি। করোনার কারণে কাজ চলে যাওয়ায় সংসার চালানোর জন্য রাস্তার পাশে ছোট রেস্তোরাঁ খুলেছেন তিনি। যার নাম ‘Kapten Corner’।
পেশা বদল করলেও দীর্ঘদিনের পেশার পোশাক ছাড়তে পারেন নি। পাইলটের বেশেই রোজ রান্না করতে শুরু করেন। তাঁর হাতের রান্নার বেশ তারিফ করছেন সকলেই। এই পেশাতেও তিনি সফল। খুব তাড়াতাড়ি তার রেস্তোরাঁ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।নুডলস এবং বিভিন্ন মালয়েশিয়ান ফুড রান্না করেন তিনি। বিমান পরিষেবা বন্ধ হওয়ায় কাজ হারান তিনি, তার চার সন্তান, সংসারে প্রচুর খরচ থাকায় বিকল্প পথ খুঁজতে হয় তাকে৷ আর তাই রাজধানী কুয়ালালামপুরের রাস্তার পাশে একটি ছোট রেস্তোরাঁ খোলেন ৪৪ বছর বয়সি আজরিন।
সম্প্রতি রেস্তোরাঁয় তাঁর রান্না করার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন তাঁর স্ত্রী। যা নিমেষে ভাইরাল হয়ে যায়। তারপর বেড়েছে তার গ্রাহক সংখ্যাও। তার লড়াকু মনোভাব এবং রান্নার জাদুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ স্থানীয় বাসিন্দারা। কঠিন পরিস্থিতিতে হার না মেনে লড়ে যাচ্ছেন তিনি, তার এই মনোভাব, এই লড়াই দেখে তারিফ করছেন নেটিজেনরাও।