স্বপ্ন অনেকেই দেখে, তবে পরিস্থিতির চাপে পরে অনেকেরই স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। তবে সঞ্জু রানি ভার্মা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে কোনো পরিস্থিতেই নিজের স্বপ্ন পূরণ করবেন, তাই তো একা একাই সেই লড়াই করেছেন দীর্ঘ সাত বছর।
মিরাটের সঞ্জু রানি ভার্মার মা মারা যান ২০১৩ সালে, মেয়ের বয়স হচ্ছে তাকে বিয়ে দিতে হবে, শুনতে হয় তাকেও, তোড়জোড় শুরু হয়ে যায় বিয়ের , মারাত্মক চাপ দেওয়া হয় পরিবারের তরফে, মিরাটের আরজি ডিগ্রি কলেজ থেকে স্নাতক সম্পূর্ণ করে তখন সে স্নাতকত্তর করছিল, সেই সময় নিজের স্বপ্নপূরণ, নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার সময় পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে সে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। বাড়ি তো ছেড়ে দিলেন কিন্তু তার হাতে তেমন টাকা ছিল না, তার উপর বাড়িভাড়া, তাই বাড়ি ছাড়ার পাশাপাশি তখন ছাড়তে হয়েছিল পড়াশোনাও।
সেই সময় একটি বেসরকারি স্কুলে আংশিক সময়ের শিক্ষিকার কাজ পেলে স্কুলে পড়ানোর পাশাপাশি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন সঞ্জু। ২৮ বছরের সঞ্জু রানি ভর্মা নিজের ইচ্ছাকে দাম দিতে বেছে নিয়েছিলেন কঠিন পথ। আজ সাত বছর পর তিনি সফল। কমার্শিয়াল ট্যাক্স অফিসার হয়ে বাড়ি ফিরলে সকলেই খুশি হয় তার সাফল্যে। তবে তার আশা সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট হওয়া, সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জেলাশাসক হওয়া তার চূড়ান্ত লক্ষ্য।
বাড়ি ছাড়াও সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি কোনো ভুল করেননি তা আগে থেকেই জানতেন, বাড়ি ছাড়ার প্রসঙ্গে তার বক্তব্য তাঁর মা মারা যাওয়ার পর পরিবারের লোকেরা তাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেয়, অনেক বুঝিয়েও যখন কিছু হয়নি, তখন নিজের শর্তে বাঁচতে চেয়ে বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় সঞ্জু। কারণ তখন তিনি একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না বিয়ের জন্য। তিনি জানতেন অফিসার হওয়ার পর তার পরিবারের লোকের তার নেওয়া সিদ্ধান্তকে সম্মান করবে।