শাক সবজি থেকে শুরু করে ফল, লাগাতার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধিতে নাজেহাল মধ্যবিত্ত । তার উপর বাংলায় তিন দিনের ট্রাক ধর্মঘট, যে কারনে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি আরও অনেকটাই বাড়বে বলেই অনুমান।রাজ্য সরকার মানছে না কেন্দ্রীয় সরকারের আইন, সিভিক ভলান্টিয়ার থেকে পুলিশের জোর জুলুমের কারণে ট্রাক চালকদের লাভ তো হচ্ছে না বরং লোকসান বাড়ছে। এই প্রতিবাদেই সোমবার থেকে তিন দিন রাজ্যে ট্রাক ধর্মঘট করা হচ্ছে। করোনা অতিমারিতে কাজ হারিয়ে এমনিতেই মানুষ অবস্থা খারাপ। তার মধ্যে আলু পেঁয়াজ, সবজীর দাম যেভাবে হু হু করে বাড়ছে তাতে সাধারণ মানুষ কি খাবে বুঝে উঠছে পারছে না।
লকডাউনের আগে যে পরিমানে ডিম আসতো এখন তার থেকে অনেক কম আসে। কারণ অধিকাংশই আসে অন্ধপ্রদেশ এবং অন্যান্য রাজ্য থেকে।ফলে লকডাউনের আগে ডিমের দাম চার টাকা থাকলে এখন তা ছয় টাকা থেকে সাত টাকা হয়ে গেছে। ট্রাক ধর্মঘটের কারণে রাজ্যে ডিমের দাম এবার আরও কয়েকগুণ হবে বলে আশঙ্কা। ট্রাক মালিকদের সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে। ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের ট্রাকে বাড়তি লোডিংয়ের আইন এখনও চালু হয়নি এ রাজ্যে। তার উপর রাস্তায় ট্রাকচালকদের থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুলিশের জোর জুলুমে অতিষ্ট হয়ে তারা তিন দিনের জন্যে ট্রাক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।
তবে তৃণমূল মনে করছে রাজ্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
ওভার লোডিং নিয়ে ট্রাক মালিকদের দাবি মানতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার স্পষ্টতই জানিয়েছে অতিরিক্ত ওভার লোডিংয় হওয়ায় একাধিক রাস্তা খারাপ হয়ে যায়। সেই রাস্তা মেরামত করতে সরকারের খরচ এবং সাধারণ মানুষের সংকট বেড়েছে। পাশাপাশি অন্য রাজ্যগুলি থেকে আসা ট্রাকের মাধ্যমে আরও বেশি করোনা ছড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে ট্রাক মালিকদের দাবি সিভিক ভলিন্টিয়ার বা পুলিশের জোর জুলুম তো আছেই তার সাথে ভিন রাজ্য থেকে আসা ট্রাকগুলি থেকে অনেক বেশি টাকাও নেওয়া হচ্ছে। তাই নিজেদের দাবিতে প্রতিবাদে সরব তারা। তবে একটা কথা অনায়াসেই বলা যায় এই বাদ প্রতিবাদের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ যারা মাছ মাংস তো পরের কথা ,আলু ডিমও কিনতে পারছে না ।