সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় শুক্রবার সারাদিন চলেছে গোলাবর্ষণ।পাকসেনার হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১। বিএসএফের একজন অফিসার সহ পাঁচ জওয়ান শহিদ হয়েছেন। ছয়জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয় এদিন। অপরদিকে মিসাইল ছুড়ে পাক বাহিনীকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। অ্যান্টি – ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল গুড়িয়ে দিয়েছে সেনা বাঙ্কার, যাতে দশ পাক সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে, তবে সংখ্যা আরও বেশিও হতে পারে এবং প্রায় ১২ জন আহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে পাকিস্তানের দুই এসএসজি কম্যান্ডারও আছে। পাক বাহিনীর ফুয়েল ডাম্প, লঞ্চ প্যাড ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।পাক হামলার যোগ্য জবাব দিয়ে ভারতীয় বাহিনী মর্টার শেল ছুড়েছে। সেনাবাহিনীর তরফে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে সীমান্ত, জ্বলছে আগুন।ভারতীয় সেনাবাহিনী গোলাগুলিতে ব্যস্ত থাকবে আর সেই সুযোগ পাক সেনা জঙ্গি অনুপ্রবেশ করা এই একই ফন্দি এই সপ্তাহে দুবার করেছে পাক সেনা। কিন্তু ভারতীয় জওয়ানদের সামনে সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে দুবারই।
গত ৮ নভেম্বর মাচিল সেক্টর দিয়ে জঙ্গি ঢোকানোর চেষ্টা করেছিল পাক সেনারা। জঙ্গি নিকেশ করা হলেও শহিদ হন তিন সেনা জওয়ান এবং বিএসএফ জওয়ান।নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন একাধিক গ্রামে দাওয়ার, কেরান, উরি, নওয়াম সেক্টরে ভারতীয় জওয়ানদের উপর হামলা চালিয়েছে পাক বাহিনী। অনেক গ্রামবাসীও মারা গেছেন এই হামলায়।ইচ্ছে করেই জনবহুল এলাকায় হামলা চালায় পাকিস্থান। তার যোগ্য জবাব দিয়ে ভারতীয় সেনা মর্টার শেল ছুড়েছে।