সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে সিবিআইয়ের প্রাক্তন কর্তা রাকেশ আস্থানাকে নিয়োগ করা হল বিএসএফের ডিজি পদে। কেন্দ্রীয় সূত্রের পাওয়া খবর অনুযায়ী তিনি এই পদের থাকবেন ২০২১ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত। আগামী বছর বিএসএফের এই পদে থেকেই তিনি অবসর নেবেন বলে জানা গেছে ।
রাকেশ আস্থানা, ১৯৮৪ ব্যাচের এই আইপিএস অফিসার ছিলেন, বর্তমানে দিল্লিতে পোস্টিক আছেন ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিওরিটির ডিরেক্টর জেনারেল পদে।
এরই সাথে তিনি দায়িত্বে আছেন নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো এনসিবি-র ডিজি হিসেবে।
অতীতে একাধিক হাইপ্রোফাইল মামলার তদন্তভার ছিল তাঁর ওপর।
সিবিআইয়ের এসপি থাকাকালীন সময়ে ১৯৯৭ সালে রাকেশ আস্থানা
তৎকালীন রাষ্ট্রীয় জনতা দল এর প্রধান, বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবকে
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার করেছিলেন।
১৯৯০ সালে লালুপ্রসাদ যাদব ৯০০ কোটি টাকা জালিয়াতি করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে, পশুখাদ্য বাবদ পশুপালন দফতরের কোষাগার থেকে বেঅাইনি ভাবে সরকারি বরাদ্দ ৮৪.৫ লক্ষ টাকা তুলে নেন বলে অভিযোগ ছিল। সেই সময় লোকসভার সদস্যপদ হারাতে হয়েছিল লালুপ্রসাদ যাদবকে, ভোটে দাঁড়ানোর অধিকারও চলে যায়। সর্বমোট ৫ টি মামলা হয় এবং মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় সিবিআই কে।
২০০২ সালে গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসে যে ভয়ানক অগ্নিকাণ্ড হয় সেই মামলারও দায়িত্বে ছিলেন এই আইপিএস অফিসার।
২০১৮ সালে এক হাই প্রোফাইল মামলা জাতীয় রাজনীতির জগতেও ঝড় তুলেছিল,সেই মামলাটি ছিল সিবিআই বনাম সিবিআইয়ের মধ্যে। সেই মামলার প্রধান চরিত্র ছিলেন রাকেশ আস্থানা। তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই য়ের আরেক কর্তা আলোক বর্মা অভিযোগ এনেছিলেন হায়দরাবাদের এক ব্যবসায়ীর থেকে ঘুষ নেওয়ার। সেই মামলার জন্যই তাকে সরে যেতে হয় সিবিআইয়ের পদ থেকে। তবে আদালতের রায়ে তিনি স্বস্তি পেয়েছিলেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাকে ক্লিন চিট দেওয়া হয়েছিল।