এ দেশে জন্মগ্রহণ না করেও ভারতও ভারতবাসীকে যিনি আপন করে নিয়েছিলেন ভগিনী নিবেদিতা তাদের মধ্যে অন্যতম । স্বামী বিবেকানন্দের মন্ত্র শিষ্যা ও তাঁর আদর্শ রূপায়ণের নিরলস একনিষ্ঠ কর্মী বিদেশিনী মার্গারেট এলিজাবেথ ভারতবাসীর কাছে হয়ে ওঠেন সত্যিকারের ভগিনী নিবেদিতা ।
- ভূমিকা
- জন্ম ও বংশ পরিচয়
- বাল্যজীবন ও শিক্ষা
- কর্মজীবন
- বিবেকানন্দের প্রভাব ও নামকরণ
- কৃতিত্ব
- প্রভাব
- আদর্শ
- মৃত্যু
- উপসংহার
ভূমিকা
পরাধীন ভারতবর্ষে যেখানে মানুষ পরাধীনতার নাগপাশে আবদ্ধ ,অশিক্ষা ও কুসংস্কারের বেড়াজালে জর্জরিত , দারিদ্র্য যখন মানুষের নিত্যসঙ্গী তখন স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মানুষের সেবায় তিনি যেভাবে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন তা আমাদের বিস্মিত করে ।
তাঁর আধ্যাত্মিক অনুভূতি তাকে সর্বদা আত্মজিজ্ঞাসায় আলোড়িত করত; শান্তির সন্ধানে আকুল হতো তাঁর অন্তর । তিনি গৃহ ছাড়া হয়ে বিশ্বমানবের কাছে নিজেকে মেলে ধরতে চেয়েছিলেন ।
জন্ম ও বংশ পরিচয়
উত্তর আয়ারল্যান্ডের ভাঙ্গানন শহরে ১৮৬৭ সালের ২৮ অক্টোবর মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল ওরফে ভগিনী নিবেদিতার জন্ম ।তার বাবা স্যামুয়েল রিচমন্ড নোবেল ছিলেন ধর্মযাজক। মায়ের নাম ছিল মেরি ইসাবেলা। ।পিতামাতার প্রথম সন্তান এই মার্গারেট নোবেল।
ধর্মযাজক একটি পরিবারে আধ্যাত্মিক পরিমণ্ডলে পরিবর্ধিত হওয়ার ফলে অতি শৈশব থেকেই এলিজাবেথের মন আধ্যাত্ম চিন্তার অনুকূলে পরিচালিত হয়েছিল ।কিন্তু শুধু ধর্মীয় আবহাওয়া নয় ;এই পরিবারের অন্য একটি মহৎ ঐতিহ্য ও ছিল- সেই ঐতিহ্য হলো জাতীয়তাবাদ ও দেশপ্রেমের। ধর্ম ,দেশপ্রেম ও মানবতাবাদ শিক্ষার- এই ত্রয়ী ধারায় ত্রিবেণী -সঙ্গম মার্গারেট অতি শৈশবেই অবগাহন করেছিলেন ।
বাল্যজীবন ও শিক্ষা
মাত্র দশ বছর বয়সে মার্গারেটের বাবার অকাল মৃত্যুর পর তার দাদামশাই তথা আয়ারল্যান্ডের বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী হ্যামিলটন মার্গারেটকে লালনপালন করেন। মার্গারেট লন্ডনের চার্চ বোর্ডিং স্কুলে পড়াশুনা করেছিলেন। এমন সময় তাঁর মাতামহ হ্যামিল্টন মার্গারেটের সমস্ত দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে নিলেন ;শুরু হল নতুন করে তাঁর স্কুল ও কলেজের শিক্ষাজীবন ।
অসাধারণ মেধা ও প্রতিভার অধিকারিণী মার্গারেট কৃতিত্বের সঙ্গে হ্যালিফাস্ক কলেজ থেকে শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করে শিক্ষয়িত্রীর জীবন শুরু করলেন ।
কর্মজীবন
মার্গারেট তার পিতার কাছে এই শিক্ষা পান যে “মানবসেবাই ঈশ্বর সেবা“; তাই পড়াশোনা শেষ করে ১৮৮৪ সাল থেকে ১৮৯৪ পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন ও খ্যাতি লাভ করেন ।শিশুর মধ্যে সুপ্ত থাকে অনন্ত সম্ভাবনা। শৈশবেই একটি শিশুর জীবনের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কাল। সেই চিন্তায় উদ্বোধিত হয়েই হয়তো মার্গারেট শিক্ষয়ীত্রি জীবনে উইম্বলডনের একটি শিশু বিদ্যালয়ের সর্বময় কর্তৃত্ব গ্রহণ করেন এবং সহজশিক্ষার পথে শিশুদের পরিচালিত করতে শুরু করেন ।
শিক্ষিকার কাজের সূত্রে তিনি বুদ্ধের দর্শনে আগ্রহী হন এবং পরে স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘটে ।তিনি সঙ্গীত ও শিল্পকলার বোদ্ধা ছিলেন। বিবেকানন্দের বাণী তাঁকে আকৃষ্ট করে ও ভারতবর্ষকে ই তিনি কর্মক্ষেত্র রূপে বেছে নেন। ১৮৯৮ -র নভেম্বর মাসে তিনি কলকাতায় একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন ও নানা সমাজকল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ভারতের সমস্ত নারীর জীবনযাত্রার উন্নতির লক্ষ্যে তিনি কাজ শুরু করেন ।
রবীন্দ্রনাথ ,জগদীশ চন্দ্র বসু, অবলা বসু ,শ্রী অরবিন্দ, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রভৃতি মনীষীগণকে তিনি পেয়ে যান বন্ধু হিসেবে। রবীন্দ্রনাথ তাঁকে ‘লোকমাতা ‘আখ্যা দেন। নন্দলাল বসুও তাঁর ভারতীয় শিল্পকলার ক্ষেত্রে ভগিনী নিবেদিতার প্রেরণাকে স্মরণ করেছেন। স্বাধীনতা আন্দোলনেও তাঁর অবদান যথেষ্ট ।
বিবেকানন্দের প্রভাব ও নামকরণ
১৮৯৩ সাল মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেলের জীবনের ক্রান্তিকাল ।এই বছরই আমেরিকার শিকাগো শহরে আয়োজিত ধর্ম মহাসম্মেলন অখ্যাত একটি দেশ ভারতবর্ষের এক বিপ্লববাদী তরুণ সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দ সেই ধর্ম সম্মেলনে ভারতীয় শ্বাশ্বত অধ্যাত্ম সাধনার মর্মকথা ও বেদান্তের বাণী উদাত্ত কণ্ঠে, দৃঢ় প্রত্যয়ী ভঙ্গিতে নিবেদন করলেন।
বীর সন্ন্যাসীর আশ্চর্য যুক্তিবাদী বিশ্লেষণ ,গভীর আধ্যাত্মিক জ্ঞান এবং ঔদার্যে জগৎবাসী মুগ্ধ হল, হিন্দুধর্মের সঙ্গে তাঁদের হল নতুন পরিচয় সাধন । মুগ্ধ মার্গারেট আত্মমুক্তির সন্ধান পেলেন স্বামীজির কথায় ভারতীয় সনাতন ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তিনি স্বামীজির শিক্ষাক্রম গ্রহণ করলেন । ১৮৯৮ সালের ২৫ মাঠ মার্গারেট সন্ন্যাসিনী মন্ত্রে দীক্ষা গ্রহণ করলেন।
ভগিনী নিবেদিতা নামের অর্থ
বিবেকানন্দ কথিত ‘মূর্খ ভারতবাসী’, ‘চন্ডাল ভারতবাসীর’ সেবা ও উন্নয়নের দায়ভার তিনি স্বেচ্ছায় তুলে নিলেন নিজের কাঁধে । স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর নামকরণ করলেন ভগিনী নিবেদিতা ; সেবায় নিবেদিত প্রাণ বলেই তিনি ‘নিবেদিতা’ ।
কৃতিত্ব
নারীশিক্ষার প্রচার
পরাধীন ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন ভারতবর্ষে নিবেদিতা স্বামীজির সঙ্গে পরিভ্রমণ করলেন । তিনি বুঝলেন যে শিক্ষা দিয়েই একমাত্র এই জাতিকে জাগিয়ে তুলতে হবে ।মেয়েদের শিক্ষার প্রসারে তিনি কলকাতার বাগবাজারের বোসপাড়া লেনে একটি বিদ্যালয় স্থাপন করলেন এবং নিজস্ব পদ্ধতিতে তিনি সেখানে শিক্ষাদান করতে লাগলেন। তিনি প্রাচীন ভারতীয় আদর্শের প্রতি ছিলেন অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীলা। তিনি সেলাই ,বিভিন্ন হাতের কাজ, আলপনা ইত্যাদি শিক্ষাও দিতেন।
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে তার অবদান
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামেও তার অবদান ছিল যথেষ্ট। তিনি বিপ্লবীদের নানানভাবে উৎসাহ দিতেন। এরপর স্বামীজি ও নিবেদিতার কর্মক্ষেত্র ধীরে ধীরে প্রসারিত হলো ।
১৯০০ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতায় প্লেগ রোগের মহামারী
১৯০০ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতায় দেখা দিল প্লেগ রোগের মহামারী ।মারাত্মক এই রোগে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারাতে রাখল রোগ সংক্রমণের ভয়ে মানুষ অন্য মানুষের কাছে ঘেঁষত না ।নিবেদিতা এসব আর্তের সেবায় এগিয়ে এলেন ;তাঁর স্বতঃস্ফূর্ত ও অক্লান্ত পরিশ্রম দেখে ভারতবাসী ।
বিবেকানন্দ সোসাইটি
সেই বছরই নিবেদিতা আমেরিকা পরিভ্রমণে বের হন, আমেরিকা থেকে প্রচার করলেন ভারতের ত্যাগের আদর্শ ;ঘোষণা করলেন প্রকৃত শান্তি ও নিষ্কাম কর্মের কথা । ১৯০২ সালের ৪ঠা জুলাই নিবেদিতার মন্ত্র গুরু স্বামী বিবেকানন্দের মহাপ্রয়াণ ঘটল ।মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেন নিবেদিতা।
স্বামী জির মৃত্যুর পর তিনি প্রতিষ্ঠা করলেন ‘বিবেকানন্দ সোসাইটি’। তিনি ছিলেন বহু প্রতিভার অধিকারিণী ।জগদীশচন্দ্র বসুর ভাষায় তিনি ছিলেন – “শিখাময়ী” , সারদা দেবী তাঁকে ‘শ্বেতপদ্ম’ বলে সম্মান দিয়েছিলেন ।
ভগিনী নিবেদিতার লেখা বই
তিনি কয়েকটি বই লিখেছিলেন তাঁর রচিত গ্রন্থগুলো হল ‘ক্রেডল টেলস অব হিন্দুইজম’, ‘দি ওয়েব অফ ইন্ডিয়ান লাইফ’ , ‘মাতৃরূপা কালি ‘,’স্বামীজিকে যেরূপ দেখিয়াছি’, ‘স্বামীজির সহিত হিমালয়ে’ ‘স্টাডিজ অব অ্যান ইস্টার্ন হোম’, ‘গ্লিমসেস অব ফেমিন অ্যান্ড ফ্লাড ইন ইস্টবেঙ্গল’ প্রভৃতি ।
প্রভাব
ভগিনী নিবেদিতা ভারতের সবচেয়ে প্রভাবশালী মহিলাদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর বই ‘মাতৃরূপা কালি’ পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘ভারতমাতা’ ছবিটি আঁকেন ।বিধাননগরে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ২০১০ সালে নির্মিত ভবনটি ‘নিবেদিতা ভবন’ নামে নামাঙ্কিত। তামিলনাড়ুর চেন্নাইতে ভগিনী নিবেদিতার প্রতিষ্ঠিত একাডেমিটি নাম রাখা হয়েছে ‘সিস্টার নিবেদিতা অ্যাকাডেমি’। তাঁর নামে একাধিক স্কুল ও কলেজের নামকরণ করা হয়েছে। ১৯৬৮ সালে ভারত সরকার তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে ডাক টিকিট প্রকাশ করেন ।
আদর্শ
পরাধীন ভারতবর্ষে মানুষ যখন অশিক্ষার নাগপাশে আষ্টেপৃষ্ঠে আবদ্ধ নির্যাতিত ,তখন ভারতের সাধারণ মানুষের বন্ধন মোচন ও দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্তির জন্য আলোকবর্তিকা নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন ভারতে।
স্বামীজির আদর্শে তিনি ধর্মকে মানুষের সেবায় রূপান্তরিত করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। ভারতবর্ষের নবজাগরণের ক্ষেত্রে তাঁর কর্মনিষ্ঠা সেবা আত্মত্যাগ উৎসাহ ও উদ্দীপনা এখনকার নারীদের কাছে আদর্শস্বরূপ । কলকাতায় প্লেগ নিবারণের কর্মসূচি ,স্কুল প্রতিষ্ঠা ও শিক্ষার প্রসারের জন্য বিদেশ গমন তাঁর জীবনের অন্যতম দিক ।
শুধু দেশের ক্ষুদ্র পরিসরে নিবেদিতার কর্মপ্রয়াস সীমাবদ্ধ ছিল না ।পাশ্চাত্যের বহু দেশে তিনি বেদান্তের বাণী প্রচার করেছিলেন। নারীশিক্ষার ইতিহাসেও ভগিনী নিবেদিতা একটি উজ্জ্বলতর নাম ; ধন্য তার প্রয়াস ।
মৃত্যু
স্বামীজির অবর্তমানে ১৯০২ থেকে ১৯১১ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ সময়ের অক্লান্ত পরিশ্রমে তাঁর শরীর ভেঙে যায় ।প্রখ্যাত চিকিৎসক ডক্টর নীলরতন সরকারের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে ১৩ই অক্টোবর দার্জিলিং-এ এই মহীয়সী নারীর জীবনাবসান হয়।
উপসংহার
নিবেদিতার জীবন ছিল আদর্শস্থানীয় ।সুদূর আয়ারল্যান্ড থেকে এসে ভারতের মানুষদের কাছে দাঁড়িয়ে সেবা ও মনুষ্যত্বে তিনি দেশবাসীকে মুগ্ধ করে দিয়েছিলেন । বিশেষ করে নারীশিক্ষার ক্ষেত্রে তাঁর প্রয়াস পাথেও হয়ে রয়েছে ।
ভারতীয় শাশ্বত আধ্যাত্মিক সাধনার বাণী একজন বিদেশিনী হয়ে ও যেভাবে আয়ত্ত করেছিলেন তাতে তাঁর ভারত অনুরাগের তীব্রতা ই প্রকাশ পায়। তাঁর জন্মের দেড়শত বছর পরে আজকের ভারতবর্ষে নারীসমাজের যে অবস্থান তাতেও নিবেদিতার আদর্শ ও কর্মপ্রচেষ্টা আমাদের পথ দেখাতে পারে বলে এক বাক্যে বিশ্বাস করা যায় ।
পরিশেষে , রবীন্দ্রনাথের কথা উল্লেখ করে বলা যায় যে “নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই “।
FAQ (সম্ভাব্য প্রশ্নাবলি )
ভগিনী নিবেদিতার আসল নাম কি ?
মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল ( Margaret Elizabeth Noble )
ভগিনী নিবেদিতা কবে ও কোথায় জন্মগ্রহণ করেন ?
উত্তর আয়ারল্যান্ডের ভাঙ্গানন শহরে ১৮৬৭ সালের ২৮ অক্টোবর মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল ওরফে ভগিনী নিবেদিতার জন্ম ।
ভগিনী নিবেদিতাকে 'লোকমাতা 'আখ্যা কে দিয়েছিলেন ?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ভগিনী নিবেদিতাকে “লোকমাতা” আখ্যা দেন।
ভগিনী নিবেদিতা কত সালে ভারতবর্ষে আসেন ?
উত্তর : ১৮৯৮ সালের ২৮ জানুয়ারি স্বদেশ ও পরিবার-পরিজন ত্যাগ করে মার্গারেট চলে আসেন ভারতে।
কোন কোন পত্রিকায় ভগিনী নিবেদিতা প্রবন্ধ লিখতেন ?
উত্তর : দ্য স্টেটসম্যান, অমৃতবাজার পত্রিকা, ডন, প্রবুদ্ধ ভারত, বালভারতী প্রভৃতি পত্রিকায় ধর্ম, সাহিত্য, রাজনীতি, সমাজতত্ত্ব, শিল্প ইত্যাদি বিষয়ে প্রবন্ধ লিখতেন।
নারীশিক্ষা প্রসারে নিবেদিতা কলকাতার কোথায় বিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন ?
উত্তর : মেয়েদের লেখাপড়া শেখানোর জন্য নিবেদিতা উত্তর কলকাতার বাগবাজার অঞ্চলে বোসপাড়া লেনে একটি মেয়েদের স্কুল খোলেন।
কোন আন্দোলনের সময় নিবেদিতা বিপ্লবীদের গোপনে সাহায্য করেছিলেন ?
উত্তর : ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনের সময় গোপনে বিপ্লবীদের সাহায্য করতে শুরু করেন নিবেদিতা।
ভগিনী নিবেদিতা কোন বংশোদ্ভূত ?
উত্তর : ভগিনী নিবেদিতা ছিলেন একজন অ্যাংলো-আইরিশ বংশোদ্ভুত সমাজকর্মী।
ভগিনী নিবেদিতা কত বছর শিক্ষকতা করেছিলেন ?
উত্তর : পড়াশোনা শেষ করে ১৮৮৪ সাল থেকে ১৮৯৪ সাল পর্যন্ত দশ বছর ভগিনী নিবেদিতা শিক্ষকতা করেন।