মন না চাইলেও বিদায় দিতেই হবে উমাকে, নবমী থেকেই মন খারাপের পালা শুরু হয়ে যায়, দশমীর দিন সেই বেদনা আরও গভীর হয় সাথেই শুরু হয় প্রতীক্ষার পালা, আবার একটা বছর। করোনা আবহে উৎসবের আমেজ এবছর তেমন না থাকলেও মা আসছে শুনেই মন ভালো হয়ে গেছিল সকলের। প্রতিবারের মতো এবছর ধূমধাম করে মাকে বিদায় জানানোর মতো পরিস্থিতি নেই, ঢাকের তালে ভাসানের নাচ, হই হুল্লোড় এবছর আর দেখা যাবে না।
এবছর অনেক বিধি মেনে পুজো হয়েছে, তেমনই প্রতিমা নিরঞ্জনেও থাকবে অনেক বিধি। করোনা আবহে পুজোর মধ্যেই বাংলায় তীব্র গতিতে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা, ঘাটে একেবারেই যাতে ভিড় না হয়েছে সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতিমা নিরঞ্জনের কি কি নির্দেশিকা পালন করতে হবে। মণ্ডপ থেকে প্রতিমা নিয়ে সোজা ঘাটে বিসর্জন দিতে হবে, এলাকাভিত্তিক তিন দিন প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য বরাদ্দ বলে জানানো হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফে।
হাইকোর্টের নির্দেশের পর এবছর মন্ডপে প্রতিবারের তুলনায় ভিড় কম হলেও তরুণ তরুণীদের ভিড় কিন্তু চোখে পড়েছে, ভাসানেও যদি তেমনটা হয় তাহলে বাড়তে পারে সমস্যা। যে ভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে প্রতিমা নিরঞ্জনে ভিড় আটকানো ভীষণ জরুরী ।এবছর ভাসানে যতটা সম্ভব কম মানুষকেই যেতে বলা হয়েছে, তা বাড়ির পুজো হোক বা পাড়ার, বাচ্চা এবং বয়স্কদের প্রতিমা নিরঞ্জনে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এবছর করোনার কারণে বাতিল হয়েছে পুজো কার্নিভাল।এবছর প্রতিমা নিরঞ্জনে প্রতিবারের মতো লোকজনের ভিড় একেবারেই যাতে না হয় সেদিক নজর দেওয়া হবে, পাশাপাশি বিসর্জনের সময়ে সমস্ত ঘাটে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিমের সদস্যরাও থাকবে, ভিড় হচ্ছে কি না তা দেখার জন্য নজরদারিও চালানো হবে। বেশ কিছু ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন দেখা যাবে বলেও জানানো হয়েছে। ভার্চুয়াল পুজোর মতোই এই বছরের বিজয়ার শুভেচ্ছাও জানানো হচ্ছে ভার্চুয়ালি, কারণ সতর্কতা সবার আগে।আসছে বছর আবার মা আসবেন। পরের বছর দ্বিগুণ আনন্দে মুছে যাবে এবছরের বিষা