খুচরো মিষ্টির ক্ষেত্রে ‘বেস্ট বিফোর তারিফ’ দেওয়া আবশ্যিক করেছে কেন্দ্র।১ অক্টোবর থেকে কেন্দ্রের নির্দেশে চালু হয়েছে খুচরো মিষ্টির ক্ষেত্রে ‘বেস্ট বিফোর তারিফ’। জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা ও মান নির্ধারণ সংস্থার তরফে দেওয়া এই নির্দেশ কিভাবে কার্যকর হবে তা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। বিশেষত এই সমস্যা দুধ, ছানার তৈরী মিষ্টি ঘিরে।
কেন্দ্রের নির্দেশে মিষ্টিতে এক্সপায়ারি ডেট চালু হওয়ার পর থেকেই মিষ্টি ব্যবসায়ীদের অবস্থা বেহাল। রাজ্যের বিক্রেতারা বুঝে উঠতে পারছেন না কিভাবে দুধ ছানার মিষ্টির জীবনকাল নির্ধারণ করবেন। কেন্দ্রের এমন নির্দেশের পরে বর্ধমানের সীতাভোগ -মিহিদানা-সীতাভোগ বিক্রিতে অনেক সমস্যায় পড়তে হবে বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা।কেন্দ্রের নির্দেশের পর এবার বর্ধমানের সীতাভোগ-মিহিদানা বেশ সংকটে। কারণ নির্দেশ অনুযায়ী এবার থেকে মিষ্টির জীবনকালও জানাতে হবে।কিন্তু দুধ-ছানার মিষ্টিতে কিভাবে এক্সপায়ারি ডেট নির্ধারণ করা হবে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন, ক্ষোভ মিষ্টি ব্যবসায়ীদের।
দিল্লি থেকে আসা ফুড সেফটি কমিশনারের চিঠিতে জানানো হয়েছে যেসব মিষ্টি প্যাকেট জাত নয় সেইসব মিষ্টির ট্রে তে বেস্ট বিফোর ইউজ’ লিখে রাখতে হবে। যাতে কেনার সময় ক্রেতা সচেতন হতে পারে মিষ্টির এক্সপায়ারি ডেট সম্পর্কে। কেন্দ্রের তরফে হঠাৎ এমন নির্দেশ পেয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বর্ধমানের মিষ্টি ব্যবসায়ীরা।
কারণ দুধ-ছানায় তৈরি মিষ্টির জীবনকাল কিভাবে মাপবেন জানা নেই উত্তর।আবহাওয়া ভেদে অনেক সময় মিষ্টির আয়ু বাড়ে আবার কমেও তবে এই মাপ কিভাবে বোঝাবে তা জানেনা বিক্রেতারা।
অন্যান্য রাজ্যের শুকনো মিষ্টি সুজি খোয়া, ক্ষীরের তৈরী হওয়ায় তাতে এক্সপায়ারি ডেট বলে দেওয়া সহজ, তা রাখাও যায় অনেকদিন। তবে দুধ-ছানার মিষ্টিতে তা একেবারেই অসম্ভব। বর্ধমানের মিহিদানা-সীতাভোগ-ল্যাংচাতে এর প্রভাব পড়বে নিঃসন্দেহে অনুমান করছেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা।