বড়িশা ক্লাবের প্রতিমা রাখা হবে রবীন্দ্র সরোবরের সংগ্রহশালায়



বিসর্জন দেওয়া হবে না  বড়িশা ক্লাবের প্রতিমাকে, সংরক্ষিত করে রাখা ফাইবার গ্লাসে তৈরি পরিয়ায়ী মায়ের প্রতিমা।করোনা আবহে বড়িশা ক্লাবের প্রতিমা নজর কেড়েছিল সকলের, লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের কষ্টের কথা সকলেই জানে, এই প্রতিমায় দেখা গেছে পরিযায়ী মায়ের কোলে সন্তান, এবং বাকি সন্তানরা মায়ের হাত ধরে হেঁটে চলেছে। ৩৩তম বর্ষে বড়িশা ক্লাবের এই  প্রতিমার বিসর্জন হবে না, সারাবছর শহরে প্রদর্শিত হবে।বড়িশা ক্লাবের প্রতিমা রাখা হবে রবীন্দ্র সরোবরের সংগ্রহশালায়।

বড়িশা ক্লাবের পুজোয় পরিযায়ী শ্রমিকদের সম্মান জানানো হয়েছে দুর্গা মায়ের মধ্যে দিয়ে৷প্রথমে নিউটাউনের ইকো পার্কে এই প্রতিমা রাখা হবে ঠিক হলেও পরে জানা যায় এউ প্রতিমা থাকবে রবীন্দ্র সরোবরের সংগ্রহশালায়।জানা গেছে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ স্তর থেকে ইচ্ছাপ্রকাশ করা হয়েছিল যাতে এই প্রতিমা সংরক্ষণ করা হয়, উদ্যোক্তারাও সম্মতি দেয় এবং প্রশাসনের সাথে বৈঠকে   সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ইকো পার্ক নয় রবীন্দ্র সরোবরে থাকবে প্রতিমা।


এবারের দুর্গাপুজোয় বড়িশা ক্লাবের থিম ছিল ‘ত্রাণ’ কৃষ্ণনগরের শিল্পী পল্লব ভৌমিক মা দুর্গার অসামান্য মূর্তিটি গড়েছেন, ভাবনা ছিল শিল্পী রিন্টু দাসের। এবছর অনেক মন্ডপেই পরিযায়ী শ্রমিকের হাহাকারের চিত্র ফুটে উঠেছে। কোথাও পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়ি ফেরার চিত্র আবার কোথায় বাড়ি ফিরতে না পারা, পথেই  মৃত্যুর ঘটনা উঠে এসেছে। 


মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বড়িশা ক্লাবের পুজো উদ্বোধনের দিনই মূর্তিটি সংরক্ষণের বিষয়ে কথা বলেছিলেন, জানিয়েছেন শিল্পী রিন্টু দাস। প্রতিমা সংরক্ষিত হওয়ায় আনন্দিত ক্লাবের পুজো উদ্যোক্তারা। যেমন পদ্ধতি মেনে প্রতিমা দিতে বলবেন তেমন ভাবেই প্রতিমা দেওয়া হবে সরকারি তত্ত্বাবধানে প্রতিমা সংরক্ষণের জন্য, জানিয়েছেন বড়িশা ক্লাবের কর্মকর্তা স্বপন বড়াল।

Recent Posts