২০১২ সালে দিল্লির নির্ভয়া কান্ডের ঘটনা জানার পর মানুষের পাশবিক রুপ দেখে পুরো দেশ আতঙ্কিত হয়ে গেছিল। চলন্ত বাসে গণধর্ষণের পর তাঁকে নির্মম অত্যাচার করে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়, মারধর করা হয় তাঁর সঙ্গে থাকা বন্ধুকে। প্রাণ হারিয়েছিল নির্ভয়া, ঘটনাটির আট বছর পরে দোষীদের ফাঁসি হয়। তবে শাস্তি হোক বা না হোক দেশে ধর্ষণের মতো নির্মম অপরাধ অহরহ হয়েই চলছে ।
এবার এমনই এক পাশবিক ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশের মেরঠে। গত শুক্রবার বাসে এক মহিলা যাত্রীকে সারারাত গণধর্ষণের পর তাঁকে অজ্ঞান অবস্থায় চলন্ত বাস থেকে দিল্লি রোডে ফেলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।মেরঠের দিল্লি রোডের উপর থেকে শনিবার সকালে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
নিজের সাথে হওয়া মর্মান্তিক ঘটনার কথা জানায় ওই মহিলা।মেরঠের সরধনা টাউনের বাসিন্দা ওই মহিলা শুক্রবার রাতে বৈশালী বাসস্ট্যান্ড থেকে দিল্লিগামী বাসে ওঠেন, বাসে তাঁকে ঠান্ডা পানীয় দেওয়া হয় যা খেয়ে অজ্ঞান হয়ে যান তিনি, এর পর বাসের কনডাক্টর-সহ কয়েকজন মিলে সারারাত ধর্ষণ করে ওই মহিলাকে। পুলিশ অভিযোগ কারিণীর কাছ থেকে সমস্ত ঘটনা শুনে তাঁর বয়ান রেকর্ড করেছে এবং তাঁকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশানুযায়ী নিগৃহীতার পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।
সমস্ত দিক দেখে ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করে মেরঠের এসএসপি অজয় সাহানি জানিয়েছেন রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের খোঁজ করা হচ্ছে।এক মাসের মধ্যে তৃতীয় বার একই ধরনের ঘটনা দেখা গেল উত্তরপ্রদেশে। দিনের পর দিন মহিলা দের উপর অত্যাচার বেড়ে যাচ্ছে, কখনো দোষী শাস্তি পাচ্ছে, কখনও আবার ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে বারবার এমন ঘটনায় প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে দেশ আধুনিক হলেও মহিলাদের সুরক্ষা কিন্তু আজও নেই।