ভারতে এমন ধরনের ও রাইস বা চালের আছে যেটি রান্না করার প্রয়োজন ই পড়ে না, ”শুধু ভেজান আর খেতে শুরু করে দিন”!! এটি কোনো গল্প নয় ;সত্যি ঘটনা। সমগ্র বিশ্বে চল্লিশ হাজারের থেকে ও বেশি প্রকারের চাল পাওয়া যায়। কিন্তু আসামে প্রাপ্ত ‘বোকা’ নামের এই চাল টির রয়েছে এক অদ্ভুত বিশেষত্ব এবং অভিনবত্ব ।
এটি খাওয়ার জন্য সাধারণ চালের মতো সেটিকে রান্না করতে হয় না। কিছুক্ষণের জন্য এটিকে জল বা দুধের মধ্যে ভিজিয়ে রাখলেই এটি খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। এই ‘বোকা চাউল ‘ ( boka saul, or ‘mud rice’ ) নিম্ন আসামে উৎপাদন হয়ে থাকে। এটি একপ্রকারের কোমল চাউল। এই চাল রান্না না করেই খাওয়ার উপযোগী হওয়ার জন্যই এটি সমগ্র দেশে বিশেষ সমাদর লাভ করেছে।
আরো পড়ুন –
৩০ টাকার খেলনা গাড়ি ব্যবহার করে ৩ কোটি টাকা উপায় করলেন এই ফটোগ্রাফার
১০ থেকে ১৫ মিনিট গরম জলে ভিজিয়ে নিলে বা ঠাণ্ডা জলে ৩০ মিনিট ভেজালেই এই চাল খাওয়ার জন্য একেবারে উপযোগী হয়ে ওঠে । অসমের বাসিন্দারা সাধারণত এই বোকা চাউলকে জলখাবার হিসাবে খেয়ে থাকেন ।অসমের ঐতিহ্যবাহী উৎসব , মাঘ বিহুর এটিই হল অন্যতম খাদ্য। ২০১৮ সালে এই চাল ভৌগোলিক স্বীকৃতি ও লাভ করেছে।
চালটির এই বিশেষত্বের জন্য একে ‘জাদুর রাইস’ বা ‘কোমল রাইস’ বলেও অভিহিত করা হয়। চালটির এই বিশেষত্বের কারণেই পুরনো দিনে সৈনিকরা রেশন হিসেবে এটিকে সঙ্গে করে নিয়ে যেত যুদ্ধক্ষেত্রে। ১৭ শতকে মোগলদের সাথে যুদ্ধরত আহোম সৈন্যের জন্য এই বিশেষ চালটি ই ছিল দেহের শক্তিদায়ী ইন্ধন।
ভারতে ভ্রষ্টাচার রুখতে অভিনব উদ্যোগ 😮 শূন্য টাকার (₹0) নোট!
এই চাল Geographical Indication অর্থাৎ GI ট্যাগ ও প্রাপ্ত করেছে আর কোনো দেশে GI ট্যাগ সেই বস্তুকেই দেওয়া হয়ে থাকে যার মধ্যে একটি বিশেষ রকমের বৈশিষ্ট্য থাকে। গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়য়ের জৈবপ্রযুক্তিবিদ্যা বিভাগ এই চালের ওপর গবেষণা করে এবং এর পুষ্টিতত্ত্বগুলি চিহ্নিত করে।তাঁদের গবেষণা অনুসারে, কোমল চাউলে ১০.৭৩ শতাংশ ফাইবার ও ৬.৪ শতাংশ প্রোটিন উপস্থিত । আমাদের দেশে নব্বই টাকা কিলো দরে বিক্রয় করা হয় এই বিশেষ চালটি।