স্মৃতির পাতায় উজ্জ্বল দোতলা বাস ফিরছে শহরে। ২০০৫ এ দোতলা বাস বন্ধ হয়ে যায় , ২০২০ তে আবার ফিরছে সেই দোতলা বাস।পর্যটনের আকর্ষণ হিসেবে নতুন রূপে কলকাতার রাস্তায় দোতলা বাস দেখে অনেকেই নস্টালজিক হবেন একথা বলা যায় নিঃসন্দেহে। কত ঘটনা, কত স্মৃতি দোতলা বাসকে ঘিরে তা এখনকার জেনারেশন তাদের পরিবারের বড়দের মুখে প্রায়শই শুনে থাকে।তবে এই বাস কোথা থেকে ছাড়বে,গন্তব্য কোথায় হবে তা এখনো জানানো হয়নি।
১৩ অক্টোবর মঙ্গলবার নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’টি বাসের যাত্রার সূচনা করবেন বলে জানা গেছে। তবে দোতলা বাসের নতুন রূপে তাকে দেখা যাবে নীল সাদা রং এ, আগের মতো লাল রং এ দেখা যাবে না দোতলা বাসকে। লন্ডন সিটি ট্যুরের হুড খোলা বাসের মতোই দেখতে শহরের এই বাস গুলি। অত্যাধুনিক বাসগুলিতে সিসিটিভি, প্যানিক বাটন এর পাশাপাশি অটোম্যাটিক দরজা এবং ডেস্টিনেশন বোর্ড থাকবে।বাসের একটিই প্রধান দরজা থাকবে, ছাদে ওঠার জন্য থাকবে সিঁড়ি। বাসের মোট আসন সংখ্যা ৫১ টি।
জামশেদপুরের সংস্থা বেবকো কতৃক নির্মিত এই দুটি দোতলা বাসের জন্য ৯০ লক্ষ টাকা আনুমানিক ব্যয় হয়েছে। পর্যটন বিকাশের লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন কর্পোরেশন চালাবে এই দোতলা বাস তবে এখনো তাদের পক্ষে বাস কোথায় যাবে, কতদূর যাবে, বাসের ভাড়া কত হবে এবিষয়ে এখনো পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি, সম্ভবত মঙ্গলবার উদ্বোধনের পরে তা জানানো হবে।
কলকাতায় প্রথম ১৯২৬ সালে দোতলা বাস চলে কালীঘাট থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত। একসময় কলকাতার অন্যতম পরিবহণের মাধ্যম হয়ে জনপ্রিয়তার নিরিখে এগিয়ে যেতা থাকে দোতলা বাস। দীর্ঘদিন চলার পর ধীরে ধীরে এই বাস কলকাতার ঐতিহ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করে।বাসের সংখ্যা কমে যায়।তেলের বিপুল খরচার জন্য সিএসটিসি দোতলা বাস বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ২০০৫ এ।