প্রত্যেক মহিলারই সাজগোজ করতে অার নিজেকে সুন্দর ভাবে সবার সামনে তুলে ধরার এক অন্তর্নিহিত বাসনা থাকে। নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য তাঁরা বিভিন্ন প্রসাধনী এবং সাজসজ্জার সামগ্রীর ওপর প্রচুর অর্থ ও ব্যয় করে থাকেন; আর এই কসমেটিক ইন্ডাস্ট্রিতে যে কোম্পানিটির বাজারে সর্বাধিক রমরমা; সেটি হল ল্যাকমি(Lakme) কোম্পানি ।

কিন্তু এই তথ্যটি হয়তো অনেকের কাছে অজ্ঞাত যে বিশ্ববিখ্যাত এই কোম্পানি ‘ল্যাকমি’ র নামটি কীভাবে এল? মেয়েদের প্রসাধনীর শখ এবং সাজগোজের ট্রেন্ড ১৯৫০ সাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল এবং সেই ট্রেন্ড টি কে ধরে রাখতে ; তাকে কার্যকরী এবং বাস্তবায়িত করার উদ্যোগ যিনি নিয়েছিলেন তিনি হলেন জেআরডি টাটা এবং সেই লক্ষ্য বাস্তবায়িত করার উদ্দেশ্যে তিনি একটি কোম্পানি শুরু করতে চেয়েছিলেন।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেরা রসিকতার কিছু অজানা কাহিনী, Rabindranath Tagore’s rosikota r goplo in bangla
- শিউলি ফুল সম্পর্কে বিস্তারিত, Details about Shiuli flower
- পলাশীর যুদ্ধ সম্পর্কে বিস্তারিত, Best details about the Battle of Plassey in Bengali
- পণপ্রথা একটি জাতীয় সমস্যা, Best essay on the Dowry System in Bengali
- অজ্ঞাতবাসে থাকাকালীন এই বিশেষ গাছটিতেই পাণ্ডবেরা লুকিয়ে রেখেছিলেন তাঁদের অস্ত্র সরঞ্জাম!! Pandavas Hid Their Weapons in This Tree
“ভারতীয় ত্বকের” চাহিদা পূরণ করতে বিদেশী ব্র্যান্ডগুলি সক্ষম ছিল না তাই এমন একটি ব্র্যান্ডের খোঁজ করা হচ্ছিল যার নাম এবং কার্যকরিতা দুটোই সমানভাবে ভারতীয় মহিলাদের মনের মতো হতে পারে। ভারতীয় ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি অনুসারে মা লক্ষ্মীকে সৌন্দর্যের প্রতিভূ হিসেবে মান্য করা হয়ে থাকে । ফরাসি ভাষায় ‘লক্ষ্মী’কে ‘ল্যাকমে’ হিসেবে অভিহিত করা হয় ; এবং সেই কথাটি মাথায় রেখেই ১৯৫২ সালে জামশেদজি টাটা কোম্পানিটির ‘ল্যাকমি’ নাম রেখে তার সূত্রপাত ঘটান ।

এটি কোম্পানির জন্য যথার্থ এবং নিখুঁত নাম ছিল কারণ এটি জাতির জন্য সম্পদ এনেছিল মূল্যবান ফরেক্স সংরক্ষণ করে । তাছাড়া ‘ল্যাকমি’ নামটি উচ্চ মধ্যবিত্ত মহিলাদের কাছে তার পাশ্চাত্য রূপী আবেদনময়ী শব্দটির কারণে বেশ সাড়া পড়ে গিয়েছিল। পরবর্তীকালে অর্থাৎ ১৯৯৬ সালে এই কোম্পানিটিকে হিন্দুস্তান ইউনিলিভার দুশো কোটি টাকা দিয়ে ক্রয় করে নেয়। এভাবেই ল্যাকমি কোম্পানিটির নামের সূত্রপাত ঘটে যা বর্তমানকালে সুপ্রসিদ্ধ একটি প্রসাধনী কোম্পানি হয়ে সবার মন জয় করে চলেছে; আর যাঁর কথা স্মরণ করে এই নামকরণ, তিনি আর কেউ নন; স্বয়ং’ মা লক্ষ্মী’।