পথ নিরাপত্তার এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ Safe drive save life ( সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ ), Safe drive save life scheme in Bengali


Safe drive save life ( সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ ) উদ্যোগটি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নেওয়া এক অনন্য প্রয়াস । মানুষের মধ্যে সাবধানে গাড়ি চালিয়ে জীবন বাঁচানোর সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত এই স্লোগানটি প্রচার করা হয়। সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ পরিকল্পনার মধ্যে দিয়ে জনসাধারণকে সচেতন করাই হল মূল প্রয়াস । দৈনন্দিন জীবনে রাস্তা ও পথ ঘাট ই হল আমাদের নিত্যদিনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ ।

পথ নিরাপত্তার এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ Save drive save life

স্কুল, অফিস, বাজার ও বিভিন্ন কারণে প্রতিনিয়ত যাতায়াতের জন্য আমাদের রাস্তা ব্যবহার করতে হয় তাই প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে পথপরিক্রমা। তাই সড়ক নিরাপত্তাকে আরও মজবুত করে তুলতে Safe drive save life এর মতন অভিনব স্লোগানটি হয়ে উঠছে আমাদের জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ । তাই দুর্ঘটনার মত দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির প্রভাব এড়ানোর তাগিদে ,Safe drive save life প্রচার অভিযানের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ সরকার মানুষের জীবনের গুরুত্বকেই প্রাধান্য দিতে চেয়েছে।

সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ পরিকল্পনা তৈরির প্রেক্ষাপট, Context for creating Safe Drive Save Life plan

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে যখন হাজার হাজার লোক মৃত্যুপথযাত্রী সেই কঠিন মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। লকডাউনের কারণে রেলের চাকা স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে রাস্তাঘাটে ভিড় বেড়েছে এবং যানজটে থমকে গেছে শহরের ব্যস্ত রাস্তাগুলি। অতিরিক্ত যানজটের ফলে স্বাভাবিকভাবেই পথ দূর্ঘটনার সম্ভাবনা বেড়ে যায়, এবং সেই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য সড়ক দুর্ঘটনা রুখতেই এই সচেতনতা অবলম্বন করা হয় সরকারের তরফ থেকে এই প্রকল্পটির মাধ্যমে ।

সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফ পরিকল্পনা তৈরির প্রেক্ষাপট

বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স কী ভাবে পাওয়া যায়, How to get a driving license in Bangladesh explained in Bengali

সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ প্রকল্পের উদ্দেশ্য , Objectives of Safe drive save life

করোনা ব্যতিরেকে কলকাতা শহরে ৭০শতাংশ ঘটে যাওয়া মৃত্যুর একমাত্র কারণ হল সড়ক দুর্ঘটনা। পথচারী ও গাড়ি চালকের অসতর্কতার ফলে দিনের পর দিন মানুষের মৃত্যু সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তবে প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে যদি একটু একটু করে সচেতনতা বৃদ্ধি পায় তাহলে আমরা দুর্ঘটনার কবল থেকে নিজেকে সহজেই রক্ষা করতে পারি । এই লক্ষ্য মাথায় রেখে , ৮ জুলাই ২০১৬ সালে রাজ্য সরকার সড়ক দুর্ঘটনা (Road Accidents) কমাতে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ প্রকল্পের মাধ্যমে সারা রাজ্যব্যাপী প্রচার অভিযান চালু করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায়।
খুব সহজ ভাষায় বলা যায় যে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ প্রকল্পের উদ্দেশ্যে হল মানুষের জীবন বাঁচানো। নিরাপত্তার রক্ষা কবচকে শক্ত করার জন্য সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য সরকার প্রতিটি গাড়ি চালকদের গাড়ির চালানোর সময় হেলমেট পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন । চালক এবং আরোহী উভয়ই যাতে হেলমেট পরেন এবং সেইসঙ্গে রাস্তা পারাপার করার সময় পথচলতি মানুষেরা ট্রাফিক আইন মেনে চলেন সেই সম্পর্কে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের মাধ্যমে। সরকার মনে করেন যে প্রত্যেকটি মানুষের দাম সময়ের চেয়ে বহুগুণ বেশি তাই পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু আটকানোর উদ্দেশ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর রূপায়ন করেন এই অভিনব প্রকল্পটি।

সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ প্রকল্পের উদ্দেশ্য

আজব সব তথ্য বাংলা তে ~ 100 Mind-Blowing Facts in Bengali | সেরা বাংলা ফ্যাক্ট গুলি

পথচারীদের নিরাপত্তার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ, Taking measures for the safety of pedestrians

রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশ অনুসারে কলকাতা পুলিশ দাবি করেছে যে সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে একদিকে যেমন হেলমেট ব্যবহার, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি না-চালানো, ওভার স্পিডিং, ওভার লোডিং না করা- ইত্যাদি বিষয়ে সোশ্যাল সাইটে লাগাতার প্রচার চালানো হচ্ছে ; ঠিক তেমন ভাবেই চালকদের সচেতন করবার তাগিদে বিভিন্ন কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে জেলায় জেলায়৷ একই সাথে যান চলাচলে নজরদারি বাড়াতে নানাবিধ পদক্ষেপ ও গ্রহণ করা হচ্ছে৷

পথচারীদের নিরাপত্তার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ

রাস্তায় সিসিটিভি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে, তৈরি হচ্ছে ওয়াচ টাওয়ার। কোনো চালক নির্ধারিত মাত্রা অমান্য করে মাত্রাতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালাচ্ছে কি না, সে বিষয়ে ও নজর রাখার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে স্পিড রেডার গান৷ এমনকি, বেপরোয়া চালকদের ধরতে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে পুলিশের তরফে৷ গাড়ির গতিকে নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে একাধিক জেলা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়ক-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় গাড়ির গতি কম করতে সক্ষম হয়েছে৷ তা ছাড়া, বিভিন্ন জেলার পুলিশের সমন্বয়ে ও বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণের লক্ষ্য নিয়ে পাঁচজন আইপিএসকে নিয়ে রাজ্য পুলিশ গঠন করেছে একটি কমিটি৷ আশা করা যাচ্ছে যে এভাবে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ, লাগাতার নজরদারি ও সচেতনতামূলক প্রচার চালিয়ে গেলে আগামী দিনে আরও দুর্ঘটনার সংখ্যা হ্রাস পাবে ।

রিফারবিশড মানে কি, Refurbished meaning in Bengali, what are refurbished phones? pros & cons and all details

সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ প্রকল্পের বাস্তবায়ন, Implementation of Safe Drive Save Life Scheme

রাজ্যে দুর্ঘটনা ক্রমবর্ধমান হওয়ার কারণে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মানুষকে সচেতন করার জন্য যে সচেতনতার স্লোগান , ‘Safe drive save life’, বেঁধে দিয়েছিলেন তার সামনে রেখে সারা রাজ্য জুড়ে প্রচার অভিযান সফলভাবে চালু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর গোটা স্লোগানটির মধ্যে দিয়ে একদিকে যেমন মানুষকে নিরাপদে, সতর্ক হয়ে গাড়ি চালাতে বলেছেন অন্যদিকে, সড়ক দুর্ঘটনাজনিত অকাল মৃত্যু নিয়ে রাজ্যবাসীকে সতর্ক ও করেছেন বারংবার ৷ কলকাতা পুলিশের কর্তারা ও স্বীকার করেছেন যে উক্ত স্লোগানটির মধ্যে এমন মমত্ববোধ এবং সচেতনতা একইসঙ্গে জড়িয়ে আছে যে সমস্ত মানুষের কাছে একবাক্যে তা হয়ে উঠেছে গ্রহণযোগ্য।

রাজ্য পরিবহন দফতরও মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া এই স্লোগান এবং এই মহৎ কর্মসূচি সামনে রেখে বিশেষ অভিযানে নেমেছে৷ যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী নিজেই দুর্ঘটনা কমাতে বদ্ধপরিকর, রাজ্য তথা কলকাতা পুলিশ আরও সক্রিয় হয়ে রাস্তায় নিজেদের কার্যকারিতায় পরিচয় দিয়েছে।  প্রতিবছর ট্রাফিক সপ্তাহ পালনের সাথে সাথে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে সচেতনতা সমৃদ্ধ কর্মসূচি পালন করা হয়৷ তবে এবারে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগ নেওয়ায় দৌলতে বাড়তি তৎপরতার সূত্রপাত ঘটেছে পুলিশ ও পরিবহণ দফতরে৷ পথ চলতি মানুষকে কলকাতার ট্রাফিক আইন নিয়ে ক্রমাগত সচেতন করা হচ্ছে এবং আইন ভঙ্গকারী বা লঙ্ঘনকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে মিলেছে ব্যাপক সুফল। পরিসংখ্যান বলছে যে কলকাতায় গত কয়েক বছরে কমেছে পথ দুর্ঘটনার হার; এবং তার সব কৃতিত্ব যায় মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত ‘সেফ লাইফ সেভ ড্রাইভ’ প্রকল্পকে ।

সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ প্রকল্পের বাস্তবায়ন

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে এই প্রকল্পের মধ্যে কে অতিরিক্ত সচেতনতার প্রচার করেছে কলকাতা পুলিশ ,আজ তার সুফল মিলেছে হাতে নাতে। শহরের পথে দুর্ঘটনার হার হ্রাস পাওয়াই তা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে দেয়। বিশ্বমঞ্চে যেমনভাবে যতটা সমাদৃত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্প ঠিক একই রকমভাবে জনপ্রিয় ও কার্যকরী প্রকল্প হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে ‘সেফ লাইফ সেভ ড্রাইভ’প্রকল্পটি ও।পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত কয়েক বছরে পথ দুর্ঘটনা কমেছে প্রায় ১৫ শতাংশ। উক্ত প্রকল্পটি শুরু হওয়ার আগে অর্থাৎ ২০১৫ সালে কলকাতা পুলিশে নথিভূক্ত পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল ৩,৭৩৯টি ;নিহত হন ৪২২ জন। কিন্তু, তিন বছরের মধ্যেই সেই সংখ্যাটি অনেকটাই হ্রাস প্রাপ্ত হয়েছে । ২০১৮ সালে নথিভূক্ত পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ২,৪৫৬ এ যেখানে মৃত্যুর সংখ্যা ২৯৪ ।

গত কয়েক বছরে প্রায় ৩০ শতাংশ কমেছে সড়ক দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর হার।লালবাজারের তরফে জানানো হয়েছে তিনটি ‘ই’যের উপর ভিত্তি করেই কলকাতার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ চলেছে। এই তিনটি ‘ই’ হল যথাক্রমে ; শিক্ষা (এডুকেশন), প্রকৌশল (ইঞ্জিয়ারিং) ও প্রয়োগ (এনপোর্সমেন্ট) ; অর্থাৎ কেবলমাত্র অফিসের চার দেয়ালের মধ্যে বসে নয় , ট্রাফিক অফিসারদের রাস্তায় নামানো হয়েছে পথচারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রচারের কাজে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে পথচারীদের বার বার করে আরও বেশি রকম কর্তব্যপরায়ণ হতে বলা হচ্ছে। জনসাধারণকে এ বিষয় সচেতন করতে সোশ্যাল মিডিয়াকে যেমন ব্যবহার করা হচ্ছে, তেমনই জেব্রা ক্রসিং দিয়ে মানুষ রাস্তা পার না করলে তাদের জরিমানা পর্যন্ত করা হচ্ছে।

উক্ত প্রকল্পটি শুরু হওয়ার আগে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কেবলমাত্র আসল দুর্ঘটনার ছবি ব্যবহার করা হত, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ইদানীংকালে গান ও ছড়ার মাধ্যমেও সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ চলছে । গাড়ি চালকদের সচেতন করার পাশাপাশি কখনও আবার আইন ভগ্নকারী চালকদেরই যান নিয়ন্ত্রণ করার কাজে লিপ্ত করানো হচ্ছে যার ফলে সার্বিক সচেতনতা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে ।
এসব কিছুর পাশপাশি আরও উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হচ্ছে। অটোমেটেড নম্বর প্লেট রেকগনাইজ সিস্টেমের মাধ্যমে আইন লঙ্ঘন করলে গাড়িকে সহজেই চিহ্নিত করা যাচ্ছে। শহরের ১৯টি জায়গাকে এরই মধ্যে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মা প্লাইওভার, এজেসি বোস রোড, বাইপাস এলাকায় তাই বেশি ট্রাফিক অফিসার সর্বক্ষণ মোতায়েন করা থাকে।

সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ

কলকাতার সিগন্যালিং ব্যবস্থা বর্তমানে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং একই প্রকারে শহরের গাড়িগুলির তথ্য সংরক্ষণ করা হয়েছে যার ফলস্বরূপ কোনও দুর্ঘটনা ঘটলেই সহজে আইন লঙ্ঘনকারী যানটিকে চিহ্নিত করে ফেলা সম্ভব হয়েছে। সবদিক দিয়েই
‘মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত ‘সেভ লাইফ সেফ ড্রাইভ’ প্রকল্পের সদর্থক দিকটি লক্ষ্য করা গেছে সফল রূপায়ণের মধ্য দিয়ে । শুধুমাত্র শহরেই নয় জেলাগুলিতেও কমেছে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা। কলকাতার মত পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলাগুলিতেও তাই রাজ্য সরকার জোরকদমে এই প্রকল্পের প্রয়োগ ঘটাতে চাইছে। প্রচার অভিযানের মাধ্যমে দুচাকা এবং চারচাকা গাড়ির গুলিতে Save drive save life এর স্টিকার লাগানো হয়েছে যার ফলে বৃদ্ধি হয়েছে জনসতর্কতা। ।

রাস্তায় স্পিড ব্রেকার ও হাম্প বসানো হয়েছে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। বিভিন্ন স্কুলে পড়ুয়াদের মাধ্যমেও এই প্রচারভিযান চালানো হয়েছে। প্রকল্পের পাঁচ বছর পূর্তিতে রাজ্যজুড়ে সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন সদর্থক কর্মসূচি গ্রহণ করে পুলিশ।উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পুলিশ স্টেশনের উদ্যোগে পথ নিরাপত্তা সম্পর্কিত সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কালিয়াগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশ উদ্যোগ নিয়ে একটি সচেতনতামূলক বাইক র ্যালি ( rally)আয়োজন করে।

তাছাড়াও থানার সামনে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ লেখা স্টিকার ছোট বড় সব ধরনের গাড়িতে লাগানো হয় এবং পথ চলতি মানুষদের মাস্ক বিতরণ করা হয়ে থাকে। কালিয়াগঞ্জ ছাড়াও উত্তর ২৪ পরগণার হাবরা থানার উদ্যোগেও পথ নিরাপত্তা সম্পর্কিত সচেতনতা কর্মসূচি পালন করে পুলিশ। যশোর রোডে যে সমস্ত বাইক আরোহী হেলমেট ছাড়া যাতায়াত করে থাকেন তাঁদের হাতে ফুল ও মিষ্টি তুলে দেওয়া হয় যাতে তাঁরা পরবর্তীকালে হেলমেট পরেন~সেই উদ্দেশ্যে নেয়া হয়েছিল এই অভিনব উদ্যোগটি ।
রাজ্য প্রশাসনের আশা, এইভাবে মানুষের মধ্যে পথ নিরাপত্তা সংক্রান্ত সচেতনতা ছড়াতে পারলেই সফলভাবে এড়ানো যাবে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনাসমূহ। সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ জনসচেতনা ছড়াতে প্রকৃতপক্ষে এক অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। পরবর্তীকালে এই প্রকল্পের প্রভূত সাফল্যে পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের এক নতুন নামকরণ করেন যা হল  স্লো ড্রাইভ সেভ লাইফ (Slow Drive Save Life)।

 ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ লেখা স্টিকার

কম্পিউটারের ইতিহাস ~ History of Computer in Bengali

পরিশিষ্ট, Conclusion

পথ নিরাপত্তা প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে এক অত্যন্ত গুরুত্ব বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে কারণ এই পথের ধারেই রয়েছে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, বাজার, অফিস আদালত এবং আরাে কত কি যা প্রত্যেকটি মানুষের জীবন এক অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে । প্রতিদিনের জীবন ধারণ এবং জীবিকার জন্য ঐসব প্রতিষ্ঠানে পৌঁছতে , এই পথই হল একমাত্র মাধ্যম । তাই সতর্কভাবে এবং সাবধানতা অবলম্বন করে গাড়ি, মােটরবাইক প্রভৃতি চালানাে পথ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্ব- পূর্ণ কারণ বহু মানুষ এই অসাবধানতার কারণে পথেই হারিয়েছে তাদের অমূল্য জীবন ।

পথ নিরাপত্তা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট মানুষদের অবহিত করার উদ্দেশ্য নিয়ে এবং সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাজে লাগিয়ে যে কর্মসূচি ২০১৬ সালে গ্রহণ করা হয়েছে, তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। Safe drive save life , স্লোগানটি রাজ্যের সর্বত্র বাস্তবায়িত করার জন্য বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজে লাগানাের জন্য খানিকটা হলেও যে মানুষের মধ্যে এই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে ।

 পথ নিরাপত্তা

Frequently Asked Questions :

সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভ প্রকল্পের সুবিধা কি?

সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি হবে এবং সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে।

সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ প্রকল্পটি কবে চালু করা হয়?

সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ প্রকল্পটি ৮ই জুলাই, ২০১৬ সালে চালু করা হয়।

লালবাজারে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কি নীতির ওপর ভিত্তি করে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করে থাকে ?

লালবাজারের তরফে জানানো হয়েছে তিনটি ‘ই’যের উপর ভিত্তি করেই কলকাতার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ চলছে। এই তিনটি ‘ই’ হল যথাক্রমে ; শিক্ষা (এডুকেশন), প্রকৌশল (ইঞ্জিয়ারিং) ও প্রয়োগ (এনপোর্সমেন্ট)

Recent Posts