রিফারবিশড মানে কি, Refurbished meaning in Bengali, what are refurbished phones? pros & cons and all details


ইদানীংকালের উন্নত প্রযুক্তির যুগে রিফারবিশড নামের সঙ্গে অনেকেই আজ আমরা পরিচিত । Refurbished শব্দের বাংলা মানে হল পুনর্নির্মাণ করা বা সংস্কার করা ; অর্থাৎ একটি জিনিস বা প্রোডাক্টকে যাচাই করে , সারাই করে, তাকে নবরূপ দিয়ে সঠিকভাবে পুনর্নির্মাণ করা । 

রিফারবিশড মানে কি

রিফারবিশড ফোন আসলে কী, what are refurbished phones in bangla?

অনেকের মনে স্বাভাবিকভাবে আগ্রহ এবং প্রশ্ন থাকতে পারে যে রিফারবিশড ফোন আসলে কি ? 

কী ভাবেই বা এত কম দামে এই ফোন উপলব্ধ হয় বাজারে ? ইদানীংকালে অনলাইন শপিংয়ের রমরমা বেড়েই চলেছে । বিভিন্ন অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম যেমন অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট, স্ন্যাপডিল ইত্যাদিতে কেনাকাটা করতে গেলে আমাদের চোখে স্বল্পমূল্যের বিভিন্ন ব্রান্ডের ফোন দৃষ্টিগোচরে আসে এবং তার সাথে লেখা থাকে রিফারবিশড (refurbished)। 

রিফার্বিশড ফোন হল এমন একধরনের স্মার্টফোন যা ইতিমধ্যেই অন্য কেউ কিনেছিলেন তবে কোনো সমস্যা থাকার দরুণ তা কোম্পানিকে ফেরত দেওয়া হয়েছে। ত্রুটিযুক্ত ফোনটি পুনরায় সার্ভিসিং করে সেলিং পয়েন্টের মাধ্যমে সেল করা হয় পরবর্তী পর্যায়ে।এ ধরনের ফোনকে ইউজড ফোনও বলা যেতে পারে। 

রিফারবিশড ফোন আসলে কী

শিক্ষাবিদ আবদুল্লাহ আল-মুতীর জীবনী, Biography of Abdullah-Al-Muti in Bengali

রিফারবিশড হওয়ার আগে ফোনে কী ধরনের সমস্যা দেখা যায়, Problems that can be seen in the phone before it is refurbished 

অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহক কোনো নতুন ফোন কিনলে তাতে অল্পবিস্তর সমস্যা দেখা দিতে পারে ; যেমন ব্যাটারি ফেইলিউর, ক্যামেরা বা স্পিকারের অকার্যকারিতা ইত্যাদি অথবা এমনও হতে পারে সে নতুন মোবাইল ফোন যার সাথে ক্রেতা ১ বছরের সার্ভিস এবং রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি পেয়েছেন তা কেনা ও ব্যবহার করার কিছুদিন পরই সেই ফোনে কিছু একটা সমস্যা দেখা দিল । সদ্য কেনার পর ক্রেতা যদি কোম্পানির কাছে বা কাস্টমার কেয়ার পরিষেবার কাছে এই ধরনের সমস্যার অভিযোগ করেন তাহলে সেই ফোন প্রতিস্থাপন বা Replacement করে দেওয়া হয়ে থাকে এবং পরবর্তী পর্যায়ে উক্ত কোম্পানি ফোনের সেই সমস্যা গুলি সারাই করে আবার বাজারে বিক্রি করার জন্য প্রস্তুতি নেয় । সংস্কার প্রাপ্ত ও পুনর্গঠিত এ ধরনের ফোনগুলি পরবর্তীতে ‘রিফারবিশড’ (Refurbished ) ফোন হিসেবে বাজারে পরিচিতি পায়। 

রিফারবিশড হওয়ার আগে ফোনে কী ধরনের সমস্যা দেখা যায়

আজব সব তথ্য বাংলা তে ~ 100 Mind-Blowing Facts in Bengali | সেরা বাংলা ফ্যাক্ট গুলি

রিফার্বিশড ব্রান্ড ফোন কিভাবে এত কম মূল্যে পাওয়া যায় ? How to get refurbished brand phone at such a low price? 

আমরা এতক্ষণ জেনে গেছি যে রিফার্বিশড ফোনগুলি প্রকৃতপক্ষে হচ্ছে ইউজড স্মার্টফোন যেগুলোর দূর্বল পার্টস, স্ক্রিন স্পট মেরামত করে আবার বিক্রয় করা হচ্ছে । তবে খুব স্বাভাবিক ভাবেই গ্রাহক বা ক্রেতা জেনে শুনে পুরাতন ফোন কিনতে ইচ্ছুক হবেন না আর সেই কারণেই এ ধরনের রিফার্বিশড স্মার্টফোনের দাম একটি নতুন স্মার্টফোনের থেকে অনেক কম হয়ে থাকে । 

রিফার্বিশড ব্রান্ড ফোন কিভাবে এত কম মূল্যে পাওয়া যায় ?

রিফার্বিশড স্মার্টফোন কি নকল হতে পারে ? Can Refurbished smartphone be fake? 

যখন কোনো দামি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন খুব অল্প দামে বিক্রয় হয় তখন ক্রেতাদের মনে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসতে পারে যে সেই ফোনটি নকল কি না আসল ; কিন্তু আপনারা জেনে অবাক হবেন যে রিফারবিশড ফোন ১০০% অরিজিনাল ব্রান্ডেড ফোন ।

এ ধরনের ফোনগুলি কখনোই ডুপ্লিকেট বা নকল ফোন হয়ে যায় না, কোম্পানির বিক্রেতারা শুধুমাত্র ব্যবহৃত অরিজিনাল ফোনটিকেই মেরামত করে পুনরায় বিক্রি করে থাকে । যাদের আর্থিক সঙ্গতি খুব একটা ভালো নয় বা যারা কম দামে ব্রান্ডেড ফোন কিনতে চান তারা পুরাতন ফোনের থেকে রেফারবিশড ফোন ক্রয় করতে পারেন কারণ এটি অনেক বেশি টেকসই । 

রিফার্বিশড স্মার্টফোন কি নকল হতে পারে

বাংলাদেশ সম্পর্কে ৩০ টি অজানা তথ্য ~ Bangladesh Facts and History in Bengali

রিফার্বিসড মোবাইল ফোন সম্পর্কিত কিছু উল্লেখযোগ্য তথ্য, Some important facts about refurbished mobile phones 

সংস্কার করা স্মার্টফোন বা রিফার্বিসড স্মার্টফোন হল এমন ডিভাইস যা আগে অন্য কারোর মালিকানাধীন ছিল। 

এই স্মার্টফোনগুলি একটি রিসেলার ওয়ারেন্টি সহ আসে এবং স্মার্টফোনটির বহিরাঙ্গ কয়েকটি ডেন্ট এবং স্ক্র্যাচ সহ নিখুঁত কাজের অবস্থায় থাকে 

একটি প্রত্যয়িত রিসেলারের কাছ থেকে এই পুনর্নবীকরণকৃত স্মার্টফোনগুলি কেনা সম্পূর্ণ নিরাপদ৷

রিফার্বিসড মোবাইল ফোন সম্পর্কিত কিছু উল্লেখযোগ্য তথ্য

কি ধরনের রিফাবিশড স্মার্টফোন কেনা শ্রেয়, What kind of refurbished smartphone is good for buying? 

অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি ধারণা করা হয়ে থাকে যে একটি রিফারবিশড ফোন কেনা বিভিন্ন কারণে একটি নতুন ফোন কেনার ই বিকল্প। তবে এ কথাটিও অনস্বীকার্য, যেহেতু সংস্কার করা ফোনগুলি পূর্বে ব্যবহার করা হয়েছে বা পূর্ব-মালিকানাধীন, তাই সেগুলির কোনও গ্যারান্টি নেই যে সেগুলি সমস্যামুক্ত হবে, বা তাদের কোনও সমস্যা থাকবে৷ তাই কোন ব্যক্তি রিফারবিশড ফোন কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভালো-মন্দ বিবেচনা করেই তা ক্রয় করা উচিত । 

রিফারবিশড ফোন কেনা উচিৎ কিনা সে প্রশ্নটির উত্তর কয়েকটি ছোট ছোট বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল। এ ধরনের ফোন কেনার আগে ক্রেতাকে সর্ব প্রথমেই সঠিকভাবে জানতে হবে যে সেটি কোন ধরনের রিফারবিশড স্মার্টফোন। অর্থাৎ, ফোনটি কি ফার্স্ট পার্টি ম্যানুফ্যাকচারার দ্বারা রিফারবিশড স্মার্টফোন নাকি থার্ড পার্টি ম্যানুফ্যাকচারার দ্বারা বিক্রয়যোগ্য রিফারবিশড স্মার্টফোন ?

এ ক্ষেত্রে সর্বাধিক অগ্রগণ্য দেওয়া দেওয়া উচিৎ ফার্স্ট পার্টি ম্যানুফ্যাকচারার বা কোম্পানির দ্বারা রিফারবিশড স্মার্টফোনকে কারণ এ ধরনের ফোন সরাসরি কোম্পানির দ্বারা মেরামত করা হয়ে থাকে আর সেই স্মার্টফোনে সমস্যা একটু কম থাকাই বাঞ্ছনীয় ।আবার সরাসরি কোম্পানির দ্বারা রিফারবিশড হলে অনেক ক্ষেত্রে ক্রেতাকে ফোনের সাথে ৬ মাস বা ১ বছর বা আরও বেশি অফিশিয়াল ওয়ারেন্টি ও দেওয়া হয়ে থাকে ; অর্থাৎ কিনা রিফারবিশড স্মার্টফোন হওয়ার পরেও, কেনার পরে ক্রেতার ফোনের কোন সমস্যা হলে কোম্পানি তাকে ফোনটি সারাই করে দিতে বদ্ধপরিকর । তবে ক্রেতা যদি থার্ড পার্টি ম্যানুফ্যাকচারার দ্বারা রিফারবিশড স্মার্টফোন কিনে থাকেন তাহলে তিনি এই ধরনের সুবিধা সাধারণত পান না । 

কি ধরনের রিফাবিশড স্মার্টফোন কেনা শ্রেয়

পবিত্র গায়ত্রী মন্ত্র সম্পর্কে বিস্তারিত, Details about Gayatri mantra in Bengali language 

Refurbished স্মার্টফোন কেনার আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, Things to keep in mind before buying a refurbished smartphone 

Refurbished স্মার্টফোন কিনতে হলে কেনার আগে অতি অবশ্যই কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখবেন। যেমন ; 

**ক্রেতা তার স্মার্টফোনটি অবশ্যই কোন নামকরা অনলাইন বা অফলাইন ফোকান থেকে কিনবেন এবং নিজের পছন্দের স্মার্টফোনটি কেনার আগে অবশ্যই স্মার্টফোনটির ইউজার রিভিউ এবং সেলার রিভিউ পড়ে নিতে হবে । সম্ভব হলে ক্রেতা যফি চান তবে তিনি স্মার্টফোনটির সেলারের সাথে সরাসরি যোগাযোগ ও করে তার মতামত নিতে পারেন। 

** ক্রেতাকে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে জেনে নিতে হবে যে refurbished স্মার্টফোনটি সরাসরি অফিশিয়াল ম্যানুফ্যাকচারার দ্বারা রিফারবিশড নাকি থার্ড পার্টি দ্বারা। এক্ষেত্রে ক্রেতাকে অবশ্যই অফিশিয়াল ম্যানুফ্যাকচারার দ্বারা রিফারবিশড ফোনগুলোকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। 

** ক্রেতা যে ফোনটি কিনতে যাচ্ছেন তা আদতেই একটি রিফারবিশড ফোন কিনা সেটা নিশ্চিত করে নিতে হবে কারণ বিভিন্ন অনলাইন স্টোরে এমন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছেন যারা নকল ফোন বা ক্লোন ফোনকে রিফারবিশড স্মার্টফোন বলে বাজারে বিক্রি করার চেষ্টা করে থাকেন। এদের ফাঁদে পা দিলেই ঠকবেন তাই সবসময় উচিত Refurbished স্মার্টফোন কেনার আগে সেলারের রেটিং টিতে একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া , ক্রেতাদের প্রতিক্রিয়া জানা এবং প্রত্যেকটি প্রোডাক্ট রিভিউ ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা। 

Refurbished স্মার্টফোন কেনার আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে

রিফারবিশড ফোন কত ধরনের হয়, Types of Refurbished phones 

রিফারবিশড ফোন দুই ধরনের হয়ে থাকে : 

১) বিক্রেতার সংস্কারকৃত ফোন ( Seller Refurbished Phone) 

২) প্রস্তুতকারকের সংস্কারকৃত ফোন

( Manufacturer’s Refurbished Phone) 

বিক্রেতার সংস্কার করা ফোন পছন্দ করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না কারণ এটি বিক্রেতার দ্বারা মেরামত করা হবে, প্রস্তুতকারকের দ্বারা নয়।

প্রস্তুতকারকের মেরামত বা সংস্কার করা ফোনগুলি প্রায় নতুনের মতোই উৎকৃষ্ট । বড় জোর ফোনটিতে ছোটখাট স্ক্র্যাচ থাকতে পারে ; এর থেকে বেশী কিছু নয় । তাই সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ও বুদ্ধি খাটিয়ে রিফারবিশড ফোন কিনলে ক্রেতা 

একটি নতুন ফোনের তুলনায় অনেক কম দামে সেটি পেতে পারেন যার কার্যকারিতা নিয়ে কোনো কথা হবে না । 

রিফারবিশড ফোন কত ধরনের হয়

জেনে নিন দুর্গাপূজা নিয়ে অজানা সব তথ্য – Unknown Facts About Durga Puja in Bengali

রিফারবিশড স্মার্টফোন কেনার সুবিধা/ অসুবিধা, Advantages/Disadvantages of Buying a Refurbished Smartphone 

সুবিধা : বেশিরভাগ ক্রেতার জন্য একটি রিফারবিশড স্মার্টফোন ফোন কেনার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল একটি নতুন ফোন কেনার তুলনায় অর্থ সঞ্চয়। সংস্কার করা ফোনগুলিকে ছাড়ের দামে বিক্রি করা হয় কারণ একবার ব্যবহার করা হলে সেগুলিকে “নতুন” হিসাবে বিক্রি করা বা লেবেল করা যায় না৷ খরচ সঞ্চয়ে এই ফোনগুলি বিশেষভাবে সহায়ক ।যদি আপনার ফোন হারিয়ে যায়, চুরি হয়ে যায় বা অপ্রত্যাশিতভাবে ত্রুটিপূর্ণ হয়ে যায় বা যখন আপনার কাছে বেশি দামে একটি নতুন ফোন কেনার জন্য তহবিল নাও থাকতে পারে ; তখন এ ধরনের ফোনের দাম নতুন ফোনের থেকে কম হওয়ায় ক্রেতা সহজেই কিনতে পারবেন । 

**একটি সংস্কার করা ফোন বা Refurbished phone কেনার আরেকটি সুবিধা হল যে এটি একটি পরিবেশ বান্ধব বিকল্প। সংস্কার করা ফোনগুলি হল পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্য, যার অর্থ তারা ল্যান্ডফিলের বাইরে থাকে এবং ফলস্বরূপ পরিবেশের ক্ষতিতে অবদান রাখে না। 

**রিফারবিশড ফোনের ক্ষেত্রে ওয়ারেন্টিও দেওয়া হয়ে থাকে যা কিনা একটি সংস্কার করা ফোন কেনার আরেকটি সুবিধা। একটি স্বনামধন্য কোম্পানি থেকে এ ধরনের ফোন কেনার সময়, আপনাকে সম্ভবত 90-দিনের ওয়ারেন্টি সময় দেওয়া হয়ে থাকে, যা আপনাকে আপনার পুনর্নবীকরণ করা ফোনটিতে কোনো ত্রুটি থাকলে মেরামত করার আশ্বাস ও দেয়। 

অসুবিধা : যদিও সঞ্চয়, পরিবেশে সাহায্য করা এবং ওয়ারেন্টি একটি রিফারবিশড ফোন কেনার জন্য একটি বড় কারণ, তবে এর পাশাপাশি বেশ কিছু অসুবিধাও লক্ষ্য করা গেছে ।

যেহেতু রিফার্বিশড ফোনগুলি ইউজড ফোন তাই সাধারণত অন্য কেউ তা ব্যবহার করেছে, বা প্রথম স্থানে ত্রুটির কারণে ফিরে এসেছে, তাই সংস্কার করা ফোনগুলিতে ত্রুটি থাকার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না ৷ এই ত্রুটিগুলি কিছু ক্ষেত্রে জটিল এবং অভ্যন্তরীণ ও হতে পারে। 

**অভ্যন্তরীণ ত্রুটির মধ্যে যে সকল সমস্যাগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে যেমন ক্যামেরা কাজ করছে না, বা স্পীকারফোন শুনতে যথেষ্ট জোরে নয়। অন্যান্য ত্রুটিগুলির মধ্যে ফোনের কেসিংয়ে দাগ ;যেমন স্ক্র্যাচ এবং নিকগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। 

**ওয়ারেন্টি সুরক্ষার ক্ষেত্রে, আপনার Refurbished ফোনের জন্য যা সুবিধা অফার করা হয়, তা একটি নতুন ফোন কেনার সময় আপনি সাধারণত যে এক বছরের ওয়ারেন্টি পান তার চেয়ে কম ই হয়ে থাকে । 

রিফারবিশড স্মার্টফোন কেনার সুবিধা/ অসুবিধা

অন্যান্য বিবেচনাযোগ্য বিষয় :

Refurbdepot.com এর মতে, নতুন ফোনের তুলনায় সংস্কার করা ফোনের ত্রুটির হার অনেক কম থাকে কারণ নতুন ফোনের মূল পণ্যের স্পেসিফিকেশন পূরণের জন্য প্রস্তুতকারকের দ্বারা পরিদর্শন, পরিষেবা, পরীক্ষা এবং পুনরায় প্যাকেজ করা হয়। তবে যে ধরনের ই রিফারবিশড ফোন কিনুন না কেন ক্রেতাকে সবসময় বুদ্ধি খাটিয়ে ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে এবং সঠিক বিবেচনা করে তা ক্রয় করতে হবে তাহলে ঠকার সম্ভাবনা কম থাকবে । 

নতুন ফোনের তুলনায় সংস্কার করা ফোনের ত্রুটির হার অনেক কম থাকে

পরিশেষে, To conclude 

আশা করি, উপরের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে জ্ঞাত হবার পত ক্রেতারা নিজেদের রিফারবিশড স্মার্টফোন কেনার সময় মোটামুটি নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। তবে সব সময় এ কথা ও মনে রাখতে হবে যে এ ধরনের ফোনে কোন সমস্যা হবেনা ; কারণ, একটি রিফারবিশড স্মার্টফোন কেনার আগে ক্রেতাকে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে যে এই ফোনটিতে ভবিষ্যতে বিভিন্ন ধরনের ছোটখাটো সমস্যা দেখা দিলেও দিতে পারে কারণ বাস্তব এটাই যে কোনো জিনিসই একশো ভাগ ত্রুটিহীন হয় না । 

Frequently asked questions

রিফারবিশড শব্দের অর্থ কী ?

Refurbished শব্দের বাংলা মানে হল পুনর্নির্মাণ করা বা সংস্কার করা । 

নতুন ফোন কেনার সময় কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে ?

অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহক কোনো নতুন ফোন কিনলে তাতে অল্পবিস্তর সমস্যা দেখা দিতে পারে ; যেমন ব্যাটারি ফেইলিউর, ক্যামেরা বা স্পিকারের অকার্যকারিতা ইত্যাদি। 

রিফারবিশড ফোন কি ?

রিফার্বিশড ফোন হল এমন একধরনের স্মার্টফোন যা ইতিমধ্যেই অন্য কেউ কিনেছিল তবে কোনো সমস্যা থাকার দরুণ তা কোম্পানিকে ফেরত দেওয়া হয়েছে। ত্রুটিযুক্ত ফোনটি পুনরায় সার্ভিসিং করে সেলিং পয়েন্টের মাধ্যমে সেল করা হয় পরবর্তী পর্যায়ে।এ ধরনের ফোনকে ইউজড ফোনও বলা যেতে পারে। 

রিফারবিশড ফোন কত ধরনের হয় ?

রিফারবিশড ফোন দুই ধরনের হয়ে থাকে : 

১) বিক্রেতার সংস্কারকৃত ফোন ( Seller Refurbished Phone) 

২) প্রস্তুতকারকের সংস্কারকৃত ফোন

( Manufacturer’s Refurbished Phone) 

রিফারবিশড ফোনের একটি সুবিধা উল্লেখ করো ।

এই স্মার্টফোনগুলি একটি রিসেলার ওয়ারেন্টি সহ আসে এবং স্মার্টফোনটির বহিরাঙ্গ কয়েকটি ডেন্ট এবং স্ক্র্যাচ সহ নিখুঁত কাজের অবস্থায় থাকে।

Recent Posts