৫০টি স্বল্প মূলধন বিনিয়োগে ব্যবসার আইডিয়া ~ Business Ideas with Low Investment – Explained in Bengali


স্বল্প পুঁজির ৫০ টি ছোট এবং সৃজনশীল নতুন নতুন ব্যবসার আইডিয়া নিম্নে উল্লিখিত করা হয়েছে, ব্যবসা শুরুর আগে কিছু কথা – যে পণ্য বা পরিষেবাটি কেন্দ্র করে ব্যবসাটি শুরু করা হবে তার বিস্তারিত পরিকল্পনা অগ্রিম করে নেওয়া দরকারি ।

বাজারে তার আপেক্ষিক প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে ও অধ্যয়ন করতে হবে। তদুপরি , সম্ভাব্য ব্যবসায়িক প্রতিযোগীদের প্রদত্ত সুযোগ সুবিধাগুলির সাথে ও নিজেকে ভালভাবে পরিচিত করতে হবে। অতিরিক্তভাবে, সম্ভাব্য গ্রাহকদের একটি ডাটাবেস তৈরি করা ও যেতে পারে। এ ধরনের ছোট ব্যবসা শুরু করতে গেলে খুব স্বল্প ও মার্জিত সুদে কো- অপারেটিভ বা বিভিন্ন সংস্থা থেকে লোন পাওয়া ও সহজলভ্য।

স্বল্প পুঁজির সৃজনশীল ব্যবসার আইডিয়া ২০২২,

ব্যবসার আইডিয়া বাংলাদেশ | ঘরে বসে ব্যবসা আইডিয়া ( Best Business Ideas in Bangla )

১. ব্লগ লেখা (Blog writing)

ঘরকেন্দ্রিক ব্যবসার অন্যমত সহজ উপায় ব্লগ লেখা। গত এক দশকে এই ব্যবসা পৃথিবীজুড়ে জনপ্রিয়তার শিখরে।প্রথমে নিজের পছন্দের বিষয়টি বেছে নিতে হবে এবং সেটি এমন একটি বিষয় হওয়া মার্জিত যা সময়ের সাথে সাথে অচল হয়ে যাবে না। বিষয়টি সম্পর্কে সার্বিক জ্ঞান ও আগ্রহ থাকা অবশ্য প্রয়োজনীয়।পাশাপাশি দরকার ভাষার ওপর দক্ষতা ও লেখনী শক্তির দৃঢ়তা ।

ব্যবসার আইডিয়া বাংলাদেশ | ঘরে বসে ব্যবসা আইডিয়া

ইংরেজি ভাষার সাথে সাথে বর্তমানে আঞ্চলিক ভাষার ব্লগের চাহিদাও বেড়েছে ক্রমশ।ব্লগের ভাষার ধরণ ও রচনা শৈলী নির্ভর করে সেই লেখাটির গ্রহণযোগ্যতা। ব্লগ তৈরির সম্পর্কে সম্পূর্ণ খুঁটিনাটি অনলাইনে বিনামূল্যে প্রাপ্ত করা যায়। ব্লগ তৈরির পর তা থেকে কীভাবে অর্থ উপার্জন করা যায় সে বিষয় সিদ্ধান্ত নিতে হবে ও সেই অনুযায়ী বিজ্ঞাপন প্রোগ্রামে সেটিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

বিজ্ঞাপনদাতাদের বিজ্ঞাপন দেওয়ার বিনিময়ে ব্লগাররা অর্থ উপার্জন করতে পারে। প্রসঙ্গত বলা যেতে পারে ,আয় নির্ভর করে উক্ত ব্লগের ট্রাফিকের ওপর। ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সারা বিশ্বে হাজার হাজার লোক ব্লগের মাধ্যমে ৫০০ থেকে ২৫০০০ ডলার পর্যন্ত আয় করছে ।

২. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট (Social Media Management)

সামাজিক মাধ্যমের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি ও বিজ্ঞাপনের চাহিদার সাথে সাথে বর্তমান যুগে সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নির্ভরশীলতা প্রভূত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের কাজ জানা দক্ষ কর্মী প্রয়োজনীয়তা অনেক বেড়েছে । বিভিন্ন কোম্পানিগুলি অনেক ক্ষেত্রে সর্বক্ষণের কর্মী নিয়োগ না করে বাইরে সংস্থার কর্মীর ওপরও নির্ভার করে থাকে।অতএব সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের কাজে যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করতে পারলে প্রায় বিনা পুঁজিতেই ব্যবসা করে রোজগার করা সম্ভব।

৩. ওয়েব ডিজাইনিং (Web Designing)

বর্তমান যুগ ইন্টারনেটের যুগ। তাই ইন্টারনেটের প্রসারের সাথে সাথেই বৃদ্ধি হচ্ছে ডোমেন এবং ওয়েব হোস্টিং পরিষেবার চাহিদা। বর্তমানে অধিকাংশ কোম্পানির জন্যই অনলাইন উপস্থিতি হয়েছে বাধ্যতামূলক এবং সেই প্রয়োজনে কোম্পানিগুলিকে তৈরি করতে হয় নিজস্ব ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট ডিজাইন এর মত বিভিন্ন কাজের প্রতিটি ক্ষেত্রেই কোম্পানিরা নির্ভর করে থাকে বাইরের সংস্থার ওপর । তাই ওয়েব ডিজাইনের কাজ জানা থাকলে খুব স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগেই এই ব্যবসা শুরু করা যা্য।

৪. অনুবাদের ব্যবসা (Translation)

দুটি ভাষায় প্রয়োজনীয় দক্ষতা থাকলে এই কাজ খুব সহজেই শুরু করা যায় এবং যদি পাশাপাশিই অন্যান্য ভাষার অনুবাদকদের নিয়ে একটা দল গঠন করে ফেলা যা্য তাহলে এই ব্যবসা সম্পর্কিত এজেন্সিও খোলা যেতে পার।

অনুবাদ ও ইন্টারপ্রিটেশন আধুনিক ইন্টারনেট যুগের একটি লাভজনক ব্যবসা।এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য অনলাইনেই পাওয়া জেতে পারে। , তবে মনে রাখতে হবে প্রকৃত দক্ষ ও নির্ভুল অনুবাদকদের ই বিশ্বের বিভিন্ন অনুবাদ সংস্থা এই কাজে নিয়োগ করে থাকে। তাই বিদেশি ভাষায় অনুবাদ করতে চাইলে সেই স্তরের দক্ষতা অর্জন করা খুব জরুরি। অতি নগণ্য পুঁজিতেই এই ব্যবসা শুরু করা যায়।

৫. ইউটিউব চ্যানেল মাধ্যমে ব্যবসা:

ইউটিউব চ্যানেলে অ্যাকাউন্ট থাকলেই এই ব্যবসা খুব সহজেই শুরু করা যায় রান্না শেখানো , বেড়ানো, গান থেকে দৈনন্দিনের টোটকা এবং নিজের আগ্রহের যে কোনও বিষয় নিয়েই খোলা যেতে পারে এই চ্যানেল সংক্রান্ত অ্যাকাউন্টটি। যথেষ্ট সংখ্যক দর্শক সেই চ্যানেল বা আপলোড করা ভিডিওগুলো দেখে তাহলে বিজ্ঞাপন বাবদ অর্থ উপার্জন করা যায় । তবে ভিডিওর গুণমান ও অভিনবত্বের দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন আছে যা এই ব্যবসার সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।

সহজে ইউটিউব থেকে ভিডিও ডাউনলোড করার পদ্ধতি

৬. হস্তশিল্পের ব্যবসা (Handicraft)

হস্তশিল্পের বিপুল সম্ভার আমাদের সোনার বাংলা। পোড়ামাটির শিল্প ,ডোকরার কারুকার্য , পিঙ্গলার পটচিত্র, নতুনগ্রামের পেঁচা, মাটির পুতুল, মেদিনীপুরের মাদুর, কুচবিহারের শীতলপাটি. চড়িদার ছৌ মুখোশের মত হাজারো হস্তশিল্পের সম্ভারে সমৃদ্ধ আমাদের রাজ্য যা দেশ বিদেশের বাজারে চাহিদার শীর্ষে অবস্থানরত।নিজেদের সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে আর ও নতুন ধরণের অনেক পণ্যও তৈরি করছেন গ্রামীণ শিল্পীরা। এই সমস্ত হস্তশিল্পের সম্ভার নিয়ে অল্প পুঁজিতে অনলাইন ব্যবসা করে নিয়মিত লাভ করা সম্ভব। এছাড়া নিজস্ব ডিজাইন দিয়েও সামগ্রী বানিয়ে অনলাইনে বিক্রি করা যেতে পারে।

৭. গয়না বানানোর ব্যবসা (জুয়েলারি মেকিং):

হাতের কাজ ও শিল্পের দক্ষতা এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতা থাকলে নানা উপাদান জোগাড় নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারা যায় আধুনিক ও আকর্ষণীয় গয়না। খুব কম খরচে লাভজনক ব্যবসা করার এটি একটি অনন্য উপায়। নিজের পরিচিতদের মধ্যে, অনলাইনে শুরু করা যেতে পারে এই গয়না বিক্রির ব্যবসা। বিভিন্ন মেলা ও প্রদর্শনীতে সাধারণের আয়ত্ত্বের মধ্যে দাম ও আকর্ষণীয় ডিজাইন রেখে এই ব্যবসাটি করলে বেশ লাভজনক সিদ্ধ হয়।

৮. অনলাইনে শাড়ি বিক্রয় করা:

শাড়ি কিনে পরিচিতদের বাড়ি বা অফিস গিয়ে শাড়ি বিক্রির ব্যবসা দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। আধুনিক ইন্টারনেটের যুগে তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে অনলাইন ব্যবসার সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে লাগিয়ে এই ব্যবসাকে আধুনিকীকরণ করার উদ্যোগ নিয়েছে বিক্রেতারা । ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস এর মাধ্যমে কম খরচে লাভের ব্যবসা করছেন অনেকে। গুণগত মান এবং ক্রেতার পছন্দের কথা মাথায় রেখে ন্যায্য মূল্যে তাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে খুব সহজেই অল্প টাকায় এই ব্যবসা মারফত লাভবান হওয়া যায়।

শাড়ি ব্যবসার ভালো নামের আইডিয়া

মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা | মেয়েদের ব্যবসার আইডিয়া ( Business Ideas for ladies in bengali )

করোনা ভাইরাসের প্রকোপে ২০২০ র বিধ্বংসী মহামারি শুধু মানুষের জীবনকে ই ছারখার করে দেয়নি, ধ্বংস করেছে সমগ্র দেশের অর্থনীতিকেও।অগণিত সাধারণ মানুষ হারিয়েছে তাদের রুজি রোজগার।অভাব ও দারিদ্র্য গ্রাস করেছে এই সমাজকে।

মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা | মেয়েদের ব্যবসার আইডিয়া

অর্থনৈতিক মন্দার এই দুঃসময়ে কিছু কর্মহারা উদ্যোগী মানুষ এ হেন প্রতিকূল অবস্থায় থেমে না থেকে স্বল্প পুঁজিতেও শুরু করেছে নিজস্ব ব্যবসা আর অনেকে যারা মনে করত ব্যবসা শুরু করতে গেলে বড়রকমের মূলধন প্রয়োজন হয় তারা এই অর্থনৈতিক সঙ্কটের বাজারে অবশেষে উপলব্ধি করতে পেরেছে যে সৃজনশীলতা, দক্ষতা, শ্রম আর সর্বোপরি আগ্রহ ও ইচ্ছাশক্তি দিয়েও স্বল্প মূলধন বিনিয়োগও লাভজনক ব্যবসা শুরু করা যায়।

৯. পোশাক তৈরি করা ও দর্জির কাজ (Tailoring)

অভিনবত্বের ছোঁয়া ও পছন্দসই ডিজাইনের পোশাক তৈরি করতে পারলে নিজের বাড়িতে বসেই টেলারিং বা পোশাক তৈরির কাজ করে লাভবান হওয়া যায় । প্রচলিত ডিজাইনের পাশাপাশি তৈরি করা যেতে পারে অভিনব নক্সার ডিজাইন। উভয়ে ক্ষেত্রেই সমভাবে পুরুষ ও মহিলা চাহিদা রয়েছে। তাছাড়াও ক্রেতার বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাপ নেওয়া আর ডেলিভারি দেওয়ার ব্যবস্থা রাখলে এই ব্যবসা থেকে অর্থ উপার্জন আরও বাড়ানো সম্ভব।

১০. বুটিক ব্যবসা

পোশাক বিলাসী মানুষেরা অনেক সময় নতুন ডিজাইনের স্বতন্ত্র পোশাকপরিচ্ছদ কিনতে পছন্দ করে থাকেন যা অন্য কেউ আগে ব্যবহার করেনি। সেই উপলক্ষ্যে অধিক দাম দিতেও রাজি থাকেন এই সমস্ত ক্রেতারা। আর তাদেরই চাহিদা পূরণ করতে তৈরি হয়েছে একাধিক বুটিকঘর।দোকানঘর ভাড়া করা সম্ভব না হলে অনেক সময় অনলাইনেও বিক্রেতারা তাদের ক্রেতাদের পছন্দমতো অভিনব পোশাক বিক্রয় করতে পারেন যা প্রভূত লাভজনকও বটে।

সেরা Tops Collection সবচেয়ে কম দামে @₹200 – ₹500

১১. গৃহশিক্ষক ও কোচিং সেন্টার

শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে গৃহশিক্ষকের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। কোনও বিনিয়োগ ছাড়া অথবা খুবই কম বিনিয়োগেই অনেক বেশি অায় করা সম্ভব এই ব্যবসার মাধ্যমে।ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গৃহশিক্ষক আর ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে সংযোগ ঘটাতে পারলে আয় করার পথ প্রশস্ত হয়ে যায়। গৃহশিক্ষকরা প্রয়োজনমতো সেই ওয়েবসাইটে নিজের নাম নথিভুক্ত করে, নিজেদের শিক্ষকতার বিষয়, অভিজ্ঞতা আর শিক্ষাগত যোগ্যতা জানিয়ে দিতে পারে।

টাকা ইনকামের আইডিয়া | স্মল বিজনেস আইডিয়া

ছাত্রছাত্রী আর তাদের অভিভাবকরা নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষক নির্বাচন করতে পারেন ।আর এই দুইয়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের কাজ করবে ব্যবসায়িক সংস্থাটি। এ ছাড়াও নিজের বাড়িতে অথবা ঘর ভাড়া করে ও খুলে ফেলতে পারা যায় কোচিং সেন্টার। উপযুক্ত ও দক্ষ শিক্ষকের উপস্থিতি কোচিং সেন্টারের প্রতি ছাত্রছাত্রীদর আগ্রহ অনেক বাড়িয়ে দেবে। অনেক সময় গৃহশিক্ষক ছাত্রদের বাড়ি গিয়েও পড়াতে পারেন যেখানে কোনো প্রকৃতপক্ষে কোনো অর্থ বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না।

১২. অনলাইন শিক্ষকতা :

ন্যূনতম পুঁজি বিনিয়োগে ঘরে বসে আয় করার অন্যতম সহজ ও সম্মানীয় উপায় হল অনলাইন শিক্ষকতা। আঁকা বা গান শেখানো , গিটার শেখানো, যোগ ব্যয়াম শেখানো বা কোনও বিদেশি ভাষা শেখানো থেকে আরম্ভ করে শিক্ষক হিসেবে স্কুলের পড়াশোনার দেখাশোনা করে ভালো অঙ্কের অর্থ উপার্জন করা যায় এই অনলাইন শিক্ষকতার মাধ্যমে। মহামারী র যুগে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে এই অনলাইন শিক্ষকতা আধুনিক যুগের একটি বড় প্ল্যাটফর্ম সাব্যস্ত হয়েছে।

১৩. কাস্টমাইজড উপহার বিক্রয় :

নিজের উদ্ভাবনী ও সৃজনশীলতার সাহায্যে তৈরি করা যায় নতুন ধরণের উপহার সামগ্রী যা হতে হবে ক্রেতার পছন্দ, চাহিদা ও ইচ্ছানুসারে।ফটোফ্রেম, টি-শার্ট আর কফিমগের বাইরে গিয়ে অভিনবত্বের ছোঁয়া এনে নতুন ধরনের উপহার সামগ্রী তৈরি করতে পারলে তা ক্রেতার মন কাড়বেই। এই উপহার সামগ্রীগুলি অনলাইনে ও বিক্রয় করা যায় বা কোনও ছোট দোকান ঘরভাড়া করেও ব্যবসাটি করা যেতে পারে । স্বল্প মূলধনের এই ব্যবসায় লাভ প্রচুর।

১৪. বেকারি (Bakery)

কেক, পেস্ট্রি আর কুকিস্-এর চাহিদা এই প্রজন্মের ছেলে- মেয়েদের মধ্যে সবথেকে বেশি। আর ঘরের ওভেনে বানানো নির্ভেজাল বেকারি সামগ্রীর স্বাদ বাইরের কনফেকশনারির দোকানের থেকে অনেকটাই আলাদা । ভাল কেক , নতুন নতুন স্বাদের কুকিস্ বানাতে পারলে এবং সাজাতে পারলে জন্মদিন বা বিবাহবার্ষিকীর কেক ;তাহলে সেই শখকেই ব্যবসায় পরিণত করে কম খরচে লাভের ব্যবসা পাওয়া সম্ভব।ইন্টারনেটের মাধ্যমেও এই ব্যবসা করে ক্রেতার ঘরে সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া যায়।

১৫. ফটোগ্রাফি (Photography)

ভাল ডিএসএলআর ক্যামেরা , বিচক্ষণ দৃষ্টিভঙ্গি আর একটা কম্প্যুটার থাকলেই শুরু করা যায় ফটোগ্রাফির এই লাভজনক ব্যবসা।বিয়ে থেকে কর্পোরেট ইভেন্ট যেকোনও অনুষ্ঠানে ছবি তুলে হতে পারে ভাল আয়।ক্রেতার পছন্দ ও চাহিদা মতো বিয়ে থেকে করপোরেট ইভেন্টের যেকোনো অনুষ্ঠানে ছবি তুলে নিজস্ব ব্যবসা শুরু করা যায় । ব্যবসার শুরুর দিকেই বানিয়ে ফেলতে হবে নিজের পোর্টফোলিও তাহলে ব্যবসা পাওয়া সহজ হবে। নিজস্ব পোর্টফোলিও বানিয়ে নিলে ও নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকলে ক্রেতার কাছে পৌঁছনো সুবিধাজনক হতে পারে।

১৬. ডে কেয়ার সেন্টার

আধুনিক যুগে প্রতিটি পরিবারেই স্বামী-স্ত্রী উভয়েই কর্মরত হওয়ায় ফলে বাচ্চাকে দেখভাল করার জন্য প্রয়োজন পড়ে ডে কেয়ার সেন্টারের। অত্যন্ত অল্প টাকায় এই ব্যবসা শুরু করা যায় যার জন্য প্রয়োজন খানিকটা জায়গা, তা নিজের বাড়ি হতে পারে বা কোনও ভাড়াবাড়ি। বাচ্চাদের প্রয়োজনীয় খেলনা ও পরিকাঠামো সংযোজনে এই ব্যবসা শুরু করা যায় যেখানে মহিলাদের উপস্থিতি আবশ্যিক। প্রকৃত ধৈর্য্যবান, মনোযোগী আর দায়িত্বজ্ঞান সম্পন্ন মানুষেরা যাঁরা বাচ্চাদের মানসিকতা বোঝার ক্ষমতা রাখেন তাঁরা এই ব্যবসাটি অনায়াসে শুরু করতে পারেন।

১৭. ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন

ক্রেতার রুচিবোধ অনুযায়ী অফিস ঘর বা ফ্ল্যাট সুন্দরভাবে সাজাতে পারলে আর প্রয়োজনীয় দক্ষতা থাকলে অল্প টাকায় এই ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। এ বিষয়ে কোর্স করা থাকলে কাজের ক্ষেত্রে সুযোগ পেতে অনেক বেশি সুবিধে হবে ।রুচিসম্মত কাজ পেতে বাড়ি তৈরির দক্ষ মিস্ত্রী বা প্রোমোটারদের সাথে যোগাযোগ করে এই ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। এটা খুব ভালো একটা মেয়েদের ব্যবসার আইডিয়া

১৮. কাগজের ব্যাগ তৈরি

পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ হওয়ার সাথে সাথেই বেড়েছে কাগজের ব্যাগের ব্যবহার। ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে নানা মাপের, ডিজাইনের অভিনব কাগজের ব্যাগ তৈরি করে সরবরাহ করা স্বল্প পুঁজিতে একটি লাভজনক ব্যবসা।

টাকা ইনকামের আইডিয়া | স্মল বিজনেস আইডিয়া ( Small Business ideas in Bangladesh )

১৯. গুঁড়ো মশলা তৈরির ব্যবসা

উন্নতমানের ন্যায্য সামগ্রী দিয়ে গুঁড়ো মশলা তৈরি করে তা প্যাকেট করে বিক্রি করতে পারলে লাভজনক হতে পারে।মশলা তৈরির কারখানার জন্য একটি ছোট ঘরে যথেষ্ট।এই ব্যবসা শুরু করার জন্য শুধু কিনতে হবে মশলা গুঁড়ো করার পালভারাইজার মেশিন। ছোট মেশিন ৫০-৫৫ হাজার টাকার মধ্যে কিনতে পাওয়া যায় আর বড় মেশিনের দাম লাখ খানেক টাকা থেকে শুরু হয় আর তার সাথে রয়েছে প্যাকেজিংয়ের খরচ। সবদিক দিয়ে বিচার করলে এই গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া যথেষ্ট লাভদায়ক পুঁজি বিনিয়োগের তুলনায়।

২০. পটেটো চিপস্ তৈরি করা

অত্যন্ত কম মূলধন বিনিয়োগে এই ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। বহুজাতিক সংস্থার পটেটো চিপস্ এর পাশাপাশি স্থানীয় দোকানের চিপস্-এর চাহিদাও প্রবল।বাড়িতে চিপস বানানোর জন্য দরকার বড় ডেকচি, ছাকনি ও ভাজার জন্য কড়াই, আর চিপস্ সংরক্ষণের জন্য বড় একটা এয়ারটাইট পাত্র। বাড়ি থেকেই শুরু করে স্থানীয় দোকান বা ট্রেন-বাসের ফেরিওয়ালাদের কাছে সরবরাহ করে এই ব্যবসা লাভজনক প্রমাণিত হতে পারে।

টাকা ইনকামের আইডিয়া | স্মল বিজনেস আইডিয়া

২১. মেগা স্টোর বা শপিং মলে স্থানীয় জিনিস সরবরাহ:

শপিং মল বা মেগাস্টোরে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফল, সব্জি, খোলা মশলা ইত্যাদি সরবরাহ করে ও ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। চাষীদের থেকে পণ্য সংগ্রহ করে সেই সব দোকানে পৌঁছে দিতে হবে যার জন্য চাষীও মেগাস্টোরের মালিক এর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে নিতে হবে।দোকানগুলোতে মাল পরিবহণেরও ব্যবসা করা যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে খুব বেশি বিনিয়োগ না করেই শুরু করা যায় এই ব্যবসা।

২২. ডেলিভারি বয় বা সিকিউরিটি গার্ডের সংস্থা:

ই কমার্স কোম্পানি বা খাবার সরবরাহকারী কোম্পানি ডেলিভারি বয়ের প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাছাড়া অধিকাংশ বড় কোম্পানিই বেসরকরি এজেন্সির থেকে নিয়মিত সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগ করে যেখানে বিশ্বাসযোগ্যতাই অগ্রগণ্য বিষয়। তাই এ ধরনের এজেন্সির মাধ্যমে স্থানীয় ছেলেদের নিয়োযিত করলে তাদের কর্মসংস্থানও হবে অর ব্যবসায় লাভ ও সুনিশ্চিত।

২৩. পুরনো জিনিসের দোকান:

পুরনো ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন বা অন্যান্য অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক জিনিস ক্রয় করতে আগ্রহী ক্রেতাদের সংখ্যা নিছক কম নয়। তাছাড়া পুরনো জিনিস বিক্রেতরা ,তাদের অপ্রয়োজনীয় সামগ্রী অনেক সময়েই খুব কম দামে বিক্রি করে থাকেন। এই সব পুরনো জিনিস ক্রয় করে তা বিক্রি করা যেতে পাতে বেশি দামে। অল্প পুঁজি বিনিয়োগে এই ব্যবসাও বেশ ভালো আয় দেয়।

২৪. ডায়াগনিস্টিক সেন্টার

রোগ নির্ণায়ক পরীক্ষার পরিষেবা একটি অতি প্রয়োজনীয় পরিষেবা হিসেবে চিহ্নিত। আর এই সম্পর্কিত ব্যবসা মানুষকে সেবাদান করার সাথে সাথে লাভজনক হিসেবেও পরিগণিত হয়। থাইরয়েড, ডায়াবেটিসের মতো রোগের নিয়মিত পরীক্ষা আজকাল নিয়মিত করাতে হয় অনেক রোগীকে ই। তাই এই ধরণের সাধারণ পরীক্ষার ব্যবস্থা করে নিজের ব্যবসা অনায়াসেই শুরু করা যায়। ভবিষ্যতে নতুন নতুন মেশিন কিনে ব্যবসাটি কে আর ও প্রসিদ্ধ করা যেতে পারে । এই ব্যবসার প্রাথমিক পর্যায়ে খানিকটা পুঁজি বিনিয়োগ করতে হয়। তবে পরিশেষে এর লাভের অঙ্ক প্রচুর।

ওষুধের দোকানের নাম এর আইডিয়া

২৫. ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট:

আধুনিক যুগে বিভিন্ন সংস্থা তাদের নানান অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্ব অর্পণ করে থাকে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলিকে। এই ব্যবসাটি অত্যন্ত স্বল্প মূলধন বিনিয়োগে শুরু করা যায়। দক্ষতা, পরিশ্রম, প্রত্যুত্পন্নমতিত্ব আর যোগাযোগ তৈরির ক্ষমতা থাকলে এ ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য ও বিভিন্ন রুচিসম্পন্ন কাজ পাওয়া সম্ভব।ছোট ইভেন্ট দিয়ে শুরু করে জনপ্রিয়তা লাভ করলে ধীরে ধীরে নতুন নতুন যোগাযোগ হবে এবং ব্যবসা সুদূর প্রসারিত হবে ।

২৬. রেল ও বিমানের টিকিট বুকিং:

অনলাইনে টিকিট কাটার সুযোগ থাকলেও অনেক যাত্রী প্রায়শই এজেন্টের মুখাপেক্ষী হয়ে পড়েন। স্বল্প পুঁজিতেই বাড়িতে বসে বা অফিস ঘর ভাড়া নিয়ে টিকিট কাটার এই ব্যবসা অনায়াসে ই শুরু করা যায়। এজেন্ট হওয়ার সুযোগ পেতে হলে রেল বা বিমান কর্তৃপক্ষকে কিছু অর্থ প্রদান করতে হয়। তাছাড়া, বিভিন্ন ট্যুর আয়োজ কোম্পানির অপারেটর এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকলেএই ক্ষেত্রে নিয়মিত ব্যবসা পাওয়া সম্ভব।

২৭. ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম এর ব্যবসা :

কম বিনিয়োগে এই ব্যবসা শুরু করা যায় ।এই ব্যবসায় লাগে শ্রম, অধ্যাবসায়, আর বেড়ানোর প্যাশন।নতুন নতুন জায়গার সন্ধান করতে পারলে ব্যবসা বাড়ার সম্ভাবনা বেশি।পাশাপাশিই জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পটগুলোকেও ভ্রমণ তালিকায় রাখতে পারলে ভালো হবে। উন্নত মানের হোটেল পরিষেবা এবং আহারের সুব্যবস্থার সাথে সাথে পর্যটকদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার কথা মাথায় রেখেই ট্যুর প্ল্যান করা আবশ্যিক। পর্যটকদের সন্তুষ্টিই এই ব্যবসার সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।

গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া | ছোটখাটো ব্যবসা | হালাল ব্যবসার আইডিয়া

গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া | ছোটখাটো ব্যবসা | হালাল ব্যবসার আইডিয়া ( Halal Business Ideas in Bengali )

২৮. ক্যাটারিং (Catering)

স্বল্প বিনিয়োগে বেশি লাভের একটি ব্যবসা হল ক্যাটারিংয়ের ব্যবসা। বিয়েবাড়ি থেকে অফিসের যেকোনো অনুষ্ঠানে ,মফস্বল হোক বা বড় শহর ক্যাটারারদের ডাক সব জায়গাতেই পড়ে।একটি নির্ভরযোগ্য টিম এর সাহায্যে এই ব্যবসাটি শুরু করা যায়। সন্তোষজনক পরিষেবা প্রদান করতে পারলে এই ব্যবসা থেকে প্রচুর লাভ করা যায়। এই ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রাথমিকভাবে প্রয়োজনীয় বাসনপত্র, গ্যাস উনুন ইত্যাদি কিনতে হয় যা স্বল্প বিনিয়োগেই সম্ভব।

২৯. ফাস্ট ফুডের ব্যবসা:

আজকালকার কর্মব্যস্ত জীবনে ফাস্ট ফুডের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। কম দামে মুখরোচক খাবার খেতে ফাস্টফুডের জুড়ি নেই । জনসমাগম বেশি হয় এমন একটি জায়গা নির্ধারণ করে ফাস্ট ফুড সেন্টার তৈরি করলে সেখান থেকে মোটা অঙ্কের লাভ পাওয়া সম্ভব।

৩০. খাবারের হোম ডেলিভারি :

বাড়িতে কিংবা কর্মব্যস্ত অফিসে খাবার ডেলিভারির ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসায় ইদানীং পরিণত হয়েছে। অল্প পুঁজিতে এই ব্যবসাটি শুরু করা যেতে পারে। প্রথমে খাবারের মেনু বানিয়ে বিভিন্ন অফিস বা বাড়ি বাড়ি প্রচার করতে হবে। উপাদেয় খাবারের সাথে সাথে ন্যায্যমূল্য ও গুণগত মান বজায় রেখে এই ব্যবসাটি করলে এটি খুব লাভদায়ক হতে পারে।

৩১. প্রিন্টিং ,মোবাইল ব্যাংকিং, মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা:

একটি দোকান ভাড়া নিয়ে এই ব্যবসাটি শুরু করা যায়। সঠিক এলাকা নির্ধারণ করে এই ব্যবসাটি শুরু করলে প্রভূত আয় হতে পারে । ব্যস্ত আবাসিক এলাকা ,অফিস এলাকা, ইউনিভার্সিটি বা বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা ,এই ব্যবসার জন্য সবথেকে লাভদায়ী। এই ব্যবসার ক্ষেত্রে অত্যাধিক পুঁজি ও বিনিয়োগ হয় না।

৩২. মাছের খাদ্য তৈরির ব্যবসা :

মাছের খাবার তৈরি করা একটি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে চিহ্নিত।বাণিজ্যিকভাবে যারা মাছ চাষ করে থাকেন তারাই এই ব্যবসার গ্রাহক হয়। তবে দেখতে গেলে গ্রাহকের সংখ্যা নিতান্তই কম নয়। আর যদি নিজের মাছের ঘের থাকে তাহলে খুব সহজেই মাছের খাদ্য তৈরি করে খরচ কমাতেও পারা যায়।

৩৩. খেলাধুলার সামগ্রী বিক্রির ব্যবসা :

অল্প পুঁজি দিয়ে বিনিয়োগে খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত পণ্য নিয়ে শুরু করা যেতে পারে খেলাধুলার সামগ্রী বিক্রির ব্যবসা। উপযুক্ত স্থানে দোকান দিতে হবে যেখানে ক্রেতার সংখ্যা বেশি হতে পারে। সাধারণত তরুণ ছেলেমেয়েরা এই ব্যবসার গ্রাহক। উন্নত মানের সামগ্রী এবং ন্যায্যমূল্য এই ব্যবসাকে সফলতা এনে দিতে পারে।

৩৪. লন্ড্রি ব্যবসা :

এটি ছোটো সেবামূলক ব্যবসা হলেও লন্ড্রির ব্যবসা অল্প পুঁজি বিনিয়োগে একটি লাভজনক ব্যবসা রূপে চিহ্নিত হয়ে এসেছে। হোম ডেলিভারির সুবিধে থাকলে এই বড় ব্যবসার আইডিয়া বেশি গ্রাহক লাভ করা যায়।

৩৫. ফলের জুসের ব্যবসা :

ফলের জুসের দোকান দিয়ে ও স্বল্প মূলধন বিনিয়োগে বিক্রেতারা অনেক ক্ষেত্রেই লাভবান হতে পারে। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য ফলের রস নিষ্কাশনের একটি ছোট মেশিন আর একটি ছোট জায়গাই যথেষ্ট ।তবে ব্যবসার সঠিক স্থান নির্ধারণ করা আবশ্যক। ব্যস্ত রাস্তার মোড়ে, অফিসপাড়া বা মার্কেটের সামনে ফলের জুসের দোকান দিলে লাভ নিশ্চিত। সততা এই ব্যবসার সবথেকে বড় মূলধন।

৩৬. অটোমোবাইল গ্যারেজ ব্যবসা :

স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগে এটি একটি লাভজনক ব্যবসা ।এটি সাধারণত একটি সেবামূলক ব্যবসা এবং গাড়ি ঠিক করার কাজের পাশাপাশি এই ব্যবসায় গাড়ির বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও নাট বল্টু ও বিক্রি করা যেতে পারে। তবে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে এই ব্যবসায় নামা উচিত।

পার্ট টাইম ব্যবসা | টাকা ছাড়া ব্যবসা ( Bangla Guide to Part Time Business )

৩৭. কৃত্রিম ফুল ও গাছের ব্যবসা:

একটি দোকান ভাড়া নিয়ে এই ব্যবসাটি শুরু করা যায়। পাইকারি বাজার থেকে মাছ কিনে খুচরা বাজারে এগুলো বিক্রি করা যেতে পারে। লাভের দিক থেকে এই ব্যবসা সর্বোত্তম। সাধারণত পঁচিশ থেকে পঁয়ত্রিশ ভাগ লাভ করা যায় এই ব্যবসা থেকে।

৩৮. ব্যবসা পরামর্শ কেন্দ্র :

এটি একটি অনন্য ব্যবসায়িক ধারণা। ব্যবসায় অভিজ্ঞ যে কোনো ব্যক্তি যাঁরা ব্যবসা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় ধাপগুলো সম্পর্কে ওয়াকিবহাল তাঁরা এই ব্যবসা অনায়াসে শুরু করতে পারেন। ব্যবসার জগতে নতুন উদ্যোক্তারা সাধারণত এসে থাকে ব্যবসা সংক্রান্ত পরামর্শ নিতে। ন্যূনতম বিনিয়োগে এটি একটি আকর্ষণীয় ব্যবসা।

৩৯. খাঁটি ঘি বানানোর ব্যবসা:

ঘি এর গুণগত মান অক্ষুণ্ন রেখে খাঁটি ঘি এর ব্যবসা বেশ লাভজনক।কম মূলধনেই এই ব্যবসা শুরু করা যায়। নিজের বাড়িতে খাঁটি ঘি বানিয়ে মুদির দোকান বা সুপার মার্কেটেও বিক্রি করা যেতে পারে। খুচরো গ্রাহক পেতে অনলাইনেও এই ব্যবসা করা যেতে পারে।

৪০. ভ্রাম্যমাণ কফি শপের ব্যবসা :

কম খরচে একটি ফুডকার্ট বানিয়ে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ কফিশপের ব্যবসা সহজেই শুরু করা যেতে পারে। ভ্রাম্যমাণ হওয়ার দরুণ এই ব্যবসায় লাভ ও তুলনামূলক বেশি ।কম বিনিয়োগে এই ব্যবসা টিও বেশ আকর্ষণীয় ।

৫ হাজার টাকায় ব্যবসা | স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়া

৫ হাজার টাকায় ব্যবসা | স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়া

৪১. অ্যাকোয়ারিয়াম ও মাছের ব্যবসা :

এটি একটি ছোট ব্যবসায়িক ধারণা যা অল্প পুঁজি বিনিয়োগেও নিজের বাড়ি থেকে শুরু করা যায়। এই ব্যবসাটির জন্য বিভিন্ন আকারের মাছ ও অ্যাকুয়ারিয়াম কিনতে হবে।মাছের প্রজননের জন্য বিশেষ ট্যাংকেরও দরকার। মাছ ব্যবসার সাথে সাথে মাছের খাবার, এয়ার পাম্প এবং অ্যাকুয়ারিয়াম আলংকরণের কিছু সামগ্রী বিক্রি করেও প্রভূত লাভ করা যায়। তাছাড়াও অ্যাকুয়ারিয়াম উপহার সামগ্রী হিসেবে ও বেশ জনপ্রিয়। তবে মাছের ব্যবসা করতে গেলে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পরিচালনা করতে পারদর্শী হতে হবে।

৪২. নার্সারি এবং বাগান সম্পর্কিত ব্যবসা:

স্বল্প বিনিয়োগের সাথে সাথে এটি একটি দুর্দান্ত ব্যবসায়িক ধারণা। পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে অনেকে তাদের অ্যাপার্টমেন্ট এবং অফিসগুলিতে ছোট ছোট গাছপালা এবং গুল্ম সারি সজ্জিত করে রাখেন। বাড়ি থেকে এই ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। অতিরিক্তভাবে, সার, বীজ এবং অন্যান্য বাগানের প্রয়োজনীয়তার সামগ্রীও বিক্রি করে লাভবান হওয়া যায়।

৪৩. সস ,জ্যাম আর আচারের ব্যবসা:

আধুনিক যুগে মানুষ বড়ই স্বাস্থ্য সচেতন। তাই রাসায়নিক পদার্থ আছে এমন খাদ্যদ্রব্য তারা বর্জন করতে চায় । এই পরিপ্রেক্ষিতে রাসায়নিক পদার্থবিহীন ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি সস, জ্যাম, আচার এর মতন লোভনীয় খাদ্যসামগ্রীর জিনিসের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। তাই কম পুঁজি বিনিয়োগে এই ব্যবসাটি সত্যিই লাভজনক।

৪৪. সুগন্ধি মোমবাতির ব্যবসা :

সৃজনশীলতা ও দক্ষতা সব ব্যবসাতেই স্বার্থকতা আনে । মোমবাতি তৈরি করা মোটামুটি সহজ আর এর সুগন্ধযুক্ত তেল সহজেই সংগ্রহ করা যায়। স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং অভিজ্ঞতা দিয়ে নানান আকার এবং রঙের সুগন্ধযুক্ত মোমবাতি তৈরি করতে পারা যায়। আজকাল, এই ধরনের মোমবাতিগুলি ধ্যান কেন্দ্রগুলোতে বহুল প্রসিদ্ধ।

10 হাজার টাকায় ব্যবসা | রিস্ক ফ্রি ব্যবসা

৪৫. ঠিকানা যাচাইকরণ পরিষেবা

ব্যাংক, ক্রেডিট কার্ড প্রদানকারী সংস্থা এবং মোবাইল ফোন সংস্থাগুলি প্রায়শই গ্রাহকদের ঠিকানার প্রত্যক্ষ যাচাইকরণের কাজ করে থাকে প্রতারণা ও মিথ্যাচারিতা রুখতে। উপরিউক্ত ব্যবসাটি নিম্ন বিনিয়োগের যার আজকাল চাহিদা বেড়েছে। এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য একটি বাহনের প্রয়োজন হবে এবং প্রয়োজন সাপেক্ষে কিছু লোকবলেরও দরকার হতে পারে ব্যাংক এবং অন্যান্য পরিষেবা সরবরাহকারীদের প্রদত্ত ঠিকানাগুলো যাচাই করার জন্য ।

৪৬. সাইনবোর্ড তৈরির ব্যবসা :

প্রতিটি ছোট ব্যবসা এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের জন্য সাইনবোর্ড একটি অতি প্রয়োজনীয় বস্তু । ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে এই সাইনবোর্ডের গুরুত্ব অপরিসীম। ব্যবসায়ে, মালিকের পছন্দ অনুসারে সাইনবোর্ড তৈরি করা ও সরবরাহ করা একটি অতি লাভজনক ব্যবসা যার চাহিদা সারা বছর এবং এর জন্য স্বল্প বিনিয়োগ লাগে।

৪৭. স্টেশনারির সরঞ্জাম সরবরাহ:

স্কুল, কলেজ এবং অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য প্রচুর পরিমাণে স্টেশনারির প্রয়োজন যার মধ্যে স্বনির্ধারিত লেটারহেডস, বিজনেস কার্ড, খাম, চালানের বই, রসিদ বই ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত আছে। অল্প বিনিয়োগ এবং কিছু যোগাযোগের সাহায্যে এই ব্যবসায় প্রবেশ করা যায়। স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগে এই লাভজনক উদ্যোগে প্রবেশের জন্য মুদ্রণ প্রেসগুলির সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে।

৪৮. কম্পিউটারাইজড রাশিফল নির্ধারণের ব্যবসা :

এটি ভারতে সর্বাধিক প্রচলিত স্বল্প বিনিয়োগে ব্যবসা রূপে স্বীকৃত। এর জন্য প্রয়োজন একটি কম্পিউটার ও প্রয়োজনীয় সফ্টওয়্যার, একটি মুদ্রক এবং রাশিফল ​​মুদ্রণের জন্য অভিনব কাগজ।আমাদের দেশে কম্পিউটারাইজড রাশিফলগুলি এখনও উচ্চ চাহিদা বজায় রাখে।

৪৯. প্যাকিং পরিষেবা

ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাগুলিতে পণ্য প্যাক করার জন্য আলাদা বিভাগ থাকে না। যাই প্রায়শই তারা কাজটি বহিরাগত ছোট ব্যবসায়িক সংস্থা গুলিতের দিয়ে করায় যারা জিনিসগুলি যত্নের সাথে প্যাক করতে পারে সময়সীমা অনুসরণ করে।ন্যূনতম পুঁজি বিনিয়োগে এটি একটি লাভজনক ব্যবসা।এই ব্যবসায় প্রবেশের জন্য পর্যাপ্ত প্যাকিং উপাদান যেমন কার্টন, স্ট্র্যাপিং মেশিন এবং কাটার ও সর্বোপরি জনবলের প্রয়োজন হয়।

৫০. ঘরে তৈরি চকোলেটের ব্যবসা :

চকোলেট তৈরির প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা থাকলে অল্প বিনিয়োগেই এই অত্যন্ত লাভজনক ছোট ব্যবসায় প্রবেশ করতে পারা যায়। ঘরে তৈরি চকোলেটগুলি বড় প্যাস্ট্রি শপ এবং গিফ্ট স্টোর এও বিক্রয় করা যেতে পারে।বাজারে প্রাপ্ত চকলেটগুলির থেকে বাড়ির তৈরি চকলেটে স্বাদ অনেকটা আলাদা এবং সুস্বাদু হওয়ায় এগুলির চাহিদা বেশি।বেশ কয়েকটি সংস্থা তাদের ব্যবসায়িক সহযোগীদের উপহার হিসাবে পাঠানোর জন্য বাড়িতে তৈরি চকোলেটগুলি অর্ডার করে। বিশেষ কিছু উৎসব এবং বিবাহের মরসুমেও এই জাতীয় চকোলেটগুলির প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

কেবলমাত্র দক্ষতা, সৃজনশীলতা, পরিশ্রম এবং ইচ্ছাশক্তির বলে মানুষ স্বল্প বিনিয়োগেও একটি ব্যবসা থেকে অভূতপূর্ণ লাভ পেতে পারে।তাই কোনো ব্যবসাকেই ছোট চোখে দেখা উচিত না ।ছোট থেকে সঠিকভাবে শুরু হলে তবেই তো বড় হওয়া যায় ।

FAQ( সম্ভাব্য প্রশ্নাবলি)

ঘরে বসে টাকা রোজগারের পথ কোন প্রযুক্তি সহজলভ্য করে দিয়েছে

ইন্টারনেট

ইন্টারনেটের কোন কোন অ্যাপ্লিকেশন থেকে অনলাইন শিক্ষকতার সুযোগ পাওয়া যায় ?

ট্রান্সটিউটরস, টিচারঅন, টিউটরইন্ডিয়া ইত্যাদি

ভাষার ওপর দখল থাকলে কোন ব্যবসা সবথেকে বেশি লাভজনক ?

কনটেন্ট রাইটিং

অনলাইন ট্রান্সক্রিপশনিস্ট এর জন্য কী কী যোগ্যতা লাগে?

শ্রবণ ক্ষমতা, টাইপিং স্পিড প্রধাণ। এছাড়া যে ভাষায় ট্রান্সক্রিপশন করা হয়ে থাকে সে ভাষার ব্যাকরণ জানতে হবে।

স্বল্প বিনিয়োগে ছোট ব্যবসাকে সফলতার সিঁড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য কী দরকার?

দক্ষতা, সৃজনশীলতা ওউদ্ভাবনী শক্তি, পরিশ্রম, সততা এবং ইচ্ছাশক্তি।

Recent Posts