ভারতের ১০ টি স্থানে ভ্রমণ করুন কম খরচে, Travel India’s best places with low budget in Bengali 


দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম তথা বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র ভারত। প্রকৃতির অপার রূপে এবং বহু ঐতিহাসিক স্থাপত্যে ভরপুর ভারতের দর্শনীয় স্থানের সংখ্যা অসংখ্য। বিদেশ থেকে প্রতি বছর অনেক পর্যটক আসেন এই দেশের দর্শনীয় জায়গাগুলো ভ্রমণ করতে। তুলনামূলক কম খরচে দেশের বিভিন্ন রাজ্য ভ্রমণ করা যায়। 

ভারতের ১০ টি স্থানে ভ্রমণ করুন কম খরচে
Pin it

১. শিমলা, Shimla

ভারতের হিমাচল প্রদেশের চমৎকার এক পর্যটন শহর শিমলা। “হিল ষ্টেশনের রানী” হিসেবে খ্যাত এই শহরটি প্রাকৃতিক নৈসর্গে পরিপূর্ণ। পর্যটকদের কাছে শিমলাতে ঘুরে দেখার জন্য অসংখ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে, এই শহরের পাহাড়ী সৌন্দর্য্য উপভোগ করার সুযোগ জীবনে একবার হলেও খুঁজে নেওয়া উচিত।

শিমলা ভ্রমণ খরচ কেমন হবে?

ভারতের পূর্ব, পশ্চিম বা দক্ষিণ প্রান্ত থেকে শিমলা যাওয়ার হলে, ট্রেনে বা প্লেনে দিল্লি এসে সেখান থেকে বাসে কালকা হয়ে শিমলা যেতে প্রায় ৮০০-১২০০ টাকার মতো খরচ হবে। শিমলাতে থাকা খাওয়া ও ঘোরাঘুরি সহ ৩ রাত ২ দিন থাকতে জনপ্রতি ১২,০০০-১৫,০০০ টাকা থাকার খরচ হবে। তবে প্লেনে করে যাতায়াত করলে প্রায় দ্বিগুণ খরচ হতে পারে। আবার শিমলায় প্যারাগ্লাডিং, জিপ লাইনিংয়ের মতো বিভিন্ন এডভেঞ্চার রাইডের ক্ষেত্রে বাড়তি কিছু খরচ যুক্ত হবে।

শিমলায় গিয়ে কোথায় থাকবেন

শিমলার মল রোড, জাখু টেম্পলের কাছে থাকার জন্য বেশ কয়েকটি ভালো হোটেল রয়েছে। যেমন: রাজ হোম স্টে, হোটেল ভাটিকা, নিউ সান্সার মল রোড, আমারভিলা হোটেল, মেহদুদিয়া গেস্ট হাউজ, থিরাম শিমলা, কাভ্যা হোম স্টে, আডোব রুমস হোটেল সি শিমলা ইত্যাদি হোটেল এবং গেস্ট হাউজ রয়েছে যেখানে একরাতের জন্য দুইজনের থাকতে কমপক্ষে ৫৫০-১০০০ টাকা খরচ হবে।

শিমলা
Pin it

একটি ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা রচনা, A Visit to a Historical Place – Paragraph in Bengali [ PDF ]  

২. পন্ডিচেরি, Pondicherry 

তামিলনাড়ু রাজ্যে অবস্থিত, পন্ডিচেরি ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলরেখা থেকে দূরে অবস্থিত একটি ছোট্ট শহর এবং এটি ভারতে ভ্রমণের জন্য একটি সস্তা জায়গা যা ভ্রমণকারীদের পবিত্রতা এবং নির্মলতার প্রতিশ্রুতি দেয়। 

কোথায় থাকবেন?

যদিও সেখানে কম খরচে থাকার মত হোটেল সহ বিলাসবহুল হোটেল এবং খাবারের জায়গাগুলিও পাওয়া যায়, তবে আপনি যদি বাজেটে থাকেন তবে আপনি অরবিন্দ আশ্রমে থাকতে পারেন যেখানে প্রায় বিনামূল্যে খাবার এবং থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। তাছাড়া এখানে সময় কাটাতে সমুদ্র সৈকতে যেতে পারেন দর্শনার্থীরা।

কিভাবে যাবেন!

পন্ডিচেরি যাবার জন্য দেশের যেকোনো অংশ থেকে গাড়ি বা ট্রেনে করে পৌঁছতে পারেন। তাছাড়াও বিমান যাত্রার মাধ্যমেই এই শহরে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

পন্ডিচেরি
Pin it

বাংলাদেশ সম্পর্কে ৩০ টি অজানা তথ্য ~ Bangladesh Facts and History in Bengali

 ৩. স্বর্ণ মন্দির, অমৃতসর, Golden Temple, Amritsar

স্বর্ণ মন্দির বা গোল্ডেন টেম্পল নামে অভিহিত শ্রী হরমন্দির সাহেব হল একটি শিখ গুরুদুয়ারা, এটি শিখদের পঞ্চম গুরু দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। মন্দিরটি স্থাপিত হয়েছিল ১৫৮৮ থেকে ১৬০৪ সালের মধ্যে।  মন্দিরটিতে চারটি প্রবেশপথ আছে; যা জীবনের সমস্ত দিক থেকে আসা মানুষকে স্বাগত জানায়। এই মন্দিরটি শিখদের কাছে এক অতি পবিত্র স্থান এবং উপাসনার একটি জায়গা।

স্বর্ণ মন্দিরে কিভাবে যাবেন

উত্তর-পশ্চিম ভারতের পাঞ্জবের অমৃতসর শহরে স্বর্ণ মন্দিরটি অবস্থিত। অমৃতসর শহর থেকে শ্রীগুরু রাম দাসজী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি প্রায় ১১ কিমি উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। এছাড়াও আপনি রেল বা বাসে করেও এই পবিত্র শহরটিতে পৌঁছে যেতে পারেন। বিমানবন্দর, রেলওয়ে স্টেশন ও বাস স্ট্যান্ড থেকে স্বর্ণ মন্দিরে যাওয়ার জন্য ট্যাক্সি, অটো বা রিকশা পেয়ে যাবেন। 

কোথায় থাকবেন!

স্বর্ণ মন্দিরের ভেতরে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা আছে, কিন্তু যদি সেখানে না থাকার হয় তবে মন্দিরের বাইরেও আপনি বেশ কিছু ছোটো বড় হোটেল পেয়ে যাবেন, যেখানে এক রাতের জন্য ১০০০-১২০০ এর মধ্যে দু-তিন জন থাকার মত রুম পেয়ে যাবেন।

 স্বর্ণ মন্দির, অমৃতসর
Pin it

কিউই ফল কি, কিউই ফলের উপকারিতা, kiwifruit benefits in Bengali  

৪. ঋষিকেশ, Hrishikesh

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃ্দ্ধ – ঋষিকেশ। এখনকার সুবিখ্যাত গঙ্গা আরতি এক অপূর্ব ধর্মীয় অনুভূতি বহন করে। লক্ষণ ঝূলার পশ্চিম দিকটি হিমালয়ের পদভ্রমণ যাত্রীদের জন্য অপেক্ষারত, তাদের ভ্রমণযাত্রা এখান থেকে শুরু হয়। তাছাড়াও আছে কায়াকিং ও বাঞ্জি জাম্পিং এর মত রোমাঞ্চকর ব্যাপার, যার কারণে শহরটিকে “ভারতের রোমাঞ্চকর রাজধানী” নাম প্রদান করা হয়েছে।

ঋষিকেশ কিভাবে যাবেন?

 প্লেনে করে পৌঁছানোর উপায় হল দেরাদূনে অবস্থিত নিকটবর্তী বিমানবন্দর অর্থাৎ জলি গ্র্যান্ট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে যাওয়া। সেখান থেকে থেকে ক্যাবের মাধ্যমে ঋষিকেশে পৌঁছাতে প্রায় ২১ মিনিট সময় লাগে। অথবা দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়ে, সেখান থেকে রেল মাধ্যমে নিকটবর্তী রেলওয়ে স্টেশন হরিদ্বার গিয়ে, সেখান থেকে ক্যাবের মাধ্যমে আধ ঘন্টায় ঋষিকেশে পৌঁছে যেতে পারেন।

কোথায় থাকবেন!

ঋষিকেশে খুব কম খরচে থাকার সুবিধা রয়েছে। সেখানকার স্বর্গ আশ্রমে ভক্তদের জন্য থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে এবং ৬০০-১০০০ এর মধ্যে দিন হিসাবে থাকা খাওয়া সেরে নিতে পারবেন, তাছাড়াও আসে পাশে ছোট বড় আশ্রম ও হোটেল আছে।

ঋষিকেশ
Pin it

অজ্ঞাতবাসে থাকাকালীন এই বিশেষ গাছটিতেই পাণ্ডবেরা লুকিয়ে রেখেছিলেন তাঁদের অস্ত্র সরঞ্জাম!! Pandavas Hid Their Weapons in This Tree

৫. রামোজী ফিল্ম সিটি, Ramoji Film City

হায়দরাবাদের সান্নিধ্যতম রামোজী ফিল্ম সিটি, ভারতে বসবাসকারী মানুষেরা তাদের সেলুলয়েড স্বপ্নকে প্রাণবন্ত করতে এখানে আসতে পারেন। এটি ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রযোজক, রামোজী রাও 1996 সালে স্থাপন করেছিলেন। রামোজী ফিল্ম সিটি 2000 একর জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম স্টুডিও (চিত্রকলা) ভবন হওয়ার গীনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড (গীনিস বিশ্ব মর্যাদা) অর্জন করেছে।

একটি পূর্ণ-মাপের চলচ্চিত্র প্রযোজনার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্তকিছুর পরিপূর্ণরূপে সুসজ্জিত – প্রযুক্তি থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র মঞ্চ ও নিবেশিত স্টুডিও (চিত্রকলা ভবন) রূপে – রামোজী ফিল্ম সিটি চলচ্চিত্র প্রস্তুতকারকদের জন্য একটি অবরুদ্ধময় গন্তব্য, যাঁরা তাঁদের “চিত্রনাট্য লিপি নিয়ে আসেন এবং একটি ছায়াছবি বা চলচ্চিত্র সঙ্গে নিয়ে ফেরৎ যান”।

যাইহোক, পর্যটকদের জন্য রামোজী ফিল্ম সিটি একটি ঐন্দ্রজালিক স্থান, যেখানে তারা তারকাদের সঙ্গে বর্ষিত হয়।

জীবন বদলে দেওয়ার উক্তি ও ক্যাপশন, Life changing quotes and captions in Bengali

রামোজী ফিল্ম সিটি কিভাবে যাবেন এবং কোথায় থাকবেন!

 রামোজী ফিল্ম সিটির নিকটবর্তী বিমানবন্দর হল রাজীব গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যা হায়দ্রাবাদে অবস্থিত। বিমানবন্দর থেকে ক্যাব নিয়ে ও.আর.আর. হয়ে রামোজী ফিল্ম সিটি-তে পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ৪৭ মিনিট। তাছাড়া রেল মাধ্যমে পৌঁছানোর উপায় হল

হায়রাবাদের এম.এম.টি.এস. পৌঁছে ক্যাবের মাধ্যমে প্রায় ১ ঘন্টা ১৬ মিনিট সময় লাগে রামোজী ফিল্ম সিটি-তে পৌঁছাতে। সেখানে বড় ছোট বিভিন্ন বাজেটের হোটেল পেয়ে যাবেন থাকার জন্য। নূন্যতম ১২০০-১৫০০ টাকার মধ্যে রাত যাপনের ব্যবস্থা পেতে অসুবিধা হবেনা।

রামোজী ফিল্ম সিটি
Pin it

৬. ম্যাক্লিওডগঞ্জ, McLeod Ganj

ম্যাক্লিওডগঞ্জ হল ধর্মশালার কাছে অবস্থিত একটি হিল স্টেশন, যা ট্রেকারদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। এই অঞ্চলের সংস্কৃতি কিছু ব্রিটিশ প্রভাবের সাথে তিব্বতের একটি সুন্দর মিশ্রণ। এটি বেশিরভাগ ট্রেকারদের মধ্যে জনপ্রিয়। রোজই অনেক মানুষ এই অঞ্চলে সময় কাটাতে যান এবং সেখানকার ছোট ছোট দোকানের অনেক সুন্দর সুন্দর তিব্বতীয় জিনিস লোকজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এইসব ছাড়াও এখানে থাকা ছোটো বড় খাবারের দোকানগুলোতে মিঠে ঠান্ডা হাওয়ার মধ্যে বসে চা এবং বিভিন্ন স্ট্রিট ফুড খাওয়ার মজাই আলাদা।

কিভাবে যাবেন এবং কোথায় থাকবেন!

দিল্লি বা চণ্ডীগড় থেকে বাস দিয়ে খুব সহজেই পৌঁছে যেতে পারেন এই সুন্দর পাহাড়ী সৌন্দর্যেপূর্ণ স্থানটিতে। এলাকার বাজারের আশে পাশে অনেক হোটেল রয়েছে যেখানে নিজের বাজেট অনুযায়ী রুম ভাড়া করা যায়। তাছাড়াও আপনার ভাড়া করা হোটেল থেকেই গাড়ির ব্যবস্থা করে দেবে আশপাশের বিভিন্ন কিছু ঘুরে দেখার জন্য।

ম্যাক্লিওডগঞ্জ
Pin it

বিয়েতে যৌতুক হিসেবে ২১ টি বিষধর সাপ 🐍 !! 21 Snakes as Wedding Gift – Bangla Viral News

৭. লোনাভলা, Lonavla

পুনে এবং মুম্বাইয়ের খুবই কাছাকাছি অবস্থিত জনপ্রিয় হিল স্টেশন, লোনাভলা হল বর্ষাকালে থাকার জন্য একটি শ্রেষ্ঠ জায়গা। স্থানটির চারপাশে রয়েছে প্রচুর জলপ্রপাত, হ্রদ এবং পাহাড়। লোনাভালায় প্রায়শই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে, দেশ বিদেশের বিভিন্ন ধরণের লোক হাওয়া বদল করতে আসে এখানে, বিশেষ করে ট্রেকার এবং বাজেট ভ্রমণকারীরা।

কিভাবে যাবেন !

যেহেতু স্থানটি মুম্বাই এবং পুনে শহরের কাছেই তাই এই দুই স্থান থেকে অতি সহজেই গাড়ি করে বা বাস এর মাধ্যমে পৌঁছে যেতে পারেন লোনাভলায়। 

কোথায় থাকবেন?

লোনাভলায় বেশ ভালো হোটেল আছে, যেখানে বাজেট অনুযায়ী রুম ভাড়া করা যায় এবং সেখানকার প্রাকৃতিক শোভা ও মনোরম আবহাওয়া উপভোগ করা যায়।

লোনাভলা
Pin it

৮. মুসৌরি, Mussoorie

মুসৌরি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ করে দেওয়ার মত একটি শহর, এটি ‘পাহাড়ের রানী’ নামেও পরিচিত এবং এই অপূর্ব স্থানটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এখানকার হিমালয়ের তুষার-ঢাকা শৃঙ্গের মন্ত্রমুগ্ধকর দৃশ্য এবং জায়গাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে সকলের মন ভালো হয়ে যায়।

কিভাবে যাবেন এবং কোথায় থাকবেন?

 দেরাদুনের বিমানবন্দর হল মুসৌরি পৌঁছানোর সবচেয়ে নিকটতম বিমানবন্দর। সেক্ষেত্রে দিল্লি এবং মুম্বাই থেকেও দেরাদুনে যাওয়ার সরাসরি ফ্লাইট পাওয়া যায়। টিকিটের দাম হবে প্রায় ৪০০০ টাকা। তাছাড়া ট্রেনে যেতে হলেও দেরাদুন রেলওয়ে স্টেশনটিই হল নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন। তবে ট্রেনের খরচ নির্ভর করে আপনার পছন্দের স্তরের উপর। সেখানে গিয়ে আপনি বাজেট অনুযায়ী ছোট বড় হোটেল পেয়ে যাবেন যায় বারান্দায় দাড়িয়ে বরফ ঢাকা পাহাড়ের দৃশ্য দেখা যায়। 

মুসৌরি
Pin it

বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স কী ভাবে পাওয়া যায়, How to get a driving license in Bangladesh explained in Bengali

৯. মুন্নার (কেরল), Munnar (Kerala)

মুন্নার হল আরেকটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থান যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ। এটি দক্ষিণ ভারতের কেরালার অন্তর্ভুক্তএকটি জনপ্রিয় হিল স্টেশন। একে ‘দক্ষিণ ভারতের কাশ্মীর’ও বলা হয়। এখনকার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হল চা বাগান। 

কিভাবে যাবেন এবং কোথায় থাকবেন?

ফ্লাইটে করে নিকটতম কোচিন বিমানবন্দরে পৌঁছে যেতে হবে। সেখান থেকে গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন অংশ ভ্রমণ করে নিতে পারেন। তাছাড়া মুন্নার থেকে নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন হচ্ছে কোচি এবং এর্নাকুলাম। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া নিয়ে ঘুরে নিতে পারেন। থাকার জন্য ১৫০০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বাজেট অনুযায়ী হোটেল ও গেস্ট হাউস পেয়ে যাবেন, যাদের মধ্যে বেশ কিছু হোটেল পাইন গাছ দ্বারা বেষ্টিত যা সেখানকার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করার ক্ষেত্রে অনুকূল।

মুন্নার (কেরল)
Pin it

১০. কন্যাকুমারী, Kanyakumari

দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী জেলার অন্তর্গত একটি শহর হন কন্যাকুমারী। এই শহরটি ভারতের মূল ভূখণ্ডের সবচেয়ে দক্ষিণতম বিন্দুতে অবস্থিত। কন্যাকুমারী শহরের নামটি এসেছে হিন্দু দেবী কন্যাকুমারীর নামানুসারে, যাঁর স্থানীয় নাম হচ্ছে কুমারী আম্মা।

কিভাবে যাবেন এবং কোথায় থাকবেন!

বিমানে করে মাদুরাই পৌঁছে যেতে পারেন, সেখান থেকে প্রতিদিন কন্যাকুমারীর দিকে বাস যায়, এতে পাঁচ ঘণ্টার মত সময় লাগে। তাছাড়া কেরলের ত্রিবান্দম থেকেও কন্যাকুমারীতে বাস যায়। পৌঁছে যাওয়ার পর কন্যাকুমারীতে থাকার সেরা জায়গা  হল রাজ্য পর্যটনের হোটেল তামিলনাড়ু, জেখনের রুম ভাড়া ৮০০-২,৮০০ টাকা, এছাড়াও আরো ছোট বড় হোটেল আছে যেখানে বাজেট অনুযায়ী রুম পেয়ে যাবেন।

কন্যাকুমারী
Pin it

উপসংহার, Conclusion

কোথাও ঘুরতে যাওয়ার কথা ভাবলেই মনটা সাথে সাথেই যেন ফুরফুরে হয়ে যায়। আর যদি তা কম খরচে আর pocket friendly tour  হয় তবে তো  আর কথাই নেই। তাই সুযোগ পেলেই একবার হলেও ঘুরে আসুন উপরিউক্ত মনোরম স্থানগুলোতে। দৈনন্দিন জীবনের ঝুট ঝামেলা থেকে খানিক বিরতি নেওয়ার জন্য আপনাদের কাছে এই জায়গাগুলো উপযুক্ত।


Recent Posts