ভূমিকা, Introduction
দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের বিশেষ অবদান রয়েছে। বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে জাতীয় জীবনের উন্নতি ও অগ্রগতিও ত্বরান্বিত হচ্ছে। বিশেষত শিক্ষায় প্রযুক্তি বিদ্যার ব্যবহারের যথেষ্ট প্রয়োজন আছে। বিজ্ঞান প্রযুক্তিকে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করা হলে তা ব্যক্তি জীবন এবং সমাজ জীবনকে গতিশীল করে তোলার ক্ষেত্রে সক্ষম হয়। তাছাড়া বিজ্ঞান চেতনা মূলক প্রযুক্তিবিদ্যা মানব জাতিকে জীবনে স্বনির্ভর হতে তথা তাদের আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম। তাই বলা যায় যে মানব কল্যাণে বিজ্ঞানের অবদান অপরিসীম।
মানব জীবনে বিজ্ঞানের প্রভাব, Impact of science on human life
বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে আমাদের সংস্কার, বিশ্বাস সবকিছুই বদলে যাচ্ছে। আজকের সময়ে বিজ্ঞানের দৃষ্টি দিয়ে আমরা এখন সব কিছুই যাচাই করে দেখার কথা ভাবি, পাশাপাশি প্রমাণ পেতে চাই বিভিন্ন কিছুর।
এইসব জিজ্ঞাসা এবং তর্কের প্রবৃত্তি হল আমাদের বৈজ্ঞানিক পরিবেশের ফসল। তাই বিজ্ঞান সম্পর্কে আমরা যতটাই অজ্ঞ হই না কেন, এই বিজ্ঞানের ব্যবহারের প্রভাব অনায়াসে আমাদের জীবনের মর্মমূলে প্রবেশ করে চলেছে। আমাদের জীবনে বিজ্ঞান এনে দিয়েছে স্বাচ্ছন্দ্য এবং আরাম-আয়েশ।
বহুকাল ধরেই মানুষ টেলিভিশন, রেডিও, সংবাদপত্র, টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ, বৈদ্যুতিক বাতি ও পাখা, বৈদ্যুতিক ইস্ত্রি তথা বৈদ্যুতিক হিটার ইত্যাদির ব্যবহার করছে। এইসব কিছুর আবিষ্কারের ফলেই আমাদের জীবনযাত্রা সহজ এবং আরামদায়ক হয়ে উঠেছে। তাছাড়া অফিস-আদালতেও নিত্যদিন কম্পিউটার, প্রিন্টার ইত্যাদির মত যন্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে, যা কাজকর্ম অনেকটা সহজ করে দিয়েছে।
বিজ্ঞানের গুরুত্ব, Importance of Science
মানবসমাজের যে অংশেই দৃষ্টিপাত করা যায়, সেদিকেই বিজ্ঞানের মহিমা স্পষ্ট হয়ে উঠে। বর্তমান সময়ে বিজ্ঞানের বলে মানুষ জল, স্থল তথা অন্তরীক্ষও জয় করে নিয়েছে। বিজ্ঞানের সাহায্যে নিত্য দিনের সংকট নিরসন এবং সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিধানের অভাবনীয় কৌশল আবিষ্কার করেছে।
বিজ্ঞানের গৌরবময় অবদান জীবনের সর্বক্ষেত্রে বিস্তৃতভাবে ছড়িয়ে রয়েছে এবং মানবজীবনের উপর এই অবদানের সুগভীর প্রভাব পড়ছে। আমাদের জীবনকে অফুরন্ত সুখে পরিপূর্ণ করে দেওয়ার সাধনায় বিজ্ঞান সদা নিয়ােজিত, এবং অবিরতভাবে নিজের বিস্ময়কর আবিষ্কার চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষের সেবা করতে গিয়ে বিজ্ঞান আজ মৃত্যুকেও জয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিজ্ঞানের এই বিশ্রামহীন কর্মসাধনার পরিণতিই হল আধুনিক সভ্যতা। নব নব কৌশল এবং প্রকরণ প্রবর্তন করার মাধ্যমে এই জগতে বিজ্ঞান নিয়ে এসেছে যুগান্তর; দূরকে করে নিয়েছে আপন এবং আমাদের জীবনকে করেছে সহজ।
ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য, Responsibilities and duties of student life in Bengali
প্রাত্যহিক জীবনে বিজ্ঞানের প্রভাব, Impact of science on daily life
আমাদের জীবনের প্রতিটা দিনে ব্যবহৃত প্রায় সকল জিনিসই বিজ্ঞানের দান। দেখতে গেলে বাড়ি তৈরির রড, সিমেন্ট, রঙ থেকে শুরু করে বাড়িতে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিগুলো, যেমন- পাম্প, ফ্যান, গিজার, হিটার, ওয়াটার পিউরিফায়ার, এয়ার কন্ডিশনার ইত্যাদি সবকিছুরই মূলে আছে বিজ্ঞান। তাছাড়াও তালিকায় আছে প্রেসার কুকার, মিক্সার, মাইক্রোওভেন, জুসার, ইন্ডাকশন কুকার প্রভৃতিও। এইসকল যন্ত্রপাতি বর্তমানের আধুনিক জীবনকে যেন আরো সহজতর করে তুলেছে।
বাংলার ঋতুবৈচিত্র্য, Seasonal diversity of Bengal, Best details in Bengali
প্রকৃতির পূর্বাভাস পেতে বিজ্ঞান, Science to predict nature
বিজ্ঞানের প্রয়োগে আজ আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়ার ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে মানবজাতি। এছাড়াও বায়ুশক্তিকে কাজে লাগিয়ে উইন্ডমিল দ্বারা মানুষ বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি আরো কত কি না করছে। এক কথায় বিজ্ঞানের কল্যাণে ভয়ংকরী প্রকৃতিও আজ শুভংকরী রূপে রূপান্তরিত হয়েছে।
কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞানের ব্যবহার, Science in Agriculture
বিজ্ঞান কৃষিক্ষেত্রেও বিশেষভাবে উন্নতি সাধন করেছে। প্রাচীন সময়কালের লাঙলের পরিবর্তে এখন ব্যবহৃত হচ্ছে উন্নতমানের কলের লাঙল এবং ট্রাক্টর। ভিন্ন ভিন্ন ফসলের উৎপাদন তথা তাদের মান বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হচ্ছে আধুনিক ধরনের রাসায়নিক সার। কীটপতঙ্গের থেকে ফসল রক্ষার জন্য রয়েছে উন্নতমানের কীটনাশক। গভীর এবং অগভীর নলকূপের সাহায্যে জল সেচের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাছাড়াও গবেষণার দ্বারা কৃষকদের কাছে সরবরাহ হচ্ছে উন্নতমানের বীজ।
চিকিৎসাক্ষেত্রে বিজ্ঞানের ব্যবহার, Use of science in medicine
চিকিৎসা বিজ্ঞানের সহায়তায় আজ মানবজাতি অকাল মৃত্যু থেকে রক্ষা পেয়েছে। বিজ্ঞানের কল্যাণে বিভিন্ন মরণব্যাধির সু-চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয়েছে। উন্নতমানের ওষুধপত্র, অস্ত্রোপচার, পরীক্ষা নিরীক্ষার মেশিন, আল্ট্রাভায়ােলেটরে তথা অণুবীক্ষণ যন্ত্র ইত্যাদি আবিষ্কার হওয়ায় চিকিৎসা বিজ্ঞানে এসেছে আমূল পরিবর্তন।
উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার ফলে মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে মানুষের গড় আয়ু। বিভিন্ন পদ্ধতিতে এখন পৃথিবীর যে কোনাে জায়গায় বসে থেকে উন্নত দেশের ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারছেন। মোটকথা বিজ্ঞান চিকিৎসা ব্যবস্থায় বয়ে এনেছে এক যুগান্তকারী বিপ্লব।
বাঙালীর উৎসব নিয়ে সেরা রচনা, Best composition on Bengali festivals in Bengali
যাতায়াত ব্যবস্থা ও যােগাযােগের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান, Contribution of science to transportation and communication
বিজ্ঞানের অবদানে আজকের সময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটা সহজ হয়ে উঠেছে। বিজ্ঞান আজ আবিষ্কার করে নিয়েছে বেশ কিছু দ্রুতগামী যানবাহন, যেমন- বুলেট ট্রেন, মেট্রো রেল, উড়ােজাহাজ ইত্যাদি। মানুষ এখন পৃথিবীর একপ্রান্তে বসে অপরপ্রান্তে থাকা মানুষের সাথে টেলিফোনের মাধ্যমে কথা বলতে পারে।
এছাড়াও টেলিভিশন, রেডিও, ই-মেইল, ফ্যাক্স, মুঠোফোন ইত্যাদির মাধ্যমেও আমরা সারা বিশ্বের খবর যেকোনাে মুহূর্তে পেয়ে যাচ্ছি। এখানেই শেষ নয়, এখন রকেটে চড়ে মানুষ পৃথিবীর বাইরে মহাকাশেও পাড়ি জমাতে সক্ষম।
এক কথা বলতে গেলে যােগাযােগের ক্ষেত্রেও আলােকতন্তু নিয়ে এসেছে বিজ্ঞান প্রযুক্তি। এই সবকিছু ছাড়াও ইন্টারনেটের সাহায্যে লেনদেন করা হচ্ছে কম্পিউটারের বিভিন্ন তথ্যাবলি। বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তিগুলো যেন সারা বিশ্বকে মানুষের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে।
বিনোদন ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের ভূমিকা, Role of science in entertainment
বিনোদনের জগতের দিক থেকে দেখতে গেলে বিজ্ঞানের প্রথম অবদান ছিল সিনেমা বা চলচ্চিত্র। পর্দার মধ্যে মানুষের নড়াচড়া মুগ্ধ করে মানবজাতিকে। এরপর ধীরে ধীরে বিনোদনের তালিকায় যুক্ত হয় রেডিও ও টেলিভিশন। এখনকার সময়ে মানুষ নিজের পকেটেই সমগ্র জগতের বিনোদন-ভান্ডারকে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়, আর সেটা সম্ভব হয়েছে স্মার্টফোন আবিষ্কার হওয়ার ফলে।
শিল্পক্ষেত্রে বিজ্ঞানের ভূমিকা, Role of science in industry
মানুষের জীবনের নিত্যদিনের ব্যবহার্য অনেক প্রয়োজনীয় উপকরণ উৎপাদনের ক্ষেত্রে শিল্পের গুরুত্ব অপরিসীম। একসময় শিল্প কারখানায় প্রায় সমস্ত কাজই কর্মীরা নিজ হাতে করতেন, যার ফলে মানুষের কাজে সময় এবং শ্রম দুটোই বেশি লেগেছে, কিন্তু সেই অনুপাতে উৎপাদন হতো ন্যূনতম। তবে বিজ্ঞানের বলে আজ সেই সব কাজ যন্ত্র দ্বারা সম্পন্ন করা হচ্ছে।
এতে খরচ এবং সময় কম ব্যয় হচ্ছে, পাশাপাশি উৎপাদন হচ্ছে অধিক পরিমাণে, অর্থাৎ বিজ্ঞানের দৌলতে শিল্পবিপ্লব ঘটেছে এবং এর ফলে আজ বহু স্থানে বৃহদায়তনের শিল্পকারখানাও স্থাপিত হচ্ছে। এই উন্নতির মাধ্যমেই দেশীয় পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার ক্রমশ সম্প্রসারিত হচ্ছে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান প্রযুক্তির অবদান, Contribution of science and technology in education
শিক্ষার সাথে সম্পর্কিত বিজ্ঞান ভিত্তিক জ্ঞান, শিক্ষণ তথা প্রশিক্ষণের উৎকর্ষতা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে যে বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞানের ব্যবহার করা হয়, তাকেই মূলত শিক্ষাপ্রযুক্তি বলা হয়। সুতরাং, শিক্ষা-শিক্ষণ প্রক্রিয়া বিকশিত করতে শিক্ষা প্রযুক্তির প্রয়ােজন রয়েছে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের কতটা অবদান রয়েছে তা হয়তো বলে শেষ করা যাবে না। তবে এটা অবশ্যই মানতে হবে যে বর্তমান সময়ে আমরা যেই শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি তার পুরোটাই হল বিজ্ঞানের অবদান।
পড়াশোনার কাজে ব্যবহার করা খাতা কলম থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের ডিজিটাল ক্লাসরুম পর্যন্ত সব কিছুই তো বিজ্ঞানেরই অবদান। আজকাল যেকোনো বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য বা কিছু শেখার জন্য আর কোনো প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করতে হয়না, কারণ এখন ঘরে বসে থেকে খুব সহজেই যেকোনো কিছু শিখে নেওয়া যায়।
শিক্ষাক্ষেত্রে বিজ্ঞান প্রযুক্তির ব্যবহারের বিশেষ দিকগুলি নিম্নরূপ, Following are the special aspects of the use of science technology in education
১. পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি :
আগেকার সময়ে টাইপ রাইটারের ব্যবহার করে লেখা মুদ্রণ করতে হতো, তবে এখন আধুনিক মুদ্রণ যন্ত্রের আবিষ্কার হওয়ার এবং কম্পিউটারের দ্বারা মুদ্রণ সম্ভব হওয়ার কারণে খুব কম সময়ে এবং স্বল্প খরচেই লক্ষ লক্ষ কপি ছাপানো যাচ্ছে। এছাড়া পরীক্ষার জন্য প্রশ্ন পত্র তৈরি করা এবং পাঠ্যপুস্তক তৈরির কাজেও আধুনিক প্রযুক্তি যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে।
২. শিক্ষার সারঞ্জাম তৈরিতে বিজ্ঞানের ভূমিকা:
শিক্ষাক্ষেত্রে আগেকার সময়ে মানুষ যেকোনো কিছু লেখার কাজে দোয়াত কালির ব্যবহার করতো।
কিন্তু সময়ের বিবর্তনের সঙ্গে বিজ্ঞানের কল্যাণে কলম তৈরি হয়েছে এবং আমরা কলমের ব্যবহার শিখতে পেরেছি। এর পাশাপাশি খাতা, কাগজ ইত্যাদি সবকিছুই একই ধারায় উন্নত হয়েছে। প্রাচীনকালে মানুষ লেখালেখিই জানতো না, পরে মধ্য যুগের মানুষ লেখার জন্য বিভিন্ন গাছের পাতা, পশুর চামড়া এবং আরও বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার করতো। তবে এখন সকল কাজই প্রযুক্তির মাধ্যমে সহজ হয়ে গেছে।
৩. পরীক্ষার ফলাফল তৈরি ও ফলাফল প্রকাশ করার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার:
বর্তমানে সকল রকম পরীক্ষার ফলাফল তৈরির কাজে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। এমনকি বর্তমান সময়ে পরীক্ষার উত্তরপত্র যাচাই করার ক্ষেত্রেও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়। যেমন বহুনির্বাচনী প্রশ্নের ক্ষেত্রে উত্তরগুলো যাচাই করার জন্য OMR মেশিনের ব্যবহার করা হয়।
তাছাড়া পরীক্ষার ফলাফল তৈরি করার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে, ফলে সময় এবং শ্রমেরও সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে। আজকাল ইন্টারনেট ব্যবহারের দ্বারা খুব সহজেই নির্দিষ্ট পরীক্ষার ফলাফলগুলো প্রত্যাশীদের নিকট পৌঁছে দেয়া সম্ভব। তাই বর্তমানে ঘরে বসে থেকে মুহূর্তের মধ্যে সকল প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ফলাফল জেনে নেওয়া যায়।
এর পাশাপাশি বিভিন্ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য আবেদন করতে হলেও ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া আজকাল অনলাইনে মার্কশিট তৈরি করা বা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করার কাজ বেশ সহজ হয়ে উঠেছে।
৪. বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ
পূর্বে একটা সময় ছিল যখন শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তকের উপরই নির্ভর হয়ে থাকতো। কিন্তু এখন পড়াশোনা করার জন্য কারও আর পাঠ্যপুস্তকের উপর নির্ভর করতে হয় না, বরং ইন্টারনেটের ব্যবহার করে যেকোনো সময়ই যেকোনো ব্যাপারে যাবতীয় তথ্য খুঁজে নেওয়া যায়। তাছাড়া ইন্টারনেটে যেকোনো তথ্য প্রাপ্তির সুবিধার কোনো সীমা নেই।
৫. মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম এর প্রভাব
মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম হচ্ছে আধুনিক শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহারের সবচেয়ে উন্নত উদাহরণ, যেখানে একটি ভিডিও প্রোজেক্টরের ব্যবহার করে ক্লাস নেওয়া হয়। আজকের সময়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণীকক্ষগুলি মাল্টিমিডিয়া সিস্টেমে চালু রয়েছে। বর্তমানে সারাদেশের প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
ইউনিক বিজনেস আইডিয়ার হদিস, Best and unique business ideas in Bengali
মানব সমাজে বিজ্ঞানের ক্ষতিকর দিক, Harmful aspects of science in human society
বিজ্ঞান একদিক থেকে যেমন আমাদের অশেষ কল্যাণ সাধন করে আসছে, তেমনি এনেছে বিভীষিকাও। বিজ্ঞান সৃষ্ট যন্ত্রের উপর নির্ভর করতে গিয়ে মানুষের জীবনে ক্রমশ যন্ত্রনির্ভরতা, কর্মবিমুখতা দেখা দিচ্ছে।
এটি অনেকক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা বাড়িয়ে তুলছে। ইন্টারনেট এবং স্যাটেলাইট টেলিভিশনের মতা আধুনিক বিজ্ঞান প্রযুক্তির মধ্য দিয়ে অনেকক্ষেত্রে অনুপ্রবেশ ঘটছে এক বিজাতীয় অপসংস্কৃতির, আর এইভাবে যুবসমাজের মধ্যে নৈতিক অবক্ষয় ঘটছে। অন্যদিকে রাসায়নিক এবং পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার মানব সভ্যতাকে আজ ধ্বংসের মুখে এনে দাঁড় করিয়েছে। বােমারু বিমান, মিসাইল, ট্যাংক ও সাবমেরিন ইত্যাদি আবিষ্কার হওয়ার ফলে মানবজীবনের কিছু ক্ষেত্রে বিজ্ঞান আজ অভিশাপে পরিণত হয়েছে।
- গুপ্তমুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সি, Best details on Cryptocurrency in Bengali
- আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং, Best write-up on Outsourcing and freelancing in Bengali
- মোবাইল ব্যাংকিং, Know in detail about Mobile banking in Bengali
- সাইবার অপরাধ বা সাইবার ক্রাইম, Best write-up on Cyber crime in Bengali
- ই-লার্নিং ও আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা, Know what is e-learning in Bengali
উপসংহার, Conclusion
বিজ্ঞান প্রযুক্তিবিদ্যা মানব জাতির প্রায় সকল কাজই সাহায্য করে। এটি নতুন কিছু বিষয় সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজনমত সহায়তা করে এবং নানা রকম গবেষণা সম্পর্কেও জানতে সাহায্য করে। বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে সর্বক্ষেত্রেই বিজ্ঞান প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তি ব্যবহারের বিভিন্ন উদ্দেশ্য আছে এবং এই উদ্দেশ্যগুলি পালন করার মাধ্যমেই সমাজের অগ্রগতিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।