বিশ্বের বৃহত্তম এবং ব্যস্ততম রেল পরিবহন ব্যবস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম হল ভারতীয় রেল। ১৮৫৩ সালে ভারতে রেল ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের সময়, দেশে বিয়াল্লিশটি রেলের ব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল। নিত্যদিন লক্ষ লক্ষ যাত্রী এবং ২০ লক্ষ টনেরও বেশি পণ্য এই রেলপথে চলাচল করে। এছাড়াও উক্ত সংস্থাটি বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্যিক তথা সরকারি পরিষেবা কর্মীর নিয়োগকর্তাও। বর্তমানে ভারতীয় রেল সংস্থার কর্মচারীর সংখ্যা ১২.২৭ লক্ষেরও বেশি।
ভারতীয় রেলের সাংগাঠনিক কাঠামো, Organizational Structure of Indian Railways
ভারতীয় রেল কোনো ধরনের প্রাইভেট কোম্পানি নয়, বরং এটি ভারত সরকারের রেল মন্ত্রক দ্বারা অধিগৃহীত এবং পরিচালিত হওয়া একটি সংস্থা। দুইজন রাষ্ট্রমন্ত্রী রেলমন্ত্রীকে সহায়তা করেন। তাছাড়াও ভারতীয় রেলের প্রশাসনের দায়িত্বে থাকেন এক অর্থ কমিশনার, পাঁচ জন সদস্য এবং একজন চেয়ারম্যান বিশিষ্ট একটি রেলওয়ে বোর্ড।
রেলওয়ে ব্যবস্থার প্রসার, Expansion of railway system
বর্তমান সময়ে দেশের সামগ্রিক দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ বরাবর রেলওয়ে ব্যবস্থা প্রসারিত। ৭,৩২১ এর বেশি স্টেশন বিশিষ্ট ভারতীয় রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ৬৭,৪১৫ কিলোমিটারেরও বেশি রয়েছে। রোলিং স্টকের হিসেব অনুযায়ী দেখতে গেলে, ভারতীয় রেল ২৫০,০০০ এরও বেশি পণ্য ওয়াগন; ৫৫,০০০ এরও বেশি কোচ এবং ১২,০০০ এরও বেশি লোকোমোটিভের মালিক।
স্বাধীনতার পর ১৯৫১ সালে ৫১ টি রেল সংস্থাগুলির রাষ্ট্রায়ত্ত্বকরণ হওয়ার পর একটি মাত্র সংস্থা স্থাপিত হয় এবং পরবর্তীতে উক্ত সংস্থাটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ রেল ব্যবস্থায় পরিণত হয়। দূরপাল্লা তথা শহরতলি স্তরে ভারতীয় রেল মাল্টি-গেজ ব্যবস্থা সম্পন্ন, রেল সংস্থা মিটার এবং ন্যারো গেজে রেল পরিবহন পরিচালনা করে। তাছাড়াও এই সংস্থাটি একাধিক লোকোমোটিভ এবং কোচ উৎপাদন কারখানারও মালিক।
পর্যটন ব্যবস্থার উন্নতিতে ভারতীয় রেলের ভূমিকা, Role of Indian Railways in the development of tourism system
আমরা অনেকেই জানি যে আইআরসিটিসি ভারতীয় রেল ব্যবস্থার পর্যটন কর্মসূচির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিষেবা। ভারতীয় রেলে একাধিক সংখ্যক বিলাসবহুল ট্রেন চলছে। যেমন – গোল্ডেন চ্যারিয়ট, রয়্যাল ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেস, প্যালেস অন হুইলস ও ডেকান ওডিসি। যদিও মূলত বিদেশি পর্যটকদের জন্য এইগুলি চালানো হয়। তবে নিজ দেশের স্থানীয় পর্যটকদেরও গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনস্থল তথা তীর্থস্থানে যাত্রা করার জন্যও রেলওয়ের তরফ থেকে বিভিন্ন রকম প্যাকেজ দেওয়া হয়।
গ্রামে ব্যবসার সেরা আইডিয়া, Best unique business ideas in rural areas in Bengali
রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড, Rail Bikash Nigam Limited
রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড হল আমাদের ভারতীয় রেলের এক সহকারী সংস্থা। রেলের প্রয়োজনীয় সকল রকম ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজগুলি এই সংস্থার দ্বারা সম্পাদিত হয়। সাধারণটত গেজ পরিবর্তন করা বা সেতু পুনর্গঠনের মত গুরুত্বপূর্ণ সব কাজের দায়িত্ব এই সংস্থার উপর ন্যস্ত করা হয়।
ভারতীয় রেলের সুযোগ সুবিধা, Various facilities provided by Indian Railways
বন্দর হিসেবে প্রধান এমন কিছু নগরাঞ্চলে ভারতীয় রেলের নিজস্ব পণ্য লাইন ও ইয়ার্ড রয়েছে, যার সাহায্যে প্রচুর পরিমাণে আকরিক খনিজ পদার্থ, কৃষিজ পণ্য, সার ও ফার্মাকিউটিক্যাল, মাল্টিমডেল ট্র্যাফিক, লৌহ ও ইস্পাত ও অন্যান্য পণ্যদ্রব্য বহন করে থাকে। আবার অনেক গুরুত্বপূর্ণ পণ্য স্টেশনগুলোতে নিজস্ব প্লাটফর্ম এবং স্বাধীন লাইনও রয়েছে।
ভারতীয় রেলওয়ের বেশিরভাগ লভ্যাংশ এবং ৭০% রাজস্ব আয় করে পণ্যক্ষেত্র থেকে। এই লভ্যাংশটি অলাভজনক যাত্রীক্ষেত্রের ঘাটতিগুলো পূরণের জন্য ব্যবহার করা হয়। দূরপাল্লায় যানবাহন পরিবহনের কাজও ভারতীয় রেলের দ্বারা করা হয়। অনেক সময় নির্দিষ্ট গন্তব্যে দ্রব্য পরিবহনকারী বিভিন্ন ট্রাকগুলিকে ট্রেনে করে নিয়ে যাওয়া হয়।
এতে ট্রাকিং কোম্পানিগুলোর অপ্রয়োজনীয় জ্বালানি খরচ কম হয়। সাম্প্রতিককালে অতিপ্রয়োজনীয় বেশ কিছু পণ্য সরবরাহ করার উদ্দেশ্যে এক বিশেষ কনটেইনার কনরাজ চালু করেছে ভারতীয় রেল সংস্থা। উক্ত ৪,৭০০ মেট্রিক টন পণ্যবাহী এই কনটেইনার ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি হল ১০০ কিলোমিটার/ঘণ্টা।
ইদানীংকালে পণ্য পরিবহন ক্ষেত্রের আয় বৃদ্ধি করার জন্য নানা রকম পরিবর্তন সাধন করা হচ্ছে। অন্যদিকে পণ্যবাহী ট্রেনগুলোর কার্যকারীতা বৃদ্ধি করার চিন্তায় একটি বেসরকারিকরণের পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের নানা কোম্পানিকে তাদের নিজস্ব কনটেইনার ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি ভারতের প্রায় সকল বৃহত্তম শহরগুলির মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী একটি ১১০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ পণ্য করিডোরের অনুমোদন করা হয়েছে।
এছাড়াও রেল ২২৫,০০০ পণ্য ওয়াগনের ভারবহণ ক্ষমতাকে ১১% বৃদ্ধি করেছে। অন্যদিকে পরিবহন ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি জ্বালানি খরচ বৃদ্ধির জন্যও দাবি জানানো হচ্ছে। এরূপ অবস্থায় রেলপথে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা দিন দিন বেশ লাভজনক হয়ে উঠছে। ফিরতি পথে গতিবৃদ্ধির মতো নানা রকম ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে পণ্য রাজস্বও ২৪ শতাংশের মত বৃদ্ধি পেয়েছে।
মহিলাদের বিশেষ সুবিধা, Special privileges for women
ভারতীয় রেলওয়ে মহিলাদের কোচ এবং ভ্রমণের জন্য কোটা বাড়িয়ে দিয়েছে। তাছাড়া এরা জরুরি সময়ে সাহায্যের জন্য হেল্পলাইন নম্বরও প্রদান করেছে। ট্রেন যাত্রার সময় মহিলাদের জন্য কোচে পুলিশ বাহিনীও দেওয়া হয়।
প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য সুবিধা, Privileges for handicapped passengers
প্রতিবন্ধী যাত্রীরা ভারতীয় রেলওয়ের দেওয়া বিশেষ পরিষেবাগুলি পেতে পারেন। ভারতীয় রেলওয়ে শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী যাত্রীদের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভ্রমণের জন্য নিশ্চিত আসন প্রদানের জন্য দিব্যাঙ্গ কোটা চালু রেখেছে। ট্রেনে তাদের জন্য সিট সংরক্ষণ করা থাকে, যার টিকেটের খরচ সাধারণ কোটার তুলনায় সস্তা হয়।
এছাড়া রেলওয়ে তাদের জন্য হুইলচেয়ারও সরবরাহ করে, যারা হাঁটতে অক্ষম বা এক প্ল্যাটফর্ম থেকে অন্য প্ল্যাটফর্মে চলাফেরার জন্য সহায়তার প্রয়োজন তারা এর ব্যবহার করতে পারেন।
জিআরপি/আরপিএফ, GRP/RPF
যাত্রী ও রেলের নিরাপত্তার জন্য দুই ধরনের পুলিশ বাহিনী সক্রিয় রয়েছে। তারা হলেন গভর্নমেন্ট রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) এবং রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স (আরপিএফ)। জিআরপি বাহিনী রেলওয়েতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সনাক্তকরণ এবং অপরাধ তদন্তের জন্য উপলব্ধ রয়েছে। আরপিএফ বাহিনী যাত্রীদের নিরাপত্তায় সাহায্য করে। তাদের কাছে গ্রেফতার করা ও সন্দেহজনক বিষয়ে তদন্ত করা এবং অপরাধীদের অপরাধের বিচার করার ক্ষমতা রয়েছে।
অনলাইন টাকা রোজগার করার সেরা উপায়, Best ideas for earning money online in Bengali
ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডোর, Dedicated freight corridor
ভারতের রেল মন্ত্রক বর্তমানে দুটি করিডোরে বিভক্ত, ২৭৬২ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি নতুন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডোর নির্মাণ করেছিল। পূর্ব করিডোরটি লুধিয়ানা হতে কলকাতা এবং পশ্চিম করিডোরটি মুম্বাইয়ের সুপরিচিত জওহরলাল নেহেরু বন্দর হয়ে তুঘলকাবাদ/দাদরি পর্যন্ত প্রসারিত হয়েছে। অন্যদিকে খুরজাতে এই দুটি করিডোর পরস্পরকে ছেদ করছে।
পরবর্তীতে ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডোরের অর্থসম্পদ ও নির্মাণ পরিচালনা, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন তথা রক্ষণাবেক্ষণ ও কার্যসম্পাদনা নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডোর কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড অর্থাৎ ডিএফসিসি স্থাপিত হয়েছে। ২০০৬ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর, কোম্পানি আইন, ১৯৫৬ অনুযায়ী ডিএফসিসি নথিভুক্ত করা হয়েছিল।
ভারতীয় রেলের উল্লেখযোগ্য ট্রেন, Notable Trains of Indian Railways
ভারতীয় রেলের দুটি ঐতিহ্যবাহী স্থান রয়েছে। যেগুলি হল: ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনাস এবং ভারতের পার্বত্য রেলওয়ে। উক্ত পার্বত্য রেলওয়ে ভারতের তিন প্রান্তে অবস্থিত তিনটি পৃথক পার্বত্য রেলপথ নিয়ে গঠিত হয়েছে।
● দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে – এটি পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং- এ অবস্থিত একটি ন্যারো গেজ রেলওয়ে।
● নীলগিরি পার্বত্য রেলওয়ে – এটি তামিলনাড়ুর নীলগিরি পর্বতে দিয়ে যাওয়া একটি মিটার গেজ রেলওয়ে।
● কালকা-শিমলা রেলওয়ে – হিমাচল প্রদেশের শিবালিক পার্বত্য অঞ্চল দিয়ে চালিত একটি ন্যারো গেজ রেলওয়ে।
পার্বত্য রেলপথ ছাড়াও আরো বহু ভিন্ন প্রকল্পের আওতায় বিশেষ কিছু ট্রেন চালু করা হয়েছে, সেগুলি হল:
● রাজস্থানের পর্যটন ব্যবস্থার উন্নতিকল্পে প্যালেস অন হুইলস নামে একটি বিশেষভাবে সজ্জিত ট্রেন চালানো হয়। এই ট্রেনটি সাধারণত বাষ্পীয় ইঞ্জিন চালিত।
● মহারাষ্ট্র সরকারও মহারাষ্ট্র ও গোয়ার পর্যটনশিল্পের উন্নতিকল্পে ডেকান ওডিসি চালু করে।
● কর্ণাটক সরকার কর্ণাটক ও গোয়ার জনপ্রিয় পর্যটনস্থলগুলির সঙ্গে পর্যটকদের পরিচিত করে তোলার জন্য চালু করে গোল্ডেন চ্যারিয়ট ট্রেন।
● ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের পারস্পরিক যাতায়াতের জন্য একটি ট্রেন চালু ছিল, যার নাম রাখা হয়েছিল সমঝোতা এক্সপ্রেস। যদিও দুই রাষ্ট্রের সম্পর্কে জটিলতা দেখা দিলে ২০০১ সালে এই ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়। তবে ২০০৪ সালে আবার তা চালু করা হয়।
● পাকিস্তানের খোখরাপা হয়ে ভারতের মুনাবাও অবধি চালু আরেকটি ট্রেন আছে যার নাম থর এক্সপ্রেস, যা ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কারণে বন্ধ হয়ে যায়, তবে ২০০৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি এটি ফের চালু করা হয়।
● ভারতীয় রেলের অন্তর্গত কালকা-শিমলা রেলপথ গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী ৯৬ কিলোমিটার পথে সর্বাপেক্ষা খাড়া উত্থানের জন্য প্রসিদ্ধ।
● লাইফলাইন এক্সপ্রেস নামক বিশেষ একটি ট্রেন রয়েছে যা “হসপিটাল-অন-হুইলস” নামেও জনপ্রিয়। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসা পরিষেবা দানের উদ্দেশ্যে ট্রেনটি চালু হয়। এই ট্রেনে একটি কামরায় অপারেটিং কক্ষ, স্টোররুম ও পেশেন্ট ওয়ার্ডও রয়েছে।
● খড়গপুর রেলওয়ে প্লাটফর্মটি হল সারা বিশ্বের দীর্ঘতম রেলওয়ে প্লাটফর্ম, যার দৈর্ঘ্য ১০৭২ মিটার।
● পার্বত্য রেলপথের দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে রুটের ঘুম স্টেশনটি হল বিশ্বের দ্বিতীয় উচ্চতম রেলস্টেশন যেখানে বাষ্পীয় ইঞ্জিনও পৌঁছতে পারে।
● মুম্বাই-পুনে ‘ডেকান কুইন’ ট্রেনটিতে ভারতীয় রেলের সবচেয়ে পুরনো চলমান ডাইনিং কারটি বর্তমান।
● কন্যাকুমারী এবং জম্মু তাওয়াই-গামী হিমসাগর এক্সপ্রেস হল ভারতীয় রেলের দীর্ঘতম দূরত্ব এবং দীর্ঘতম সময় বিশিষ্ট রেলওয়ে নেটওয়ার্ক। ৭৪ ঘণ্টা ৫৫ মিনিটে এই ট্রেনটি ৩,৭৪৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে।
● ভোপাল শতাব্দী এক্সপ্রেস হল ভারতের দ্রুততম ট্রেন। ঘন্টায় ১৫০ কিলোমিটার বেগে ফরিদাবাদ-আগ্রা হয়ে চলাচল করে।
● ভারতে রাজধানী এক্সপ্রেস এবং শতাব্দী এক্সপ্রেস হল সুপারফাস্ট ও পুরোমাত্রায় বাতানুকূল ট্রেন। এই দুই ট্রেনকে ভারতীয় রেলের শ্রেষ্ঠ রেল পরিষেবা হিসেবে গণ্য করা হয়।
এসব ছাড়াও ত্রিবান্দ্রম-নিজামউদ্দিন রাজধানী এক্সপ্রেস এবং অন্য এক বিরামহীন ট্রেন, বিবেক এক্সপ্রেসে চড়ে ডিব্রুগড় থেকে কন্যাকুমারি পৌঁছে যেতে পারেন মাত্র ৮২ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের মধ্যেই।
হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সম্পর্কে বিশদ তথ্য, Best details on Hardware and Software in Bengali
ভাড়া ও টিকিট মূল্য, Fares and ticket prices
অন্যান্য দেশের টিকিটের দামের তুলনায় ভারতীয় রেলের ভাড়া সারা বিশ্বে সর্বাপেক্ষা সস্তা। বিগত বেশ কিছু বছরে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও রেলের কোনো শ্রেণীতেই যাত্রীদের ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়া হয়নি।
এছাড়া ভারতের সকল প্রধান এবং অপ্রধান স্টেশনগুলোতে টিকিট পরিষেবাও সুলভ। ভারতীয় রেলওয়ে আইআরসিটিসি-র ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ২০০৩ সালে অনলাইন টিকিট পরিষেবা চালু করেছে। সেক্ষেত্রে যাত্রীরা ই-টিকিট ছাড়া আই-টিকিটও বুক করতে পারেন। অনলাইন বুকিং বা ডাক মাধ্যমে সরবরাহকৃত টিকিট ছাড়া আই-টিকিটগুলো মূলত নিয়মিত ছাপা টিকিট ছাড়া আর কিছুই নয়।
- কিভাবে হোয়াটস্যাপ এ ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক সক্রিয় করবেন | Bengali Guide to set Fingerprint Lock in Whatsapp
- হোয়াটস্যাপ এ টেক্সট ফরম্যাট করার সহজ উপায় | How to format text in Whatsapp in Bengali
- ফোনের লক বাটন খারাপ হয়ে গেছে ? জেনে নিন সহজ উপায়ে হার্ডওয়্যার লক বাটন ছাড়াও ম্যানেজ করা
- ইউটিউব ভিডিও ও অডিও ডাউনলোড করার ৭টি সহজ উপায়
- মোবাইল থেকে কাটুন লোকাল ট্রেন এর টিকিট, প্ল্যাটফর্ম টিকেট, জানুন UTS অ্যাপ এর ব্যবহার
উপসংহার, Conclusion
ভারতীয় রেল সংস্থা দশকের পর দশক ধরে দেশবাসীর সেবা করে আসছে। আমরা যে গন্তব্যেই পৌঁছাতে চাই না কেন, সেটি দূরের হোক কিংবা কাছের, ভারতীয় রেলওয়ে হল সাশ্রয়ী এবং আদর্শ একটি উপায় । দিনের পর দিন সকাল দুপুর রাত্র প্রতি বেলায় আমরা রেলের পরিষেবা পেয়ে যাচ্ছি। এই রেল পরিষেবাকে দেশের কোটি কোটি মানুষের লাইফলাইন বললেও হয়তো খুব একটা ভুল হবে না।